আদালত
৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাট: দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ অভিযুক্ত ডেপুটি গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
২৭ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে দুদককে জানাতে বলেছেন আদালত।
সম্প্রতি দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।
ডিএজি আমিন উদ্দিন বলেন, আজ শুনানি শুরুর আগে বেঞ্চ আইনজীবীদের প্রতিবেদনটি পড়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৪৯ জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন বিভাগের এসব কর্মকর্তার সহায়তায় প্রশান্ত কুমার হালদার ও মেজর (অব.) মান্নান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিআইএফসি ও আইএলএফএসএল থেকে অবৈধভাবে জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে মোট তিন হাজার ৭৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইএলএফএসএল শুধু ভারতে কারাবন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেই নেয়া হয়েছে তিন হাজার ১৩০ কোটি টাকা। আর বিআইএফসি থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছে ৬০০ কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও নিশ্চুপ ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তদন্ত প্রতিবেদনে এই লুটপাটের জন্য প্রধানত নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী তিনজন ডেপুটি গভর্নর, ৬ জন নির্বাহী পরিচালক, ১১ জন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং ১৫ জন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ১২৪ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ মোট ৫১ জনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, আটজন নির্বাহী পরিচালক, পাঁচজন জিএমসহ মোট ২৯ কর্মকর্তার নাম এসেছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ সময়ের আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
এছাড়া খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির জন্য ২৯ জানুয়ারি ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ মার্চ
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা। বর্তমানে এই মামলায় ১৫ জন আসামি রয়েছেন। ৯ আসামি মারা গেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতা মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টি২০ স্কোয়াড: চার বছর পর দলে আল-আমিন
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ সদস্য আদালতে হাজির
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে করা মামলায় গ্রেপ্তারের একদিন পর শনিবার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ জন পদাধিকারী ও কর্মীকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ জানান, ‘শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ছাত্র অধিকার পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যার ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদ সদস্যদের ওপর দ্বিতীয়বার হামলা চালায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
পরবর্তী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নিজেদের হেফাজতে নেয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১২
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশে ছাত্রলীগের সদস্যরা হামলা চালালে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়।
বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্যরা নির্দয়ভাবে পেটালে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আবরার হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির জেল আপিল গ্রহণ
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: রাজবাড়ী জেলা মহিলা দলের সদস্য গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজবাড়ীর রক্তকন্যা খ্যাত সোনিয়া আক্তার স্মৃতিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী থানা পুলিশ সোনিয়াকে আদালতে পাঠিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা শহরের ৩ নং বেড়াডাঙ্গায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সোনিয়া সৌদি প্রবাসী খোকনের স্ত্রী। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, রাজবাড়ী থিয়েটার ও জেলা মহিলা দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও জানা গেছে।
সোনিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব ও মিজানপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আরিফিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘Sonya akter smrity’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে গুজবমূলক পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এতে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির জনসাধারণের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি। যে কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করেছেন আরেফিন চৌধুরী।
মামলার বাদী আরিফিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিনে সোনিয়া আক্তার স্মৃতি তার ফেসবুক আইডি থেকে শুভ জন্মদিন প্রিয় লিখে একটি সাপের ছবি পোস্ট করেন। তখন তিনি তার প্রোফাইল ঘেটে দেখেন ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে এই পোস্ট তাকে ব্যথিত করেছে। যার কারণে ৩ অক্টোবর রাজবাড়ী সদর থানায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতির নামে এজাহার করেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীকে নিয়ে ‘কটূক্তি’, সিলেটে যুবক গ্রেপ্তার
এই এজাহারের প্রেক্ষিতে পুলিশ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে এবং মামলাটি বুধবার রেকর্ড হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, গুজব ও কটূক্তি ছড়ানোর অভিযোগে সোনিয়া নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, সিলেটে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
ফেনীতে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
ফেনীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ফেনী জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ইমরান সালেহ আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন বলে আদালতের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন-ফেনী জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন মাস্টার, ফেনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম শিমুল, দাগনভূঞা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ভিপি ইমাম, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম রাহাত, দিদারুল আলম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে রাব্বী, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম পাটোয়ারী ইবু, যুবদল নেতা ফজলুল হক মুন্না ও মামুন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন না পেয়ে মেয়রসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর পদত্যাগ
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। এ উপলক্ষে শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের দুই থেকে আড়াইশো নেতাকর্মী জড়ো হন।
এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে সমাবেশের জন্য জড়ো হন।
বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজন আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ওপর হামলা: ৯ বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনের যাবজ্জীবন
এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এসময় পুলিশ রাবার বুলেটসহ মোট ২৭ রাউন্ড ফাঁকাগুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পরে পুলিশ বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করে।
অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অস্ত্র মামলার যুবলীগের কথিত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বাকি সাতজন আসামি হলেন জি কে শামীমের দেহরক্ষী মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় দেন।
এর আগে সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৮ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।
র্যাব জি কে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদক, মানি লন্ডারিং এবং অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করে।
অস্ত্র মামলায় র্যাব ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন।
আদালত খালাসের আবেদন খারিজ করে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ধর্ষণ মামলায় খুলনার এক আদালত আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানকে বাবার পরিচয় দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. সালাম খান এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি রফিকুল ইসলাম ঢালী ও ভুক্তভোগী মহানগরীর ছোট বয়রা গোলদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারীকে আসামি বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট থেকে একই বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তিনি আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে আসামি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রফিকুল ইসালাম ঢালীকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোনাডঙ্গা থানার এসআই মুনসুর শফিকুল ইসলাম ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি রফিকুলকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। ধর্ষণের ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে আজ তার বয়স ১২ বছর। এ রায়ের মাধ্যমে ওই সন্তান পিতৃ পরিচয় পেয়েছে। এটা তার জন্য বড় প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: খুলনায় কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত ৭ সদস্যকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), এএসআই আলাউদ্দিন (৩২), কনস্টেবল মোস্তফা আজল (৫২) ও কনস্টেবল মো. আল আমিন (২৬)।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ব্যবসায়ী অপহরণ: ডিবির বহিস্কৃত ৭ সদস্য ফের কারাগারে
এর আগে সকাল ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। পরবর্তীতে বেলা ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেন বিচারক। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন। বিচারক ৩৬৫ ধারায় ৫ বছর এবং ৩৮৬ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন। উভয় সাজা এক সাথে ভোগ করতে হবে। ফলে সাজা ৭ বছর বলে গণ্য হবে।'
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল দণ্ডপ্রাপ্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ ডিবির ৬ সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার পর জড়িত অন্য এক জনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবির ৭ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন সেই ব্যবসায়ী গফুর আলম। ২৬ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৬
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার শহরের থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদাপোশাকধারী ব্যক্তিরা টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এরপর ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার স্বজনদের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দেন-দরবারের পর ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয় ব্যবসায়ীর পরিবার। টাকা পৌঁছে দেয়া হলে পরদিন ভোররাতে আবদুল গফুরকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রায় ১০ মাসের মাথায় ২০১৮ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডিবির ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে জামিনে থাকা ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক এবং মামলার রায়ের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
আরও পড়ুন: ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নববধূ হত্যার মামলায় নিহতের স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শামীম (২৫) রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের পাচাইখা গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে, পেশায় এমব্রয়ডারি মেশিন অপারেটর।
আরও পড়ুন: খুলনায় জোড়া খুন: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ আসামির যাবজ্জীবন
নিহত শিউলি আক্তার একই ইউনিয়নের মনির হোসেনের মেয়ে এবং আসামি শামীমের স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামীমের সঙ্গে শিউলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের দু’দিন পরই নববধূ শিউলি ও তার স্বামী শামীমের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বিয়ের মাত্র সাতদিনের মাথায় ৩০ আগস্ট রাতে শামীম শিউলিকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন ৩১ আগস্ট নিহত শিউলির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে শামীমসহ অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
পরে পুলিশ আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি শামীমকে একমাত্র দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ আসামির যাবজ্জীবন
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসামির বয়স কম হওয়ায় এবং চার বছর কারাবাস ভোগ করায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।