তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না, কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনও করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
গ্রন্থকার, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলেছে আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই; কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় সই করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ দুইজন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছিল। সেই হামলার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট ছিল গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের উপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুষ্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সেজন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সমর্থন আছে। কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সেজন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের প্রতি যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
তিনি বলেন, গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়েও যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি আশা করব ফিলিস্তিনিদের এ আর্তনাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সবখানে পৌঁছাবে এবং অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে। আমরা ‘টু স্টেট’ পলিসিকে সমর্থন করি। ফিলিস্তিনে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই।
ফিলিস্তিনে চলমান সংকট নিরসনে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হতাশা ব্যক্ত করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য রাষ্ট্রদূত তার প্রশংসা করেছেন।
বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷
একইসঙ্গে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদ করেছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছায় না?
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেনি, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরোনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্যভাবে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরামে দুই মেয়াদে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সহনশীলতা ও সক্ষমতা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।
জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
একইসঙ্গে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর শিকার। তবুও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
পরে কপ-২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে 'অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন' বৈঠকেও অংশ নেন মন্ত্রী।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল ২০ দেশের জোটের (সিভিএফ-ভি ২০) বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ ও প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।
ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মূল নেতৃত্ব তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি করে রেখেছে। যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন; এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে; যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, তবে বিএনপি নামক এই কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন।
মন্ত্রী বলেন,‘আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করেন, আসলে এই সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন আকাশের দিকে আর পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও না কি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এই হরতালে জনগণের কোনো সাড়া নেই এবং মূল নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কেউ একমত নয়। নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারা একটি হাস্যকর দলে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করব বিএনপি এই অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিন দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমন কি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কী বিবৃতি, কী বক্তব্য?
হাছান মাহমুদ বলেন, কাউকে ঘুষি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয়; আর এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। আর গণতন্ত্রে দল নয়, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য।
এ সময় সাংবাদিকরা ‘পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কার এজেন্ট’- প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন। তবে এক বছরে যতবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতবার বিদেশ যাত্রারই বা কেন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’- শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরিফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। তারা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে, ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।'
গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে মিছিলকারীদের ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো পুনস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে।'
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।'
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এরা মানবতারও শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক ‘চাঁটগার সংবাদ’ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বরেন, ‘তারা গাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দেয়, ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকের বেশ ধরে গাড়িতে আগুন দিতে যায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মুকাররমে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ট্রেন-লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালেও সেই একই অপচেষ্টা হয়েছিল, তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
চাঁটগার সংবাদ পত্রিকার জন্য শুভকামনা জানিয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেল, মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, সেই গল্পটাও গণমাধ্যমে আসা দরকার।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আজ আরেকটি জোট করে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে আরও অনেক বিএনপির সাবেক নেতাকে আমরা দেখছি, বিভিন্ন দলে তারা আসছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করে তাদের নির্বাচনে আনা হচ্ছে, নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরও অনেক নেতা চলে আসতেন। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না। বিএনপির এ অপরাজনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সহযাত্রী হতে চান না বিধায় বা এ জ্বালাও-পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’
গতকাল একটি ব্রিফিংয়ে এসেছে, গাড়িতে যারা আগুন দিচ্ছে তাদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং এই ফুটেজ তাদের নেতা-নেত্রীদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
এই অর্থায়ন কারা করছে এবং কারা এই নেতা নেত্রী- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছেন সেখানে।’
তিনি বলেন, ‘এটি কী জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য যে- গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি আবার লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে, তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’
এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ? এমন প্রশ্ন রেখে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো তো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এরকম কাজ করে না। তাদের রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে। তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর। এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটনার জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা এ ধরনের গুজব রটায় তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের ব্যাপারে নোটিফাই করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে মামলা করার জন্য আমাদের দলের যারা রয়েছে তাদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতারা আত্মগোপনে থেকে কর্মীদের দিয়ে গাড়ি পোড়ানোই বিএনপির অবরোধ: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও সেসব দেশের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলনকক্ষে অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অধিদপ্তর মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যে এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয় সেগুলোর ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল এবং আগের তুলনায় সেটি কমেছে। আপনারা দেখেছেন, এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি ও জামাত তাদের যেসব পেইড এজেন্টদের ঠিক মতো পয়সা দেয়নি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাদের অডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কয়েক জায়গায় মামলাও করেছে। সুতরাং কেউ যদি মনে করে যে বিদেশে বসে বসে গুজব রটাবে আর সে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকবে সেটি কিন্তু নয়।’
এখন নির্বাচন নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার টিকার বিরুদ্ধে এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকার জন্য মূলধারার গণমাধ্যমকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিকদের অনুরোধ করব, আগে যেমন আপনারা জাতির প্রয়োজনের নিরীখে এবং করোনার সময়েও যেভাবে কাজ করেছেন এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে, অপপ্রচার করতে না পারে, সেজন্য আপনারা আগের মতোই গুজবের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন, সেটিই আমার প্রত্যাশা। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিরুদ্ধে যদি 'কাউন্টার পোস্ট' দেওয়া হয় তাহলে গুজব সহজে ছড়াবে না। এ জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।’
এর আগে তথ্যমন্ত্রী তথ্য অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং কাজের মান ও পরিমাণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।
সভায় বক্তব্য দেন- প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিলের উপস্থিতিতে উপপ্রধান গুজব প্রতিরোধ ও ফ্যাক্টস চেকিং বিষয়ে অধিদপ্তরের কার্যাদি উপস্থাপন করেন- তথ্য কর্মকর্তা নাসরীন জাহান লিপি এবং তথ্য কর্মকর্তা গাজী শরীফা ইয়াছমিন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে পরিচালিত এ কার্যক্রমের অধীনে ৭৩টি তথ্য বিবরণী, ৩৭টি আইকনোটেক্সট এবং ৪টি ভিডিও তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের ফ্যাক্ট চেকিং সেবা বক্স, ফেইসবুক পাতা ‘পিআইডি; এবং ‘পিআইডি বিডি’ এবং ইউটিউব ‘পিআইডি বাংলাদেশ’ চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আমেজে ঢাকা পড়ে গেছে বিএনপির বর্জনের ডাক: তথ্যমন্ত্রী
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী