শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ইউনেস্কো, প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে; যাতে সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
ইউনেস্কো সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক এডিজি, এমএস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং সেনেগাল, বেনিন এবং ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চ পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্ত বয়স্কদের সাক্ষরতার উপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার যত প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন যে, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সহায়তা করতে হবে।
তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। সাক্ষরতা এই সমস্ত কিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান যে, ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি দর্শকদের জানান যে, এটি সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতার ভালো অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, আমরা জীবনব্যপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার উপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতা বিকাশ এবং জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।
আরও পড়ুন: স্কুলে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করবে ফ্রান্স: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী শিক্ষাবর্ষের বই ছাপাতে কোনো ধরনের সংকট কিংবা সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, গত বছর কাগজ, বিদ্যুৎসহ অন্য সংকট থাকলেও এ বছর তা নেই। ইতোমধ্যে প্রাথমিকের বই ছাপানোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
এসময় মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকেরও টেন্ডার কাজ চলছে। টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করার জন্য কমিটি রয়েছে। সেসব কমিটিতে এসব টেন্ডারগুলো যাচ্ছে এবং অনুমোদন হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি আগামী শিক্ষাবর্ষে যথাসময়ে সকল বই উপজেলাগুলোতে পৌঁছে যাবে এবং জানুয়ারির ১ তারিখে আমরা বই উৎসব করতে পারব।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জিল্লুর রহমান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি এপ্রিলে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই থেকে তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হবে বলে আশা করি। আগামী বছর চেষ্টা থাকবে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়ার আর এসএসসি চেষ্টা করবো আগের মতো ফেব্রুয়ারিতে নিতে।
তিনি বলেন, দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় গত পাঁচ বছরে প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যা ছড়িয়েছে সেগুলো সবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এগুলোর সবই গুজব। ২০১৫ সালের পর থেকে আমরা প্রশ্নফাঁস রোধে সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। এজন্য কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনাও ঘটেনি। আশা করি এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। যদি কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
শেখ হাসিনার সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি: শিক্ষামন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি থাকে এবং তা তিনি পূরণ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি হওয়ার কারণ তিনি মানুষ যা চায়, তা তিনি বার বার দেন। তিনি দিচ্ছেন এবং দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন বলে মানুষ চায় তার কাছে। যে কোনোদিন দেয়নি, সে দিতেও পারে না। যার দেওয়ার কোনো সক্ষমতা নেই, দেওয়ার কোনো ইচ্ছা, দরদও নেই, তার কাছে কেউ চায়ও না।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে জেলা সদরের বিষ্ণুপুর ও ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে নদীভাঙন এবং চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে তাদের কাছে কেউ চায়নি। কারণ জানে, তারা পাবে না এবং ইতিহাস তাই বলে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল কিছুই হয়নি। তাদের এমপি-মন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট আমাদের করে দিতে হয়েছে। কাজেই মানুষের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে। আর চাঁদপুরে নদীভাঙন প্রতিরোধে যতটুকু কাজ হয়েছে, তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, চাঁদপুরে আগামীতেও নদীভাঙন প্রতিরোধে কাজ হবে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী ভাঙনের যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে তা দেখেছি। বিভিন্ন স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আমি বিষয়গুলো জানি এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি আবারও চাঁদপুরের নদীভাঙন প্রতিরোধের প্রকল্পগুলো নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান।
এ ছাড়াও নদী উপকূলীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরেরা তাদের নিজ নিজ এলাকার ভাঙন চিত্র সভায় তুলে ধরেন।
পাউবো, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল হক, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারী, আবিদা সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান দীপু মনির
এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে দুর্যোগকবলিত এলাকায় এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত আছে পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো যায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সে স্থানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষা চলবে।’
আরও পড়ুন: সরকার বছরে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫.৩৪ লাখ টাকা খরচ করে: দীপু মনি
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী। তারা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বহু আগে ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সে জন্য এত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতে কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে।
আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিক সময়ে নিতে। এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সে জন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এই আন্দোলন না করে তারা পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তো পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব সময় আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
এসএসসির পরে এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া অর্থাৎ ঝরে পড়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এই সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়: দীপু মনি
২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কয়েক জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য কাল ও পরশু (বুধ ও বৃহস্পতিবার) বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তরুণরাই স্মার্ট। আর এই স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নেমেন্ট আবর্তিত হবে এই স্মার্ট সিটিজেন দিয়েই।
রবিবার (৩০ জুলাই) ইন্টার কন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলার গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত ‘চকবোর্ড থেকে কিবোর্ড’ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর আড্ডায় এসব কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আর সে-ই স্মার্ট- যে হবে দক্ষ, যোগ্য সৃজনশীল, মানবিক, অসম্প্রদায়িক, পরমতসহিষ্ণু ও মানবিক।
‘ফায়ারসাইড চ্যাট’ সেশনে টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মির্জা সালমান বেগের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের একটা দারুণ সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই আমাদের যোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষাই প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষাই হবে মেগাপ্রকল্প। তাই আমাদের শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বাই চান্স শিক্ষক নয়; আমাদের দরকার মনে-প্রাণে শিক্ষক।
মন্ত্রী বলেন, তাদের মাধ্যমেই আমরা দক্ষ, যোগ্য ও মানবিক মানুষ গড়ে তুলেতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে সময়ের প্রয়োজনেই তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, উপনিবেশিক শিক্ষার আগের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো অনেক ঋদ্ধ। তখন গুরু-শিস্যের শিক্ষা ছিলো। কিন্তু দীর্ঘ উপনিবেশিক শিক্ষায় আটকে ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে এখন আমরা নতুন ও পরবর্তী প্রজন্মকে অনিশ্চিত অজানা ভবিষ্যতের জন্য সেট অব স্কিল শেখাচ্ছি।
তিনি বলেন, সফট স্কিলের পাশাপাশি দলগত ভাবে কাজের দক্ষতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং চিন্তা শক্তির মাধ্যমে সমাধানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে আসছি। আমরা করে করে শেখার পদ্ধতি চালু করেছি। আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা পুরোপুরি নতুন একটা কারিকুলামে চলে যাচ্ছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রিয়েল প্রাক্টিশনারকে শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সফট স্কিলগুলো নিয়মিত রিস্কিল করতে হবে। ছোটো ছোট মডিউল তৈরি করতে হবে। সর্বোপরী উন্নাসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গবেষণা, উদ্ভাবন, বিপননে পথ উন্মুক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাততকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অপতৎপরতা, নাশকতা ও অরাজকতা সৃষ্টির সেই ধারায় বিএনপি-জামায়াতের আবারও ফিরে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি মোটেই দেশের জন্য ইতিবাচক নয়। এই সময়ে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদান ও আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার সমস্ত কিছুই ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। কারণ শিক্ষার্থীদের করোনার কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এখন আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নভেম্বরের মধ্যে এ বছরের পাঠ্যসূচি, পরীক্ষা সব শেষ করতে চেষ্টা করছি। এখন এই রকম অরাজকতা সৃষ্টি করলে আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম আবারও ব্যাহত হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি যে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আমাদের নতুন প্রজন্ম, আগামী প্রজন্মের বিষয় ও স্বার্থকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।
দীপু মনি বলেন, রাজনীতির মাঠে রাজনীতি থাকবে। রাজনীতি মানে অরাজকতা, ধ্বংসলীলা নয়। সামনে নির্বাচন আসছে নির্বাচনে সবাই গণতান্ত্রিক ভাবে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই একমাত্র এসব প্রশ্নের মীমাংসা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিশু-কিশোরদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তামাকাসক্তি শিশু, কিশোর ও যুবাদের সুস্থ বিকাশের অন্তরায়। তামাকমুক্ত ও উন্নত দেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় প্রজ্ঞা ও আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করে। তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকের দাম কমবে: প্রজ্ঞা
তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এলক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে- সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এধরনের সকল পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি।
বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক, আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, প্রজ্ঞা’র পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন এবং প্রোগ্রাম অফিসার মেহেদি হাসান।
আরও পড়ুন: তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে তামাক কোম্পানি!
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করবৃদ্ধি ও আইন শক্তিশালীকরণের তাগিদ
শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার ছিল শিক্ষার সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন করব।
তিনি বলেন, সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার। সেগুলো হলো আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপক হারে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, টেকসই প্রযুক্তি লাগে সেগুলো ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, আজ উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সকল রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৪-৫ বছর সময় নিবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তারা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় শিক্ষায় মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেই উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দৃশ্যমান দেখতে পাবেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একেকভাবে হয়।
আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেকগুলো নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণিত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব এবং হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে, যথানিয়মে, আইন-কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সেখানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী