গ্রেপ্তার
২২ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি গ্রেপ্তার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ১৯৯৯ সালের আফজাল হোসেন হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহুবর রহমান (৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রংপুর শহরের বস্তি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন। দণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পলাতক ছিলেন।
গ্রেপ্তার মহুবর রহমান উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চর গোবর্দ্ধন গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, গরু খেত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে ১৯৯৯ সালের ২৭ মে স্থানীয় আফজাল হোসেন নামে একজনকে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাচু শেখ বাদি হয়ে এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৮) দায়ের করেন। এ মামলায় মহুবর রহমানকে প্রধান ও তার বাবা মনসুর আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়। ঘটনার দিনই এলাকা থেকে পালিয়ে যান প্রধান আসামি মহুবর রহমান। একই সালের ২ সেপ্টেম্বর তাদের বাবা ছেলেকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আদিতমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক। এ মামলায় ২০০৩ সালে প্রধান আসামি মহুবর রহমান ও তার বাবাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। বাবা মনসুর আলী গ্রেপ্তার থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ১৪ বছর সাজা ভোগ করলে সরকার তার বাকি সাজা মওকুফ করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি মহুবর রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ঘটনার দিন থেকে পলাতক থাকা মহুবর রহমান দীর্ঘ ২২ বছর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ছদ্মবেশে দিনমজুরের কাজ করে আত্মগোপনে থাকেন। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
৬ মাস আগে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন তাকে গ্রেপ্তার অনুসন্ধান চালান। কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা এসআই জয়নাল আবেদীন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সোর্স নিয়োগ করে আসামি মহুবর রহমানের অবস্থান জানতে পারেন। পুলিশের অভিযান বুঝতে পেয়ে গত মাসে কুমিল্লা শহর ছেড়ে আবারও ছদ্মবেশ নিয়ে রংপুর শহরের বস্তিতে বসতি গড়ে তোলেন আসামি মহুবর রহমান। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রংপুরের পুলিশের সহায়তা নিয়ে মহুবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন এসআই জয়নাল আবেদীন।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার মহুবর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
পাবনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে দেড় কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণসামগ্রী বহনকারী একটি ট্রাকের চাপায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক টিটু মিয়াকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় নেয়া হলেও পরে তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান চারুকলা অনুষদের ছাত্র মাহমুদ হাবিব হিমেল। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযা শেষে হিমেলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়। এর আগে সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মদপানে রুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজধানীতে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে রবিবার ভোরে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সোহাগ চৌধুরী (২৫), রিয়াজুল ইসলাম (২৪), আফরিজ চৌধুরী (২৫), শাওন (২০) ও মাহাবুবুল আলম শুভ (২৫)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
র্যাব সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা কক্সবাজার থেকে মাদক ক্রয় করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবক আটক, ৫ লাখ ইয়াবা জব্দ
খুলনায় ইজিবাইক চোর চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার
খুলনায় ইজিবাইক চোর চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় চুরি হওয়া তিনটি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে খানজাহান আলী থানা পুলিশ।
শুক্রবার রাতে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- খুলনা গল্লামারি লাইন্স স্কুল সংলগ্ন আবু তালেব শরিফের ছেলে তাজুল শরিফ (৩৫), খানজাহান আলী থানার গিলাতলা দক্ষিণ পাড়ার ওহিদ শেখের ছেলে মো. সোহেল রানা (১৯), নড়াইল নড়াগাতির সিদ্দিক শিকদারের ছেলে বিপুল শিকদার (৩০), টুঙ্গিপাড়ার নিলফা গ্রামের দবির মোল্লার ছেলে রনি মোল্লা, নড়াইল নড়াগাতির ওহাব মোল্লার ছেলে চুন্নু মোল্লা (২৮), নড়াইল কালিয়া গ্রামের কেরামত খন্দকারের ছেলে তুহিন খন্দকার (৪০) খুলনা তেরখাদার নলিয়ারচর এলাকার এলাহী শেখের ছেলে মিঠু শেখ (৩৫) ও নড়াইলের মৃত নুর মো. মোল্লার ছেলে মহাসিন মোল্লা (৪০)।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের নারী হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার
ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইস্তিয়াক, এএসআই নিতিশ বিশ্বাস তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ইজিবাইক চোর সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান তাজুল শরিফকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে ইজিবাইক সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও তিনটি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করে।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীবেশে দীর্ঘদিন থেকে এ কাজ করে আসছে। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরিসহ নানা মামলা রয়েছে।
শুক্রবার দুপরে তাদের আদালতে পাঠানো হয় এবং তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি ভুক্তভোগী দৌলতপুর থানা এলাকার মধ্যডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রনজিতা বেগম চুরির বিষয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, গত ২৭ ডিসেম্বর খুলনা গল্লামারি থেকে ইজিবাইক রিজার্ভ করে নারীসহ দুজন পুরুষ গিলাতলা জাহানাবাদ চিড়িয়াখানায় আসে। সেখানে এসে ইজিবাইক চালক সাকিবের মোবাইলে বিকাশে টাকা এনে সন্ধ্যার দিকে যাত্রীবেশে চোরচক্র নিজেরা জুস খায় এবং ইজিবাইক চালককে জুস খাইয়ে অচেতন করে ফুলতলার বেজেরডাঙ্গায় ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এলাকাবাসী ইজিবাইক চালককে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনদের খবর দেয়। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক সাকিবরে বাবা শহিদুল ইসলাম ১২ জানুয়ারি খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মানিকগঞ্জের নারী হত্যা মামলায় দম্পতি গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মারজিয়া আক্তার (৩০) নামে এক নারী হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরকে শুক্রবার ফৌজদারী কার্যবিধি’র ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর (খন্ডপাড়া) গ্রামের মৃত শেখ সিদ্দিকের ছেলে শেখ মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখা (৩৩)।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।
আরও পড়ুন: ২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
তিনি জানান, গত ১৪ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিংগাইরের ওয়াইজনগর হতে ফতেপুরগামী কাঁচা রাস্তার পশ্চিম পাশের খাল থেকে কার্টুন প্যাকেটে ভর্তি অর্ধগলিত গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্লুলেস হত্যা মামলা দায়েরের ১১ দিনের মধ্যে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামি মাসুদ নিজে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন এবং তার স্বীকারোক্তি ও তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, নিঃসন্তান মারজিয়া প্রায় সাত বছর আগে ডিভোর্সের পর ডেন্টাল হাসপাতালে কাজ শিখার জন্য ঢাকার মিরপুরে মাসুদের ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতেন তিনি। এই সুযোগে মাসুদ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের জন্য মারজিয়া পরিকল্পিতভাবে ঢাকার বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে। লাশ গুম করার জন্য মাসুদ ও তার স্ত্রী রেখা মারজিয়ার মরদেহ কার্টুনে প্যাকেট করে ঘটনাস্থলে ফেলে যায়।
আরও পড়ুন: বরিশালে গ্রেপ্তার ১, পিস্তল-বোমা জব্দ
দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলাটির আনুষঙ্গিক তদন্ত শেষ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
জেলার লোহাগাড়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
এই বিষয় র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সৈয়দ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ মার্চ জানে আলমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে তজবিরুল আলম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই বিচারিক আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সৈয়দ আহমেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আপিলে সৈয়দ আহমেদসহ ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, দুই জনকে যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে গ্রেপ্তার ১, পিস্তল-বোমা জব্দ
র্যাব জানায়, পলাতক থাকাকালে সৈয়দ আহমেদ দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বানান। তিনি তার পরিবার-পরিজন-আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখেন। ফলে তাকে কোনোভাবেই শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। গ্রেপ্তার সৈয়দ আহমেদকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারের পর সৈয়দ আহমেদকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পলাতক জীবন সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। সৈয়দ আহমেদ জানিয়েছেন, জানে আলম হত্যাকাণ্ডের পরপরই তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ডাকাত দলের সঙ্গে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আত্মগোপন করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
এরপর একে একে বাঁশখালী, আনোয়ারা, কুতুবদিয়া, পেকুয়ায়ার সাগর কূলবর্তী এলাকায় থাকতে শুরু করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় উদ্বাস্তু হিসেবে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে জঙ্গল ছলিমপুরে মশিউর বাহিনীর প্রধান মশিউরের ছত্রচ্ছায়া ও সহযোগিতায় সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
একপর্যায়ে সৈয়দ আহমেদ চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিরাপত্তাকর্মীর ছদ্মবেশে কাজ নেন। তিনি সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
বরিশালে গ্রেপ্তার ১, পিস্তল-বোমা জব্দ
বরিশালে বাবুল হাওলাদার নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে পিস্তল, গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বোমা জব্দ করেছে র্যাব-৮।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-৮ এর উপপরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম র্যাব ৮ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আসামি ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে র্যাব কর্মকর্তার মৃত্যু
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব বরিশালের লঞ্চ ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাবুল হাওলাদার ওরফে বোম্ব বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, চার রাউন্ড এমোনেশন, তিনটি তাজা বোমা, বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত ৮০০ গ্রাম গান পাউডার, ২৪টি ম্যাচ, ৫০টি মার্বেল, দুই প্যাকেট বিয়ারিং বল, ১০টি জর্দার কৌটা, ১২টি বিস্ফোরক ভর্তি কলম, ৫টি লাল টেপ, তিন রঙের ৫ মিটার বৈদ্যুতিক তার, ২ কেজি কাঁচের টুকরো ও বোমা ক্রয় বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ও ১৫২০ টাকা জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের অসহায় দুগ্ধ খামারিদের পাশে দাঁড়াল র্যাব
গ্রেপ্তার বাবুল স্বীকার করেছে তিনি পেশাদার অস্ত্রব্যবসায়ী ও বোমা কারিগর। বাবুলের বিরুদ্ধে ভোলা সদর ও দৌলতখান থানায় হত্যা, ডাকাতি, মাদক ও নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জামিন পেলেন শাবির সাবেক ৫ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে টাকা দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সিলেট মহানগর মেট্রোপলিটন-২ আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়া এই জামিন আদেশ দেন।জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান।ি
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
শাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় সোমবার ঢাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের বিশেষ দল। মঙ্গলবার তাদেরকে সিলেটে আনা হয়।সিলেটে আনার পর নগরের জালালাবাদ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।শিক্ষার্থীরা হলেন- হাবিবুর রহমান স্বপন, রেজা নূর মঈন দীপ, নাজমুস সাকিব দ্বীপ, এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
মগবাজারে বাসচাপায় কিশোর নিহতের ঘটনায় ২ চালক গ্রেপ্তার
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় বাসের চাপায় এক কিশোর হকার নিহতের ঘটনায় বাসের দুই চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থেকে মনির হোসেন (২৭) এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ইমরান হোসেনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত ২০ জানুয়ারি মগবাজার এলাকায় ১৪ বছর বয়সী রাকিবুল ইসলাম নিহত হওয়ার পর থেকেই তাদের খোঁজা হচ্ছিল। রাকিবুল মাস্ক বিক্রেতা ছিলেন।
আজমেরী গ্লোরি পরিবহনের দুটি বাস একটি অন্যটিকে ওভারটেক করার প্রতিযোগিতা করলে রাকিবুল দ্রুতগামী বাস দুটির নিচে চাপা পড়েন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা র্যাবকে জানায়, তারা বেশি যাত্রী নেয়ার জন্য দ্রুত পরবর্তী স্টপজে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছিলেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার এ মঈন বুধবার বলেন, মনির মূলত বাসের চালক নয়। বাসের মূল চালক গুলিস্তানে নেমে গেলে তিনি বাসটি চালাচ্ছিলেন।
তিনি জানান, দাউদকান্দি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ইমরানকে খোঁজা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
কালীগঞ্জে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর সোমবার রাতেই তাদের ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় দুই জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হররাম গ্রামের আঞ্জু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (২৮) এবং একই এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে মনির উদ্দিন (১৮)।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রিপন মিয়া ও মনির উদ্দিন তাদের প্রতিবেশী সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কৌশলে রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে উঠিয়ে ওই এলাকার পরিত্যক্ত একটি বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে ওই ছাত্রীকে তারা সারারাত আটক রেখে ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পাশের সতি নদীর ধারে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে অসুস্থ ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিপন মিয়া ও মনির উদ্দিনকে আটক করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
আর পড়ুন: কালীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাড়ি থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
শিবচরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার