পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ডেপুটি স্পিকার ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রী এই শোক জানান।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া একজন দেশপ্রেমিক ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ হিসেবে জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন। অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংসদ হিসেবে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র চর্চায় তিনি যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা চিরদিন স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মন্ত্রী মরহুম ফজলে রাব্বি মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মেয়ের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মৃত্যুকালে তিন মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আনোয়ারা রাব্বি ২০২০ সালের মে মাসে মারা যান।
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে ২৩ জুলাই এই পদক দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রেকর্ড ১০৩.৫ মিলিয়ন ডলারে রুশ সাংবাদিকের নোবেল পদক বিক্রি
শনিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার ইউএনবিকে বলেন, ‘দারুণ খবর। ভালোভাবে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক অভিনন্দন।’
পদ্মা সেতু উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য গর্বের প্রতীক: হুন সেন
নিজস্ব সম্পদ দিয়ে চ্যালেঞ্জিং পদ্মা সেতু প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
তিনি সেতুটিকে কম্বোডিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য গর্বের প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার নমপেনে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ শুরু: মন্ত্রী
তারা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে তা আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেন।
দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী বছর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ড. মোমেন।
মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করার জন্য আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন কামনা করেন।
সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে কম্বোডিয়ার সমর্থনের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধেয় বড় বোন অভিহিত করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার নেতা।
মোমেন ও হুন সেন মহামারি এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে তিন দিনে ১১ কোটি টাকা টোল আদায়
দুই নেতাই ক্রমবর্ধমান খাদ্য ও জ্বলানি নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যা জনগণকে প্রভাবিত করছে বিশেষ করে উন্নয়নশীল বিশ্বের।
তারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সংলাপ ও সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শিনজো আবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তৃত সম্পর্ক উন্নয়নে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এবং ঢাকায় আবের সফরের কথা স্মরণ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানকে এগিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।‘
মঙ্গলবার ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোক বইতে স্বাক্ষর করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড: নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
আব্দুল মোমেন বলেন, এটা অবিশ্বাস্য, বিশেষ করে জাপানের মতো দেশে যেখানে কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করা হয়। আমরা গভীরভাবে মর্মাহত।
শনিবার দেশে জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়েছে।
সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো আবের স্মরণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখেছে এদিন।
আবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকায় জাপান দূতাবাস জানিয়েছে,জাপানের জনগণ বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের গভীর সমবেদনাকে আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করে।
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক ড. এনামুল হকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
একুশে ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক, জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুম এনামুল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এনামুল হকের কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও সংরক্ষণে ড. এনামুল হকের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ছিলেন। জাতীয় জাদুঘরের আধুনিকীকরণে তার অবদান অনস্বীকার্য।
প্রসঙ্গত, ড. এনামুল হক গতকাল (রবিবার) ঢাকায় নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
পড়ুন: ড. এনামুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বন্যা থেকে বাঁচতে নদী খননের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যা থেকে বাঁচতে নদীগুলো খনন করতে হবে। অন্যথায় পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। প্রকৃতিকে অস্বীকার করে চলা যায় না। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণে প্লানিং করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার নয়াবাজারে সিলেট জেলা যুবলীগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন সিলেটে কোন নদী সংস্কার হয়নি, পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এক সময় সিলেট শহর দীঘির শহর ছিল, চারপাশে পুকুর ছিল। আজ কিছুই নেই। শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং। যত জলাশয় ছিল, দখল হয়ে গেছে। সাগরদিঘীতে এক ফুটা পানিও নেই। এসব কারণেই তো এতো বড় বন্যা দেখা দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, বন্যার সময় আমাদের সফলতা হলো- তড়িৎ গতিতে মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদেরকে খাবারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমেছে।
তিনি বলেন, ১৬ জুন রাতে স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান রাত ৩টার দিকে আমাকে বন্যার ছবি দিলেন। আমি দেখলাম, আমার সিলেট পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তখনই দুর্যোগ মন্ত্রীকে ফোন দিলাম, বললাম- আমার সিলেট শেষ। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মন্ত্রী বললেন- চিন্তার কোন কারণ নেই, প্রয়োজনীয় খাবার, টাকা-পয়সা আছে। যা লাগবে বলবেন।
মোমেন বলেন, বন্যার মানুষ থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইলাম। প্রধানমন্ত্রী নৌকার ব্যবস্থা করে দিলেন। সেনাবাহিনী পাঠিয়ে মানুষকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করলেন। এবারের বন্যায় সিলেটে সরকারের পক্ষ থেকে যা সাহায্য এসেছে তা আর কখনও আসেনি।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বন্যায় সময় নেতাকর্মীরা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। তারা শুকনো খাবার দিয়েছেন, ত্রাণ দিয়েছেন। এজন্য বলি, আওয়ামী লীগ সরকার বারবার দরকার। আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। জনগণের মান উন্নয়নে এ সরকার কাজ করে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৩: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সিরাজগঞ্জে বন্যায় ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সমাজে যদি কোনো ধরনের সন্ত্রাস-উগ্রবাদ না থাকে, সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট না হয়, যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলে মানুষের মঙ্গল হয়। আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য কাজ করছি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় সিলেট নগরের যুগলটিলাস্থ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সিলেট মন্দিরে উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে, কারণ বিভিন্ন সময় ধর্ম নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছে, বর্তমানেও তাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই এদের কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সাবেক ট্রাস্টি চন্দন রায়, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া প্রমুখ।
সভা শেষে মঙ্গল প্রদীপ জ্বলিয়ে রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অতিথিরা। পরে বর্ণাঢ্য সাজে তিনটি বিশাল রথে জগন্নাথদেব, শুভদ্রা ও বলরামের বিগ্রহসহ বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।শোভাযাত্রাটি নগরের রিকাবীবাজার, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, নাইওরপুল, বন্দরবাজার, তালতলা, রিকাবীবাজার হয়ে ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা দুর্গতদের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তর
বন্যার ক্ষতি এড়াতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শিনজো আবের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিনজো আবে আমার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশেরও বন্ধু ছিলেন।
ড. মোমেন শিনজো আবের উপর গুলি চালানোর ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জাপানের জনগণ এক অসাধারণ নেতাকে হারালো, একইসাথে বাংলাদেশ হারালো তার একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে।
তিনি শিনজো আবের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য এবং জাপানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম জাপানের নারাতে শুক্রবার বক্তব্য শুরু করার কয়েক মিনিট পর পেছন থেকে গুলি করা হয় আবেকে। তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে তার শ্বাসকষ্ট ও হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পড়ুন: গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে মারা গেছেন
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ
জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার চর্চাকালে দেশের স্বার্থ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা সমস্যা তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার খুবই স্বচ্ছ। আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মোমেন বলেন, সেখানে সকল স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত এবং প্রত্যেকেরই মনে রাখতে হয় যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থিতিশীলতা ও চমৎকার প্রবৃদ্ধি রয়েছে।’ সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গুজব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, দেশ ও এর স্বার্থ যাতে কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ‘আপনারা সবাই এই দেশকে ভালোবাসেন। আমরাও ভালোবাসি। মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে।’
লিসবনের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় ঢাকা
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার আশা প্রকাশ করে ঢাকায় একটি আবাসিক পর্তুগিজ মিশন প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করতে পর্তুগিজ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকায় সব ধরনের ভিসার আবেদন গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পর্যায়ক্রমিক কনস্যুলার সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
পর্তুগাল ও কেনিয়ার যৌথ আয়োজনে ২য় জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলন ২০২২ এর সাইডলাইনে শুক্রবার লিসবনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জোয়াও গোমেস ক্রাভিনহোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: কলম্বো বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙ্গরের সুবিধা
এটি ছিল পররাষ্ট্র পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যকার প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বাংলাদেশ ১০ বছর ধরে লিসবনে একটি আবাসিক বাংলাদেশ দূতাবাস চালু রেখেছে এবং সম্প্রতি দূতাবাসের স্থায়ী অবস্থানের জন্য লিসবনে সম্পত্তি ক্রয় করেছে।
পর্তুগিজের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং পরামর্শগুলো আমলে নিয়েছেন।
তিনি পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পর্তুগিজ অর্থনীতিতে অবদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ড-বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর: পানির গল্প নিয়ে ‘বই’ উন্মোচন
উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় স্তরে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবসম্পদ, সমুদ্র অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্তুগাল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যকর ভূমিকার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী