আইন আদালত
১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত সুপ্রিম কোর্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ভাতা বাড়ানোর বিল পেশ
এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গত বছরের ১১ মে থেকে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম চালু হয়। তবে হাইকোর্ট বিভাগের কিছু বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতিতে এবং কয়েকটি বেঞ্চ ভার্চুয়ালে চলছিল। এখন ১ ডিসেম্বর থেকে সব আদালত শারীরিক উপস্থিতিতে চলবে।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানি রোধে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
নাটক-শর্টফিল্ম-ওয়েব সিরিজ প্রচারে সেন্সর বোর্ড গঠনে রুল জারি
টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক,শর্ট ফিল্ম এবং ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড গঠন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে টিভি এবং ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে নাটক, শর্ট ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি সেন্সর বোর্ড বা রেগুলেটরি কমিশন বা কন্ট্রোলটিং বডি বা অথরিটি বোর্ড গঠন করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান,‘ঘটনা সত্য’র প্রযোজক এবং পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেইনিং সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এ রিট করেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুসরাত জাহান, মো.তারিকুল ইসলাম (তারেক) ও মোশাররফ হোসেন মনির।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
পরে নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায় অনুযায়ী একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করার কথা। কিন্তু এ কমিশনটি এখন পর্যন্ত গঠন হয়নি। আপনারা অবগত আছেন কোরবানির ঈদের সময় একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল ‘ঘটনা সত্য’। ওই নাটকে একটি সংলাপ এসেছে। এটা মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এটা খুবই আপত্তিকর (প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে)। এটা নিয়ে ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কিন্তু সব সময় তো সম্ভব না। এ কারণে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি যাতে সম্প্রচার কমিশনটা করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।’
হাতির বিরুদ্ধে থানায় জিডি!
চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে এসে হাতির দল ফসলি জমি নষ্ট ও মানুষ হত্যার করে চলছে। এবার সেই হাতির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে স্থানীয় এক কৃষক।
গুদাম ধান খেয়ে ফেলায় বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা গ্রামের কুষক নিপুল কুমার সেন শনিবার থানা এই জিডি করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ২-৩টি বন্য হাতি বসত বাড়ির আঙিনায় থাকা ধানের গোলা ভেঙে প্রায় ১৫০ আড়ি (দেড় টন) ধান খেয়ে ফেলে। এসব ধানের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, প্রায়ই পাহাড় থেকে বন্য হাতি নেমে লোকালয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, হাতি গোলার ধান খেয়ে ফেলায় এক ব্যক্তি সাধারণ ডায়েরি করেছেন থানায়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন গঠন নিয়ে রুল জারি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাধীন পুলিশ তদন্ত কমিশন কেন গঠন করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করছেন আদালত।
রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে স্বাধীন ‘পুলিশ অভিযোগ তদন্ত কমিশন’ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০২ আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির চলতি বছরের ১ মার্চ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটের সংযুক্তিতে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পুলিশ কর্তৃক সংগঠিত ৫০০ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলব
নোটিশের সাথে উক্ত ঘটনাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে পুলিশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ বিচারবহির্ভূত হত্যা; হেফাজতে মৃত্যু; হেফাজতে নির্যাতন; গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়; খুন, মারধর, হুমকি ও হয়রানি; ধর্ষণ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন; চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও লুটপাট; চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়; জমি দখল ও সম্পত্তি বিনষ্টকরণ; মাদক ব্যবসা ও উদ্ধারকৃত মাদক আত্মসাৎ; স্বেচ্ছাচারী আটক ও আটক বাণিজ্য; অপরাধীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া; মামলা নিতে গড়িমসি ও মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ; মিথ্যা ও পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি; তদন্তে গাফিলতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ; সাংবাদিক নির্যাতন; কর্তব্যে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিনষ্টকরণ ও আসামিদের নাম বাদ দেয়া এবং নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতিতে দুর্নীতিসহ মোট ১৮ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। উক্ত রিটে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর দুর্বলতা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের অভাবকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বর্তমান আইনি কাঠামোতে পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তভার পুলিশের ওপরেই ন্যস্ত। ফলে বিচারের প্রাথমিক ধাপ ‘তদন্ত’ সঠিক ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয় না। প্রস্তাবিত পুলিশ অধ্যাদেশ ২০০৭ এর ৭১ দফায় ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট কমিশন’ গঠনের বিধান ছিল। কিন্তু সেই অধ্যাদেশ আজও আলোর মুখ দেখেনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে পুলিশ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করতে আলাদা কর্তৃপক্ষ/কমিশন গঠনের জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, কেনিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও মাল্টাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন কার্যকর আছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশের ডিজিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
২০০৬ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট বিখ্যাত প্রকাশ সিং বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া মামলায় পুলিশ ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন। নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যে ২৭ অঙ্গরাজ্যে ‘পুলিশ কমপ্লেইন্ট অথরিটি’ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের কমিশন বা কর্তৃপক্ষ গঠনের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার, পুলিশ রিমান্ড ও পুলিশের পেশাদারিত্বের উন্নয়নে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৩) ও ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় ১ ব্যক্তির যাবজ্জীবন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মমিনুল ইসলাম হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সুফিয়ান জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের পারকালুপুর গ্রামে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের পারকালুপুর গ্রামের মমিনুল ইসলামের বাড়ির টয়লেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২০ জুলাই প্রতিপক্ষ সুফিয়ানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুফিয়ান মমিনুলের গলায় হাসুয়া দিয়ে আঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহত’র স্ত্রী সীমা বেগম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় সুফিয়ানকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এস আই) বানী ইসরাইল একই সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সুফিয়ানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণাদী শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হত্যা মামলায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড, বাবাসহ ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলের নড়াগাতী থানার কালিনগর গ্রামে ফিরোজ ভূঁইয়া হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর ভূঁইয়া (৫০) জেলার কালিনগর গ্রামের ছায়েন উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাবা ছায়েন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার দুই ছেলে হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া (৫৫) ও জঙ্গু ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশু হত্যা মামলায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় চার আসামির মধ্যে জঙ্গু ভূঁইয়া ছাড়া অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নড়াইলের নড়াগাতী থানার কালিনগর গ্রামে বাদী রবিউল ইসলাম ভূঁইয়াদের সাথে আসামিপক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি কালিনগর বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে শালিস বৈঠক হয়। এরপর দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাদীর ভাই ফিরোজ ভূঁইয়াকে কালিনগর বাজার এলাকায় দেশি অস্ত্র ধারালো গুপ্তি বুকে ঢুকিয়ে হত্যা করে। ১৬ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
নিজের স্বামী প্রমাণ করতে ১৪ বছর লাগল বিউটির
বিয়ের তিন বছর পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন স্বামী রাছুল আমিন। নিরূপায় হয়ে আইনের আশ্রায় নেন বিউটি খাতুন। তলবি দেনমোহর দাবি করে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করেন।
এদিকে, মামলার পর নিজে আসল স্বামী নয় প্রমাণ করতে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেন স্বামী রাছুল আমিন। কাবিনসহ বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষর করে প্রতারণার মহাজাল বিস্তার করেন। এ নিয়ে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কাবিন জালিয়াতি করার অভিযোগে মামলাও করেন। নিজে রাছুল আমিন নয় দাবি করে মামলায় তিনি গোলাম রছুল নাম ধারণ করেন। ১৪ বছর মামলা চলার পর রছুল আমিন ওরফে রাছুল আমিন বিজ্ঞ আদালতের পর্যবেক্ষণে দোষী প্রমাণিত হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পারিবারিক আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. ফরিদুজ্জামান বাদীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাঢ়িপাড়া গ্রামে এই ঘটনাট ঘটে এবং গত ২৬ অক্টোবর উক্ত মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সাহসিকতা সম্মাননা পেল কুড়িগ্রামের ৭ কিশোরী
২০০৪ সালের ২৬ জুন একই উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে রছুল আমিন ওরফে রাছুল আমিনের সাথে গ্রামের ইসমাইলের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এই দম্পত্তি তিন বছ সংসারও করেন। এখনো বিউটি বেগম তার স্ত্রী।
এদিকে পিতার বাড়িতে ফেলে রেখে বিউটি বেগমের কাছে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন রাছুল আমিন। অবশেষে ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পারিবারিক আদালতে মামলা করেন বিউটি।
মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে রাছুল আমিন নিজেকে গোলাম রছুল হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করেন। বাদী বিউটি বেগমের দাবি মিথ্যা প্রমাণের জন্য বিবাদী যত রকমের আইনগত বিধান আছে তার সুযোগ নিয়ে মামলাটি নিষ্পতিত্তে বাধা দেন। আর এই ভাবেই ১৪ বছর কেটে যায়।
বাদী বিউটির লিখিত আরজিতে উল্লেখিত রাছুল আমিন মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিকারী গোলাম রসুল একই ব্যক্তি বলে রায় দেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে
রায়ে উল্লেখ করা হয়, মুসলিম আইন অনুসারে বিয়ে প্রমাণের জন্য যেসব বিধান আছে তা বাদী বিউটি বেগম প্রতিপালন করেছেন। বিয়ের ইমাম, কাজী (নিকাহ রেজিষ্টার) ও বাদীর ভাই বিউটি বেগমের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সার্বিক আলোচনা থেকে বিজ্ঞ আদালত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বাদী ও বিবাদীর মধ্যে বৈধভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তারা ঘর-সংসার করেছেন এবং এখনো তাদের মধ্যে বৈবাহিক অবস্থা বহাল আছে। ফলে বাদী তার দেন মোহর বাবদ বিবাদীর বিরুদ্ধে এক লাখ এক টাকার ডিক্রি প্রাপ্তির অধিকারী। বাদী তার দেনমোহর ও ভরণপোষন বাবদ বিবাদীর বিরুদ্ধে সর্বমোট চার লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৯ টাকার ডিক্রি লাভ করেন। রায় ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে ডিক্রিকৃত সমুদয় অর্থ বাদীকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
সাইবার মামলায় সিলেটে ফটোসাংবাদিক গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দৈনিক সবুজ সিলেটের সিনিয়র ফটোগ্রাফার নিজাম উদ্দিন টিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, টিপু এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানার একটি মামলার পলাতক আসামি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
থানা সূত্র জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সবুজ সিলেটের সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ বাপ্পি,হৃদয়,নিজাম উদ্দিন টিপুসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ মামলায় সবুজ সিলেটের সম্পাদক মুজিবুর রহমান,স্টাফ রিপোর্টার বাপ্পি ও হৃদয় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও নিজাম উদ্দিন টিপু জামিন নেননি।
মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নিজাম উদ্দিন টিপুকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে বলে থানা সূত্র জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হামিদুজ্জামান রবি মারা গেছেন
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর মুজিবুর রহমানসহ সিলেটের আরও তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা রেকর্ড করে শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশ।
জবি শিক্ষকের মৃত্যু: বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একজন জেলা জজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটিকে অনুসন্ধান করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে বাকি দুই জন সদস্য হলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয় এমন একজন চিকিৎসক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার একজন আইন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও কামরুল ইসলাম মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, চিকিৎসার অবহেলার ক্ষেত্রে একটি আইনগত কাঠামো তৈরির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং এই মৃত্যুও ঘটনায় বাবলির পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না। রিট আবেদনটির ফাইলিং লইয়ার ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদ আদেশ ও রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রিট আবেদনটির ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাঈদা নাসরিন বাবলীর পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান ইউজারসিফ মাহমুদ বর্ণভ বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। সাঈদা নাসরিন বাবলী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
জানা গেছে, গত ২০ জুন সাঈদা নাসরিন বাবলী (৩৫) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ২১ জুন থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৭ জুলাই তিনি মারা যান। বাবলীর এই মৃত্যুতে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ এনে ১২ অক্টোবর হাইকোর্টের রিটটি করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাবলী ৩২তম বিসিএসে এডুকেশন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
বিবস্ত্র করে নির্যাতনে বেগমগঞ্জে ওসিসহ ৩ পুলিশকে বরখাস্তের রায় স্থগিত
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় সে সময়ে দায়িত্বে থাকা তৎকালীন ওসিসহ তিন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সাথে এ বিষয়ে তিন পুলিশের করা আবেদনটির ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৮ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিন পুলিশের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- বেগমগঞ্জ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী, উপপরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ইসলাম।
আদালতে পুলিশের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
তারা হলেন- ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, এস আই হাবিবুর রহমান, এএসআই মফিজুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও চৌকিদার আলী আসগর।
আরও পড়ুন: গ্রাম পুলিশদের বেতন গ্রেড নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। তৎকালীন ওসি, একজন এসআই ও এএসআইকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং চৌকিদারকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে এলজিআরডি সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। পরে হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, এস আই হাবিবুর রহমান, এএসআই মফিজুল ইসলাম।
গত বছর ২ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে ৩৭ বছরের নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর এলাকার দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা। তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্মম নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখেন। পরে ওই নারীকে হামলাকারীরা কুপ্রস্তাব দেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তারা ধারণ করা ভিডিও চিত্র ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়। এতে ঘটনাটি জানাজানি হয় এবং সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে গত বছরের ৫ অক্টোবর ঘটনাটি আদালতের নজরে আনার পর বিবস্ত্র করার ফুটেজ বিষয়টি অনলাইন ফ্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সময় সিডি বা পেনড্রাইভে কপি রেখে ভিডিও ফুটেজ সরাতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ওই নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়। একইসাথে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য নিতে পুলিশের কোনো অবহেলা আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন আদালত। কমিটিকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, অনীক আর হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আরও পড়ুন: জাহালমের ক্ষতিপূরণের রায় স্থগিত চায় ব্র্যাক ব্যাংক
পরে আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রধান ছিলেন চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাশার। সদস্য ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন ও জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। আদালতে ওই কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে অবহেলা পাওয়ায় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় চৌকিদারের বিষয়ে আদালত যৌক্তিক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিতে পারে বলে মত দেয়া হয়। এরপর সেই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২৮ অক্টোবর রায় দেন হাইকোর্ট।