পাবনা
পাবনায় ছেলের সঙ্গে মায়ের এসএসসি পাস!
অভাব অনটনের কারণে অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়ালেখা ছেড়ে দেন মা মুঞ্জুয়ারা খাতুন। সন্তানদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে আবারও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ জন্মে তার। অদম্য ইচ্ছাশক্তি থেকেই তিনি ২০ বছর পর আবার পড়ালেখা শুরু করেন। এর সফলতা হিসাবে তিনি এবার ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করে সারাদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। একসঙ্গে পাস করে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসা এই মা-ছেলে হলেন-ওই গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিমের স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা খাতুন এবং তাদের ছেলে মেহেদী হাসান।
জানা গেছে, ছেলে মেহেদী হাসান ভাঙ্গুরা উপজেলার খানমরিচ বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোকেশনাল শাখা থেকে জিপিএ৪ দশমিক ৮৯ এবং মা তাড়াশ উপজেলার শামীমা জাফর মৎস্য ইনস্টিটিউট থেকে জিপিএ৪ দশমিক ৯৩ পেয়েছেন।
মুঞ্জুয়ারা জানান, ২০ বছর আগে অভাব-অনটনের সংসারে বাবা বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে আর পড়ালেখা করা হয়ে ওঠেনি। বিয়ের চার বছরের মাথায় ছেলের জন্ম হয়, পরে একটি মেয়ে হয়। সন্তানদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে আবারও পড়াশোনার প্রতি টান অনুভব করেন তিনি। পরে তিনি ভর্তি হন স্কুলে।
তিনি জানান, তার পড়ালেখার পিছনে স্বামীর উৎসাহ আর সহযোগিতা ছিল। তাই সে এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে এসএসসিতে ৫২ ও ৪৫ বছর বয়সীর চমকপ্রদ ফলাফল
তিনি ন্যূনতম ডিগ্রি পাস করতে চান। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থার মধ্যে ছেলেমেয়ের পাশাপাশি নিজের লেখাপড়া কতোটা চালিয়ে নিতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তিত বলেও জানান তিনি।
ছেলে মেহেদী হাসান জানান, লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। মায়ের সঙ্গে এসএসসি পাস করে আমি গর্ববোধ করছি।
মন্জুয়ারার স্বামী আব্দুর রহীম জানান, তার স্ত্রী ও ছেলে একসঙ্গে পাস করায় তিনি খুশি। তিনি তার স্ত্রীকে আরও পড়াতে চান।
খানমরিচ বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন জানান, মেহেদী হাসান আমার প্রতিষ্ঠানের ভোকেশনাল শাখার নিয়মিত শিক্ষার্থী। এখন শুনলাম, ছেলের সঙ্গে তার মা এসএসসি পাস করেছেন, বিষয়টি সত্যিই আনন্দের।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, এ ধরনের উদাহরণ সমাজের জন্য খুবই ইতিবাচক। মা-ছেলের এই সফলতা অনেককেই উদ্দীপ্ত করবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল ২০২২: গড় পাসের হার ৮৭.৪৪%
জয়পুরহাটে প্রতিমা বির্সজনের সময় নদীতে ডুবে ২ এসএসসি ফলপ্রার্থী নিখোঁজ
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কাশিনাথপুর রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে সামনে এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত হাসিব হোসেন (২৩) সদর উপজেলার ছোট মনোহরপুর গ্রামের এজাহার প্রামাণিকের ছেলে।
হাসিবের বন্ধু শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় হাসিব, সাজ্জুল, আমিসহ চারজন কাশিনাথপুর রেললাইনের পাশে স্বাধীন সরদারের চায়ের দোকানে ক্যারাম খেলছিলাম। এ সময় ক্যারাম খেলা নিয়ে প্রথমে তর্ক-বির্তক হয়। দোকানদার স্বাধীন আমাকে গালিগালাজ করে। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে।এ সময় আমার বন্ধু হাসিব প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাধীন ও তার চাচা রাজা সরদার তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। এরই একপর্যায়ে স্বাধীন তার দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে এসে হাসিবের পিঠে কাঘাত করে। আশপাশের লোকজন মিলে হাসিবকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্যারাম খেলা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সূত্র ধরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
পাবনায় কৃষককে গুলি করে হত্যা: ২১ জনের যাবজ্জীবন
পাবনার সদর উপজেলার চরতারাপুরে কৃষক সালাম হত্যার ঘটনায় ২১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- সদর উপজেলার চরতারাপুরের ভাদুরীডাঙ্গী গ্রামের সোবাহান মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা, আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে মিনহাজ, শাকের মোল্লার তিন ছেলে নবী শেখ, সুলতান মাহমুদ পক্ষী ও মোক্তার, মৃত ছোবা শেখের ছেলে বাছেদ শেখ, ইনাই খাঁর ছেলে আইয়ুব খাঁ, আমির মোল্লার ছেলে আসলাম, গফুর মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা, রুস্তম মোল্লার ছেলে ছোবাই মোল্লা, বাহাই প্রামানিকের ছেলে কালাম, আকুল মোল্লার ছেলে মহির মোল্লা, হাচেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, সুজানগর উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের করিম মোল্লার দুই ছেলে ছেলে মোকছেদ মোল্লা ও বারেক মোল্লা, মৃত বশির মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, ভবানীপুর কাচারী মাঠ সংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে খোকন, মানিকদিয়ার গ্রামের হবিবরের ছেলে রফিক এবং কোলচুরি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাবলু।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে বারেক, মিনহাজ, বাবলু, বাছেদ শেখ, লতিফ মোল্লা, ছোবাই পলাতক।
তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আর বাকি ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ৭ নভেম্বর সালাম কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে এসময় আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ঘিরে ধরে। সালাম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে গুলি করা হয়।এসময় সালাম মাটিতে পড়ে গেলে তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই জব্বার। পরের বছরে ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
৩ জন আসামির মৃত্যুর ফলে দীর্ঘ স্বাক্ষী ও শুনানি শেষে আজ ২১ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হলো।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলি (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী হত্যা: ৬ আসামির যাবজ্জীবন
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
পাবনার সাঁথিয়ায় বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার কাশিনাথপুর-ঢাকা মহাসড়কের ভিটাপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ৭ টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন,বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার ভাটিকয়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে ফরমান আলী (৩০) ও সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার মাধপুর চরপাড়া গ্রামের জামাল শেখের মেয়ে মাহবুবা ইয়াসমিন (২৫)। সম্পর্কে তারা দুলাভাই শ্যালিকা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি পর্যটক নিহত
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিস মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুইজন ঢাকায় কোন একটি এনজিওতে চাকরি করেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে ভিটাপাড়া নামক স্থানে রাতের কোনো এক সময় বাসের ধাক্কায় তারা ঘটনাস্থলে মারা যান।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় ট্রাকচালক নিহত
বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
বিকল ট্রাকের পেছনে ধাক্কা, কাভার্ড ভ্যানের চালক-সহকারী নিহত
পাবনার সাঁথিয়ায় একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের শরিষা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার চাতারকান্দি এলাকার মনির হোসেন (১৯) ও একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সিহাব উদ্দিন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (২৮)।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের যুবক নিহত
মাধপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম আজাদ জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান পাবনার সাঁথিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পথে শরিষা ব্রিজের কাছে পৌঁছে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই বিকল ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ও সহকারী নিহত হন। পরে খবর পেয়ে মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
ওসি জানান, আইনগত ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
যমুনায় ভেসে উঠল নিখোঁজ ২ ভাইয়ের লাশ
পাবনার যমুনা নদীতে নিখোঁজের দুইদিন পর দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে জেলার নগরবাড়ি নৌ-বন্দরের প্রতাপপুর এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুর থেকে ২ ভাইয়ের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন-সাঁথিয়া উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের আক্কাছ সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮) এবং সুজানগর উপজেলার কোলচুড়ি গ্রামের আমিরুল শেখের ছেলে আশিক ওরফে পিয়াস শেখ (২০)। সম্পর্কে তারা খালাত ভাই।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিদ্যুস্পৃষ্টে ২ সহোদরের মৃত্যু
নগরবাড়ী নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুইভাই নগরবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ে খেতে গিয়েছিল। দুপুরের দিকে ওই এলাকার আরেক যুবকের সঙ্গে দুই ভাই নগরবাড়ি ঘাট থেকে নৌকায় চড়ে যমুনা নদীতে বেড়াতে যায়। এ সময় নগরবাড়ী ঘাটে জাহাজের সঙ্গে নৌকার ধাক্কা লাগার ভয়ে নৌকা থেকে তিন জনই নদীতে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয় ছেলেটি সাতরিয়ে জাহাজ ধরে বেঁচে গেলেও পান্না ও আশিক নিখোঁজ হন। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম শনি ও রবিবার দুপুর পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে লাশের সন্ধান না পেয়ে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: কক্সবাজারে প্রার্থীসহ ২ সহোদর গুলিবিদ্ধ
এরপর সোমবার সকাল ৭টার দিকে প্রতাপপুরে একটি কার্গো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই লাশ দুটি ভেসে ওঠে। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
তিনি জানান, লাশ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যা!
পাবনা সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শরিফুল ইসলাম(৩৪) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফুল একই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় নিয়ে আগে থেকেই প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল নিহত শরিফুলের। সকালে শরিফুল সেই বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে প্রতিবেশি চাচা মজনু সরদারের দুই ছেলে স্বপন ও শাহীন তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ পূর্ব থেকেই চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও তারা এসেছিল। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে বাঁশঝাড়ে গেলে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
আলমডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কন্যা দিবসে ৩ মেয়ের জন্ম, নাম পদ্মা-মেঘনা-যমুনা
কন্যা দিবসের দিন পাবনায় সুমি খাতুন নামে এক গৃহবধূ এক ঘণ্টা পাঁচ মিনিটে তিনটি কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় একজন, বেলা ১১টায় একজন এবং ১১টা ৫ মিনিটে তৃতীয় সন্তান প্রসব করেন ওই গৃহবধূ।
সুমি খাতুন জেলার চাটমোহর উপজেলার ছোট গুয়াখরা গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে একসঙ্গে ৪ সন্তান প্রসব
পরিবারের সদস্যরা জানান, শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অন্তঃসত্ত্বা সুমি খাতুনকে মঙ্গলবার ভোরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং স্বাভাবিকভাবে তিন সন্তান প্রসব করেন তিনি।
আলতাব হোসেনের ভাই রাব্বি হোসেন জানান, মা ও তিন কন্যা সন্তান ভালো আছেন এবং এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তাদের সংসারে ছয় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে একসাথে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
শিশুদের বাবা আলতাব হোসেন জানান, আল্লাহর কাছে কন্যাসন্তান চেয়েছিলাম। আলট্রাসনোগ্রাম করে ডাক্তাররা বলেছিলেন দুইটা সন্তান হবে। কিন্তু তিনটা কন্যা সন্তান আল্লাহ আমাকে উপহার দিয়েছেন। তিন কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয়েছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ফারজানা মেহজাবিন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশু তিনটির জন্ম হয়েছ। আকারে ছোট বাচ্চা যে কারণে স্বাভাবিকভাবে প্রসব হয়েছে। মা ভালো আছেন।
পাবনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত,অভিযুক্ত আটক
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের হান্ডিয়াল সুইসগেট এলাকায় এ ঘটনার পর পর অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত, আহত ৫
নিহত হাফিজুর রহমান (২৬) ওই ইউনিয়নের হাসুপুর গ্রামের ইউসুফ উদ্দিনের ছেলে।
আটক রমজান আলী ফকির (৩৮) বাঘলবাড়ি গ্রামের ইছামুদ্দিন ফকিরের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন জানান, সকালে হাফিজ স্থানীয় সুইস গেটের পাশের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় রমজান আলী তাকে ডেকে সুইসগেটের পাশে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় হাফিজকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত রমজান আলীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে কুষ্টিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আহত
সহকারী পুলিশ সুপার জানান,তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাবনায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
পাবনার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর প্রামাণিককে (৫০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুর প্রামাণিক ওই ইউনিয়নের চর প্রতাপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর শাখা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য বলে নিশ্চিত করেছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, জুম্মার নামাজের ঠিক কয়েক মিনিট আগে নজুর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ভয়ে তার সঙ্গীরা দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে চলে যায়।
জুম্মার নামাজ শেষে মুসল্লিরা গুলির শব্দ শুনে দ্রুত সেখানে ছুটে আসেন। এসময় মৃত অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম বলেন, দুপুর ১টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: স্বামী-শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা