গ্রেপ্তার
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আনসার সদস্য নিহত
জমি চাষ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে এক আনসার সদস্য নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত ছামিউল ইসলাম একজন আনসার সদস্য। আর গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মাসুমা, মর্জিনা ও ফরিদ।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বনাথে ছেলেদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামে শুক্রবার বিকেলে জমি চাষ দেয়া নিয়ে ওই গ্রামের রেজাউল ইসলাম ও সাগর মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে দুই পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আনসার সদস্য ছামিউল ইসলাম সংঘর্ষ থামাতে গেলে রেজাউল ইসলামের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এঘটনায় ছামিউলসহ আহত সাহানুর, সাগর, সাইদার, মর্জিনা, আতোয়ার ও সফি মিয়াকে প্রথমে পলাশবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ছামিউল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন ছামিউলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে চাচি নিহত
পলাশবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মাগুরায় ছেলের হাতে বাবা খুন
মাগুরার মহম্মদপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের আঘাতে মনোরঞ্জন বিশ্বাস (৭৩) নামে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা মাঝিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানার পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, নাতিকে মোবাইল কিনে দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে তার বৃদ্ধ বাবা মনোরঞ্জন বিশ্বাসকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। ফলে মাটিতে পড়ে গিয়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে নহাটা স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে মাগুরা নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ব্যপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ জুয়েল রানা (২৬) গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ৩১ জুলাই বিকেলে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল রানা দেবীগঞ্জ পৌরসভার নতুন বন্দর এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত জুয়েল প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে গত ৩১ জুলাই বিকেলে মৌমারি এলাকায় তার বন্ধু নিশাতের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জুয়েল প্রথমে ধর্ষণ করে। জুয়েলের বন্ধু মুন্না কৌশলে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে মুন্না, পরে মৌমারি এলাকার নুরু, রিমন, নিশাত পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
সেইরাতে ওই কিশোরী তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরদিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে জুয়েল রানা, মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামের নুরু (২২) ও মুন্না (২২), কালীগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার রিমন (২৩) এবং কালীগঞ্জ বাজারের নিশাতের (২০) নামে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
গাবতলী থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই ‘সহযোগী’ গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ও গ্রেপ্তার হওয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম দুই ‘সহযোগী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন, হাজেরা খাতুন (৪০) ও সানাউল্ল্যাহ নূরী (৪০)।
আরও পড়ুনঃ হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে গত ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশান-২ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আওয়ামী লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ডে
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা জাহাঙ্গীরের প্রতারণার কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৪ এর অভিযানে মঙ্গলবার ভোরে গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম এই দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুটি ল্যাপটপ এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আ’লীগ নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আটক
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাজেরা ও সানাউল্ল্যাহ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে ঢালিউড অভিনেত্রী একাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্যাতিত গৃহকর্মী হাজেরা (৩০) ওই এলাকায় নায়িকা একার অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম আজম জানান, শনিবার বিকেলে হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে নির্যাতনের ঘটনার কথা জানানো হয়। এরপর পুলিশ আহত হাজেরাকে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হাজেরার মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
হাজেরার স্বামী জানান, একা শনিবার নতুন বাড়িতে উঠার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য হাজেরাকে তার অ্যাপার্টমেন্টে রাত্রি যাপন করতে বলেন। কিন্তু সে রাজী হয়নি। তখন একা রেগে গিয়ে তাকে পরের দিন থেকে আসতে না বলেন। এই সময় হাজেরা তার পাওনা চায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে একা ভারী বস্তু দিয়ে হাজেরাকে আঘাত করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পরিদর্শক আজম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
লকডাউন লঙ্ঘন: সপ্তম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৬৮
দেশব্যাপী ১৪ দিনের লকডাউনের সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার বিধি নিষেধ লঙ্ঘনের জন্য রাজধানী ঢাকায় পুলিশ ৫৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৬ জনের কাছ থেকে জরিমানা হিসাবে তিন লাখ ৪০ হাজার ১০০ টাকা আদায় করেছে। আর ট্রাফিক বিভাগ ৪৩১ গাড়ি থেকে জরিমানা হিসাবে ৯ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা রাস্তায় বের হওয়ার কোনও বৈধ কারণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম।
তবে প্রতিদিন গ্রেপ্তার, জরিমানা এবং রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু সত্ত্বেও মানুষ বাড়িতে থাকতে চাইছে না। লকডাউনের মাঝেও রাজধানীর সড়কগুলোতে যানজট দিন দিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে। অনেককেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
অনেক বেসরকারি অফিস তাদের নিজস্ব কর্মীদের পরিবহনের ব্যবস্থা করায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে। তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রাস্তায় গণপরিবহন বন্ধ ছিল। লকডাউনে অনেককেই রিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রতিটি যানবাহন চেক করছি। যারা প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে এবং লকডাউনের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
এদিকে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে একদিনেই শনাক্ত হয়েছে আরও ১৬ হাজার ২৩০ জনের। গত দিন সর্বোচ্চ মৃত্যুর পর গেলো ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩৭ জনের। এর মাধ্যমে দেশে করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ছাড়াল।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
কুমিল্লায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করায় চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় রোগীর স্বজন তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, নগরীর নোয়াগাঁও এলাকার মোজাম্মেল হোসাইন অয়ন, আবদুল্লাহ আল মামুন অনন্ত ও আবদুল কাদের অনিক।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃত্যু, হোমিও ডাক্তার আটক
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, নগরীর নোয়াপাড়া এলাকার মনিপাল এএফসি হসপিটাল (সাবেক ফরটিস হাসপাতাল) নামের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তানভীর আকবরের ওপর হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো অভিযোগে সোমবার সকালে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। ওই চিকিৎসক নিজেই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ ‘সহজ হেলথে’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হোসাইন নামের এক রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা ঢাকার যেকোন হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনরা রোববার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। এরপরও রোগীর স্বজনরা ভর্তির জন্য জোর করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ৫ থেকে ৬ জন মিলে চিকিৎসক তানভীরকে কিল ঘুষি দিতে থাকে। পরবর্তীতে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
হামলার শিকার ডা. তানভীর আকবর জানান, ‘জরুরি বিভাগে রোগীটি আসার পর চেকআপ করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সঙ্গে আসা স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাই-ফ্লু ন্যাসাল ক্যানুলা ও আইসিইউ সমৃদ্ধ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তারা হসপিটালে ভর্তির জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে তারা।’
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮৩৬ শনাক্ত, মৃত্যু ১০
তানভীর আকবর আরও বলেন, ‘হামলার সময় আমাকে বাঁচাতে আসলে হাসপাতালের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের সম্পদের ক্ষতি সাধন করে ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সটকে পড়েন তারা। এ ঘটনায় আমি কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, হামলার সময় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন কুমিল্লা সিভিল সার্জনসহ জেলায় কর্মরত চিকিৎসরা।
তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত
তিউনিসিয়ায় মহামারি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সহিংস বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত এবং দেশের পার্লামেন্টের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন রাষ্ট্রপতি কায়িস সাইদ।
রবিবার গভীর রাতে এই ঘোষণার পর তিউনিসের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের উদযাপন করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ চীনে আঘাত হানছে টাইফুন ‘ইন ফা’, বহু ফ্লাইট বাতিল
রাষ্ট্রপতি কায়িস সাইদ ঘোষণা করেছেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষে কাজ করবেন।
দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক শেষে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘তিউনিসিয়ায় সামাজিক শান্তি ফিরে না আসা এবং রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুনঃ ভারতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত শতাধিক
রবিবার তিউনিসসহ অন্যান্য শহরগুলিতে হাজার হাজার মানুষ ভাইরাস বিধিনিষেধ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। এসময় সংসদ ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেন তারা।
২৫ জুলাই আন্দোলনের নামে একটি নতুন গ্রুপ তিউনিসিয়ার স্বাধীনতার ৬৪তম বার্ষিকীতে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়।
আরও পড়ুনঃ আততায়ীর গুলিতে হাইতির প্রেসিডেন্ট নিহত
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছিল এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। নাবেউল, সউস, কায়রউয়ান, সাফ্যাক্স এবং তোজেউর শহরেও এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা সংসদের প্রভাবশালী ইসলামপন্থী আন্দোলন আন্নাহাদারের অফিসেও হামলা চালিয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে আক্রমণকারীরা অফিসের ভেতরের কম্পিউটার এবং অন্যান্য সরঞ্জামগুলি ভাঙচুর করে এবং রাস্তায় ফেলে দেয়।
দলটি এই হামলার নিন্দা করে বলেছে যে তিউনিসিয়ার অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ‘অপরাধী দল’ তিউনিসিয়ার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষ্যে এই কাজ করছে।
আরও পড়ুনঃ তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে প্রাণ গেল ২০ অভিবাসীর
উল্লেখ্য, করোনা মহামারিতে আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে তিউনিসিয়া সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে, ফলে দেশটিতে লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ পুনরায় জারি করা হয়েছে।
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
চট্টগ্রামে গৃহকমী নির্যাতন, নারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার রেনু নামে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোরী গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি মাথার চুল কেটে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
ভিকটিম কিশোরীর পুরো শরীরেই নিযাতনের চিহ্ন রয়েছে। চোখ মুখ থেকে শুরু করে গলা, হাত-পিঠ শরীরের কোনও অংশেই বাদ যায়নি নির্যাতন থেকে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পেটানো হতো তাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীসহ শাবির শিক্ষক গ্রেপ্তার
নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, কাজল দেওয়ায় চোখে মেরেছে আর গলায়ও আঘাত করেছে। গলায় দাগও রয়েছে।
নাহিদা আকতার রেনু নামের ওই নারী চিকিৎসকের শিশু সন্তান গৃহপরিচারিকা কিশোরীর মাথায় হাত লাগিয়ে সেই হাত পুনরায় মুখে দেয় বলে জোরপূর্বক তার চুলও কেটে দেওয়া হয়। সবশেষ কাজল দেওয়ার অপরাধে আঘাত করা হয় ওই কিশোরীর চোখে। পরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি নারী চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীতে দম্পতি আটক
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ শোনা মাত্র আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে অভিযুক্ত ডাক্তার নাহিদা আকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।’
নির্যাতনে অসুস্থ কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রাতে গৃহকর্মী তাসলিমার বাবা আব্দুল গণি একটি মামলা দায়ের করেন।