গ্রেপ্তার
মাগুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৪ খুন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫
মাগুরার জগদল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে চার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল আসামি নজরুল মেম্বারসহ পাঁচজনকে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকার গাবতলী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন জালাল শেখ, তুহিন হোসেন, রিয়াজ হোসেন এবং ইয়ামিন হোসেন। আজ মঙ্গলবার তাদেরকে মাগুরা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য নিহত
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ অক্টোবর বিকালে মাগুরায় সদর উপজেলার জগদল গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্য দিবালোকে একই পরিবারের কবির মোল্যা, সবুর মোল্যা, রহমান মোল্যা এবং পাশের গ্রামের ইমরান নামে এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর সদর থানায় জগদল ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে নিহতদের অপর ভাই আনোয়ার হোসেন ৬৮ জনের নামে মামলা করেন। এ ঘটনার পর রবিবার ভোরে ঢাকার গাবতলী এলাকার মহম্মাদিয়া আবাসিক হোটেল অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামি নজরুল মেম্বারসহ বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দুদিন আগে নজরুল মেম্বরের বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা নেয়া হয়। আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা, ছ্যানদা ও সড়কি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নারী নিহত, আহত ৪
কেরানীগঞ্জে আনসার আল ইসলামের পাঁচ ‘সদস্য’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) একটি বিশেষ দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মিঠুন রহমান ওরফে মিঠু (২৯), সাকিব আল হাসান (১৯), মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর সোহাগ (২১), মোহাম্মদ জাবের (২৫) ও মো. ওমর ফারুক (১৯)।
এটিইউ এর পুলিশ সুপার (এসপি-মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে মিঠুকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও পাঁচটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বই উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য আটক
মিঠুর বক্তব্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর এলাকা থেকে সাকিব আল হাসানকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও দুটি ধর্মীয় উগ্রবাদী বইসহ আটক করে পুলিশ বিশেষায়িত ইউনিটের সদস্যরা।
পরে মিঠু ও সাকিবের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটিইউ সদস্যরা সোহাগ, জাবের ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে বলে জানান আসলাম খান।
এদের মধ্যে সোহাগ ও জাবের হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর থেকে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অনলাইনে চরমপন্থা নিয়ে অপপ্রচারে জড়িত ছিল। তারা নাশকতামূলক কার্যকলাপের পরিকল্পনা এবং চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য একটি সুরক্ষিত টেলিগ্রাম গ্রুপ খুলে চ্যাট করত।
তাদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আনসার আল ইসলামের নারী সদস্য ঢাকায় গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের সিইওসহ ৪ গ্রেপ্তার
প্রতারণা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের সিদ্দিকীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আদিয়ান মার্টের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব।
গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন- আদিয়ান মার্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ছোট ভাই মাহমুদ সিদ্দিকী, তার বাবা আবু বকর সিদ্দিক ও ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দুই মাসের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নেয়ার নির্দেশ
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ (সিপিসি২) র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ শরিফুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে র্যাব-৬ এর (গাংনী) একটি চৌকস দল খুলনা ও চুয়াডাঙ্গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্ট লিমিটেডর কতিপয় গ্রাহকের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠে। এর মধ্যে আতিকুর রহমান উজ্জল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৪৮০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্নসাতের অভিযোগে উঠে। এঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ই-কামার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্ট লিমিটেড নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন উজ্জ্বল।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আদিয়ান মার্টের ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমদিক থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করে। বর্তমানে তাদের প্রোডাক্ট ঘাটতির পরিমাণ ৭-৮ কোটি টাকা। বিগত কয়েক মাস ধরে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ারসহ কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সারাদেশে তাদের অসংখ্য ক্রেতার প্রায়এক হাজার ৮০০ এর মতো এনভয়েস অর্ডার ডেলিভারি দিতে বাকি রেখেছিল আদিয়ান মার্ট। পরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৬ (গাংনী ক্যাম্প) এর একটি দল শুরু থেকেই উক্ত মামলা সংক্রান্তে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের সিইওসহ চার জনকে আটক করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার: গ্রেপ্তার ৪
রংপুরে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিতে নিয়োগের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার প্রদানের ঘটনায় জড়িত এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, রংপুর সদর উপজেলার উত্তর মহেষপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে জুয়েল রানা (২৮), একই এলাকার নয়া মিয়ার ছেলে আল আমিন (১৯), মিঠাপুকুর উপজেলার রূপসী গাছুপাড়া গ্রামের মৃত সাইদুল হকের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন (২০) এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থানাধীন ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে ও রংপুর মহানগর পুলিশ লাইনের এমটি (যানবাহন) শাখায় কর্মরত কনস্টেবল মাসুদার রহমান মাসুদ (৪৫)।
আরও পড়ুন: সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগিরই প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলা সূত্রে জানা যায, আসামি জুয়েল রানা তার ভাতিজা আল আমিনকে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতিচক্রের সদস্য মাসুদার রহমান মাসুদের সঙ্গে আলোচনা করেন। মাসুদ তাদেরকে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে আল আমিনকে ঢাকায় জালিয়াতিচক্রের অপর এক অজ্ঞাত সদস্যের কাছে পাঠিয়ে দেন। তার কথা মতো আল আমিন ঢাকা গিয়ে ওই অজ্ঞাত সদস্যের কাছ থেকে একটি চিঠি নিয়ে এসে মাসুদকে দেন। একইভাবে অপর আসামি মোসদ্দেক হোসেনকেও চাকরির প্রলোভন দেখান মাসুদ।
এদিকে, ডিও লেটারেরর বিষয়টি সন্দেহ হলে গত ২৭ অক্টোবর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখা হতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ‘ট্র্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ (পুরুষ) পদে নিয়োগের জন্য সরকারি লগো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের সিল সম্বলিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ২৪ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ডিও লেটারটি জব্দ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্ক (এসআই) বুলবুল আহম্মেদ। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে নগরীর সুরভী উদ্যানের সামন থেকে আসামি আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় আসামি আল আমিনের মুঠোফোন তল্লাশি করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ‘ট্র্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল’ (পুরুষ) পদে নিয়োগের জন্য সরকারি লগো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরের গোল সিল সম্বলিত রংপুর পুলিশ সুপার বরাবর প্রেরিত একটি খামের ছবির সন্ধান পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বুলবুল আহম্মেদ বাদী হয়ে ওই চারজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত ) মো.হোসেন আলী জানান, মামলার পর আসামিদের রাতেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হিলি থেকে গ্রেপ্তার জেল পালানো আসামি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানার হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ওয়ারেন্টভূক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ জেলার হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার পলাতক আসামি মোকারুল ইসলাম (৩০) পার্বতীপুর উপজেলার দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত সাত্তার আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার শামীম জানান, গত মঙ্গলবার পার্বতীপুর মডেল থানায় দুটি চুরি মামলার ওরেন্টভুক্ত আসামি মোকারুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে ওইদিন রাতে থানার হাজতের জানালার গ্রীল কেটে পালিয়ে যায় সে। গতকাল বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলবাড়ীর সার্কেলের নেতৃত্বে ও হাকিমপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সন্ধ্যায় হিলি সীমান্তের চুড়িপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে রাজধানীতে যুবক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২।
তারা হলেন- সলঙ্গা থানার চরফরিদপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান আকন্দের ছেলে মো. আল মাহমুদ আকন্দ (৪৫), তার স্ত্রী মোছা. রোকেয়া খাতুন (৪০) ও ছেলে মো. আব্দুল বারী আকন্দ (২২)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলার আসামি বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার
র্যাব-১২’র ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া অফিসার জন রানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সলঙ্গা থানায় দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২৬। গ্রেপ্তার আসামিদেরকে সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে রাজধানীতে যুবক গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগে ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন আশিষ মল্লিককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১ এর এএসপি (অপারেশন অফিসার) নোমান আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি অপারেশনাল দল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিষকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিষ সাইবার অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায় এবং তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানায়, আশিষ গত ১৬ অক্টোবর একটি ফেসবুক পেইজ খোলেন এবং সেই পেইজে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য পোস্ট করেন। তিনি এবং আরও কয়েকজন সমমনা লোক অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেছেন। খুব দ্রুত ওই পেইজের সদস্য ও ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এএসপি নোমান বলেন, এই ফেসবুক পেইজ থেকে কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক পোস্ট দেয়া হয় এবং বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: দলীয় নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ফেসবুক পেইজে প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংঘটিত নানা নৃশংসতার ভিডিও আপলোড করে মানুষের মনে ভীতি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, অভিযুক্ত আশিষ প্রতিটি পোস্টে হ্যাশ ট্যাগ করে এই দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
নারায়ণগঞ্জে হকার হত্যা মামলার আসামি বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ শহরে চাঞ্চল্যকর ‘হকার জুবায়ের হোসেন’ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। জেলার উজিরপুর এলাকা থেকে মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. ইকবাল হোসেন (৩৩) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার বুরুমদী গ্রামের মো.আব্দুস সামাদের ছেলে।
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নরসিংদীতে আটক ২
র্যাব জানায়, গত ১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়েরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত জুবায়ের হোসেন (১৮) ফতুল্লার উত্তর মাসদাইরের আমজাদ হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত জুবায়ের মা মুক্তা বাদী হয়ে প্রধান আসামি ইকবালসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহসহ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি ইকবালসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) র্যাব-১১ ও র্যাব-৮ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল বরিশাল জেলার উজিরপুর এলাকায় অভিযানের মাধ্যমে জুবায়ের হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাতে সাদেকের জুতার দোকানে চাকরি করতো জুবায়ের। ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে হকার স্বপনের সাথে নিহত জুবায়েরের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বপন জোবায়েরকে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে। পরবর্তীতে নিহত জুবায়ের এর প্রতিবাদ করলে হকার নেতা আসাদের হুকুমে মামলার প্রধান আসামি ইকবাল মহসিনের দোকান থেকে চাকু এনে জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে এবং অন্যান্য আসামিরাও জুবায়েরকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অর্থসহ আটক ৫: র্যাব
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাসের প্রকল্প পরিচালকসহ গ্রেপ্তার ১০
অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সমবায় ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শাকিল আহাম্মেদ (৩০) সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী এলাকায় কর্ণফুলীর অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অন্য ৯ জন হলেন- মো. চাঁন মিয়া (৩৮), এ কে আজাদ (৩৫), মো. রেজাউল (২২), মো. তাজুল ইসলাম (৩১), মো. শাহাবুদ্দিন খাঁন (২৮), আব্দুস ছাত্তার (৩৭), মো. মাসুম বিল্লা (২৯), মো. টিটু মিয়া (২৮) ও মো. আতিকুর রহমান (২৮)।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেয়ার কথা বলে প্রতারণা, একজনের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, মিরপুর এলাকার বেশকিছু ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ১১/এ, রোড নং-৬, প্লট-৪, নান্নু সুপার মাকের্টে অভিযান চালিয়ে ‘কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অফিস থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১৭ টি মুদারাবা সঞ্চয়ী হিসাব বই, ২৬ টি চেক বই, দুটি ডিপোজিট বই, তিনটি সীল, ১২০ টি ডিপিএস বই, একটি রেজিস্ট্রার বই, একটি নোটবুক, একটি স্যালারি শিট, ৩০ টি জীবন-বৃত্তান্ত, পাঁচটি ক্যালেন্ডার, আট পাতা ডিপিএস এর মাসিক হিসাব বিবরণী, তিনটি পাসপোর্ট, একটি ডিভিআর মেশিন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কপি ২৮ পাতা, একটি ব্যানার ও নগদ চার লাখ ২২ হাজার টাকা জব্দ করে।
প্রতারক চক্রের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও সদস্য রয়েছে। তারা রাজধানীর মিরপুরস্থ বিভিন্ন বস্তি এলাকার গার্মেন্টসকর্মী, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, অটোচালক, সবজি ব্যবসায়ী, ফল ব্যবসায়ী, গৃহকর্মী ও নিম্নআয়ের মানুষদের টার্গেট করে স্বল্প সময়ে মাসিক মেয়াদ শেষে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কোম্পানী’তে বিনিয়োগ ও ডিপিএস করতে উদ্বুদ্ধ করত। ভিকটিমদের প্রলুব্ধ করে তাদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নানান কৌশলে প্রতারক চক্রের অফিস কার্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হতো। এরপর তাদেরকে প্রতি গ্রাহক ও টার্গেট সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেয়া হতো।
গ্রেপ্তার শাকিল আহম্মেদ ও চাঁন মিয়া ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাসে বিনিয়োগ ও ডিপিএস করতে আগ্রহী করত।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে চাকরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা: গ্রেপ্তার ৩
‘কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ এর মালিক ও মূল অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন পলাতক। তার নিজ জেলা মুন্সিগঞ্জ। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করে। তার দুইজন স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। আগে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে রিপ্রেজেন্টিটিভ হিসেবে কর্মরত ছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে সে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাভ করে ২০০৬ সালে। ২০১৩ সালে সমিতিটির পূনর্নিবন্ধন হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-২০১৯ সালের তাদের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৩৭ জন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২৫-৩০ হাজার সদস্য গ্রাহক সংগ্রহ করেছে। সে কোম্পানিতে নতুন সদস্য আনার লক্ষ্যে পুরাতন সদস্যদের চাপ দিতো ও তাদের মুনাফার লোভ দেখাতো।
র্যাব-৪ এর সিও আরও বলেন, জসিম অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির, অধিকাংশ সময়েই সমিতির অফিসে আসত না। সমিতির ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা উত্তোলন করে অন্যত্র স্থানান্তর বা জমি ও ফ্ল্যাট কিনে টাকা লেয়ারিং করত।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলা
মূল অভিযুক্ত জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযানের পর থেকে জসিম উদ্দিন পলাতক।
মাদক মামলায় জামিন পাননি শাহরুখ পুত্র আরিয়ান
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান মঙ্গলবার মাদক মামলায় জামিন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।কেননা মুম্বাই হাইকোর্ট বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছে।
যুক্তিতর্ক চলাকালীন আরিয়ানের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি আদালতে যুক্তি দিয়েছেন,আরিয়ান ২৩ বছর বয়সী একজন যুবক, যাকে জেলের পরিবর্তে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো উচিত।
মুম্বাইয়ের কাছে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েক ঘণ্টা জেরার পর আরিয়ানকে ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে এনসিবি।
আরও পড়ুন: টম হল্যান্ডের ‘স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোম’ নিয়ে সিনেমাপাড়ায় হৈচৈ
আরিয়ান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ এবং আরও আটজনকে এ সময় আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে আরিয়ান ও আরও সাতজনকে বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরিয়ানের বাবা শাহরুখ বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান তারকা হিসেবে বিবেচিত। ‘কিং খান’ নামে পরিচিত এই তারকা ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
প্রকৃতপক্ষে, শাহরুখ ১৯৯৫ সালে রোমান্টিক ছবি 'দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে'-তে অভিনয় করার পর খ্যাতি অর্জন করেন, যা ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম চলমান ব্লকবাস্টার সিনেমা।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলার অভিযোগ শুনানি ১৫ নভেম্বর
শাহরুখ ২০০২ সালের 'দেবদাস' ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল, যেখানে তিনি মদ্যপ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
৫৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনেক টিভি শো উপস্থাপনা করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক।
শাহরুখের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আরিয়ান ছাড়াও তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চরকিতে রায়হান রাফির প্রথম অনলাইন সিনেমা ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’