পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ককে ‘নতুন স্তরে’ উন্নীত করার আশা নিয়ে বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, শনিবার বিকাল ৫টা ১৮ মিনিটের দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রী ওয়াং ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ওয়াং ইয়ের সফর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন স্তরে ‘উন্নীত’ করবে: বেইজিং
পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে শনিবার ঢাকায় আসছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস তার কর্মসূচির সময়সূচি বিস্তারিত জানায়নি।
মন্ত্রী ওয়াং রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং একই দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকজন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সফর থেকে আলাদা হতে চলেছে। আমি এই মুহূর্তে আপনাকে বিস্তারিত বলতে পারব না, কারণ এখনও শেষ মুহূর্তের আলোচনার ওপর অনেকগুলো বিষয় নির্ভর করছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার সন্ধ্যায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের বৈঠকে (৫-৬ আগস্ট) যোগদান শেষে কম্বোডিয়া থেকে শনিবার রাতে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ওয়াংয়ের সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে পাঁচ-সাতটি হতে পারে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, পরিকল্পিত সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিগুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, যদিও তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ‘গভীর ও বিস্তৃত’ এবং দুই দেশ ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছে আরও জোরালো ভূমিকা চাইবে।
বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থান দিয়েছে। সংকট আলোচনা ও সমাধানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন-এই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ আবার চীন থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে কি না এক সাংবাদিকের করা এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এবার নতুন করে ঋণ নেয়ার বিষয়টি নেই।’
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্কটের মধ্যে এই সফর কী বার্তা দেবে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি এই অঞ্চলে চীনা পক্ষের নিয়মিত সফরের অংশ এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক পর্যালোচনা করার একটি সুযোগ।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘন্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। ‘এবার, তিনি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য আসবেন।’
ওয়াং ১৯তম সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, স্টেট কাউন্সিলর ও স্টেট কাউন্সিলের লিডিং সিপিসি মেম্বারস গ্রুপের সদস্য।
আরও পড়ুন: ঢাকার এক চীন নীতিকে স্বাগত জানাল বেইজিং
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জাপান, কোরিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর মিয়ানমারের সাথে অধিকতর বিনিয়োগ ও বাণিজ্য থাকায় তাদের দিক থেকেও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখা প্রয়োজন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস এর সাথে বৈঠক করেন।
ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অত্যন্ত জোরালোভাবে বৈঠকে উত্থাপন করে বলেন, অনেক প্রচেষ্টার পরেও গত পাঁচ বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যকর সমর্থন প্রত্যাশা করেন; অন্যথায় মিয়ানমার ও বাংলাদেশ এমনকি সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন বাংলাদেশে দারিদ্রের হার কমিয়ে আনার অসাধারণ সাফল্যের কথা জানান। একইসাথে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের সংকটের কথাও জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
চট্টগ্রাম-মোংলা বন্দরের সুবিধা নিতে পারে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
মানব পাচার মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সহজ স্থানান্তর চায় ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানব পাচার একটি আন্তঃসীমান্ত বা আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ। পাচারকারীরা একটি নির্দিষ্ট দেশে প্রযুক্তির ব্যবহারে ভাল হতে পারে এবং তাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি থাকতে পারে। আমরা আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছি যে, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সনদ ও উদ্যোগের মাধ্যমে মানব পাচার প্রতিরোধ করব।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব পাচারকারীরা আরও বেশি ক্ষতি করে। তবে সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে পাচারকারীর প্রচেষ্টাকেও প্রতিহত করতে পারে।’
‘প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শনিবার বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস ২০২২- উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশন-এর ‘কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সনস টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপ’ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহারের প্রেক্ষাপটে মানব পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে একটি জাতীয় পরামর্শ সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক মানব পাচারের প্রবণতা, পরবর্তী পরিস্থিতি এবং সাইবার স্পেসে মানব পাচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক অংশীদার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ মানব পাচারের ক্ষেত্রে উৎস, ট্রানজিট ও গন্তব্য দেশ। যদিও বাংলাদেশ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিকিং ইন পারসনস প্রতিবেদন ২০২২ অনুয়ায়ী ‘টায়র ২’-এ অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে অনেক ভাল উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানুষ পাচার একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। আমরা এই ভয়াবহ অপরাধের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছি। পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সব পক্ষের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। মানব পাচার প্রতিরোধে অনলাইনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেনের মতে, ‘পাচারের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার হন। তারা হয়রানি, জোরপূর্বক শ্রম, জোরপূর্বক ও অবৈধ বিয়ে, মৃত্যুর মত পরিস্থিতিতে পরেন। সর্বস্তরে মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন উল্লেখ করেন, ‘মানব পাচার রোধে বাংলাদেশ সরকারের যথেষ্ট আইন ও নীতি রয়েছে। এছাড়াও, অভিবাসন সংক্রান্ত গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ব্যক্তি পাচার নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এখন জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে এই আইন ও কমপ্যাক্টের কার্যকর বাস্তবায়ন করে, মানব পাচারের মত জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটাতে হবে।’
প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা মানব পাচারের কার্যক্রম জোরদার করছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সনাক্ত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের নিয়োগ, শোষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পাচারকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নানা টুল ব্যবহার করছে। এছাড়া পাচারকারীরা সহজে ভুক্তভোগীদের পরিবহন, বাসস্থান, বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখানো, অন্য পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগেও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারকারীরা পরিচয় গোপন করছে। দ্রুত গতিতে এবং অল্প খরচে যোগাযোগ করতেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস উল্লেখ করেন, ‘প্রযুক্তি পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবেও অনেক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। মানব পাচার নির্মূলের প্রচেষ্টায় ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য আইন প্রয়োগকারী এবং অপরাধমূলক বিচার ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান এবং বাংলাদেশ ইউএন নেটওয়ার্ক অন মাইগ্রেশনের সমন্বয়কারী আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, ‘ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহারের ওপর প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করলে মানব পাচারের ঝুঁকি কমবে। মানব পাচার দমন ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য টেকসই প্রযুক্তি-ভিত্তিক সমাধানে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। যার মাধ্যমে আমরা বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারি।’
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিদেশ যান। যাদের মধ্যে অনেকেই পাচারকারীদের লক্ষ্যবস্তু হন। কোন কোন অভিবাসী ঋণ, জোরপূর্বক শ্রম, যৌন শোষণ, জোরপূর্বক বিয়ে এবং আধুনিক দাসত্বের শিকার হন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জেরেমি ওপ্রিটেসকো, বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন স্কট ব্র্যান্ডন এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আগামী ৬-৭ আগস্ট এই সফরের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের মধ্যেই এই সফর হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফরসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সফর চূড়ান্ত হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াংকে আসলে তিনি খুশি হবেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা
চলতি বছরে ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হতে পারে
ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) মিশরের অনুমোদনের সঙ্গে চলতি বছরের অক্টোবরে কার্যকর হতে পারে যা আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মিশর ছাড়া অন্য সাত সদস্য দেশ ডি-৮ পিটিএ অনুমোদন করেছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন- মিশর এই সভায় ঘোষণা করেছে তারা শিগগিরই এটি অনুমোদন করবে।’
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডি-৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সভার ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠার সময় ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মোমেন বলেন, ‘আমার আশা আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের আন্তঃবাণিজ্য ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এটাই আমার আশা। আমরা এটি অর্জন করতে পারব না এমন কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ডি-৮ এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম বলেন, ডি-৮ পিটিএ ইতোমধ্যেই আছে এবং তাদের শুধু এটিকে কার্যকর করতে হবে। ‘আমরা আশা করি এটি এই বছরের অক্টোবরের মধ্যে কার্যকর হয়ে যাবে।’
২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হয় এবং এটি বাণিজ্যে ডি-৮ এর সহযোগিতার সবচেয়ে দৃশ্যমান ফলাফল হিসাবে বিবেচিত হয়।
ডি-৮ ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। এটি উন্নয়নশীল আটটি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক একটি সংগঠন। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। ১৯৯৭ সালে ইস্তানবুলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সম্পাদিত ‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে গ্রন্থটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘চন্দ্রাবতী একাডেমি’ আয়োজিত প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক; বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের নানাদিক তুলে ধরে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের উন্নয়ন ইতিহাসে অনন্য এক দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তারা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই অর্জনের বিভিন্ন দিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের লেখনির মাধ্যমে এ গ্রন্থে তুলে ধরার জন্য বক্তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
‘আমাদের অর্থে আমাদের পদ্মা সেতু’ গ্রন্থটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন এ গ্রন্থের সম্পাদক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার, প্রবন্ধ, কবিতা ও গান গ্রন্থটিতে সন্নিবেশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত দুইটি ভাষণ, বিশিষ্টজনদের লেখা ৫১টি প্রবন্ধ, ১০টি কবিতা ও ছড়া, ৩টি গান ও ৪টি সাক্ষাৎকার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রন্থটির প্রকাশক, চন্দ্রাবতী একাডেমির স্বত্ত্বাধিকারী কামরুজ্জামান খন্দকার কাজল। অনুষ্ঠানের শুরুতে পদ্মা সেতু বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে গ্রন্থটিতে প্রকাশিত প্রবন্ধের লেখকগণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতু ভ্রমণ প্যাকেজ চালু
পদ্মা সেতু উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য গর্বের প্রতীক: হুন সেন
ডি-৮ বৈঠকে খাদ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮’র এর মন্ত্রী পর্যায়ের ২০তম আলোচনা সভায় খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পর্যটন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা; যা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যু বহুল আলোচিত হবে। আমরা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই। সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
জ্বালানি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, এটি সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। ‘আমাদের অবশ্যই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, যদিও কিছু ডি-৮ দেশ পর্যটন খাতে পরিপক্কতা দেখিয়েছে, তবে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের আরও বেশি কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
মোমেন বলেন, আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও ডি-৮ দেশগুলো এ বিষয়ে আরও কিছু করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কীভাবে বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করা যায় আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব।’
তিনি বলেন, ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ)-এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য আসন্ন বছর খুবই প্রতিশ্রুতিশীল: ডাচ রাষ্ট্রদূত
২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে স্বাক্ষরিত ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বাণিজ্যে ডি-৮ সহযোগিতার সবচেয়ে বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
চুক্তিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং উচ্চ স্তরে অর্থনৈতিক সংলাপের সূচনা করে।
কয়েক দফা বহুপাক্ষিক আলোচনার পর ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পিটিএ কার্যকর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ বৈঠকে আজারবাইজানের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে ডি-৮ দেশের কিছু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সহকর্মীরা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এতে যোগ দিয়ে সভার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ২৫ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ডি-৮ কমিশনের ৪৫তম অধিবেশনের আয়োজন করবে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের (ডি-৮) বা ডেভেলপিং-৮ হলো উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য গঠিত একটি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
১৯৯৭ সালের ১৫জুন সরকার প্রধানদের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-৮ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডি-৮ এর উদ্দেশ্য হল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নত করা, বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার
বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডেপুটি স্পিকার ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রী এই শোক জানান।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংসদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় তিনি যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা চিরদিন স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মন্ত্রী মরহুম ফজলে রাব্বি মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ২৩ জুলাই এই পদক দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড ১০৩.৫ মিলিয়ন ডলারে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক বিক্রি
শনিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার ইউএনবিকে বলেন, ‘দারুণ খবর। ভালোভাবে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক অভিনন্দন।’