পাবনা
পাবনায় ভাইয়ের হাতে বোন খুন!
পাবনার ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে চাচাতো বোন পারুল খাতুন (২৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর থেকে নিহতের চাচাতো ভাই একই গ্রামের মোকলেছ আলী (৩০) পলাতক রয়েছেন।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, বাড়ির শিশুদের খেলাধূলা ও মারামারি নিয়ে সকাল ৭টার দিকে মোকলেছ ও পারুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ মোকলেছ কাঠের বাটাম দিয়ে পারুলকে মাথায় আঘাতসহ মারধোর করে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত পারুলকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকাল ৩টার দিকে মারা যান পারুল।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২
আ’লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক হেলাল তালুকদারের বাড়িতে এই অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল।
অভিযানের পর থেকে ওই আওয়ামী লীগ নেতাসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত আক্কেল তালুকদার ছেলে হেলাল তালুকদার (৪০) বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন-এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হেলাল তালুকদার ও তার সহযোগীরা নৌকাযোগে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার সেমি পাকা টিনশেড বৈঠক ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৯৫টি স্টিলের পাইপ দিয়ে তৈরি বর্ষা জাতীয় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসাথে পলাতক হেলাল তালুকদারকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান ওসি মাসুদ রানা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীর বলেন, হেলাল তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি থেকে দেশী অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা শুনেছি। তার বিষয়ে দলীয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
বোরহানউদ্দিনে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক
রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর পৃথক অভিযানে অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৩
পাবনায় নিখোঁজের তিন দিন পর ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
পাবনা সদর উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে দোগাছি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দোপকোলা গ্রামে ভেদাগাড়া বিলের ধান ক্ষেত থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রুহুল (৩০) দোপকোলা গ্রামের মান্নান প্রামানিকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবকের লাশ উদ্ধার
মৃতের প্রতিবেশী আকমল জানান, রুহুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার পরিবারের ভাই-বোন দুজনই মানসিক ভারসাম্যহীন। গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন রুহুল। স্থানীয় ছাইফুল ফকির সোমবার সকালে বিলে গিয়ে দেখেন ধানের মাঠে লাশ ভাসছে। তার চিৎকারে আরও অনেকে এগিয়ে আসে ও থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: প্রবাসীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার, স্ত্রী পলাতক
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে এলাকাবাসী আমাদের ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপালাত মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
গত ৯ জুন ঢাকার বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২৫ (২), ২৯ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ধারায় মামলাটি করেন সাবেক ওই এমপি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে সৈকতকে বিষয়টি অবহিত করার পর পাবনার গণমাধ্যম জানতে পারে।
সৈকত সময় টিভি, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর পাবনা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাবনা মেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পাবনার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর্জা আজাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলা, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি পাবনার সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
এক বিবৃতিতে সাংবাদিকরা বলেন, খন্দকার আরজু যে সংবাদটি উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন, তা প্রকাশের আগে সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে তার বক্তব্য নিয়ে ওই সংবাদটিতে তা প্রকাশও করা হয়েছে। দেশের মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমগুলোতে একই সংবাদ প্রকাশিত হলেও সম্পূর্ণ আক্রোশ বশত কেবল পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদকের বিরুদ্ধেই তিনি মামলাটি করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৮ মার্চ বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং জড়িত দুজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরদিন বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি গ্রেপ্তার
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত
পাবনায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। পাবনা-কাশিনাথপুর মহাসড়কের দাড়িয়াপুর নামক এলাকায় শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পাবনা থেকে যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা কাশিনাথপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে দ্বারিয়াপুর নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নছিমনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।
আহত দুইজনের মধ্যে একজনকে কাশিনাথপুর ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপরজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রাকচাপায় বাবা-মেয়ে নিহত
পাবনা ও বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
মেয়াদোত্তীর্ণ লিকুইড টিউবে চলছিল কোভিড পরীক্ষা!
পাবনায় কোভিড পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ লিকুইড টিউব ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্টে নমুনা নেয়ার সময় তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণ দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাজে এই লিকুইড টিউব ব্যবহার করা হয়।
ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি জানান, তার করোনা টেস্টের জন্য তাকে ২০২১০৬ মেয়াদের লিকুইড টিউবে নমুনা নেয়া হয়। নমুনা নেয়ার সময় তিনি মেয়াদোত্তীর্ণ টিউব কেন ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চান। এ সময় দায়িত্বরত ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে অফিসে অভিযোগ করতে বলেন।
পড়ুন: টানা পঞ্চম দিনে দুই শতাধিক মৃত্যু, শনাক্ত ১২২৩৬
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী জানান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় অন্য লোক দিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করানো হচ্ছে। এর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ১৯টি টেস্ট টিউব ছিল। পরবর্তীতে মেয়াদ আছে এমন নতুন লিকুইড টিউব দিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ টিউবে সংগৃহীত নমুনায় সঠিক ফলাফল নাও আসতে পারে। এদের কাছ থেকে পুনরায় নমুনা নিতে হবে।
পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ২০২১০৬ এর পরবর্তে মেয়াদ ওয়ালা লিকুইড টিউব দিয়ে বর্তমানে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে।
পড়ুন: টিকা নেয়ার বয়স ১৮ বছর করার চিন্তা করছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে যানজট, যাত্রীদের ভোগান্তি
পাবনায় ‘চরমপন্থী’ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলায় বেলাল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলাল চরপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন ‘সর্বহারা’ দলের সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে গ্রাম প্রধান নিহত
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন জানান, বেলাল হোসেন পাবনা শহর থেকে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ি পৌঁছানোর ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পাশের পাটক্ষেতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ২
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। কারা, কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তি যেহেতু চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্য ছিলেন, সে কারণে তাদের দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
পাবনায় খাল থেকে তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পাবনার সুজানগরে একটি খাল থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের ভাদুরভাগ গ্রামের খালে কচুরিপানার ভেতর থেকে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের বরাতে সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই খালে কচুরিপানার মধ্যে ভাসমান অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখে সন্দেহ হলে থানায় খবর পাঠায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার পরে ঘটনাস্থল থেকে বস্তাবন্দি লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা, হত্যাকারী অন্য কোথাও তরুণীকে হত্যা করে এখানে লাশ রেখে গেছে।
ওসি জানান, তরুণীর লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। চেনার কোনও উপায় নেই। প্রাথমিকভাবে কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্কুল শিক্ষিকা, গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার নিয়ে রহস্য!
তরুণীর বয়স ২৮ বছর হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি তদন্ত ও শনাক্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পাবনায় প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
পাবনার ঈশ্বরদীতে এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানিক সরদারের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আদালতে স্বীকারোক্তি: ‘স্বপ্ন দেখে’ স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেন হিফজুর
নিহত ভিক্ষুকের চাপা হোসেন (৩২), বাড়ি পাবনার চাটমোহর এলাকায়।
আটক ছামেলা খাতুন (৪০) মানিক সরদারের পুত্রবধূ ও জাহিদুল সরদারের স্ত্রী। তবে ছামেলা খাতুনের বাবার বাড়িও চাটমোহরে।
এলাকাবাসী জানায়, চাপা নামে ওই প্রতিবন্ধী যুবক ভ্যানে করে ঈশ্বরদীতে ভিক্ষা করতেন। এলাকায় পরিচিত হিসেবে চাপা প্রায়ই সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছামেলা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন। তার সাথে নিরঞ্জন (৩২) নামে এলাকার আরও এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক থাকতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মসজিদে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আটক ৩
স্থানীয়রা জানান, হয়তো টাকা-পয়সার কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় চাপাকে পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গভীর রাতে লাশটি গুম করার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার রহিদুল্লাহকে সাথে নিয়ে মানিক সরদারের বাড়িতে যান। এ সময় তাদেরকে বাড়ির ভেতরে যেতে বাধা দেয়া হয়। পরে তারা বিষয়টি ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে জানায়। ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে। সে সময় অসংলগ্ন কথাবর্তা বলায় ছামেলা খাতুনকে আটক করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লাশের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটক ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে এখনই সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না।
পাবনায় খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে খালের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার বেলা ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হল মনোহপরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (১৩) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে জেহাদ হোসেন (১৩)।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় ইউপি সদস্য একরাম হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে জুয়েল ও জেহাদ খালের পাড় থেকে পানির মধ্যে লাফ দিয়ে খেলা করছিল। হঠাৎ স্রোতের মধ্যে পড়ে যায় একজন। আরেকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে সেও ওই স্রোতের মধ্যে পড়ে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও জানান, খালের উপরে থাকা অন্যরা চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ খালের কমপক্ষে ১০ ফুট গভীর পানির মধ্যে নেমে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুই শিশুকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইসাথে দুই শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান আলী, আওয়াল হোসেন, এনছের আলী অভিযোগ করে জানান, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলে ৬ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ঘটনাস্থলে এসেছিল। কিন্তু বাচ্চা দু’টি উদ্ধারে তাদের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। শিশু দুটি উদ্ধার হওয়ার পর তারা চলে যায়।
পাবনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে আমরা পানিতে নামিনি এটা সঠিক। কারণ আমরা পানিতে নেমে উদ্ধার করায় অভিজ্ঞ নই। সেজন্য ডুবুরী টিম রয়েছে। আমরা ডুবুরী টিমকে খবর দেয়ার পর শিশু দু’টি উদ্ধার হয়। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে পুলিশের সহায়তায় তাদের মরদেহ বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।