খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এসেছে
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে আসলেও এখনো তার কাছে উপস্থাপিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: খালেদাকে রাজনীতি করতে দিতে বাইরের কোনো চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
এদিকে ষষ্ঠবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ যেটা ছয় মাস ছিল, সেটা বাড়ানো হয়েছি কি না? আবার বলা হচ্ছে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আমি বলতে চাই। আমি জানতে পেরেছি, শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেগম খালেদা জিয়ার একটি আবেদন ফাইল করেছেন। এ ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনও আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মতামত দেয়ার পর এটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যে তথ্য (মুক্তির মেয়াদ বাোনো হয়েছে ও বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত) টেলিভিশনে দেয়া হচ্ছে তা সর্বৈব অসত্য।’
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখনও আবেদনটি আসেনি। আসলে আমি নিষ্পত্তি করব। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করব, আমি আপনাদের (সাংবাদিক) অবশ্যই জানাব। আমার কাছে এখনও ফাইল আসেনি, তাই বলতে পারব না ফাইলের মধ্যে কী আছে।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
খালেদা, তারেককে নিয়ে সময় টিভির প্রতিবেদন সম্পর্কে যা বললেন ফখরুল
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের উদ্ধৃতি দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত সময় টিভির প্রতিবেদনের সমালোচনা করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘বিএনপির ২৭ দফা ঘোষণায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা বলা হলেও তাদের নেতৃত্বের শীর্ষে আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের রাখাকে ‘সাংঘর্ষিক ও নৈতিক অবক্ষয়’- ইফতেখারুজ্জামানের এই মন্তব্যে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সময় টিভিকে কটাক্ষ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
ফখরুলের বক্তব্য তুলে ধরে, সময় টিভি বৃহস্পতিবার আবার আগের প্রতিবেদন প্রচার করেছে এবং প্রতিবেদনটির পিছনে তার অবস্থান এবং ন্যায্যতা রক্ষা করতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলায় মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এজেন্টের সাক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করা হয়। .
সংবাদ সম্মেলনে সময় টিভি সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান ও বেগম জিয়া সম্পর্কে ওই প্রতিবেদন সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পিঠে ছুরিকাঘাতের শামিল। যেহেতু আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তাদের উচিত এই ধরনের প্রতিবেদন প্রচার করা থেকে বিরত থাকা।’
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ
ফখরুল আরও স্বীকার করে বলেছেন, ‘চ্যানেলটি একটি মূলধারার সংবাদমাধ্যম এবং দেশের মানুষ বিশ্বাসযোগ্য হিসাবে গ্রহণ করে।’
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত দলের সমাবেশ কভার করার সময় সময় টিভি’র এক সাংবাদিক তার ওপর ‘হামলা করার’ জন্য বিএনপিকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সময় টিভির ওই প্রতিবেদনেন বলা হয়, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া উভয়কেই আদালত সাজা দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সে বিষয়েও প্রতিবেদনে আইনের উল্লেখ করা হয়েছে।
এটিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালকের পর্যবেক্ষণও রয়েছে যে বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নেয়ার কথা বলছে এবং একই সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বে দণ্ডিতদের নিয়ে দল পরিচালনা করছে।
বিএনপির ২৭ দফার কথা উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক এর আগে দলটির সেগুলো বাস্তবায়নের সামর্থ্য আছে কিনা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইতিহাস এবং দেশের মানুষের সঙ্গে এর অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে বলা যেতে পারে যে রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহার তৈরি করে। তারা ক্ষমতায় এলেও চিত্র ভিন্ন। সেই অর্থে, এটি একটি ইচ্ছা তালিকা। যদিও উল্লিখিত অনেক বিষয় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: সরকারের দিন ঘনিয়ে আসছে: ফখরুল
২০১১ সালের নভেম্বরে, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান এবং তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২০ দশমিক ৪১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় এফবিআই এজেন্ট সাক্ষ্য দেন। এই প্রথম কোনো মার্কিন এফবিআই এজেন্ট বাংলাদেশের কোনো আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।
এফবিআই-এর তত্ত্বাবধায়ক বিশেষ এজেন্ট ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট, ঢাকার একটি আদালতের সামনে বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে তিনি পাচারের অভিযোগে তারেক রহমান এবং মামুনের সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ট্র্যাক করেছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
মহামারির মধ্যে, সরকার ২০২০ সালে ২৫ মার্চ এ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তার জেলের মেয়াদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সরকার দুটি দুর্নীতির মামলায় তার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ দিনব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপির
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা: হাজিরার জন্য ১৫ মে দিন ধার্য আদালতের
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ ১১টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৫ মে ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এজন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১৫ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এতথ্য জানান।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ শুনানির জন্য।
আরও পড়ুন: দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি
দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট
মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে করা দু’টি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মামলা দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।
সোমবার খালেদা র্জিয়ার পক্ষে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বিরুপ মন্তব্যের অভিযোগে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এদিকে,২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকীও একই অভিযোগে মামলা করেন।
নড়াইলের মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট এবং ঢাকার মামলায় একই বছরের ১৪ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে এ দুই মামলায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগও এই জামিন বহাল রাখেন।
এরপর দফায় দফায় এ দুই মামলায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মামলা দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমানের হয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো ঢাকার যে চারজন এমপি, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস তাদের মধ্যে অন্যতম।’
শনিবার ‘বিএনপির শাসনামল: মির্জা আব্বাসের লাগামহীন দুর্নীতি এবং বেপরোয়া জবর-দখল-সন্ত্রাস’-শিরোনামের এক ফেসবুক পোস্টে জয় এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ভাই-ভাগ্নেসহ অন্যান্য স্বজন এবং মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামেও রাষ্ট্রের ৮০০ কোটি টাকার জমি জালিয়াতি করে দলিল করে দিয়েছিল এই আব্বাস।’
জয় আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে, টেন্ডার ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রেলওয়ের ২ একর জমি একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেয় গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। এই সম্পদের মূল্যের পরিমাণ ছিল তখন কমপক্ষে ৫১ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘হাওয়া ভবনের নির্দেশে মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এই বিএনপি নেতা। অথচ রেলওয়ের জমি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনেই নয়, এটি করার আইনগত অধিকার তার নাই।’
তিনি বলেন, ‘এমনকি যে সমিতির নামে জমিটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে, সেই সমিতির নামও সমবায় অফিসের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের ২৮ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলওয়ের পক্ষ থেকে তাদের জমির ন্যায্য দখল ফিরে পাওয়ার দাবি জানালে, বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে আসে।’
জয় বলেন, ‘জানা যায়, ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা ছাড়ার আগে এটাই মির্জা আব্বাসের শেষ দুর্নীতি। মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে পূর্বাচল সমবায় সমিতির নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ক্যাশ জমা নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের মালিকানাধীন ওই জমির একটি অংশে, রেলওয়ের অনুমোদক্রমে একটি প্রতিষ্ঠান লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিল, পেশীশক্তি খাটিয়ে তাদেরও সেখান থেকে ভাগিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় রেলওয়ে প্রতিবাদ জানালেও মির্জা আব্বাসের ক্যাডার বাহিনীর প্রতাপের কাছে হেরে যায় তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আমলে এভাবেই সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি কোথাও। এমনকি সরকারি কর্মচারীদেরও হুমকি-ধামকি ও সন্ত্রাসী আচরণ চালিয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াতের এমপি-মন্ত্রীরা।’
আরও পড়ুন: ২০০১ সালে হত্যাযজ্ঞ চালাতে জঙ্গিদের ভাড়া করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার: সজীব ওয়াজেদ
বিএনপি জামাত জোটের ২০০১-২০০৬ শাসনামল দেশ পিছিয়ে যাওয়ার ৫ বছর: সজীব ওয়াজেদ
আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত আইনগতভাবে নেয়া হবে: সিইসি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া আগামী বছরের ডিসেম্বরে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিইসির মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কিছু আইনি কাঠামো আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিক থেকে অবস্থান কী হবে, আমরা এখনো জানি না। আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
মনোনয়নপত্র জমা দিলে কী হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আইন অনুযায়ী তা যাচাই করা হবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তা বাতিল হয়ে যায়। বিষয়টি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে সিইসি বলেন, আমরা বলেছি আইনগতভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখব। প্রয়োজন হলে আইনি তদন্ত করব।
২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দেন খালেদা।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা দুর্নীতির মামলায় তার সাজা উল্লেখ করে মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, তাও খারিজ করে দেয় তৎকালীন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন।
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার আর কারাগারে পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার ঢাকার জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সাব-রেজিস্ট্রারদের প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আনিসুল আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৪০১ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দুটি শর্তে পরিবর্তন করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
আরও পড়ুন: আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ায় সরকার।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার।
দুই দুর্নীতির মামলায় বেশ কয়েকবার শর্তসাপেক্ষে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে তিনি দ্বিতীয় দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন। তার চিকিৎসার তদারকি করছে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
দেশকে অন্ধকারে রেখেছিল জিয়া ও এরশাদ: আইনমন্ত্রী
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সময়ের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
এছাড়া খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য ২৯ জানুয়ারি ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা। বর্তমানে এই মামলায় ১৫ জন আসামি রয়েছেন। ৯ আসামি মারা গেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
খালেদা জিয়া ও তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার: শিল্পমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মামলা করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই মামলায় তাদের সাজা হয়েছে। এছাড়া মামলা তো আওয়ামী লীগ সরকার করেনি, আওয়ামী লীগ যদি মামলা দিতো, তাহলে তারা বলতে পারতো এটা প্রতিহিংসামূলক।
সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর করেছে শেখ হাসিনা। পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র করা হয়েছে। এর সুবিধা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পাবে।
তাই সারা জীবন এ অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। আগামী নির্বাচনে এর প্রতিদান স্বরূপ নৌকায় ভোট দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।
ইছানীল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কামাল শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান।
আরও পড়ুন বিএসটিআইয়ের বৈশ্বিক মানকে শক্তিশালী করতে সরকার কাজ করছে: শিল্পমন্ত্রী
দেশের কোন চিনিকলই স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়নি: শিল্পমন্ত্রী:
বিরোধী দলগুলো খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পিত ‘ঐক্যবদ্ধ’ আন্দোলন হবে খালেদা জিয়ার ‘নেতৃত্বে’।
তিনি বলেন,‘আমরা ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিয়েছি (আন্দোলন করার জন্য) আমরা ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনের (শীর্ষ) নেতা ঘোষণা করেছি। বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী। তার অনুপস্থিতিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নেতা।’
সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন,সব বিরোধী দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ করে তারা একযোগে আন্দোলন শুরু করবেন।
রবিবার কল্যাণ পার্টির সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলটির দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু হয়। আন্দোলনে যেসব দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে সেগুলো চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মির্জা ফখরুল ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন।
এর আগে,গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করার রূপরেখা তৈরি করতে ২৪ মে থেকে শুরু হওয়া সংলাপের প্রথম পর্বে ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা