গ্রেপ্তার
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক মান্নান হোসেন (৩৯) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন মান্নান।
তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আর্মড পুলিশ তাকে থামায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন।
পরে ওই ব্যক্তির মলদ্বারের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ১১ জুলাই আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ একই ব্যক্তিকে (মান্নান) আটক করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। কিন্তু তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আজ (বৃহস্পতিবার) আবার গ্রেপ্তার হন।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
হারানো ২৭ মোবাইল সেট প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে এপিবিএন
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে (৯ নভেম্বর) শহরের বেপারীপাড়া এলাকা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল থানা পুলিশ।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, গত ২৯ অক্টোবর টাঙ্গাইল সদর থানায় দায়ের করা সংঘর্ষ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতাদের পরিবারের সদস্যদের আটকের অভিযোগ বিএনপির
তিনি আরও বলেন, এই মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। এখন তিনি থানা হেফাজতে আছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে গত ২৯ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৯৪ জন বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে করে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫০০ জনকে। গত ২৮ অক্টোবর থেকে এসব মামলায় প্রায় পৌনে ২০০ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে তারা টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু আটক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী কারাগারে
কুড়িগ্রামে পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, গত ৬ নভেম্বর বিকালের দিকে নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চান। থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চান।
একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সব দিয়ে দেন।
একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছেন।
পুলিশ আরও জানায়, বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নম্বর সংগ্রহ করে যে নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি।
একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কণ্ঠে মুন্সিকে বলেন, ‘এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছ কেন, রেখে দাও।’ কণ্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় এলে মুন্সি ওসিকে ঘটনাটি জানান। এরপর পুরো ঘটনা শুনে ওসি বুঝতে পেরে ওই রাতে থানায় সব অভিযোগকারীর মোবাইল নম্বরে কল দিতে বলেন।
তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একইভাবে কল ও একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন জানান। পরে মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. রুহুল আমীন বলেন, ওই ফোন করে কয়েকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়েছিল। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না- এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন: ডিএমপি
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা আমান গ্রেপ্তার
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লা আমানকে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার জন্য বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশনা ছিল।
গ্রেপ্তার আমান উল্লাহ আমান ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য সচিব।
সিটিটিসি প্রধান আসাদ আরও বলেন, আমানউল্লাহ আমানসহ হামলাকারীরা আগে থেকেই পুলিশের মনোবল ভাঙতে এবং প্রয়োজনে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে 'চাঞ্চল্যকর' তথ্য পাওয়ার দাবি সিটিটিসি’র
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা আমান জানান, বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের সময় আমান তার অনুসারীদের নিয়ে মঞ্চের পাশে অবস্থান নেন।
এরই মধ্যে কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের হাইকমান্ডের নির্দেশে আমান বিপুল সংখ্যক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে ভিক্টোরি হোটেল লেন দিয়ে অগ্রসর হতে থাকে এবং পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে।
তিনি বলেন, বক্স কালভার্ট রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত ডিআর টাওয়ার এবং আশেপাশের স্থাপনায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এরপর আমানের অনুসারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, এ সময় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ ইটের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। ‘আমিরুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং লাশ রাস্তায় পড়ে ছিল কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাকে নির্মমভাবে মারধর করতে থাকে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।’আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রদল নেতা রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘বিভিন্ন ফুটেজ ও স্থিরচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জেলার সফিপুর ও কোনাবাড়ীর একাধিক পোশাক কারখানায় কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হোসেনের নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।’
আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে 'চাঞ্চল্যকর' তথ্য পাওয়ার দাবি সিটিটিসি’র
তিনি আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিকে পুঁজি করে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তার নেতৃত্বে এসব অপরাধ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের চৌকস টিম অনুসন্ধান করে গতকাল তাকে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বিগ্ন ইইউ
বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করায় উদ্বিগ্ন ইইউ
বাংলাদেশে বিরোধী দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল। একই সঙ্গে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার( ৫ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে ৮,০০০ এরও বেশি বিরোধী দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন। সব ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার হওয়া উচিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ প্রতিনিধি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সংলাপে যোগ দিতে ১০ নভেম্বর ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার অনুকূলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পথ খুঁজে বের করা জরুরি।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো দ্বিতীয় দফায় দেশব্যাপী অবরোধ অব্যাহত রেখেছে,এতে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে এবং আন্তঃজেলা রুটে তুলনামূলকভাবে কম যানবাহন চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ৭২-এর সংবিধানের ওপর গবেষণা করার আহ্বান
সিলেটে এটিএম বুথে চুরি হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযানে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে মৃত গরুর মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা
প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলতাব হোসেন লিমন (২২), মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে লিমন ও আমিনুল সিকিউরেক্সের কর্মী।
তাদের মধ্যে লিমনকে সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন সাজেদা টাওয়ারস্থ সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস এবং নুরুলকে ভৈরব থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
তিনি জানান, গেল ৩ নভেম্বর মামলা দায়েরের পরই অভিযান চালিয়ে সিকিউরেক্স কোম্পানির এটিএম কর্মকর্তা আসামি আলবাব হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নুরুল ইসলাম মুন্না নামে আরেকজনকে ভৈরব থেকে আটক করে তার হেফাজত থেকে আরও ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক অপহরণ: কারাগারে সিসিকের ৪ কর্মচারী
পরে আসামি আমিনুলকে সিকিউরেক্স কোম্পানির ঢাকাস্থ অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে আরও ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন।
এসব টাকা উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অতীতে ইসলামী ব্যাংকের আরও ৮ লাখ টাকা চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এসব কর্মকাণ্ডে সিকিউরিটি কোম্পানির গাফিলতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ৩০ অক্টোবর বুথে ‘ক্যাশ জ্যাম’– সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে বুথে গিয়ে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গরমিল পায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের দুই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ব্যাংকটির সিলেট অঞ্চলের এটিএম বুথের ইনচার্জ সন্দীপন দাস।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে ওই বুথে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক, চোখে কালো চশমা ও হাতে গ্লাভস পরা দুই ব্যক্তি সুবিদবাজার এলাকার এটিএম বুথে প্রবেশ করেন। বুথের আশপাশে নিরাপত্তাপ্রহরী উপস্থিত ছিলেন না।
ওই দুই ব্যক্তি বুথের ভেতরে প্রবেশ করেন। সে সময় একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খোলেন এবং অন্যজন তার পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে নিরাপত্তাপ্রহরীকে বুথের সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়। ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তির দিকে উঁকি দেন।
ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে নিরাপত্তাপ্রহরীকে শাটার নামানোর জন্য ইশারা দিতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তাপ্রহরী শাটার নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই দুই ব্যক্তি বুথের লকার খুলে ভল্ট নামিয়ে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যাগে ভরেন।
আরও পড়ুন: সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
উত্তরায় পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা, ছাত্রদলকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগে এক ছাত্রদলকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কর্মীর নাম জিএম হাসান। তিনি ছাত্রদলের গাজীপুর নগর শাখার সাবেক সহসভাপতি।
উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকার পূবালী ব্যাংকের সামনে সকাল সাড়ে ৭টায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খিলগাঁওয়ে বাসে আগুন, যাত্রী দগ্ধ
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (অপারেশন) পার্থ প্রতীম ব্রহ্মচারি বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওই এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছুঁড়েছিল দুর্বৃত্তরা। একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করে।
পার্থ বলেন, অবিস্ফোরিত বোমাটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সারাদেশে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের মধ্যে আজ সকাল থেকে রাজধানীজুড়ে পিকেটিং ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হরতালে বাসে আগুন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধ চলছে
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
অপরাধ করার কারণে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের করিডোরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী।
এ নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। এ ছাড়া আমাদের সব বিষয়ে তিনি আলাপ করেছেন।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
রাজশাহীর স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ফাতেমা সিদ্দিকাকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৬৫ রাউন্ড গুলি-অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ২
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজশাহীর নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জামাত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কথা এবং তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ।
ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের একটি দল ফাতেমা সিদ্দিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের তার সম্পৃক্ত পাওয়া যায়।
ওসি আরও বলেন, চলতি বছরের মে মাসে শাহমখদুম থানায় করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া জামাত-শিবির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও তাদের অর্থের যোগান দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢোকে।
এরপর সন্ধ্যায় ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। এ সময় অভিযানের অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
রাজশাহী মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, এইমাত্র খবর পেলাম ডাক্তার ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। কেন নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারব না। তিনি আমাদের একজন সুধী। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
ডাচ বাংলার বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ১