শিক্ষামন্ত্রী
নতুন কারিকুলাম নিয়ে কুচক্রী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানবিক, সৃজনশীল ও বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতাসম্পন্ন জাতি গঠনে আমাদের দেশে নতুন কারিকুলাম চালু করা হয়েছে। কিন্তু কোচিং ব্যবসায়ী, গাইড ব্যবসায়ী এবং কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নতুন কারিকুলামের ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এতে সব শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলাম নিয়ে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মহিলা সমাবেশ ও নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
দীপু মনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে আমি যখন এই এলাকায় এসেছি, তখন কোনো দালান চোখে পড়ে নাই। শুধুমাত্র টিন দিয়ে তৈরি হতো ঘরবাড়ি। হাইমচরের মানুষ নদী ভাঙার আতঙ্কে অর্থবিত্ত থাকার পরও পাকা দালান করতো না। আপনাদের তিনটি দাবি ছিল নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, হাইমচর চাঁদপুর সড়ক সংস্কার, হাইমচর কলেজকে সরকারিকরণ ও ডিগ্রি কলেজে রুপান্তর।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় আপনাদের তিনটি দাবি পূরণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের দাবির চেয়েও অনেক বেশি কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হয়েছে।
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না থাকে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বের যেকোনো শিক্ষার্থীর চেয়ে এক বিন্দু পিছিয়ে না থাকে তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটির জন্য আমরা মুগ্ধ। শিক্ষকরা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে যেমন গড়ে তুলছেন। একইভাবে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের নাগরিক তৈরি করছেন।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষার আধুনিকায়নে চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা নীতি প্রণয়ন করেন এবং যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা অভিজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। কিন্তু সেটি কতটুকু এবং কীভাবে বাস্তবায়িত হলো, তার ফলাফল কতটা ইতিবাচক, কোনো সমস্যা আছে কি না, কী কী চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো থেকে উত্তরণের জন্য কী করণীয় আছে সেগুলোর জন্য পরামর্শ দেওয়ার কাজগুলো করতে পারেন শিক্ষকরা।
মন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আপনারা আমাকে সুযোগ দিয়েছেন আপনাদের সেবা করার। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আল্লাহর রহমতে আগামীতে সুযোগ পেলেও আপনাদের সেবা করে যাব। আর মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের বিষয়ে শিক্ষকরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। কারণ শিক্ষকরাই সেটি বাস্তবায়ন করে আসছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, আগামীতে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটি আমাদের মধ্যেও পড়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক এ চাপের মধ্যে অন্যান্য দেশ, এমনকি অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি তিনি আমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনাকে আমাদের নেতা হিসেবে পেয়েছি বলে আমরা আজকে স্বস্তিতে আছি। আশা করি আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে সুযোগ দেবেন জনগণ।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বৈশ্বিক এই চাপ এবং অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে আমরা আমাদের সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করে আমাদের যে লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে সক্ষম হব।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের তরুণ প্রজন্ম।
তিনি বলেন, আজকে যারা প্রাথমিকে ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে সেই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যা শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, আমাদের প্রশিক্ষণেরও অংশ নয়, এমন ভিডিওসহ বিভিন্ন বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অতীতের কোনো প্রশিক্ষণে (যা মাধ্যমিকের নয়) প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেরা নিজেরা বিনোদনের অংশ হিসেবে নিজেরা যে প্রাকটিস করেছে সেই রকম কিছু ভিডিও সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে এইগুলো প্রশিক্ষণ। এমনকি নতুন ভিডিও তৈরি করেও ছড়িয়ে দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠাভ্যাস উন্নয়নে দেশের ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩১ লাখ নির্বাচিত বই (পাঠ্যপুস্তক ছাড়া) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে— ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছেন। তার সঙ্গে এখন তো নির্বাচনের মৌসুম।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকেন, তাদের উসকানি যুক্ত হয়ে গেছে। অতি ডান ও অতি বামের উসকানিও যুক্ত হয়ে গেছে।
শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বাচ্চারা কত নম্বর পেল; জিপিএ-৫ পেল কি না; প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলো কি না; অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেল কিনা- এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন বাবা-মায়েরা।
তিনি বলেন, সে জায়গা থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটি কাজে সহযোগিতার জায়গায় তারা কাজ করছেন। এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কাজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অভিভাবকদের বলব— একটু দেখুন, আপনার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বাচ্চা যদি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, তাহলে তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। সে কত নম্বর পেয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে সে শিখল কি না, সেদিকে নজর দিন। একটু ধৈর্য ধরুন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে দেশের ৮ শতাধিক বিশেষজ্ঞ নতুন কারিকুলাম প্রনয়ণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সবাইকে কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে রেখে জনগণের মতামত, পরামর্শ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সবশেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, কিছু পরামর্শসহ তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পাইলটিং করেছি। তারপর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, সব বইকে আমরা বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ, আমরা মনে করিনি— আর পরিশীলন, পরিমার্জন দরকার নেই, একবারে চূড়ান্ত। আমরা মনে করি— এই বইগুলো আরও পরিশীলন, পরিমার্জনের সুযোগ রয়েছে। সেজন্য সবার পরামর্শ গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলায় মন্ত্রীর বাসবভনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নবোর্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে, দেশের যে এলাকায় দেবে, সেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।
তিনি জানান, তারা নৌকার বিজয় যেমন নিশ্চিত করবে এবং দলীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে ভোটাররা আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য তাদের দল পছন্দ করতে পারে।
তিনি বলেন, এমনিতে আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীন বড় রাজনৈদিক দল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় নির্বাচন করেছে এবং করবে। যখন প্রয়োজন হয়েছে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জোট সবসময় আদর্শিক জোট হয়েছে। কখনো কখনো আমরা নির্বাচনী জোট করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ শেষে হলে বোঝা যাবে আমরা কি জোটবদ্ধ কিংবা জোট ছাড়া নির্বাচন করব। কারণ তখন বোঝা যাবে কোন দল বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা এখনো আশাবাদী এবং বিশ্বাস করি সময়মতো বই দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
এ ছাড়া বছরের শুরুতে বই পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি গণমাধ্যমে দুই রকম হেডলাইন দেখেছি। একটি বলছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া যাবে কোনো শঙ্কা নেই। অপরটি বলেছে- পহেলা জানুয়ারিতে বই দেওয়া নিয়ে শঙ্কা। কীসের উপর ভিত্তি করে এই সংবাদ প্রকাশ করছেন এবং কেন করছেন (!) আমি জানি না।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে নতুন শিক্ষাক্রমের সংস্কার ও বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম একেবারে রূপান্তর। আপনারা-আমরা কিন্তু একটি মুখস্থ বিদ্যার জগৎ পার করে এসেছি। আমরা যখন পড়াশুনা করেছি, তখন একটি নতুন প্রযুক্তি এসেছে ১০-১৫ বছর বিরতিতে।
তিনি আরও বলেন, এখন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা যে জগতে বড় হবে, সেখানে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে নেতৃত্বের জায়গায় টিকে থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কি সারা জীবন পিছিয়ে থাকব? নিশ্চয়ই না।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে মূল জিনিস হচ্ছে দক্ষতা। সেই কারণে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম রূপান্তর। এখন বিশ্বের অনেক দেশ এটি করেছে। বাকি দেশগুলো করার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা একটি খুব ভালো জায়গায় নিজেদের নিয়ে আসতে পেরেছি, এটি হুট করে হয়নি। ২০১৭-১৮ সালে অনেকগুলো গবেষণার পর ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত হয়ে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, একটি দীর্ঘ সময় নিয়ে, অসংখ্য বিশেষজ্ঞদের কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের এই জায়গায় এসেছি এবং এটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন।
সুতরাং এটি নিয়ে যারা আজকে তথাকথিত আন্দোলন করছে, তাদের বেশিরভাগ কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যারা একেবারে স্কুল পর্যায় গিয়ে কমিশনে গাইড বই বিক্রি করেন, তারা এসবের সঙ্গে জড়িত এবং দুঃখজনক হলেও সত্য কোনো কোনো শিক্ষকও এর সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী বলেন, তারা অনেক অভিভাবককেও বিভ্রান্ত করছেন। এত বড় রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা একটি বছর পার করে এসেছি। এটি কম সময় নয়। আমাদের অভিভাবকরা অভ্যস্ত হবেন, শিক্ষকরা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণ চলবে। কাজেই আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বইগুলো এখনো বলছি পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আমরা ক্রমাগত এর পরিমার্জন ও পরিশীলন করব। কিন্তু এই পদ্ধতির পরিবর্তন হবে না। বইগুলো আরও উন্নত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এ এস এম মোসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আইনজীবী হুমায়ুন কবির সুমনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিকে শিক্ষাকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছিলেন এবং তিনি কুদরত-ই খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেছিলেন। সেই কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, সেটি ছিল অনেক সমৃদ্ধ।’
চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাবিয়ান চাঁদপুরের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘সেটি যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম আজকে আমরা শিক্ষায় বিশ্বে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য সব ক্ষেত্রে যেমন আমরা পিছিয়েছি, শিক্ষায়ও তেমনি পিছিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ এবং জিডিপির ৪ ভাগ সেখানে বিনিয়োগ করা দরকার। যখন আমরা সারা বিশ্বে শুনি শিক্ষায় জিডিপি কতভাগ বিনিয়োগ। এর মানে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে বুঝা যাচ্ছে তিনি সময়ের চাইতে কতখানি এগিয়ে ছিলেন।’
দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যারা তখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা কিন্তু এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। কাজেই তারা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নেবে এই চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না। যে কারণে তারা গতানুগতিক শিক্ষাকে চালিয়ে নিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনবার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছেন। এরপর তিনি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছেন।’
দীপু মনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয় মেয়াদে যখন ক্ষমতায় এসেছেন, সেই সময় তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেটি ছিল তরুন প্রজেন্মর জন্য ঘোষণা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমরা দিন বদলের সনদ দিচ্ছি, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। বদলে যাওয়া দিনের কাণ্ডারি হবে তরুণ প্রজন্ম এবং তারাই এর সুফলভোগী হবে। তারা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতা। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি এবং সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। আর এর কেন্দ্র হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। সেই স্মার্ট নাগরিক হতে হলে শিক্ষার দিকে অর্থাৎ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও মনোভাব নিয়ে তৈরি হতে হবে তার সবকিছু আমরা আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভালো পড়ালেখা করবে এবং জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা অর্জন করবে। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হবে। তারা মূল্যবোধকে তাদের জীবন চর্চার অংশ করে নেবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর যে দক্ষতাগুলো বর্তমান বিশ্বে আছে এবং আসছে সেগুলোর জন্য তৈরি হবে। যেগুলোকে আমরা বলছি সফ্ট স্কিল। সবকিছু মিলিয়ে তারা যেন দক্ষ, যোগ্য, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হয় সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে এবং গুজব রটানো হচ্ছে। যারা কোচিং ও গাইড বই বিক্রি করছেন তারাও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই ব্যবসা না করে অন্য ব্যবসা করতে পারবেন। তাদের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমাদের এই শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সন্তানদের এখন আর গাইড বই কিনে দেওয়া লাগবে না। তাদের প্রাইভেট পড়তে হবে না। তারা আনন্দের মধ্যে শিখবে। আমি সারাদেশের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা এই শিক্ষাক্রমের বাস্তবচিত্র আমার কাছে তুলে ধরছে। তারা বলছেন শিক্ষার্থীরা খুবই আগ্রহী এই শিক্ষাক্রমে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন দূর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো ধরনের সংকট ও সহিংসতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন যেমন চালানোর চেষ্টা করে, তেমনই তারা দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে তারা। এই অপশক্তিকে রুখতে আমাদের সবারই দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর শহেরর বাবুরহাট এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চাঁদপুর জেলার সমাবেশ শেষে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সচেতন ও সজাগ অংশ। তারা যেন সব সময় চোখ কান খোলা রাখে। কারণ এই বাংলাদেশ তাদের, তারা এই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন এই অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রয়েছে তাদেরকে রুখে দিতে পারে।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থীতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি মনে করি আমাদের তরুণরা সবচাইতে সজাগ ও সচেতন শ্রেণি। তারা যেন এই বিষয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকে এবং যেকোনো মূল্যে যেন আমরা এই অপশক্তিকে সবাই মিলে প্রতিহত করতে পারি।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় একটি ‘পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করোনা এসে আমাদের বুঝিয়ে দিল জনস্বাস্থ্য বিষয়টা কত জরুরি। যখন ধাক্কা খেয়েছি তখন মনে করেছি জনস্বাস্থ্য জরুরি এখন আবার ভুলে যাচ্ছি? নাকি ডেঙ্গু নিয়ে ভাবছি? কিছু একটা ধাক্কা লাগবেই, না হলে জনস্বাস্থ্যকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।
আমেরিকায় পড়তে গিয়ে জেনেছিলাম, যারা ওখানে চিকিৎসক হিসেবে চাকরি খোঁজেন তাদের মধ্যে যাদের এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) করা আছে তাদের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এরা তো হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করছে পাবলিক হেলথের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করছে না। তারা উত্তর দিয়েছিল- যিনি চিকিৎসক তিনি রোগী ফোকাসড, যিনি জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়েছেন তার দেখার দৃষ্টিকোনটা ভিন্ন। তিনি পুরো সমাজটাকে দেখেন, পুরো জনগণকে দেখেন, অর্থায়ন, ব্যবস্থাপনা, কৌশলসহ সব দিক দেখেন। পাবলিক হেলথের দৃষ্টিকোন নিয়ে চিকিসক হিসেবে যখন কাজ করবেন তখন তিনি অনেক বেশি অবদান রাখেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না, কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। আমরা দেশের স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতে সবচেয়ে ভালো করতে চাই। আমাদের সে সুযোগ রয়েছে। এখানে অনেকগুলো প্রস্তাব এসেছে, পাবলিক হেলথ কাউন্সিলের প্রস্তাব এসেছে, অ্যাক্রিডিটিশনের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। যেখানে জনস্বাস্থ্য বিষয়টিকে এমনিতেই একটু পেছনে ফেলে রাখা হয় সেখানে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটা মোটেই খারাপ না। সবকিছু মিলিয়ে এ বিষয়ে পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো পাবলিক হেলথে স্পেশালাইজড। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় আবার অন্যান্য বিষয়ও পড়ায়।
আরও পড়ুন: ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো না থাকায় কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়াও, নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, চর জেগে ওঠা এবং পানিতে দূষণ বেড়ে যাওয়ার মতো কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে চতুরঙ্গের আয়োজনে ১৫তম ইলিশ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইলিশ মাছ মিঠা পানিতে ডিম ছাড়তে আসে। আবার সাগরে চলে যায়। জাতীয় এই সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষকরা নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে জাটকা রক্ষার সময় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস এবং মা ইলিশের প্রজননের সময় ২২ দিন প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ খুবই গুরুত্ব দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে। এই সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
দীপু মনি আরও বলেন, অনেক বছর ধরে চাঁদপুরে এই ইলিশ উৎসব হয়ে আসছে। এটি শুধুমাত্র ইলিশ উৎসবই নয়। বরং এখানে সাংস্কৃতিক চর্চাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় নানাভাবে নানা সংগঠন এগিয়ে আসছে। সপ্তাহব্যাপী এই ইলিশ উৎসব যাতে সফল হয়, আমি সেই কামনা করছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী