শেখ হাসিনা
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদাররা তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নতুন ও পুরাতন মুখের সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছেন তিনি।
তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
রবিবারের নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু’ হয়নি- যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ করলেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ভোটের একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশীল সমাজকে সমর্থন করতে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য স্কিমে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবেশাধিকারসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকারের বিষয়ে তারা কাজ অব্যাহত রাখবে।
ইইউ'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল ফন্টেলেস বলেন, 'রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান জানাতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে অংশ নিতে ইইউ সব অংশীজনকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করে।’
ইইউ বলেছে, এটি অপরিহার্য যে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সেন্সরশিপ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
যুক্তরাজ্য সব রাজনৈতিক দলকে তাদের মতপার্থক্য দূর করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে অভিন্ন পথ খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করেছে। ‘আমরা এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
যুক্তরাজ্য অবশ্য বলেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশিদের 'পূর্ণ সুযোগ' দেয়নি।
মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন এবং উন্নয়নের প্রসারে 'সহায়ক' গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, 'একটি উন্মুক্ত, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে ভারত, জাপান, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মুসলিম বিশ্বসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিলের অভিনন্দন
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল উপযুক্ত সুবিধাজনক সময়ে নেপাল সফরের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসিও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'নির্বাচনে বিজয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমার অভিনন্দন।’
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সচিবালয় জাতীয় অগ্রাধিকার অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রস্তুত এবং বাংলাদেশের জনগণ ও কমনওয়েলথ পরিবারের সকল সদস্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
কানাডা অবশ্য 'হতাশা' প্রকাশ করে বলেছে, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার যে নীতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার 'ঘাটতি' হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে স্বচ্ছভাবে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
গত ৯ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে কানাডা সরকার বলেছে, 'কানাডা বাংলাদেশি নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রশংসা ও সমর্থন করে এবং নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের সময় সংঘটিত ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার নিন্দা জানায়।’
অন্যদিকে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, 'আমরা কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করার অপেক্ষায় রয়েছি এবং এ লক্ষ্যে আপনার ও আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’
কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ব্র্যাড রেডেকোপ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আতাউল্লাহজান, কেভিন ওয়াহ এমপি, ল্যারি ব্রক এমপি এবং কেন হার্ডি এমপি যৌথভাবে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস সোয়াব বলেন, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক বার্তায় সোয়াব বলেন, 'আপনার নেতৃত্বে গৃহীত সাহসী সংস্কারগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করতে সহায়তা করেছে।’
তিনি বলেন, 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তার পূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অর্জনে সহায়তা করার জন্য আপনার এবং আপনার সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিঃসন্দেহে উন্নয়নের গতিশীলতার একটি শক্তিশালী প্রভাবশালী দেশ।
তিনি বলেন, নতুন অর্থনৈতিক প্রকল্প, শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, নতুন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ(ফডিআই) সুবিধা এবং বৈশ্বিক সংঘাত বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থায়ন করতে হবে।
এক্স (পূর্বে টুইটার) এ শেয়ার করা পৃথক বার্তায় তিনি বলেন, প্রায় সবাই একমত যে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব রয়েছে। 'আওয়ামী লীগকে একটা পথ খুঁজে বের করতে হবে'
অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, যা উন্মুক্ত ও তীক্ষ্ণ বিতর্কের মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, 'ভিন্নমত ও মতবিরোধের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তাব করছি।’
সরকার বলেছে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কোনো অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়াই নির্বাচিত সরকারের মধ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের এক ব্রিফিং নোটে বলেছে, 'গণতন্ত্রের দুর্বলতা আছে, কিন্তু গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমেই তা পরিপক্কতা অর্জন করে।
কূটনীতিকদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী এতে অংশ নিতে আগ্রহী হলেও এটা দুঃখজনক যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসাংবিধানিক দাবির অজুহাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানকে অসাংবিধানিক ও অকার্যকর ঘোষণা করে। কারণ, এটি আমাদের রাষ্ট্রনীতির মৌলিক নীতি হিসাবে গণতন্ত্রের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আরও পড়ুন: সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গত ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ' পদ্ধতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৪ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা আরও ভাল অংশীদারিত্ব, আরও ভাল সহযোগিতা এবং আরও ভাল আবাসন দেখার জন্য আগ্রহী। এটা আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, সহযোগিতা ও সহায়তার কারণে বাংলাদেশ অনেক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জনগণের কল্যাণই আপনাদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব: দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত জনগণের কল্যাণ করা।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। আপনাদের (সংসদ সদস্যদের) নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের এলাকায় সুষম উন্নয়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: একটানা চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতা নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা
বুধবার(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের (এএলপিপি) প্রথম সভার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বক্তব্য দেন। দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেছেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্র ও জনগণ বিজয়ী হয়েছে।’
তবে সংসদে বিরোধী দল কে হবেন সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি বলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান জয়।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার আহ্বান
জয় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সংসদের স্পিকার, মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা এবং নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনকে সংসদের চিফ হুইপ মনোনীত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ব্রুনাই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ায় তারা নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূতরা নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বন্ধুপ্রতীম সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোও শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশগুলো তাদের রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আরো ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ওআইসি সদস্য দেশগুলো আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
আ. লীগের জয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের আস্থার প্রমাণ: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের প্রতি দেশটির জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ।
প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে আস্থা প্রকাশ করেন, তার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের জন্য অব্যাহত থাকবে।
শ্রীলঙ্কার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে রনিল বিক্রমাসিংহে সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের জয়ে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে আগামী বছরগুলোতে এই বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুসংহত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এই সফর শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তুলবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এবং বিশেষ করে সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশ সরকার শ্রীলঙ্কায় যে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে আসছে তা গভীর প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা এবং শ্রীলঙ্কা ও এর জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ছাড়া এই সময়োপযোগী সহায়তা সম্ভব হতো না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, সুখ ও ব্যক্তিগত কল্যাণ এবং বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য শুভকামনা জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির ফোনালাপ: বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে ভারতের সমর্থন অব্যাহত থাকবে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোদি বলেন, 'আমি সফলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
সোমবার টুইটারে শেয়ার করা এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী ও জনকেন্দ্রিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার পাঠানো অভিনন্দন পত্রে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে তার দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের অপরিবর্তনীয় অংশীদারত্বের সব ক্ষেত্রে গভীরতর হতে থাকবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ভারত।
ওই বার্তায় বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আরও পড়ুন: বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন করে নির্বাচন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি বিএনপির
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের গবেষণাভিত্তিক সংগঠন এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শীর্ষ প্ল্যাটফর্মটি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের শীর্ষ প্ল্যাটফর্মটি বলেছে, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দক্ষ ভূমিকা দেখিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইআরডিএফবি সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের উপর তাদের আস্থা দেখিয়েছে। যিনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে নিচ্ছেন এক দশকের বেশি সময় ধরে।
তিনি আরও বলেন, একজন সাহসী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দেশকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশে নির্বাচন কমিশনের সাহসী পদক্ষেপে জনগণ তাদের ভোটের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
গবেষণা ও উদ্ভাবনের পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক সাজ্জাদ বলেন, আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবারও প্রমাণ করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নত অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে।
নবীন ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ বলেন, নির্বাচনের আগে ইআরডিএফবির ‘গো ভোট’ ক্যাম্পেইনে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক তরুণ এবারে প্রথম ভোট দিয়েছেন যারা আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুটানের অভিনন্দন
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
নির্বাচনে বিজয় অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে একে অপরের জাতীয় উন্নয়নের সমর্থনে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে 'আরও শক্তিশালী অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধি' প্রত্যাশা করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রথম দেশ হিসেবে ভারত আজ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নতুন মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের ভিত্তিতে এবং মুক্তিযুদ্ধে তাদের অভিন্ন আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ জাতির স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুটানের অভিনন্দন
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভুটান।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক অভিনন্দন পত্রে উল্লেখ করেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছে এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ভুটান এ উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আনন্দিত।
অভিনন্দন পত্রে ভুটানের রাজা ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন।
ভুটানের রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়ের মাধ্যমে অভিনন্দন পত্র পাঠান।
সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
সরকারি সফরসূচি অনুযায়ী সোমবার (৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।
আজ রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
আরও পড়ুন: গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
ফেনীতে শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করায় লাঙ্গলের প্রার্থীকে শোকজ
ফেনীর সোনাগাজীতে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর মতবিনিময় সভার ব্যানারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করার অভিযোগে ফেনী-৩ আসনের প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে ফেনী জেলা যুগ্ম-দায়রা জজ ও ওই আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুন্নেসা এই নোটিশ দেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার মধ্যে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা-২০০৮-এর ৭ (৩) ধারা অনুযায়ী, নির্বাচনী পোস্টারে বা ব্যানারে প্রার্থী তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারেন না।
আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৭ (৪) উপবিধিতে (৩) যাই থাকুক না কেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে, সে ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ছাঁপাতে পারেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) বিকালে সোনাগাজীর মতিগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে ফেনী-৩ আসনে জাতীয় পাটির লাঙ্গল প্রতীকের মতবিনিময় সভার ব্যানারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় তাকে ফুলেল নৌকা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী।
এছাড়া জাপার লাঙ্গল মার্কার এ মতবিনিময় সভায় ব্যানারে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ছোট আকারের একটি ছবি থাকলেও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার একটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ