আইন আদালত
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর মৃত্যুদণ্ড
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বেগম শায়লা (৩৮) গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বর্ধনকুঠি এলাকার মৃত মছির উদ্দিনের স্ত্রী।
এসময় রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সোহাগ, বিপুল মিয়া, রমজান আলী ও সাজু মিয়া। তাদের বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স জানান, ২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াঘাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের সাহেবগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে পারভীন বেগম শায়লাকে ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে গোবিন্দগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল হক বাদী হয়ে একটি মাদক মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে শিশু হত্যা মামলায় চাচীর যাবজ্জীবন
ফেনীর পশুরামে বক্স মাহমুদ ইউনিয়নে ভাতিজা হত্যা মামলায় চাচী আর্জিনা আক্তারকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড.বেগম জেবুননেছার আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন হাফেজ আহাম্মদ ও আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস ছাত্তার।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. কামাল উদ্দিন জানান, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের জমি থেকে শিশু তরিকুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুর বাবা মাওলানা আবু বকর বাদী হয়ে পরশুরাম মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে ২৩ নভেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে চাচি আরজিনা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। একপর্যায় ২৪ নভেম্বর ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে আসামি আরজিনা আক্তার হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিয়াউল জব্বার আরজিনাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর চার্জ গঠন হয় এবং ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি এ মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। এ মামলার ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসক ও বাদীসহ ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ, ৩১ মার্চ শুনানি
অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। আগামী ৩১ মার্চ চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি এবং জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করে দেন আদালত।
গত ৭ মার্চ সম্রাটের আইনজীবী আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ ও জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং ইতোপূর্বে দাখিল করা জামিন শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
আদালত এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন। সেখানে ৩১ মার্চ চার্জ শুনানি এবং জামিন শুনানির দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
এর আগে এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়।
গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
খুলনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন
খুলনায় প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম করাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় দেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদ সরদার ওরফে আসাদউজ্জামান সরদার আরিফ বাগেরহাটের ফকিরহাটের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুরুল সরদারের ছেলে।
নিহত জেসমিন নাহার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ বাউন্ডারি রোড এলাকার বাসিন্দা রাশেদ মল্লিকের ছোট মেয়ে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মো. আব্দুল হালিম গাজী, শেখ ফরহাদ আহমেদ, অনুপম মহলদার ও সৈয়দ ইমাম মোসাদ্দেকীন ওরফে মোহর।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর মায়ের নাকফুল মেরামত ও উপটান কিনতে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেসমিন নাহার বাড়ি থেকে বের হন। পরবর্তীতে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুজি করে পরিবারের সদস্যরা। সম্ভাব্য সব জায়গায় খবর নিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর দুদিন পর সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বড় বয়রার দাসপাড়া এলাকার একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে পলিথিনে মোড়ানো বস্তার মধ্যে থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিনই নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১০ জুন উল্লেখিত আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির এসআই পলাশ গোলদার।
আরও পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস আগে আসাদ নামে এক যুবকের সঙ্গে নিহত ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর বিকালে আসাদের সঙ্গে দেখা করতে যায় সে। পরে তাকে স্থানীয় একটি বাড়িতে নিয়ে যান আসাদ। ওইখানে তাকে বিয়ের আশ্বাসে কুপ্রস্তাব দেয়। তাতে সাড়া না দেয়ায় জেসমিনকে প্রথমে গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা দেয়া হয়। আঘাত পেয়ে জেসমিন চিৎকার করলে আসাদ তার মুখ চেপে ধরে তার তিনবন্ধু জেসমিনের হাত ও পা চেপে রাখে। এরপর তার মৃত্যু হলে পলিথিন পেঁচিয়ে বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে বয়রা হাজী ফয়েজ উদ্দিন সড়কের কবরস্থানে ফেলে আসে আসামিরা। স্থানীয়রা লাশ দেখে থানায় খরব দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
হাইকোর্টে অভিনেত্রী সুবাহর জামিন
আলোচিত গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসাইন সুবাহকে ছয় সপ্তহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বশরীরে হাজির হয়ে আবেদন জানালে সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: চেম্বার কোর্টের আদেশ কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুবাহর বিরুদ্ধে তার স্বামী ইলিয়াস হোসাইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইলিয়াসকে নিয়ে মানহানিকর নানা মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন সুবাহ। এমনকি স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করেছেন তিনি। এসব কারণেই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন ইলিয়াস।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় ঢাবি অধ্যাপক তাজমেরীর জামিন
মামলার এজাহারে ইলিয়াস দাবি করেছেন, বিভিন্ন সময়ে সুবাহ তাকে ‘ব্লাকমেইলও করেছেন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন সুবাহ।
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুমিল্লায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার অভিযোগে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার সকালে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কাজিয়াতল এলাকার মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, মো. শফিক ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
বন কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে শিয়াল জবাই করে পাঁচশ টাকা কেজি ধরে মাংস বিক্রি করেন স্থানীয় একদল যুবক। আর এই মাংসের ক্রেতা পাওয়ার জন্য ফেসবুকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে যোগাযোগও করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা পাওয়ার জন্য শফিকুল ইসলাম নামে একজন তার ফেসবুক আইডিতে শিয়ালের মাংস কাটার ছবিসহ মোবাইল নম্বর দিয়েছেন। উক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিয়ালের মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখা আছে। কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে এসে ফোন দিলে আপনাকে সিরিভ করা হবে।
তিনি জানান, পরে আমরা এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ফাঁদ পেতে কিংবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা শিয়াল ধরে জবাই করে। যা আইনবিরোধী কাজ। নানা রোগের ওষুধ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে জবেহ করা শিয়ালের মাংস পাঁচশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, ফেসবুকে বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করার বেশ কয়েকটি ছবি আমরা পেয়েছি। এটি আইনত অপরাধদণ্ডনীয় অপরাধ, তাই মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গাঁজা ও ফেনসিডিল জব্দ, আটক ৩
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম বলেন, ঘটনাটি সঠিক; আমরা তদন্ত করছি। এখনও কোন আসামি ধরা পড়েনি। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে সিইসির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
জোনায়েদ সাকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া হাইকোর্ট এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে জোনায়েদ সাকির আদালত অবমাননার মামলা
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দিতে রায় দেয়া হয়। কিন্তু ওই রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী।
আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে। পরের বছর ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী উচ্চ আদালতে রিট করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রিট মামলায় উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল মঞ্জুর করেন এবং রায় ও আদেশের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দেয়ার আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয় এবং আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়।
তিনি জানান, আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে এ রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছর ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আগের সিইসির মেয়াদ শেষ হয়। পরে নতুন সিইসি নিয়োগ পান। তাই আবেদন সংশোধন করে নতুন সিইসিকে বিবাদী করা হয়।
নড়াইলে অস্ত্র মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে অস্ত্র মামলায় আক্তারুজ্জামান বাবুল ওরফে কোবরা বাবুল নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
এ মামলায় অপর দুই আসামি মাসুম ওরফে গ্রিল মাসুম ও খন্দকার নাসিম বিলল্লাহকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম জানতে পারে ভওয়াখালীর একটি বাড়িতে অস্ত্র কেনা-বেচা চলছে। এসময় পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে আক্তারুজ্জামান বাবুল ওরফে কোবরা বাবুল, মাসুম ওরফে গ্রিল মাসুম ও খন্দকার নাসিম বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। তাদের তল্লাশি করে বাবুলের কাছ থেকে ৬ রাউন্ডগুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়া ঘরের মধ্য থেকে ১১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক কারবারির যাবজ্জীবন
এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনায় জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কারাগারে শপথ নিলেন মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এসময় মিলের গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে দুদকের টিম সরেজমিনে গোডাউনে গেলে সেখানে কোনো মালামাল পায়নি।
জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ব্যাংকের ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় জেলা দুদক কর্মকর্তা আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আমিন মোল্লা, গুদাম রক্ষক দিলিপ কুমার অধিকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুদকের মামলায় দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কারাগারে
১৯৯৬ সালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, পুরাতন এই মামলার আসামি আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে খুলনায় আনা হলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
নড়াইলে মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় অহিদা বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলার অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার আসামির উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলা বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে অক্টোবর ১৩ নড়াইল ডিবি পুলিশের এসআই মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি দল মাদক উদ্ধার অভিযান চালায়। এই সময় সদরের সীতারামপুর এলাকায় যশোর-নড়াইল সড়কে যশোর থেকে ছেড়ে আসা নড়াইলগামী একটি প্রাইভেট কার তল্লাশি করে। পরে গাড়ির চালকসহ চার জন যাত্রী ও সাজাপ্রাপ্ত নারীর কাছ থেকে ১০০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: গরম তেলে ঝলসে বড় ভাইকে হত্যায় ছোট ভাইয়ের কারাদণ্ড
উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন। অপর আসামিদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।