পরীমণি
পরীমণির দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন শাহ শহিদুল আলম।
এ বছরের ১৩ জুন রাতে ফেসবুক পোস্টে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় তিনি সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে কী বার্তা দিলেন পরীমণি
পরীমণির মামলা দায়েরের পর উত্তরায় তুহিন সিদ্দিকী অমির বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অমির বাসায় তল্লাশি চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করা হয়।
এরপর ১৪ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসির, অমিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
মাদকের মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
জামিন: পরীমণির তো হলো, অন্য দুজন মেয়ের কথা কে বলবে?
সারা দেশ কাঁপিয়ে পরীমণির জামিন হলো। বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। বিভিন্ন টকশো, ওয়েবিনার, আলোচনা সভায় তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তার সাহসের কথা বলছেন। আমরাসহ সবাই খুশি। কিন্তু আর দুজন পিয়াসা আর মৌ, তাদের কথা কি হারিয়ে গেছে? তাদের কথা কে বলবে? পরীমণি চর্চার মাঝখানে আমরা কি তাদের ভুলে গেছি?
কোনো আলাদা অপরাধ নয় তাদের
তাদের যে অপরাধ সেটা একই-মদ, ইয়াবা, ব্ল্যাকমেইল… তাদেরই প্রথম ‘রাতের রানী’ নাম দেয়া হয়। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘এরা দিনে ঘুমায় আর রাত ভর পার্টি করে। তারা বড়োলোকের ছেলেদের সাথে ফষ্টি নষ্টি করে, ছবি তোলে, তারপর ব্ল্যাকমেইল করে’ ইত্যাদি। তাদের বেশি দিন রিমান্ড হয়নি, পরে সেখান থেকে জেলে। তাদের জন্য কোনো আন্দোলন হয়নি, তাদের কোটি কোটি সমর্থক নাই। সেই কারণেই কি তাদের জামিনের জন্য কেউ হাইকোর্টে রিট করেনি?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র?
আইন ও সালিশ কেন্দ্র কেবল পরীমণির জন্য রিট করলো কেন? তারা তো দেশের নামজাদা আইন সহায়ক ও নারী অধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, কি হতো আর দুই-তিনটা নাম জুড়ে দিলে?
জামিনের অধিকার সবার আছে। তবু সবার কথা তুলছি না, পিয়াসা আর মৌয়ের কথা বলছি। কারণ তারাও কারো না কারো কন্যা, যে কোনো কারণেই হোক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত তবে বিচার হয়নি এখনো। তাই জামিন চাওয়াটা কি অপরাধ? পাওয়াটা কি অন্যায়?
তাদের মুক্তি-জামিন হয়তো কোনো রাজনৈতিক বিজয় হবে না। হয়তো তারা কাউকে ‘বিচ’ বলবে না, পত্রিকা হেডলাইন করবে না, টকশো হবে না কিন্তু রাষ্ট্রের যে শক্তি তাতে তাদের জামিন দেয়াটা কিছুই নয়। সেই কারণেই বলছি।
আমাদের আন্দোলন ব্যক্তির জন্য হয়ে গেলে, যে উদ্দেশে এতো সব কথা, লেখা, মানববন্ধন সবই দুর্বল হয়ে যাবে। পরীমণির জামিন লাভে অনেকে রাজনৈতিক অর্জন খুঁজে পেয়েছেন, কেউ পেয়েছেন আদর্শগত বিজয়। সবার জামিন হলে সমাজের তেমন কোনো লাভ হবে না হয়তো। তবে প্রমাণ হবে গ্রেপ্তার হওয়ার বেলায় সব অপরাধী যেমন সমান, জামিন পাওয়ার ব্যাপারেও তাই। ওদের জামিন দিন।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন ও ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণি, পিয়াসা ও হেলেনাসহ ৮ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
মুক্তি পেলেন পরীমণি
মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর বুধবার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমণি। সাদা পোশাক ও সাদা স্কার্ফ পরিহিত পরীমণি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
সকাল সাড়ে নয়টার পর পর কারাগার থেকে বের হয়ে একটি সাদা গাড়িতে চড়ে তার খালু ও আইনজীবীর সঙ্গে কারাগারের প্রধান ফটকে আসেন পরীমণি। এসময তিনি গাড়ি থেকে একটু বের হয়ে উপস্থিত ভক্তদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এবং ভক্তদের সাথে সেলফি তুলেন।
চিত্র জগতের নায়িকা পরীমণির মাথায় এ সময় সাদা ওড়না বাঁধা ছিল। তার চোখে মুখে ছিল খুশির ঝিলিক। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বললেও হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান।
আরও পড়ুন: পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
এর আগে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জানান, গতকাল জামিন মঞ্জুর হলেও জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছাতে রাত হয়ে যাওয়ায় রাতে আর বের হওয়া সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমণির জামিন আদেশ দেন। তিন কারণ বিবেচনায় পরীমণিকে জামিন দেয়া হয়েছে। যেহেতু পরীমণি একজন চিত্রনায়িকা এবং একজন নারী।
তাছাড়া সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রীতিলতা নামক একটি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের শিডিউল চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন আদালত।
গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
আরও পড়ুন: পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
পরীমণি আর পাবলিকের জামিন হলো, অন্যদের কী হবে
শেষ পর্যন্ত সবুরে ফল পাওয়া গেলো। পরীমণির জামিন হলো কোর্ট থেকে। এরকম গড়িমসি কম দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে পাবলিকের চাপ বাড়ছিল। সাথে সাথে সুশীল সমাজ ও মিডিয়া বুঝে গিয়েছিল যে এটি একটি ইস্যু। তাই জামিন না দেয়ায় খামোখা কথা হচ্ছিল। পরীমণি বিনা কারণে ‘হিরো’ হয়ে যাচ্ছিল। আর তাতে অসুবিধা না হলেও একটি অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল। এখন অন্য বিষয় নিয়ে সবার আলাপ করার সুযোগ হবে।
এটি ভাবার কোনো কারণ নেই যে পরীমণির ব্যাপারে সরকারে ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আম জনতা একটু একটু ক্ষুব্ধ হচ্ছিল। কারণ এত লোকের এত বড় বড় অপরাধে জামিন হয় কিন্তু এই কেসে কেন নয়? এখন এত কথা হবে না।
তবে পরীমণির বোঝা উচিত যে যাদের সাথে তার ওঠাবসা, তাদের সাথে লাগতে যাওয়া বোকামি। আর পাবলিকের স্মৃতি খুব দুর্বল, আপনাকে ভুলতে বেশি টাইম লাগবে না। সবাই খুশি তার ছাড়া পাওয়াতে কারণ আফটার অল নারী, মানুষের এমনিতেই মনটা একটু নরম থাকে যদি সে নিজে অত্যাচারী না হয়।
অন্যদের জামিন নেই
ঠিক যেই মুহূর্তে পরীমণি জামিন পাচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের কথাও মনে রাখবেন যারা তার সাথে বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন। তারা কিন্তু ভেতরেই আছেন। পাবলিক তাদের কথা ভুলে গেছে, তাদের জামিনের কোন দাবি ওঠেনি। জামিন পেতেও একটু কপাল লাগে, অনুসারী লাগে, আরও কত কিছু। এই সব মামলায় যারা ভেতরে তারা সবাই যেন জামিন পায়, তারপর যেন বিচার হয়।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?
মাদক মামলায় জামিন পেলেন পরীমণি
মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকার একটি আদালত নায়িকা পরীমণিকে জামিন দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তাকে একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করার পর ২২ আগস্ট পরীমণিকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন তার পক্ষ থেকে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
পরে তার আইনজীবী মজিবুর রহমান নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান। আবেদনে তিনি অভিনেত্রীর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চেয়েছিলেন।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে তাকে আটকের পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনবার রিমান্ডে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তার বাড়িতে অবৈধভাবে মদ ও মাদক রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য জুন মাস জুড়ে ফেসবুক লাইভে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে শিরোনামে ছিলেন পরীমণি।
আরও পড়ুন: বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু
পরীমণি: পাবলিক মনে মনে জামিন দিয়ে দিয়েছে
আগামীকালের অপেক্ষায় অনেকে। আর পছন্দ হোক আর নাই হোক বেশিরভাগ মানুষ চায় পরীমণি জামিন পাক। এখন আর তার অপরাধ বিষয় নয়। তার রিমান্ড, হাজতবাস ইত্যাদি মিলিয়ে এমন এক আবহ সৃষ্টি হয়েছে যে পাবলিকের চোখে সে এক ধরণের ভুক্তভোগী। তারা মনে করে যে তার ওপর 'অন্যায়’ করা হচ্ছে। মানুষের মন এমনই। পাবলিক কারও কষ্ট দেখলে বিশেষ করে পুলিশের হাতে সিম্প্যাথেটিক হয়ে যায়।
২. এর সাথে আছে আরও বিভিন্ন অপরাধ ও গ্রেপ্তার নিয়ে পাবলিকের ভাবনা। বড় বড় আসামি জেলের ভেতর থাকে আরামে, বিরাট বাটপার সহজেই দেশ ছাড়ে আর প্রতিদিনিই কেউ না কেউ মাফ বা অব্যাহতি পেয়ে যায় ওই অপরাধের অভিযোগ থেকে।
সময়টাও খারাপ, কারণ ইদানিং ‘বিশাল’ কয়েকজনকে ছাড় দেয়া হয়েছে। পাবলিক তাই বলছে, তাদের অপরাধের তুলনায় পরীমণি কি করেছে? এতো কেন? কিন্তু যেহেতু পাবলিকের কোনো ক্ষমতা বা প্রভাব নেই, তাই সে মনে মনে ‘জামিন’ দিয়ে দিয়েছে। আর কি করার আছে তাদের?
৩. বোট ক্লাবের ঘটনা থেকেই সব সূত্রপাত। যাদের সে ‘ক্ষতি’ করেছে , যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তারা ব্যক্তিগতভাবে নয় গোষ্ঠীগতভাবে আঘাত পেয়েছে, অপমান বোধ করেছে। তাই রাগটা অনেক বড়, পাল্টা আঘাত আরও বড়। পুলিশ এরই মধ্যে ইঙ্গিত করেছে যে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের ভিত্তি নেই, অতএব ঝালটা আরও বেশি তো হবেই। তার দাম চুকাতে হচ্ছে পরীমণিকে।
৪. পরিমণির জীবন-যাপন বাংলাদেশের বড়লোকদের ওপরতলার মানুষের মতোই, যেখানে নেশা, ‘অনৈতিক আচরণ’, ক্লাব আর রিসোর্ট কেন্দ্রিক জীবন বহমান। কিন্তু পরীমণি মিডল ক্লাস বড়োজোর, তার রুজি বা জীবন চলে বড়লোকের সাথে মেলা মেশায়, হিসাবের ভুল এখানে। সে উপরতলার নয়। একসাথে মদ খেলে সব মদ খোর এক হয় না, সবার সাথে লাগা যায় না। যার যে শ্রেণি সেটাই ঠিকানা। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার ভালো উদাহরণ। পরীমিণির বিরুদ্ধে লেগেও, বোট ক্লাবের সদস্য হয়েও সে একই ধরণের মামলায় জেলেই। কারণ সে উপরতলার নয়।
৫. পাবলিক এতো কিছু বোঝে না, পরীমণির জন্য তাদের মধ্যে ‘আহা বেচারি’ বোধ কাজ করছে সবচেয়ে বেশি। সে কি হয়েছিল ভুলে গেছে, এখন রিমান্ড আর জেল দেখে দুঃখিত। তাই কি আর করবে, মনের জামিনটা দিয়েছে আদালতের জন্য অপেক্ষা না করে। তারা এইটুকুই পারে।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণির জামিন শুনানির তারিখ এগিয়েছে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির জামিন বিষয়ে শুনানির তারিখ এগিয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আদালত ১৩ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন। রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট পরীমণির আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। পরীমণির আইনজীবী এ বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে যান। উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ বিচারক পরীমণির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
গত ২১ আগস্ট দুপুরে পরীমনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নায়িকা পরীমণি আটক, মাদক উদ্ধার
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে ভয়াবহ মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমণির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
কাশিমপুর কারাগারে পরীমণি
পরীমণির জামিন শুনানি দ্রুত করার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ২১ দিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে দুই দিনের মধ্যে তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ওই দিন শুনানির দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্যের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরীমণির পক্ষে করা এক রিভিশন আবেদন শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আদালত বলেছেন, ‘২১ দিন পরে তারিখ দেয়ার কী আছে? অভিযুক্তের (পরীমণি) জামিন আবেদন শুনানির অধিকার আছে। কিন্তু মহানগর দায়রা জজ জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন, যা আবেদনকারীর অধিকার ও স্বাধীনতাকে খর্ব করে।’
আরও পড়ুন: পরীমণির জামিন আবেদন, শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর
গত ২২ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ এই মামলায় পরীমণির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন রাখেন। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। এতে বিলম্বে জামিন আবেদন শুনানির দিন রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরীমণির অন্তর্বর্তীকালীন জামিনও চাওয়া হয়। এই আবেদনের ওপর আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর শুনানি হয়।
আদালতে পরীমণির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। এছাড়া পরীমণির পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
এর আগে গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তৃতীয় দফায় এক দিনের রিমান্ড শেষে পরীমণিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে তাকে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পরীমণি জেলে, জামিন নাকচ
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর একাধিকবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
পরীমণি, সাবরিনা, মুনিয়ার ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও সরানোর আদেশ চেয়ে রিট
মূলধারার গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমণিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির, বিশেষ করে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রচারিত-প্রকাশিত ‘অবমাননাকর ও ব্যক্তিগত’ ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট আবেদন হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও, ছবি বা প্রতিবেদনের প্রচার-প্রকাশ বন্ধেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
মোসারাত জাহান মুনিয়া, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও পরীমণিকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ও প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়ল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী এই আইনজীবী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিবকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
রিট আবেদনে গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত-প্রকাশিত এ ধরনের প্রতিবেদন, ভিডিও এবং ছবি অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীমণি-সাকলাইন ঘটনা তদন্তে কমিটি
আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বলেন, দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ইনডিভিজুয়ালকে, বিশেষ করে নারীর চরিত্রকে টার্গেট করে অনেক প্রতিবেদন, ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ হচ্ছে। আমরা যদি পরীমণির ঘটনাই দেখি, তিনি একজন মাদক মামলার আসামি। কিন্তু বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ভিডিও প্রচার করছে। মুনীয়ার মৃত্যুর পর তার বোন যখন অভিযোগ আনলেন, তখন তার বেডরুমের ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। এসবের পেছনে উদ্দেশ্য কী? সাবরিনা আরিফ চৌধুরী যখন কোভিড-১৯ এর জাল সার্টিফিকেটের মামলায় অভিযুক্ত হলেন, তখন আমরা দেখলাম যে তার অনেক ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও প্রচার-প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার যেমন খর্ব করছে, তেমনি বিদ্যমান আইন সংবিধানকেও লঙ্ঘন করছে। অথচ এ বিষয়গুলো নিয়ে রাষ্ট্র বা সরকারের সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছেন না। যে কারণে রুল ও নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদন।
রিট অবেদনে বলা হয়েছে, মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যক্তি বিশেষ করে নারীর সম্পর্ক ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে চরিত্র ও মানহানিকর প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি প্রচার-প্রকাশ করা হচ্ছে। এসব প্রতিবেদন, ভিডিও, ছবি ডিজিটাল নিরাত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। সেই সাথে তা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৯ ও ৪৪ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করছে। এছাড়া এসব প্রতিবেদন, ভিডিও ও ছবি ‘হলুদ সাংবাদিকতাকে’ উৎসাহিত করছে যা সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন: মুনিয়া আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা: আনভীরকে অব্যাহতি
হাইকোর্টে জামিন পাননি ডা. সাবরিনা
বিষয়টা পরীমণি, না অন্য কিছু ?
পরীমণির পক্ষে প্রতিদিন কেউ না কেউ নিজেকে ঘোষণা করছে। অথচ তার বিরুদ্ধে যে সব চার্জ আনা হয়েছে তা আমাদের সমাজে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। মানে মদ খাওয়া, ড্রাগস নেয়া , ব্ল্যাকমেইল করা, অনৈতিক সম্পর্ক ইত্যাদি। কিন্তু তাতে তার প্রতি সমর্থকদের আগ্রহে একটুও ভাটা পড়েনি। সে অনেকটা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দেশে একজন ফিল্মস্টারকে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা আগে দেখা যায়নি।
সে রাজনীতির বাইরের লোক, পাচ্ছে সামাজিক সমর্থন। যারা তার পক্ষে তারা কম বেশি যাদের বলে সুশীল সমাজ, কলিগ এবং তার ফ্যান। পরীমণিকে কেউ ধোয়া তুলসীপাতা ভাবে? তার সুপার -ফ্যান ছাড়া কেউ ভাবে না। অন্যরা জানে তার জীবন যাপন - যা তার নামে বলা হচ্ছে - তার সবই স্বাভাবিক, সবাই করে। তাতে তারা দোষের কিছু মনে করে না। বিষয় হলো, এই দেশের অনেক ক্ষমতাবান, সম্পদশালী মানুষও তাই করে। নেশা করে, নারী ভোগী, এবং আরও বহু কিছু ভোগ করে। তারা দুর্নীতি করে, ব্যাংকের টাকা নিয়ে ফেরত দেয় না, মানুষের টাকা নিয়ে ভেগে যায় ইত্যাদি। অর্থাৎ বড়লোকদের ওপর রাগের ফিরিস্তি বড়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য কাউকে পরোয়া করে না। এদের এক অংশের সাথে বিবাদ হয় পরীমণির এবং সেটা থেকেই সংঘাতের শুরু। বোট ক্লাবের ঘটনার পর পরীমণিকে অনেকে সমর্থন করে, সেই কারণে এবং সে ভেবেছিল, ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ তুলে জিতেছে। কিন্তু না, আসলে সে জিতেনি। যদিও অনেকেই বিশ্বাস করে না যে পরীমণিকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। তবুও তার পক্ষে ছিল।
বোট ক্লাব ঘটনা আসলে অতীত হয়ে গেছে। কিন্তু ঢাকার বড়লোকদের প্রতি যে ক্ষোভ, সেটা চলছে। আর ‘এস্টাবলিশমেন্ট’ তার বোট ক্লাবের ঘটনায় অপমানিত, তার এফেক্ট চলছে, যা দেখছি আমরা। তাহলে কী হচ্ছে এসব ? গোটা এপিসোড সুশীল ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে একটা সুযোগ দিয়েছে ‘বোট ক্লাব’ গোষ্ঠী ও ‘রাতের রাজাদের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার। কিন্তু সাধারণ মানুষ তার সিনেমার ভক্ত হতে পারে, তার জীবন-যাপনের নয়। তাই তারা এতে নেই। মানববন্ধন যারা করছে তারাই শুধু মাঠে, অর্থাৎ মধ্যবিত্ত যাদের ক্ষোভ সবচেয়ে বেশি। তারা পরিমণির বিষয় নিয়ে যতটা ভাবিত, ততটাই বর্তমান ব্যবস্থা নিয়েও। কিন্তু যারা সরব তারা সব সময় সরব হয়। কিন্তু এর বেশি কিছু করতে পারে না। তারা সংখ্যায় বেশি নয়। পরীমণিকে নিয়ে রিমান্ড চর্চা চলছে। যে শক্তির বিরুদ্ধে পরীমণি গেছে তাতে তার পরিণতি এমনটিই হওয়ার কথা। কিন্তু পুলিশের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। তারা ‘রাতের রানিদের’ পিছনে গেলো ঠিকই। কিন্তু ‘রাতের রাজাদের কিছু না বলে নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বাড়িতে মদ, ট্যাবলেট পাওয়া, পার্টিতে যা খুশি করা , এটা তো ঢাকায় কমন। ইদানীং কেউ কিছু মনে করে না। রাজা ও রানিদের জীবন একই কিসিমের। আদালত পাড়ায় বার বার রিমান্ড নিয়ে, মানুষের মনে পরীর জন্য ‘আহা বেচারি’ ভাব সব চেয়ে বেশি সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে পুলিশ বিভিন্ন মামলা খারিজ ও নিষ্পত্তি করছে, সেখানে তাকে ভিলেন বানিয়ে কী পাওয়া গেলো ? শেষ কথা পরীমণি ও তার মতো যারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিপদে আছে, তাদের সবাইকে সংবাদটা দেয়া হয়ে গেছে যে ‘হুঁশিয়ার-কার গায়ে হাত দাও?’ এবার মিটমাট করে ছেড়ে দিন। কয়েকটায় তো হলো দেখলাম, এটি কেন হবে না ?
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
আরও পড়ুন: মদ, ঘুষ হারাম না হালাল? লাইসেন্স থাকলে চলবে?
পরীমণিকে কি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে?