চোরাই মোবাইল বিক্রি চক্রের সদস্য
সিলেটে চোরাই মোবাইল বিক্রি চক্রের ৭ সদস্য আটক
সিলেট, ১৩ জুন (ইউএনবি)- সিলেটে ছিনতাইকৃত মোবাইল-টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে অনলাইন চোরাই চক্রের সন্ধান পেয়েছে চক্রের সাত সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মৌলভীবাজারের সদর থানার আমতৈল এলাকার চলকাপন গ্রামের মৃত নীল মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী (২২), হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার শাকপা টুকেরবাজার এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে আইনুল হক (২০) ও সিলেটের দক্ষিণ সুমরা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জৈনপুর গ্রামের মৃত সিকান্দর আলীর ছেলে বেলাল আহমদ (২২), জালালাবাদ থানার চরুগাও এলাকার ইমাম হোসেনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (২২), চুনারুঘাটের সাটিয়াজুরি গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে সোলেমান (২২), মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই গ্রামের মো. খলকু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৪), নবীগঞ্জ সাকুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে ছাইদ উল্লাহ (২১)। এদের মধ্যে আইয়ুব আলী এই চোর চক্রের মূল হোতা। তবে তার আপন বড় ভাই আব্দুস শহীদকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্তে নারী, শিশুসহ আটক ৬
রবিবার বিকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের এই তথ্যটি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাইয়ে একজন আইনজীবীর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্যটি পুলিশের কাছে ধরা পড়ে। দীর্ঘ ৫ মাস অনুসন্ধান শেষে ১২ জুন শনিবার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূল হোতাসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ চক্রটি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে কম দামে মোবাইল ফোন বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়। তবে এক আইডি বেশিদিন ব্যবহার করে না। কিছু মোবাইল বিক্রির পর সেই আইডি ডিঅ্যাক্টিভ করে নতুন আরেকটি আইডি খুলে। সিলেটে চোরাই ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো কম দামে বিক্রি করে। এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অনলাইনে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সংঘর্ষে যুবক খুন: আটক ২৪
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, সিলেটের ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রতিদিন মোবাইল ফোন ক্রয় করে তারা। পরে সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা জানান, এই চক্রের মূল হোতা শিববাড়ীর আব্দুস শহিদ ও মৌলভীবাজারের আমতৈল এলাকার আইয়ুব আলী। আটকদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আরেক মূল হোতা আব্দুস শহিদসহ এ চক্রের অপর সদস্যদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।