শিক্ষামন্ত্রী
নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়তে নারী ও পুরুষের সমান ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষের সকল বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন।
এছাড়া নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
তিনি বলেন, তিনি আমৃত্যু শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল অগ্রগতি-অগ্রযাত্রায় নারীরা অনন্য ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে রোটারি ভবনে উদ্যোক্তাদের মেলা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা নারী ছাড়া হয়। নারীদের জড়তার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারীদের হাত ধরে এগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের কাজটা করে যেতে হবে। নারীদের প্রযুক্তি শিখতে হবে। নারীকে তার যোগ্যতায় নিজের জায়গা করে নিতে হবে।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, চাঁদপুরের মেয়েরা বহুকাল আগে থেকেই শিক্ষা-সাহিত্য-সস্কৃতিতে এগিয়ে আছে। এখনও দেশে-বিদেশে চাঁদপুরের মেয়েরা তাদের কর্মদীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে। গত কয়েক বছরে চাঁদপুরে অসংখ্য নারী উদ্যোগতা সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর উইমেন চেম্বারের আয়োজনে উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করেছে। এটি নারীদের প্রেরণা দিতে একটি মহৎ উদ্যোগ।
আমি এ মেলার আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তৈরি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বর্তমান শিক্ষাক্রম সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘৪র্থ সমাবর্তন-২০২৩’- অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল উপাদানগুলো হবে-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব। আমাদের ডেমোগ্রাফিক যে ডিভিডেন্ট রয়েছে, সেটি আর ৯/১০ বছরের রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাকে উপযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের। এছাড়া, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করেছি, তারা কাজও শুরু করেছে। এছাড়া শিক্ষাকে সহজলভ্য করার জন্য সকল জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে আমাদের যে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রয়েছে, তারা যেন তাদের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি না করেন। কারণ ধারণ ক্ষমতার বাইরে নানা সমস্যা তৈরি হয়, অসন্তোষ তৈরি হয়।
এছাড়াও গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপানদের যাত্রাপথকে অসততা দিয়ে কলুষিত করবেন না। এটি খেয়াল রাখতে হবে। সত্যের পথ একটু কঠিনই হয়। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা’।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর প্রথমে তিনি যবিপ্রবির প্রধান ফটকস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সমাবর্তনের শোভাযাত্রা সহকারে তারা অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে এক হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করে।
তাদের মধ্যে ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন্স অ্যাওয়ার্ড পান।
আরও পড়ুন: সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সমাজের কাছে ইমামদের কথা গুরুত্ব বহন করে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আলেমদের উদ্দেশে বলেছেন, সমাজে ইমামদের কথা অনেক গুরুত্ব বহন করে। মানুষকে সঠিক পথে রাখা আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব। একটি চক্র বর্তমানে বইয়ের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে।
তিনি বলেন, যারা অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে তাদের বিচার আপনাদের কাছে দিলাম। যখন সমাজের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বা পথপ্রদর্শন করবেন তখন সঠিক কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের কদমতলা মন্ত্রীর নিজ বাসভবনে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার আওতাধীন মসজিদের খতীব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের ভোটের কারণে আমি এতবড় সম্মানে যেতে পেরেছি। আপনাদের মাথা ছোট হয় এমন কোন কাজ আমি কখনো করিনি। অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। মিথ্যা প্রচারে অংশ নিলে নিজের দায়িত্ব পালন করা হলো না।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে পরিবর্তনের গতিটা অনেক বেশি। এখন ক্ষণে ক্ষণে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। যেটা সত্য না, তা বইতে আসতে পারে না। একটি চক্র বলছে বানর থেকে মানুষ হইছে এ কথাটা ছড়াচ্ছে। আর কিছু মানুষ তার পিছনেই দৌঁড়াচ্ছে যাচাই না করে।
চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, সরকার কি ধাক্কা দিয়া ফালানোর জিনিস! আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না। সকলের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যায়, উপবৃত্তি পায়। শেখ হাসিনার সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে ৫দিন ক্লাস হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে পাঁচদিন ক্লাস হবে এবং দুইদিন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কয়দিন বন্ধ থাকবে তা একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমে সপ্তাহে পাঁচদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হবে। বাকি দুইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত শিক্ষাক্রম। গতবছর আমাদের শিক্ষাক্রমে ছিল ছয়দিন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। যখন বিদ্যুৎ নিয়ে সঙ্কট ছিলো তখন সেটাকে আমরা পাঁচদিন করেছি। তখনই বলা হয়েছিলো যে এখন বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে করা হচ্ছে, কিন্তু নতুন শিক্ষাক্রমেও পাঁচদিনই শ্রেণীকক্ষে পাঠদান হবে।
আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজে উপবৃত্তির ৭৫১ কোটি টাকা বিতরণ শুরু
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে যে নিয়ম, আমাদের দেশেও তা। আর তাছাড়া শিক্ষকদেরও ১-২ দিন সময়ের দরকার। তাদেরও একটু বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আবার শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কারিগরি বিভাগে তার আগের ১০বছর কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত চার বছরে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।
তিনি বলেন, সবসময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন, কাজেই কিছু কিছু পদ শূন্য হয়।আবার সেই চাহিদা অনুযায়ী আমরা সেগুলোতে নিয়োগ দেই। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া যে খুব সহজ তাও নয়।
তিনি আরও বলেন, এমুহূর্তে আমাদের কোনো শিক্ষক সঙ্কট নেই। কোথাও শূন্য থাকলে তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।এসময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
জুন থেকে স্কুল ফিডিং চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে অসুবিধা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসিতে যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছেন তার থেকে কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী চাঁদপুর সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় যারা পাস করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হন। কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞানে, কেউ প্রকৌশলে, কেউ স্থাপত্যে আবার কেউ আইনে চলে যান। আবার অনেকে আছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চ শিক্ষার জন্য।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ইরাব সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, আমাদের সারাদেশে দুই হাজার ২৫৭টি কলেজ রয়েছে। সেখানেও অনেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যান। আবার অনেকে কারিগরি শিক্ষার জন্যও যান। সব মিলিয়ে আমাদের আসন সংখ্যা যে পরিমাণ রয়েছে তা পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে বেশি।
ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হতে কোনো অসুবিধা হবে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যা কিছুই করছি, সবই নতুন প্রজন্মের জন্য। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তার কন্যা আমাদের দেখাচ্ছেন, সেই বাংলাদেশ গড়বার মূল কারিগর হবেন আমাদের নতুন প্রজন্ম।
এছাড়া আমাদের কাজ হচ্ছে সকল জঞ্জাল সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি মসৃন পথ তৈরি করে দেয়া।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বেপারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া একই সিলেবাসের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
আশা করি, সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতো। এখন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। এসএসসিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা হয়, তার আরেকটু উচ্চতর স্তরে এইচএসসি। সেই এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে একটা পরীক্ষা হয়। সেখানে গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও সাধারণ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়। এক পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে তালিকা তৈরি হয়। সেই স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল- ২০২৩ মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য একটি বিজনেস ইনকিউবেটর থাকবে।
এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে সকল সহযোগিতা প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা শিক্ষার্থী কর্তৃক কোনও উদ্ভাবন, মেধাস্বত্ব, আবিষ্কার বা প্রক্রিয়া, বাজারজাত এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সহযোগিতা দেবে।
আরও পড়ুন: নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিলে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা কমিটি যৌন হয়রানি, সহিংসতা ও র্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটকে প্রস্তাব দেবে।
এতে বলা হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর। তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেবেন। তবে দুই মেয়াদে কাউকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ দেয়া হবে না।
চ্যান্সেলর চার বছর মেয়াদে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করবেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
সংসদে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এতোরকমের কথা বলা হচ্ছে, তারমধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে সেখানে আমরা নিশ্চয়ই সংশোধন করেছি এবং করবো। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, তখনই তা সংশোধন হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে, সেটিতো উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)) দুপুরে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাঢোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও সেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে এবং সত্যিকার অর্থে ‘করে করে’ (ব্যবহারিকভাবে) শিখছে। যেটি তারা সারাজীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মিলাচ্ছেন। এরতো কোনো অর্থ নেই।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে এবং সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যেগুলো নিয়ে বরং কথা বলা উচিত। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো অন্যদেরকে আরও উসকে দিবে। বরং এই শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায় সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে। এছাড়া আমাদের যাতায়াত ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ, প্রত্যেকের হাতে মোবাইল ফোন। সত্যিই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। তবে স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় আমরা মনি করি, রাজনীতিকেও স্মার্ট হতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ের কাগজ বেশি ব্রাইট হলে চোখের জন্য ক্ষতি হতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী
যেখানে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রী দু’দিনের সফরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে আসেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ ও দেশ-এটিই সবার আগে এবং সেখানে মিথ্যাচার, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা, মানুষকে পুড়িয়ে মারা কখনও স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট রাজনীতির অংশ হতে পারে না।
এছাড়া মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করা এবং কেউ না খেয়ে থাকবে আর কেউ অর্থ বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলবে, স্মার্ট রাজনীতি এগুলো হতে দেবে না।
মন্ত্রী বলেন, ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর কথা। বই না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কোথাও পৌঁছাতে দেরি হয়ে থাকে, অবশ্যই আমি তা দেখব। তবে সবাইকে বলব, আমাদের ওয়েব সাইটে প্রত্যেকটি বই দেয়া আছে, কোথাও যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটেও থাকে, তাহলে ওয়েব সাইট থেকে শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে শিক্ষকরা সহায়তা নিয়ে পাঠদান করতে পারবেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ঠিক পিতার মতো। যখন যে স্বপ্ন দেখান, তা বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ, মধ্যম আয়ের দেশ, উন্নয়নশীল দেশের কথা বলেছিলেন, হয়েছি আমরা। এখন তিনি আমাদের দেখিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, সুখী ও শান্তিময় বাংলাদেশ হবো এবং সে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এরপর তাঁর নির্বাচনী এলাকার অংশ হাইমচর উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারের বাচ্চু সরকারের বাড়ী, পুরান বাংলাবাজার ওসমান প্রধানিয়া বাড়ী ও সৈয়দ মেম্বারের বাড়ীতে উঠান বৈঠক এবং নতুন সাহেবগঞ্জ বাজারের জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, দেশে একশ্রেণীর অপশক্তি পাঠ্যবইয়ে যে তথ্য নেই, সেই তথ্য আছে বলে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার কখনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের যদি ভুল থাকে ভুল স্বীকার করে সংশোধন করবো। ইতোমধ্যে যেখানে ভুল দেখা গেছে, তখনই দায়িত্বশীলদের দিয়ে সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। নতুন কারুকলামের পাঠ্যবইয়ে কোথাও কোথাও ভুল থাকতে পারে, এগুলো সংশোধনের জন্য দুটি কমিটি করে দিয়েছি। যখনই ভুলগুলো চিহ্নিত হবে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় যশোর শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে ৬ দিনব্যাপী ৫১তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসময় দীপু মনি বলেন, তবে যেখানে ভুল নেই, বইয়ে ভুল নিয়ে মিথ্যাচার করছে একটি অপশক্তি। তারা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে চাই। যারা মিথ্যাচার করছে সেই অপশক্তি প্রচেষ্টাকারীদের প্রতিহত করবো ঐক্যবদ্ধ থেকেই।
এ সব মিথ্যা অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দিপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে সেই পথ। আমাদের অনেক লক্ষ্য রয়েছে। ২০৩০ সালে উন্নত সম্মৃদ্ধ, টেকসই বাংলাদেশ গড়ার। দেশ গড়বার জন্য যেমন সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সম্ভাবনাকে সম্ভব করতে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেই তৈরি হওয়ার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে ত্রুটি নিয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: দীপু মনি
তিনি বলেন, তারা যেন সুস্থ ধারায় সুন্দর মন নিয়ে কর্মের লক্ষে এগিয়ে যেতে পারে, তারই অংশ হিসেবে বিগত শিক্ষাব্যবস্থাকে রুপান্তর করা হয়েছে। নতুন কারুকলামে শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের দক্ষতা বৃদ্ধি, চিন্তা করবার দক্ষতা, সমসাময়িক বিষয়ে সমাধানের দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. ওমর ফারুক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার, জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.আহসান হাবিব।
আরও পড়ুন: এনসিটিবি’র নতুন পাঠ্যক্রমের ৩ পাঠ্যবইয়ে ৯ ভুল সংশোধন
নতুন পাঠ্যপুস্তকে চুরির অভিযোগ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ জাফর ইকবালের