শেখ হাসিনা
উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে জনগণকে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিন; আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বস্তরে ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা জোরদার করার বিষয়ও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে। এই রূপান্তর একদিকে যেমন সম্মানের, অন্যদিকে বিশাল চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: সকালে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নৌকায় ভোট দেবেন: তারাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা থাকতে হবে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহক আওয়ামী লীগের মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। আজকের বাংলাদেশ কোনোভাবেই দারিদ্র্যপীড়িত বা অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, আজকের বাংলাদেশ 'পরিবর্তিত বাংলাদেশ'। বাংলাদেশ এখন একটি দ্রুতগতির দেশ যা তার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোটখাটো ব্যর্থতা আজ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় এবার আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন করেছে। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহারেও বজায় রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন খাত নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের কয়েকটি বিষয় সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
যেসব বিষয় ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে:
- ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর- সুশাসন- জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন- জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলা- দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন দাবি করবেন না যে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা সত্ত্বেও তারা সবসময় সরকার পরিচালনায় শতভাগ সফল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কথার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা যা বলি তাই করি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন তারই প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি দামে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পণ্যের দাম এবং মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। বহুবার বহুমুখী ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারিনি। এই সমস্যা শুধু আমাদের দেশের জন্য নয়, এই সমস্যা ধনী-দরিদ্র সব দেশের জন্যও।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের দুর্দশা লাঘব করার চেষ্টা করছে। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা এই বাধা অতিক্রম করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।’
ইশতেহার উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলটির নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির আহ্বায়ক ড. আবদুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘শুধু দেশের জন্য নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনার সরকারের প্রয়োজন আছে। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে অপতৎপরতা চলছে। একটি মহল অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখে এ অঞ্চলে প্রক্সি যুদ্ধ করার চক্রান্ত করছে। শেখ হাসিনা থাকলে এটা হবেনা।’
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ইউক্রেনে প্রক্সি যুদ্ধের কারণে ইউরোপের সব দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সারা ইউরোপ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কাজেই আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা কোনভাবেই নষ্ট করা যাবেনা। এজন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে তরুণ, শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ, সাবধান থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইমাদুর হোসেইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন।
সোমবার সকালে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
এরপর তিনি সকাল সাড়ে ১১ টায় নয়াসড়কের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে কেক কাটার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি-ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি আমাদের সবার। তাই সব শ্রেণি-পেশার জনগণের উন্নয়নই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বড়দিন উদযাপনের আনন্দ মানুষের মধ্যে যেন সত্যিকার মানবতাকে জাগ্রত করে; মহামানব যিশু যে প্রেম, শান্তি ও সম্প্রীতির শিক্ষা প্রচার করেছেন, তার যথার্থ প্রতিফলন যেন সবার জীবনে ঘটে।
ড. মোমেন আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মেরই মূল বাণী মানবতা। বড়দিন উপলক্ষে যে প্রেম, প্রীতি ও শান্তির বাণী প্রচার করা হয় তার মূলে রয়েছে মানবতা। কোনো ধর্মই এ বোধ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বড়দিন মানুষকে শান্তি, প্রেম ও সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। দেশের সকল মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একাত্ম হবে-এ আশা বড়দিনে।
এ সময় প্রেসবিটারিয়ান চার্চের পাস্টার ফিলিপ বিশ্বাস ও ডিকন নিঝুম সাংমা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আগত অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বড়দিনে সমাগত সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, সহসভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিসিক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিসিক কাউন্সিলর আব্দুল মোহিত জাবেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
নির্বাচনী প্রচারের জন্য রংপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের বধূ এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পিতৃভূমি। প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসার কথা রয়েছে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।’
আগামীকাল সেখানে ঐতিহাসিক সমাবেশ ও বিশাল জনসমাবেশ হবে বলেও জানান তিনি।
তার নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে রবিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোটকে অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে তার দলের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তিনি তেজগাঁওয়ে তার দলের ঢাকা কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি একযোগে ছয়টি জেলায় জনসভায় ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে ব্যাখ্যা করেন, কেন আওয়ামী লীগ এবার দলের টিকিট পেতে ব্যর্থ হওয়া প্রার্থীদেরও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর কারণ হলো আমরা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ চাই এবং তারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।
তিনি দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সব প্রার্থীকে ভোট চাইতে ঘরে ঘরে যেতে বলেন।
তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোটে জিতবে তারাই এমপি হবেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশগুলো আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনার জেলা স্টেডিয়াম, রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় সম্প্রচারিত হয়।
তিনি আবারও বলেন, তিনি চান শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যেখানে ভোটাররা তাদের ভোটাঅধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করবে।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে নিরাপদ করতে চাই, কারণ কোনো দেশে গণতন্ত্র বিরাজ করলে সে দেশ দ্রুত এগিয়ে যায় এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।
তিনি জানান, তার দল জনগণের কল্যাণে দেশের উন্নয়নের গতিকে ধরে রাখতে চায়।
হাসিনা বিএনপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসে না কিন্তু প্রতিহত করার নামে তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসংযোগ করেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে আগুন ও রেল ট্র্যাক উপড়ে ফেলার সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তিনি বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এত অসুস্থ হলেও তার ছেলে তারেক তাকে দেখতে আসেনি।
তিনি বলেন, তিনি সেখান থেকে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতারা বাংলাদেশে মানুষ হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত সাহস থাকলে তাকে দেশে আসতে দিন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এসব হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
বিএনপি সন্ত্রাসী দল আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মোটেও রাজনৈতিক দল নয়,এর মিত্র জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধাপরাধীদের দল।
তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দেশকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসীমুক্ত রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী বিএনপি ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের হাতে দেশ নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না বলেই আমি দেশ ও জাতিকে এসব বিপদ থেকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকায় গত ১৫ বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থী বাছাই করবে এবং গণতন্ত্র থাকবে বাধাহীন।
তিনি বলেন, আপনাদের সবার কাছে আমার অনুরোধ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবে না। ‘এটা মনে রাখতে হবে।’
ঢাকা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং ছয় জেলা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো সংঘাতে জড়ালে তার নিজের দলের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে, এমনকি আমার দলের কর্মীরাও এমন কিছুতে জড়িত থাকলে তাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এটা মনে রাখবেন।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি- পাঁচটি জেলায় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে কারণ এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। তারা যাতে যাকে খুশি তাকে বেছে নিতে এবং ভোট দিতে পারে। যারা তাদের (জনগণের) ভোট পাবে, সেউ বিজয়ী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন করেছে তা ভেস্তে যাবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখানে 'নৌকা' প্রতীকের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ও অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। যেসব প্রার্থী ভোট পাবেন তারাই নির্বাচিত হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, এই প্রতীকে ভোট দিয়ে মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এখন জনগণ অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগকেই সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছেন, যাতে কেউ ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ তুলতে না পারে এবং ভোটকেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ও ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কোনো দল নির্বাচনে যোগ দিলো বা যোগ দিলো না তাতে কিছু যায় আসে না। বিএনপি একটি কারণে নির্বাচনে অংশ নেয় না, কারণ এখানে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ২০০৮ সালে বিএনপি তা করতে পারবে না (ভোট কারচুপি), তাই তারা সব সময়ই নির্বাচন বানচাল ও বয়কট করতে চায়। এটা তাদের ইচ্ছা এবং এটা নিজ নিজ দলের বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিন। সবাইকে (প্রার্থী) অবাধে প্রচারণা চালাতে হবে এবং জনগণকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এবং বাছাই করতে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জনগণ ১৯৯৬ সালে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভোট কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে এবং তারপর ২০০৬ সালে ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করে আবারও ভোট চুরির চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা এখন তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে পাচ্ছি, যারা ভোট কারচুপির অভিযোগে দুই দফায় বহিষ্কৃত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগই এটা (সুষ্ঠু নির্বাচন) করেছে। জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিয়ে জনগণের ক্ষতি করতে না পারে। আমি সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশব্যাপী পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ভোটে আসতে চায় না কারণ তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে, তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যারা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত জনগণকে তাদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমাদ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর কাছে পাঠানো তার সই করা এক চিঠিতে রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি কুয়েতের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং রাজপরিবারের শোকাহত সদস্যদের অপূরণীয় ক্ষতির জন্য আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি যেন তাকে জান্নাতের সর্বোত্তম স্থান দান করেন।’
তিনি আরও বলেন, শেখ নওয়াফ ছিলেন এই সময়ের বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন প্রতিশ্রুতিশীল, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতা।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি আরব ও মুসলিম উম্মাহর জন্য একজন গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশের একজন বিশ্বস্ত ও উদার বন্ধু ছিলেন।’
তিনি কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে আমিরের অপরিসীম অবদানের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ-কুয়েত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তার উৎসাহ ও আন্তরিক প্রচেষ্টার কথাও আমি স্মরণ করি। আমি বিশ্বাস করি মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও প্রয়াত আমিরকে তার দীর্ঘস্থায়ী মানবিক প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের জন্য স্মরণ করা হবে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত মঙ্গল ও সুখ কামনা করেন এবং কুয়েতের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও কুয়েতের দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য দৃঢ় সহযোগিতা অর্জনের লক্ষ্যে শেখ আহমদ নওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়: এম জে আকবর
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর রবিবার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে তারা ভুলে যাচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভীতু দেশ নয়।
নির্বাচনের আগে যে সব নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভয় দেখালেই যে আমি (বাংলাদেশ) ভয় পাব, তা ভাবা ঠিক হবে না।’
বিশিষ্ট এই লেখক-সাংবাদিক ও পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি কিছু মনোযোগের কারণ হলো দেশটির প্রাসঙ্গিকতা।
ভারতের এই সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান শক্তি।’
এম জে আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার থেকে 'জাতির দ্বিতীয় মুক্তির নেতা ও বিজয়ী' হিসেবে সম্মানিত করা এবং তা উদযাপন করা উচিৎ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বহিরাগত শক্তিকে ভয় পাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। বিষয়টি এখন আর কাজ করে না।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে '৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এ অঞ্চল ও বাইরে এর অবস্থান' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মূল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বরং সম্ভাবনাময় দেশ।
মোমেন বাংলাদেশ অর্জিত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র অনুসরণ করছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু উন্নয়নের দিকেই নয়, আধুনিকতার দিকে নিয়ে গেছেন, যার ৪টি মাত্রা রয়েছে। তিনি চারটি মাত্রাতেই কাজ করেছেন।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশই আধুনিক জাতি হতে পারে না। প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হলো অন্তর্ভুক্ত জাতীয়তাবাদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কাগজে-কলমের অধিকারকে বাস্তবতায় পরিণত করেছেন। তিনি লিঙ্গ সমতা ও দারিদ্র্য বিমোচনে তার প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি সমালোচনামূলক। দারিদ্র্য দূরীকরণ ছাড়া আধুনিক জাতি হতে পারবেন না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
আকবর বলেন, ‘বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জনগণ তাকে বার বার নির্বাচিত করেছে।’
তিনি গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের কথাও তুলে ধরেন এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টাকারী শক্তির কথাও উল্লেখ করেন।
আকবর বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি, বরং বাংলাদেশ তা অর্জন করেছে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের দুই প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো উচিৎ। যা সমগ্র বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে।’
আকবর বলেন, বাংলাদেশের উচিৎ নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের পক্ষ নেওয়া।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল ও শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।
দলীয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর সকালে তিনি সিলেট যাবেন। সেখানে হযরত শাহজালালের মাজার এবং এরপর হযরত শাহপরানের মাজার জিয়ারত করবেন।
বিকালে তিনি আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভা করবেন। যেটি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার প্রথম জনসভা।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে বিশেষ ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর)।
৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হয় এবং ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৫৩তম বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত) নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে।
নির্বাচনে সারা দেশে ৪২ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের