পাবনা
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী, কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- পাবনা জোজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ফিরোজ (৪৮), পাবনা কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান রনি (২০) ও মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি হাইসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পাবনা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাঁতি গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
এদিকে একই দিনে পাবনা শহরে বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল চালানোর সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মেহেদী হাসান রনি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়। শহরের হাসপাতাল রোডস্থ জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজের ছাত্র। এ বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অপর এক ঘটনায় একই দিনে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বয়রা কাশিনাথপুর নামক এলাকায় ঢালারচর থেকে রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপায় মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের লোকমান মোল্লার ছেলে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পৃথক পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পাবনা শহরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক কলেজছাত্র নিহত এবং তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান রনি (২০) সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
আহত সাদির হোসেন (২০) চাটমোহর উপজেলার সোহাসপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও একই কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুই বন্ধু শহর থেকে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে হাসপাতাল রোড হয়ে সিংগা এলাকায় যাচ্ছিলেন। এই সময় জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহ
রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এসব জেলায় শীত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর ঢাকা
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের টেকনাফে ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৮টার দিকে সদর ও সাঁথিয়া উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে ও জোত আদম শহীদ রফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাজ্জাদ হোসেন (১৮), সাঁথিয়া উপজেলার পুটিগাড়া গ্রামের তারুণ বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০) ও একই গ্রামের কহায় হোসেনের ছেলে আব্দুল মোমিন (৩৮) ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৪
জোত আদম শহীদ রফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ জানান, সকালে সাজ্জাদ হোসেন জোত আদম মোড় থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিন চালিত একটি করিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এদিকে, সকালে রবিউল ইসলাম ও আব্দুল মোমিন বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করার জন্য আতাইকুলা বাজারে ভ্যানগাড়ি করে যাচ্ছিলেন। পাবনা-কাশিনাথপুর মহাসড়কের মাধপুর তৈলকুপি নামক স্থানে পৌঁছালে হঠাৎ ভ্যানটির এক্সেল ভেঙে গেলে পেছনের থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় অপরজনকে হাসপাতালে নিলে গেলে সেখানে তিনিও মার যান।
আরও পড়ুন: জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন দুর্ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলের মৃত্যু
পাবনায় পণ্যবাহী ট্রাকের চাকায় পিস্ট হয়ে মোটরসাইকেলে থাকা মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাঁতি গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৭০) ও ছেলে মাহাতাব উদ্দিন (৩৫)।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল বাশার জানান, আনুমানিক ৩টা ৫ মিনিটের দিকে দাশুড়িয়া অভিমুখ থেকে পাবনার দিকে মোটরসাইকেলটি যাচ্ছিল। এসময় কালিকাপুর বাজারে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলটি পাঁকা রাস্তায় ছিঁটকে দু’জনে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নিহত ৪
জামালপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
পাবনায় হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
পাবনায় এক যুবককে হত্যার দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক সাঁথিয়ায় উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে হত্যার দায়ে এ রায় দেন।
রফিকুল সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মহল্লার শাহজাহান আলীর ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের হাবিবর মুন্সির ছেলে ওয়াশিম মুন্সি (৩৯), নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তফা (৪২), গোবিন্দপুর গ্রামের খাজু মন্ডলের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪৩) ও গোবিন্দপুর গ্রামের ফয়জাল হোসেনের ছেলে শাহাদুল শাহাদৎ (৩৯)।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতা হত্যা: লক্ষ্মীপুরে ৭ জনের যাবজ্জীবন
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী সুন্দরকান্দি গ্রামে শ্বশুর আনছার আলীর বাড়িতে পরিবারসহ বেড়াতে যায়। ঈদের আগের রাতে এলাকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি ধানক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরের দিন সকালে লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে।
২৬ অক্টোবর রাতে ২৫-৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সাঁথিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল হয়।
পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় তারা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা: ৬ জনের যাবজ্জীবন, ১৪ জন খালাস
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার বাবু, অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
পাবনায় বিষাক্ত দেশীয় মদ পান করে ৩ বন্ধুর মৃত্যু
পাবনায় দেশীয় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের চকছাতিয়ানি এলাকায় এ ঘটনায় আরও দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক।
নিহতরা হলেন, শহরের পৌর এলাকার চকছাতিয়ানির মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে রবিউল ইসলাম রোমন (৩৫), আব্দুল মুহিতের ছেলে জনি (৩০) এবং রবিউল ইসলাম মুকাইয়ের ছেলে রুবেল (৩২)। হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সবুজ (৩১) এবং মৃত আলমের ছেলে রতন (২৯)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচ বন্ধু মিলে শহর থেকে মদ কিনে পৌর এলাকার ছাতিয়ানী কলাবাগান মাঠপাড়ায় রাতের কোন এক সময় পান করে। শুক্রবার সকালে তারা নিজ নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে জনি মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোমন ও রুবেলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে রোমান পথেই মারা যায় এবং রুবেল রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অতিরিক্ত মদপানে যুবকের মৃত্যু!
তাদের আরও দুই বন্ধু সবুজ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও রতন পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.রোকনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে শহর থেকে মদ সংগ্রহ করে রাতে তারা পাঁচ বন্ধু মিলে পান করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়। আরও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত কারণ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: শারদীয় দুর্গোৎসব: মদ্যপ অবস্থায় নওগাঁয় ২ মৃত্যু
পাবনায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২
পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানগাড়ির দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া-মুলাডুলি মহাসড়কের সড়ইকান্দি নামক স্থানে জননী জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দাশুড়িয়া সড়াইকান্দি গ্রামের আশরাফ সরদারের ছেলে সেলিম সরদার (৪০) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার তিলোকপুর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে রাকিব হাসান (৩৫)।
স্থানীয়রা জানায়,বেপরোয়া গতির একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। বেপরোয়া গতিতে ট্রাকটি আসায় এমন দুর্ঘটনা হয়েছে বলে জানান তারা।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঘটনার সময় একটি মালবাহী ট্রাক মুলাডুলি থেকে ঈশ্বরদী যাচ্ছিল। পথে সড়ইকান্দি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্যানগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হন। ঘটনার পর লাশ দুটি উদ্ধার করে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পাবনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহতের ঘটনায় ভোট স্থগিত
নির্বাচনী সহিংসতায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনায় বৈধ প্রার্থী নিহত হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন স্থগিতের বিধান রয়েছে।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাওছার মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ২০(১) (২) অনুযায়ী ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত, আহত ২৫
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তাঁর লোকজন প্রচারণায় বের হন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হন। এ সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম (ঘোড়া প্রতীক প্রার্থীর চাচাতো ভাই) জড়ো হলে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ইয়াছিন আলমসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলম নাটোরের বনপাড়ায় পৌঁছানোর পর মারা যান।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কোনো পক্ষ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ ঘটনা তদন্তে করছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
পাবনায় নির্বাচনী সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত, আহত ২৫
পাবনা সদর উপজেলা ভাঁড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকাল ৯টায়র দিকে উপজেলার কোলাদি চারা বটতলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াছিন আলী (৩৫) সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শার্শায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
পাবনা থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহামুদ খানের সমর্থক ও নৌকা প্রতীকের আবু সাঈদ খানের সমর্থকদের মধ্যে পোস্টার লাগানো নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলাগুলি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়াছিনকে পাবনা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আহতদের মধ্যে ৯ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যবসায়ী নিহত
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, নির্বাচন নিয়ে সহিংসতায় আহত ইয়াছিন নামের একজন রাজশাহী নেয়ার পথে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পযন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।