পাবনা
পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় ফুটপাতের এক হকারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকালে বেড়া পৌর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইমরান হোসেন (২৫) বেড়া উপজেলার করমজা গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ফুটপাতে ব্যবসা নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে ইমরান বিরোধ চলছিল। শনিবার রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি বাসা থেকে বের হন, পরে আর বাসায় ফেরেননি।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ্র সরকার বলেন, সকালে আলহেরা নগরীর ক্যানালের পাশের জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পাবনায় ছুরিকাঘাতে পৌরসভার কর্মচারী খুন
পাবনার সুজানগরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে পৌরসভার কর্মচারী আলামিন হোসেন (২৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাই রজব আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে পাবনার সুজানগর উপজেলার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলামিন সুজানগর পৌরসভার রাধানগর মহল্লার মৃত আব্দুস সাত্তার প্রামানিকের ছেলে। তিনি সুজানগর পৌরসভার টিকাদানকারী পদে চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত ৩, আটক ২
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে পাবনা আদালত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন দুই ভাই আলামিন ও রজব। পথে আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর নামক স্থানে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আলামিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজন রজব আলীকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তসহ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
পাবনায় বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু শিক্ষার্থী আহত
পাবনার বেড়ায় দুটি পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাখা এই বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটে।
আহত দুজন হলো- চরকান্দি গ্রামের দিলীপ কুমার সূত্রধরের শিশু পুত্র অভি (১০) ও শিশু কন্যা মন্দিয়া (৮)। অভি নাটিয়াবাড়িয়া ২৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে অভি ও মন্দিয়া সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আগে থেকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাখা দুটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৬
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বোমার আঘাতে দুই শিশু পড়ে আছে। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে তাদেরকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে সেখানে বোমা রেখেছিল বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে এবং নগরবাড়ি ঘাট দখল নিতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। আমি অবিলম্বে এই বোমা হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত, আহত ২
পাবনার সুজানরগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শুভ বেড়া (২০) নামের এক কলেজছাত্র নিহত ও তার দুই বন্ধু আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গাজনার বিল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শুভ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে ও অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে গাজনার বিলে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে শুভর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
আহত দুই বন্ধু পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত জহুরুল ইসলাম (১৬) পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার বামনডাঙ্গা গ্রামের জিলান মন্ডলের ছেলে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাবনার আদালতের মাধ্যমে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আসে।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রের নিবাসী শিশুরা আবাসিক ভবনের একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় জহুরুলকে ঝুলতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অসীত সাহা বলেন, বসন্ত বরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করে শিশুরা। ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল আজ। খেলা উপভোগ করতে সব শিশু মাঠেই ছিল। এই ফাঁকে জহুরুল নামে এক কিশোর নিজের কক্ষে গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই শিশু আত্মহত্যা করেছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের দাশুড়িয়া তেতুলতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক জাফর আলী (৩০) নামে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের বাঘহাঁচলা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল চালক জাফর দাশুড়িয়ার দিক থেকে পাবনা অভিমুখে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক পাবনা থেকে দ্রুতগতিতে আসা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার স্যানাল জানান, নিহতের স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক নিহত
নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২ রুশ কর্মচারীর মৃত্যু
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুই রুশ কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে । শনিবার পৃথক সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- সাব-কন্ট্রাক্টর কোম্পানি ট্রেস্ট রোসেমের মেকানিকেল ইঞ্জিনিয়ার শুকিন পাভেল (৪৮) এবং অন্য কোম্পানি এসএমইউ-১ এর ইনস্টলার টলমাসফ ভ্যাসিলিভ (৫৯)।
তারা দুজনেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ান কর্মকর্তাদের আবাসন প্রকল্প গ্রিন সিটি প্রকল্পের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
পুলিশ জানায়, ভোর ৩টার দিকে পাভেল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত মদ্যপানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে শনিবার ভোরে ১৪ তলায় সিঁড়ি থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে টলমাসফ নিহত হয়েছে বলে নিয়োগকারী সংস্থার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।
ওসি আসাদুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দুটি দূতাবাসের মাধ্যমে রাশিয়ায় পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইস্পাত কারখানায় বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত
পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২) সহ তিনজনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
পাবনা জেলা ও দায়রা জজের কৌসুলি এডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে মাদক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের মৃত হাচেন খাঁর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান (৫২), বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস ( ৫৩), নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলের সমো (৩১)।
এই এসময় দুই জনকে জামিন দেয়া হয়। তারা হলেন- ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম ( ৩৩), চকভাড়ারা গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে শামসুল হোসেন (৪০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ ৩৪ জন আসামি তাদের মধ্যে পাঁচ আসামি জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এ সময় বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে বর্তমান চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুই জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এই মামলার বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
এদিকে চেয়ারম্যানকে একনজর দেখার জন্য আদালত চত্বরে শত শত সমর্থক জড়ো হোন। এসময় পাবনা কোর্ট চত্বর থেকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টুনিতে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থধাপে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার কারণে ভাঁড়ারা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ স্থগিত হওয়ায় বাকি ৯টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি ভোটকে সামনে রেখে গত ১১ ডিসেম্বর সকালে কোলাদি গ্রামের চারাবটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক ভোটের প্রচারণায় বের হন।
এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় ইয়াসিন আলম মারা যান। এ ঘটনায় পরেরদিন ১২ ডিসেম্বর রাতে নিহত ইয়াসিন আলমের বাবা মোজাম্মেল হক বাদি হয়ে ৩৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন নির্বাচন কমিশন থেকে ইউপির সকল পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী, কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- পাবনা জোজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ফিরোজ (৪৮), পাবনা কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান রনি (২০) ও মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি হাইসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পাবনা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাঁতি গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
এদিকে একই দিনে পাবনা শহরে বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল চালানোর সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মেহেদী হাসান রনি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়। শহরের হাসপাতাল রোডস্থ জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজের ছাত্র। এ বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অপর এক ঘটনায় একই দিনে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বয়রা কাশিনাথপুর নামক এলাকায় ঢালারচর থেকে রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপায় মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের লোকমান মোল্লার ছেলে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পৃথক পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পাবনা শহরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক কলেজছাত্র নিহত এবং তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান রনি (২০) সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
আহত সাদির হোসেন (২০) চাটমোহর উপজেলার সোহাসপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও একই কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুই বন্ধু শহর থেকে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে হাসপাতাল রোড হয়ে সিংগা এলাকায় যাচ্ছিলেন। এই সময় জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।