গ্রেপ্তার
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে অবৈধ মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ফেনসিডিল ও ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, নগরীর চারতলা মোড় এলাকার এসএম মীর কাশেমের ছেলে এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানার বাগডাঙ্গা এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মাসুদ রানা, রংপুর নগরীর আশরতপুর পার্কের মোড় এলাকার মৃত জাহিদুল ইসলামের ছেলে সামিউল আলম অরফে রতন, নগরীর ধর্মদাস মিলনপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন এবং নগরীর শালবন এলাকার আব্দুল মালেক ব্যাপারীর ছেলে শিপন মিয়া।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
পুলিশ জানায়, এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকন চারতলা মোড় এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ির ছয়তলা ভবনের ছাদে টুইন রুফটপ রেস্টুরেন্ট নামে ব্যবসা শুরু করেন।
ব্যবসার আড়ালেই অধিক লোভের আশায় মাদকের কারবারও শুরু করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করছেন তিনি। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি ওই রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনার সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন ওই ভবনের মালিক এসএম মুঞ্জুর মোর্শেদ লিংকনসহ অন্যরা।
এসময় ১৬৩টি ইয়াবা ও ৪১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান জানান, এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আরও কেউ কিংবা অন্য কোনো রেস্টুরেন্টের যোগসূত্র আছে কি না অথবা এখান থেকে কারা কারা মাদক ক্রয় বিক্রয় করে সেগুলো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি, মূলহোতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে ‘চিরকুট’ লিখে মিটার চুরি চক্রের মূলহোতা আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আক্কাস আলী কাহালু উপজেলার মৃত আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান বলেন, ফসলের মাঠে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে একটি মোবাইল নম্বর লিখে চিরকুট ফেলে আসে সংঘবদ্ধ চক্র।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ করলে মিটার ফেরত দেওয়ার শর্তে টাকা চাওয়া হয়। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরপরই মিটার কোথায় আছে বলে দেন তারা।
আরও পড়ুন: চমেকে চুরি যাওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, আটক ২
এসআই বলেন, মিটার চুরির পর কথা বলা এবং আর্থিক লেনদেন করা মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) আদালতে হাজির করা হলে চুরির বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, ২ নারী আটক
শনিবার নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চামটা মৌজার পুনাইল পূর্বমাঠে অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী মণ্ডলের গভীর নলকূপের মিটার ও ইউসুফ আলী কাজীর মিটার চুরি হয়।
সংঘবদ্ধ চক্র নলকূপের দরজার সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিখে চিরকুট রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগের পর নগদের মাধ্যমে সাত হাজার টাকা পাঠানোর পর চুরি যাওয়া বৈদ্যুতিক মিটার সরিষা খেতে লুকানো আছে বলে জানায় চক্রের সদস্য।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম-রংপুর রেললাইন থেকে বোল্ট চুরি
সেখানে দুটি মিটার পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা আরও বলেন, ‘আপনার মিটার চুরি হয়েছে, মিটার পেতে কল করুন’ এমন বার্তাসহ চিরকুট ফেলে যাওয়ার ঘটনা এ উপজেলায় বেশ আলোচিত।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
খুলনায় স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
ভারতে পাচারের সময় এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুলনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে পাচারকারী ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) লবনচরা থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় রংপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- খুলনার খালিশপুর এলাকার স্বর্ণ পাচারকারী ব্যাসদেব দে, লবনচরা থানার এসআই মোস্তফা জামান, এএসআই আহসান হাবীব ও কনস্টেবল মুরাদ।
তারা তিনজনই লবনচরা থানায় কর্মরত ছিলেন।
তাদের নামে লবনচরা থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোকলুকুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাসদেব দে একজন পেশাদার সোনা পাচারকারী। শুক্রবার দুপুরে তিনি ছয়টি সোনার বার ভারতে পাচারের জন্য টুঙ্গিপাড়া পরিবহনে করে সাতক্ষীরায় যাচ্ছিলেন। পরিবহনটি খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে থামিয়ে তল্লাশি চালান অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে পরিবহন থেকে ব্যাসদেব দে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিন পুলিশ সদস্য তাকে আটক করেন।
পরে তার কাছে থাকা ছয়টি সোনার বারের মধ্যে তিনটি ছিনিয়ে নেন তারা। বাকি তিনটি তাকে দিয়ে দেন এবং মোটরসাইকেলে করে তাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন। ছিনিয়ে নেওয়া তিনটি সোনার বারের মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: নরসিংদী-৪ আসনে ভোট কারচুপির অভিযোগে আ.লীগ প্রার্থীর ছেলেকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ ইসির
মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন ব্যাসদেব। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সত্যতার স্বীকার করেন। তখন অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সোনা পাচারকারীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯২ ধারায় মামলার পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: ধুনটে বার্মিজ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার
৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯টি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পাশাপাশি এ ৯টি মামলায় অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর
আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর রমনা মডেল ও পল্টন থানার পৃথক ৯টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার অধিকতর জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত ফখরুলের রমনার তিন ও পল্টনের ছয় মামলার গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানার আট মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় গত ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
ধুনটে বার্মিজ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ার ধুনটে বার্মিজ চাকুসহ রিফাত হাসান (২০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের নলডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সন্দ্বীপে অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রিফাত উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের ইসলামপুর (ঈশ্বরঘাট) গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ও ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক।
ধুনট উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবিএস সবুজ জানান, রিফাত বর্তমান কমিটিতে নেই। তবে আগের উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সে সময় রিফাতসহ আরও কয়েকজন সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নাশকতার মামলায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান জানান, বার্মিজ চাকুসহ রিফাত হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে থানায় মামলা দায়ের করে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, হাতবোমা উদ্ধার
খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়িতে গত ১৭ অক্টোবর গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম পিচ্চি মনির।
লালবাগ ডিবি পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, লালবাগ জোনের ডিবি পুলিশের একটি দল বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদশেষে কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ নভেম্বর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৭ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরে নিজ বাসার সামনে রমজান আলী ওরফে পেটকাটা রমজান নামে এক অপরাধীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চুরি যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র ও মাদক বিক্রি করে অর্জিত অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে পিচি মনিরের সঙ্গে রমজানের শত্রুতা ছিল।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
সিলেট মহানগর বিএনপি ও জেলা যুবদলের সভাপতি গ্রেপ্তার
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। (মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
(বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. মশিহুর রহমান সোহেল সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার সজিব কান্তি হালদার (৪২) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার টেকেরহাট এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ জানায়, রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২২ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া কোটি টাকা আত্মসাতকারী নারী আটক
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সজিব কান্তি হালদার ওই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তিনি প্রতারক চক্রের অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক দফায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্যাংক হিসাব ও নগদে সর্বমোট ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ‘ইমপেক্ট গ্লোবাল’ নামক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সজীব কান্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই আসামির ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। স্বল্প সময়ে, বিনাশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। ইতোমধ্যে বিগত বছরগুলোতে প্রতারক চক্রটি মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
চুয়াডাঙ্গায় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতে পাচারের সময় ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার উথলীতে অভিযান চালিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষিণ চাদপুর গ্রামের মো. পিন্টু বিশ্বাস (৫০ এবং ওই উপজেলার ইশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মো. সিয়াস হোসেন।
৫ কেজি ১৯৭ দশমিক ৯৭ গ্রাম ২৩টি স্বর্ণের বারের দাম ৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৫২০ টাকা।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পরিচালক মাসুদ পারভেজ রানা।
বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) একটি দল উথলী বিওপির পাশে অভিযান চালায়। দুপুর ১২টার দিকে একটি ইজিবাইক উথলী থেকে জীবননগর সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় তারা ইজিবাইকটি তল্লাশি করে স্বর্ণের বার জব্দ করে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
বিজিবি আরও জানায়, স্বর্ণের বারগুলো শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পরিবহন করা হচ্ছিল।
জীবননগর থানায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
বেনাপোল সীমান্তে ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১: বিজিবি
শাহ আমানত বিমানবন্দরে কোটি টাকার ৭টি স্বর্ণের বার জব্দ
বাগেরহাটে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের সুন্দরবনে ২৯ কেজি হরিণের মাংসসহ শফিকুল শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের বগুড়া নদীতে একটি স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় অভিযান চালিয়ে শফিকুলকে আটক করে পুলিশ।
এসময় ওই নৌকা থেকে চামড়াযুক্ত সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শফিকুল শেখ বাগেরহাটের রামপালের ভাগা গ্রামের হাসান আলীর ছেলে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাস জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বগুড়া নদীতে স্যালো ইঞ্জিনচালিত ওই নৌকায় অভিযান চালায়। এসময় সাড়ে ২৯ কেজি হরিণের মাসংসহ শিকারি চক্রের অন্যতম সদস্য শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। শফিকুল তার এক সহযোগীকে নিয়ে জেলে সেজে অবৈধভাবে সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে। এরপর জবাই করে চামড়াসহ হরিণের মাংস বিক্রির জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসে।
তিনি জানান, শফিকুলের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী ও সংরক্ষণ আইনে মামলা করার পর তাকে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হরিণের মাংস কেরোসিন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। শিকারি চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় হরিণের মাংস জব্দ, পল্লী বিদ্যুতের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় ৪টি হরিণের মৃত্যু
ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত: যুবদল নেতা ও সহযোগী গ্রেপ্তার
১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় এক যুবদল নেতা ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান যুবদল নেতা মো. ইখতিয়ার রহমান কবির এবং ঢাকার লালবাগ থানা এলাকার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও যুবদল নেতা মো. ইমন হোসেন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে রেললাইন কাটার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
দুজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শনিরআখড়া কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ।
এই ঘটনার জেরে ২৬ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির ঢাকার ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও বংশাল এলাকায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে স্বীকার করেছেন।
ডিএমপি কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ৮টি ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। যেগুলোয় এই এলাকায় অগ্নিসংযোগের পরিকল্পনা, নির্দেশ ও অর্থায়ন করা হয়েছিল।
এছাড়া বংশাল থানা এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগের সময় গ্রেপ্তার মো. জামাল হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ইখতিয়ার রহমান কবিরের নামও উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২