তথ্যমন্ত্রী
জাতিসংঘও শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি দিচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’- প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার (প্রধানমন্ত্রীর) স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গণে একটা ঝড় আসছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতংকিত-শংকিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সেসময় কোথায় ‘মোখা’ যাতে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর এখন তো মোখা পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, মোখার মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। উনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও না-কি দেবেন। উনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’
বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সকল কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে সক্ষমতায় আমরা অনেক উন্নত, বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ রকম বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকদের দেওয়া হতো না। কয়েকজন কূটনীতিককে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিলো। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নাই সেজন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।’
হাছান বলেন, ‘এরপরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি সরকারের কাছে বাড়তি নিরাপত্তা চায় এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নাই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চাসন ও তার সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চতা আর তার সরকারের প্রতি সমর্থন কোন জায়গায় সেটি নিশ্চয়ই বিএনপি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। সেটি না করতে না পারলে বিএনপি ভুল করবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের শেষ পর্যায়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। ৯ মে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার এই সফর অত্যন্ত সফল একটি সফর। জাপানের সরকার ও জনগণ রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভাবনীয় মর্যাদা দিয়েছে এবং আমাদের নানা প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি সই করেছে। পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিশ্বব্যাংক ভুল উপলব্ধি করে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে এখন ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি সই করেছে।’
সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজা চালর্সের সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন যে শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার ‘আইডল’। এবং শুধু তারই নয়, তার মেয়েদেরও ‘আইডল’। পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কমনওয়েলথ মহাসচিবসহ অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করার ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা এবং সকল পর্যবেক্ষককে নির্বাচন দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই সময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। নির্বাচন প্রতিহত করার বা বর্জনের ঘোষণা গণতন্ত্রকে প্রতিহত করা বা ঠেকিয়ে দেওয়ার ঘোষণার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায় না। বিএনপি সবসময় পানি ঘোলা করতে চায় এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা কিংবা ঠেকিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ নাই। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াক সেটি আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই, কিন্তু ওরা খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়; এটা দুঃখজনক।’
ড. হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি নানা ভাষায়, নানা ছুঁতোয়, নানা কৌশলে বলে, কিন্তু তাদের সমস্ত কথার সারমর্ম হচ্ছে এমন ব্যবস্থা চাই যার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা পাবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না, এদেশের জনগণও দিতে পারবে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির শরিকরা আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার অর্থ হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।’
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। আজ ৭ মে, তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজ ৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে; আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিলো, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো। আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম।
বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি, বিমানবন্দর থেকে তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দুই ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে আসলো শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।
হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও তেমনি অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি।
বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।
তিনি বলেন, বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষের পাঁচ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিলো কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে, পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, জয় বাংলা শ্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল। এ জন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।
সেই সঙ্গে ড. হাছান বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন জন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে এবং সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজকে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে, সেই কারণে সমগ্র পৃথিবী আজকে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। শুধু প্রশংসা করতে পারে না বিএনপি। বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা আবোল-তাবোল বকছে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নবনির্মিত তেলিপাড়া সেতুসংলগ্ন চত্বরে বিভিন্ন দপ্তরের অর্থায়নে চার ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতাদের একটু মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন। সম্ভবত গরমের কারণে তাদের মাথা একটু খারাপ হয়ে গেছে। কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে বেশি গরম পড়লে মাথা ঠিক রাখতে পারে না। তাদেরও এটা হয়েছে কি না সেটিই আমার প্রশ্ন?
তিনি বলেন, 'বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু, খন্দকার মোশাররফ, রিজভী আহমেদ ও আমির খসরু সাহেব দেখি আমাদের সমালোচনা করে। আমি তাদের বলবো, আপনারা মাথা খারাপ না করে ঠান্ডা রাখুন। আপনারাও স্বীকার করুন, আজকে দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে।'
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এলাকার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, 'যারা শুধু ভোট আসলে বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা যে চকচকে রাস্তা করেছি, তার গর্তগুলো তারা ভরাট করতে পারবে কিনা। আমরা কাজ করি আর তারা শুধু ভুল খোঁজে। বিএনপি মূলত: 'ভুল ধরা পার্টি'।'
এ সময় দলের কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'দলের নাম বিক্রি করে কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের কোন জায়গা আমাদের দলে নেই। তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শনিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জেলা পরিষদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে পৃথক তিনটি পথসভায় যোগ দেন স্থানীয় চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
বিকালে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। বিদ্যালয়ের সভাপতি খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরশাদ মাহমুদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন যে যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, তাদের বিচার হলেই হবে না, যারা এর হুকুমদাতা-অর্থদাতা-তাদেরও বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন, এই অপরাধের যদি বিচার না হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ আরও ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতীকী অনশন’- শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামাতের নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অবরোধের সময় যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে-তা শুধু দেশের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সমসাময়িককালে কোথাও ঘটেনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অসহায় মানুষের ওপর, স্কুলগামী বালক-বালিকার ওপর, বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত মানুষের ওপর, বাসযাত্রীদের ওপর, অবরোধের কারণে থেমে থাকা ট্রাকে ঘুমন্ত চালকের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে তাদের শরীর অঙ্গার করে দিয়েছে, মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, শুধু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরাই অপরাধী নয়, এর নির্দেশ সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে লন্ডন থেকে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, গয়েশ্বর রায় বাবু, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতারাই এই হামলার নির্দেশদাতা।
তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থায়নেই এই পেট্রোল বোমা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আজকে সেই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার যারা, তারা বিচারের দাবি নিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে যে অপরাধ হয়েছে-তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সব অপরাধীরই বিচার হতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো এ দেশের নাগরিক ও মালিক। তারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না এবং তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যায়নি, তারা প্রাত্যহিক কাজে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিল। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক মানবতাবিরোধী ঘটনা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি।
পেট্রোল বোমা হামলার শিকার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
এ সময় বিদেশি সংস্থা ও কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া মানুষগুলোর সাথে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে।
কর্মসূচিতে আগত পেট্রোলবোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিস্তৃতি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ।
তিনি বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিবেশী অনেক দেশেই গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এমন অবাধ স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করে না।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
বুধবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে হয় তাহলেই গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। আর যদি স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সমাজের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রেরও ক্ষতি হয়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম ব্যতিরেকে গণতন্ত্র হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা ব্যতিরেকে গণতন্ত্র কখনো পথ চলতে পারে না, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। সে কারণে গণতন্ত্রকে সংহত করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ, ন্যায়ভিত্তিক-বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে, উল্লেখ করে পরিসংখ্যান দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৪ বছরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সম্প্রচারে আসা টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৩৯টি, খুব সহসা আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি টেলিভিশন এবং বেতারের যাত্রাও শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন টিভি চ্যানেল ছিলো ১০টি আর দৈনিক পত্রিকা ছিলো সাড়ে ৪০০ যা এখন ১২৬০। ২২টি বেসরকারি এফএম রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে ১২টি সম্প্রচারে আছে, কয়েক ডজন কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে যার বেশিরভাগই সম্প্রচারে আছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত শত কিংবা কয় হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার।
ইতোমধ্যে দুই শতাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, পত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনলাইনসহ সেটা আরও অনেক বেশি।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এর ফলে আজকে হাজার হাজার সাংবাদিক গণমাধ্যমে কাজ করছে। আজকে যারা বিদগ্ধ সাংবাদিক তারা তাদের এই ‘ট্যালেন্ট’ প্রকাশ করার সুযোগ পেতেন না যদি গণমাধ্যমের এ রকম ব্যাপক বিস্তৃতি না ঘটতো। পৃথিবীর আশপাশের দেশে গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এ রকম অবাধ স্বাধীনতার মধ্যে কাজ করে না। কয়েকটি ছাড়া প্রায় সকল টেলিভিশন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই অনুমোদন পেয়েছে। আর সকল টেলিভিশনে প্রতিদিন রাতের বেলায় টক শো’তে সরকারের সমালোচনা হয়। সংবাদ যখন প্রকাশ করা হয় তখনও সরকারের ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না। কারণ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা কথায় কথায় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেই। একটি জেলে পল্লী থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর উন্নত দেশে রূপান্তরিত হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রায় সব দেশের চেয়ে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় বেশি। সিঙ্গাপুরের ৪টি চ্যানেল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পত্রিকাও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সব টেলিভিশন চ্যানেল ফিড একটা জায়গা থেকে আপলিংক করা হয়। কোনো কনটেন্ট পছন্দনীয় না হলে তা অফ করে দিয়ে বিজ্ঞাপন বা অন্য কিছু দেওয়া হয়। আমাদের দেশে তা নয়। মালয়েশিয়ার ছেলেমেয়েরা ৮০’র দশক পর্যন্ত আমাদের দেশে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে যাচ্ছে। তারা কিভাবে এই জায়গায় এলো সেটি একটি বিস্ময়। সেখানে গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতা নাই, বিস্তৃতিও নাই।
আরও পড়ুন: বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যকে অনুসরণের চেষ্টা করি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশন কিম্বা কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার দায়ে গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়। বিবিসিতে একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার কারণে পুরো বিবিসি টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ১৩০ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা পরিশোধ করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এ ধরণের ঘটনা কখনো ঘটেনি। কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও যুক্তরাজ্যের মতোই ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হয়, শাস্তি পেতে হয়।
‘পত্রিকায় পুঁজির দৌরাত্ম্য আজকে দেশে একটা সমস্যা’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যখন সংবাদমাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ হয়, সেই পুঁজির দৌরাত্ম্য সাংবাদিকদের ওপর খড়গ বসায়, তাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করি কিন্তু আমি মনে করি সুস্থভাবে, অবাধে, ভয়হীন পরিবেশে কাজ করার ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের পুঁজির দৌরাত্ম্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। কয়েকজন সাংবাদিক নেতা প্রশ্ন রেখেছেন, ব্যাংকের মতো সংবাদ মাধ্যমের পরিচালনা পর্ষদে কেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর থাকবে না!
এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় বলেছি আজকেও বলবো, একজন সাংবাদিক, গৃহিনী, চাকরিজীবী, কৃষক অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন। অনেক সাংবাদিকও এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক তার চরিত্র হননের প্রতিকারের জন্য এই আইনে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
হাছান বলেন, আজকের আলোচনায় সাংবাদিকরাও বলেছেন, এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরণের আইন আজকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে করেছে। অনেক দেশে এই আইন আমাদের চেয়ে কঠোর। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ছাড়া অন্যগুলোতে ফাঁসি নাই। কিন্তু সেখানে ডিজিটাল অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যুক্তরাজ্যের লোকসংখ্যা আমাদের তিন ভাগের এক ভাগ, ৬ কোটির একটু বেশি। সেখানে প্রতি মাসে কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হয়। আমাদের দেশে হয় না। একজন গ্রেপ্তার হলে সেটা পত্রিকায় শিরোনাম হয়।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সেই সঙ্গে অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণে-অকারণে মামলা ঠুকে দেওয়া, সঙ্গে সঙ্গে আবার গ্রেপ্তার করা- এগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমি একমত। কোনো একটা গোষ্ঠীকে কোনো আইন থেকে বাদ দেওয়া সেটি সমীচীন নয় কিন্তু কোনো আইন যেন কারো ওপর অপপ্রয়োগ না হয় সেটি আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগের তুলনায় অপপ্রয়োগ কমেছে, অপপ্রয়োগটা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন, কিন্তু বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাকে অসুস্থ দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো। কারণ খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপির নেতারা বলেছিল যে খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ নেওয়া না হয়; তাহলে তার জীবন শঙ্কায় পড়বে। সেটি বলার মধ্যদিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি, বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন খালেদা জিয়া এবং তিনি খুব ভালো আছেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাবক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা ও দেখানো। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি সব সময় সেটা করে আসছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা সেটি তাদের বিষয় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মনে করি, গণমানুষের সংগঠন যদি ক্রমাগতভাবে নির্বাচনের বাইরে থাকে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে; তাহলে সে সংগঠন আর গণমানুষের সংগঠন থাকে না। সেই সংগঠন একটি স্বার্থরক্ষা করার জন্য এাটি সংগঠনে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপিকে নিজের একটি লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে দেখতে চান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সে কারণেই বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিতে চায় না। এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কী সাত সমুদ্র তের নদীর ওপরে বসে থাকা কারও লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হবে, নাকি রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি অনজন রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
বৃদ্ধ মা-বাবার যত্ন নেওয়া সন্তানদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বৃদ্ধ অবস্থায় অসহায়-অসুস্থ মা-বাবার ভরণ-পোষণ না দেওয়া বা তাদেরকে রাস্তায় ফেলে চলে যাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।
তিনি বলেন, বৃদ্ধ মা-বাবা ও অভিভাবকের যত্ন নেওয়া সন্তান-সন্ততিদের সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায় 'চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার'- পরিদর্শনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, হাছান মাহমুদ বলেন, প্রত্যেক সন্তানের উচিত বাবা-মা যেমনই হোক; যতদিন বেঁচে থাকে সাধ্যমত যতটুকু সম্ভব তাদের সেবা-শুশ্রুষা ও দেখা-শোনা করা।
আমাদের দেশে সাধারণত মানুষ তাই করে থাকে এবং আমাদের সরকার এ বিষয়ে আইনও প্রণয়ন করেছে। যারা এটি করে না, তারা যেমন একদিকে সামাজিক অন্যায় করছে, অপরদিকে রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ করছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
এদিন দুপুরে বৃদ্ধাশ্রমে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী চট্টগ্রামের নিজ উপজেলা রাঙ্গুনিয়ার সাবেক শিক্ষক সেলিম মাস্টারের পাশে কিছু সময় অবস্থান করেন ও তার এ অবস্থার উত্তরণের জন্য সন্তানদের খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই দেওয়া নির্দেশনার কথা জানান।
আবেগাপ্লুত সেলিম মাস্টার মন্ত্রীকে জানান যে, তিনি আগামী নির্বাচনের সময় এলাকায় গিয়ে হাছান মাহমুদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে চান।
ড. হাছান আশ্রমের অন্যান্য ঘর ঘুরে বাসিন্দাদের খোঁজ-খবর নেন, তাদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন এবং শেষে 'চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার ফাউন্ডেশন'-এর প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের হাতে আর্থিক সহায়তার একটি চেক প্রদান করেন।
পাশাপাশি আশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মিল্টন সমাদ্দার যে কাজটি করছেন সেটি অনন্য অসাধারণ কাজ। আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই তাকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দেওয়ার জন্য যুব পুরস্কার এবং সমাজকল্যাণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, নানাভাবে সহায়তা করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে আমরা আরও সহায়তা করবো।
আমি মনে করি, তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরো অনেকেই এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসবে।
মিল্টন সমাদ্দার জানান, ২০১৪ সালে একজন অসহায় বৃদ্ধকে নিজের বাসায় নিয়ে আসার পর থেকে মনের তাগিদে তিনি এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১৫ জন অনাথ শিশু, ২০ জন বিশেষ শিশু-কিশোর ও ১৩৫ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সম্পূর্ণ বিনাখরচে বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত দানের মাধ্যমে পরিচালিত এই 'চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার হোম'-এ আছেন।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নত, বাকস্বাধীনতা বেশি: তথ্যমন্ত্রী
শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মেধাবী তরুণ শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এবং দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এ হত্যাকান্ডের অন্যতম 'মাস্টারমাইন্ড'। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও তারা আস্ফালন করে।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঘাতকদের হাতে নিহত হন।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, 'আজকে শহীদ শেখ জামালের শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলের সাথে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে গিয়ে, পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।'
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, পুরো ৯ মাস তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, সম্মুখ সমরে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট থেকে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একইসঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতি চর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছিল। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন শামিম, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র উন্নত, বাকস্বাধীনতা বেশি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র অনেক উন্নত এবং বাকস্বাধীনতাও বেশি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা, মাঝে মাঝে রাতের বেলাতেও সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, যেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে, তার উদাহরণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও নেই।
এছাড়া আমি বিএনপিকে বেশি দূরে যেতে বলব না। তারা যেন ভারতের দিকে একটু তাকিয়ে দেখে।
আরও পড়ুন: ঈদে দেশের অব্যাহত অগ্রযাত্রা ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনা তথ্যমন্ত্রীর
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতে বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যের কারণে তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সংসদ সদস্য পদ চলে গেছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তিনি ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির একজন সদস্য। বিজেপির এমপি ছিলেন।
আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গিয়েছি?
এখান থেকেই বোঝা যায়, তাদের বাকস্বাধীনতা ও দেশে গণতন্ত্র কতটুকু আছে।
এ সময়ে চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে, তখন আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য আরও বড় জায়গা তৈরি হবে।
এছাড়া আমাদের ছবি, আমাদের চলচ্চিত্র উপকৃত হবে।
পাকিস্তানের চলচ্চিত্রের দুর্দশা থেকে উঠে আসার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ত্রিশ-পয়ত্রিশটিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি শুরু করে দেয়।
এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ২০০ হয়েছে। তাদের চলচ্চিত্রের মানও অনেক উন্নত হয়েছে।
আমাদের দেশেও ভালো ভালো ছবি হচ্ছে। সামাজিক ছবি প্রচুর হচ্ছে। ছবি থেকে অশ্লীলতা বিদায় নিয়েছে। সামাজিক ও অ্যাকশনধর্মী ছবি হচ্ছে। আমাদের চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
করোনা মহামারি না হলে এরমধ্যে আরও অনেক সিনেমা হল চালু হয়ে যেতো। দেশে সিনেপ্লেক্সের সংখ্যাও বাড়ছে।
এ সময়ে একটি চলচ্চিত্র যাদুঘর করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি যাদুঘর হতে পারে। এফডিসিতে নতুন ভবন হওয়ার পর সেটা করা হবে।
মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন-পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, সদস্য এইচডি রুবেল, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সেক্রেটারি চিত্রনায়িক নিপুণ, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেশের বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া ‘দেশবিরোধী’ কাজ: তথ্যমন্ত্রী
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে দেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী