পাবনা
পাবনায় গাড়ির ধাক্কায় তাজাকিস্তানের প্রকৌশলী নিহত
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে কর্মরত তাজাকিস্তানের এক প্রকৌশলী মালামাল বহনকারী একটি গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে রূপপুর প্রকল্প এলাকার ভেতরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রকৌশলী বারজাহান (৩৫) তাজাকিস্তানের নাগরিক ও প্রকল্পের রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিমথ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, প্রকল্পের ভেতরে কর্মরত অবস্থায় পেছন থেকে গাড়িটি ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন প্রকৌশলী বারজাহান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ওই প্রকৌশলীর লাশ তার দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
পাবনায় স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
পাবনা সাঁথিয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। উপজেলার আতাইকুলা থানার বনোগ্রাম গাংগুহাটি গ্রামের বামন ডাঙ্গায় শনিবার সন্ধ্যার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কৌশিক (১৪) ওই গ্রামের মো. হারুন প্রধানের ছেলে ও মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ছাত্র।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কৌশিকের মা জাহানারা খাতুন জানান, সকালে তার ছেলে কৌশিক বাড়ি থেকে বের হয়ে সারাদিন বাড়িতে ফিরে না আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। সন্ধ্যার পরে খবর পায় মেহগুনি বাগানের মধ্যে কার যেন লাশ পরে আছে। তখন তারা সেখানে গিয়ে কৌশিকের লাশ দেখতে পায়।
তিনি জানান, স্থানীয়রা আতাইকুলা থানায় বিষয়টি জানালে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন ও পাবনা সদর সার্কেল অতিরিত্তি পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পাবনায় যুবককে হত্যার দায়ে ১০ জনের যাবজ্জীবন
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ফারুক হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন।
নিহত ফারুক হোসেন উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া মহল্লার সাইদুল ইসলামের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫),শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চর ভঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম ( ৪০), ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) , চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যার পর লাশ একটি পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরিবারের লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তার সন্ধান শুরু করে।
আরও পড়ুন: বলাৎকারে বাধা দেয়ায় হত্যা করা হয় শিশু তামিমকে
এর এক সপ্তাহ পর সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ওসমান আলীর পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এরপর নিহতের মা আনোয়ারা খাতুন ১৮-২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করেন। দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার আদালত হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হওয়ায় আসামি ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় প্রকাশ্যে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মালিগাছা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন।
নিহতরা হলেন-চাটমোহর উপজেলা পাচুরিয়া মতিন বিশ্বাসের মেয়ে পাবনা মহিলা কলেজের এইচএসসি ছাত্রী সিথী বিশ্বাস (১৮) এবং সদর উপজেলা চরঘোষপুর শারিফ রহমানের শিশু সন্তান আব্দুল রহমান (৮ মাস)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পাবনা থেকে ছেড়ে আসা দ্রতগ্রামী একটি ড্রাম ট্রাকের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হলে শিশুসহ সাতজন আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার পর ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়েছে।
নিহতদের লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলেও ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাটোরে স্কুলশিক্ষক নিহত
সড়ক দুর্ঘটনা: কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৪
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলছাত্র নিহত
পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১
পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাইনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত সবুজ হোসেন (৪৫) উপজেলার চালনা গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থক ছিলেন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিন উদ্দিন ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে আমিন উদ্দিনের সমর্থক সবুজ হোসেন ও আরেকজন আনোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সবুজের মৃত্যু হয়।
এদিকে সবুজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিদ্রোহী প্রার্থী ওমর ফারুকের সমর্থকরা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন:ইউপি নির্বাচন: লালমনিরহাটে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
ইউপি নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে আ'লীগের ১০ কর্মী আহত
পাবনায় হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি
পাবানায় চলন্ত ট্রাক থেকে মহিষের মালিক জাহাঙ্গীরকে হত্যার দায় স্বীকার করে এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানিয়েছে।
আসামি মো. ইবাদ শেখ (৩২) জেলার আমিনপুর থানার মোবারকপুর গ্রামের মৃত-ইসমাইল শেখের ছেলে, পেশায় ট্রাক চালক।
রবিবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিলো আদালত
এতে বলা হয়, পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদউজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকিস টিম আগে গ্রেপ্তার অন্য আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার দুই বছর পর ঘটনার সাথে জড়িত অন্যতম পলাতক আসামি ট্রাক চালক ইবাদ শেখকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা জেলার আমিনপুর থানাধীন কাশিনাথপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর আসামি ইবাদ শেখকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায়, ২০১৯ সালে ৬ অক্টোবর ঘটনার দিন আসামি ইবাদ শেখসহ নাটোর ও পাবনা জেলার আট জন দুস্কৃতিকারী ডাকাত পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একত্রিত হয়ে রাজশাহী সিটিহাট থেকে ট্রাকে করে মহিষ নাটোরে পৌঁছে দেয়ার জন্য ভাড়া ঠিক করে। এরপর তারা উক্ত স্থানে যাওয়ার পথে ট্রাকে থাকা মহিষ মালিক জান মোহাম্মদ ও তার ছেলে সেলিমকে মারধর করে হাত পা বেধে নাটোর জেলার আগড়ান বাজারের কাছে চলন্ত ট্রাক থেকে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে জান মোহাম্মদের অপর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনকে পাবনা জেলার দাশুরিয়া মোড় পার হয়ে মেসার্স এইচকে রাইস মিলের সামনে দাশুরিয়া পাবনা মহাসড়কের উত্তর পাশে মারধরে করে হত্যার পর হাত-পা-মুখ বেঁধে চলন্ত ট্রাক হতে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে দুটি মহিষ ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার যুবলীগ কর্মী জিলানী হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই
পিবিআই জানায়, পরে জান মোহাম্মদ ও তার ছেলে সেলিমকে বনপাড়া সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে সড়কস্থ আগড়ান বাজারের রাস্তার পাশে হাত পা বাধা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হাইওয়ে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, ট্রাকে থাকা ডাকাতরা তাদেরকে হাত পা বেঁধে মারধর করে ট্রাক থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে মহিষসহ জাহাঙ্গীরকে নিয়ে চলে যায়। পরে এই ঘটনায় থানায় একটি ডাকাতিসহ হত্যা মামলা হয়।
পাবনায় আ’লীগ নেতার গাড়িবহর থেকে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ১
পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুজ্জামান শাহীনের গাড়িবহর থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আটক করা হয়েছে মাইক্রোবাসের চালক মো. হাবিবুল্লাহ (৪০) কে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রাণীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভা শেষে অস্ত্র দু’টি জব্দ করা হয়।শনিবার সকালে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটক হাবিবুল্লাহ পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের কাঁচিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম শেখের ছেলে।
রওশন আলী জানান, শুক্রবার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিল। সুজানগর পৌর সদর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শাহিনুজ্জামান শাহীন গাড়ীবহর নিয়ে ওই বর্ধিত সভায় যান। সভা শেষে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীদের গাড়ির বহর উপজেলার দিকে রওনা দেয়। এ সময় পুলিশ বহরের একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ওয়ান শ্যুটার গান এবং একটি শটগান উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে দলের বিরোধীতা: আ’লীগের ৮ কর্মী বহিষ্কার
তিনি জানান, গোপন সূত্রে আমিনপুর থানা পুলিশের কাছে খবর যায় যে, জনির তত্ত্বাবধানে গাড়ী বহরের একটি মাইক্রোবাসে অস্ত্র রাখা হয়েছে। খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ভাটিকয়া বাজারে সন্ধ্যায় ওই মাইক্রোবাসে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি উদ্ধার করে। কিন্তু জনিকে পুলিশ ধরতে পারেনি। এ সময় মাইক্রোবাসের চালক হাবিবুল্লাহকে আটক ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, মালিক ছাড়া অন্য কেও তার লাইসেন্স করা অস্ত্র এভাবে নিয়ে যেতে পারে না।
গাড়ির মালিক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের নামে চারটি গাড়ি ভাড়া দেয়া হয়েছিল। গাড়ির মধ্যে যদি তারা অস্ত্র রাখে সেক্ষেত্রে চালকের কিছু করার থাকে? আটক চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে যারা অস্ত্র গাড়িতে রেখেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, একটি বর্ধিত সভায় অনেক নেতাকর্মী ও গাড়ির বহর ছিল। কে কী অবস্থায় ছিলেন সেটা আমার জানার কথা নয়। তাছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের কথা আপনাদের কাছ থেকেই আমি জানলাম। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের লোকজন হিংসাত্মকভাবে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও মনগড়া নাটক সাজানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, অস্ত্রের মালিকও আমি না, অস্ত্র নেয়ার বিষয়টিও আমি জানি না।
সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বলেন, উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে শাহিনুজ্জামানের নিজস্ব লোক মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়নে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছেন।নিজে নেতৃত্ব দিয়ে এসব ইউনিয়নে নৌকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা রোধে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পাবনা শহরের অনন্ত বাজার এলাকায় ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সম্বন্ধীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ওই এলাকার সুইপার কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিশাল রায় (২২) পাবনা পৌর শহরের অনন্ত বাজার দক্ষিণ রামপুর মহল্লার উত্তম রায়ের ছেলে।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, নিহত বিশাল ও তার সম্বন্ধীর নামও বিশাল। পেশায় তারা দুইজনই সুইপার। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ ছিল। এরই জেরে শনিবার সকালে ভগ্নিপতি বিশাল বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবার পথে সুইপার কলোনীর সামনে তার সম্বন্ধী বিশালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভগ্নিপতি বিশালকে কুপিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় তার সম্বন্ধী। স্থানীয় লোকজন আহত বিশালকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানীতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রেখেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। ভগ্নিপতি ও সম্বন্ধী দু’জনের নামই বিশাল। তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ ছিল বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল উপজেলার আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় রূপপুর-পাবনা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের বাহাদুর খাঁর ছেলে ভ্যানচালক মুনসুর আলী খাঁ (৩৫), ভ্যানের যাত্রী একই উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামের সোবাহান শাহর ছেলে সাইফুল শাহ (৫৫) এবং মোটরসাইকেল চালক পাবনা পৌর সদরের ছাতিয়ানী মধ্যপাড়া মহল্লার আব্দুল মান্নানের ছেলে আসিফ হোসেন (৩০)।
পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিশু নিহত
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার সকালে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেলটি পাবনা শহর থেকে রূপপুরের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে একটি ট্রাক রূপপুর থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল। এর মধ্যে আওতাপাড়া এলাকার একটি মোড়ে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেল ও ভ্যানটির সঙ্গে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক ও ভ্যানের যাত্রী মারা যান। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর তিনিও মারা যান।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক, ভ্যান ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে। এ সময় ওই সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে ট্রাক, ভ্যান ও মোটরসাইকেলটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পড়ুন: বাগেরহাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রমবর্মান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র পারমাণবিক চুল্লিপাত্র (রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল-আরএনপিপি) স্থাপন কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করার পর আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি উপযুক্ত স্থান পাওয়া যায়, তবে আমরা অবশ্যই প্রকল্পের কাজে হাত দেব। আমার ইচ্ছা পদ্মা নদীর অপর পাড়ে অর্থাৎ দক্ষিণাঞ্চলের কোনও জেলায় এটি নির্মাণ করা হোক।’
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্ত-মজবুত জমি পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারি, তবে দেশে আর আর বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে আছি, তবে এই শেষ নয়। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ২০৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীণতা প্রাপ্তির শতবর্ষ উদযাপিত হবে। ততদিনে অবশ্যই আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশটাকে আরও সুন্দর, উন্নত, সমৃদ্ধ ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দেশে রূপান্তরিত করবে।
আরও পড়ুন: সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করুন: নবীন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২১০০ সালের জন্য ডেল্টা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। যাতে করে কখনোই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত না হয়। আমরা চাই বাংলাদেশের এই ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।
সূত্র অনুযায়ী, ইউনিট-১ এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব জিয়াউল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও চিত্র পরিবেশিত হয়।
পড়ুন: কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পে ধীরগতি: ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে চুল্লি থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত