আদালত
নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০১৬ সালে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং শিশু আইনে একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সোহাগ (২৯) ও সাগর (২৭)। এদের দুইজনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করে ভুক্তভোগীকে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আটকাদেশ প্রাপ্তের নাম রনি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢুলিয়া গ্রামে জলসার মেলা থেকে ১০ বছরের শিশুকণ্যাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী বিলের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহাগ, সাগর ও রনি নামে তিনজন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত ও প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক সোহগ ও সাগরকে যাবজ্জীবন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপর আসামি রনিকে শিশু আইনে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুরাটের একটি আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের জন্য দায়ের করা মানহানির মামলায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তবে, আদালত জামিনে রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর করেছেন এবং তাকে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়ে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত করেছেন।
রায়ের পরে বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (রাহুল) যাই বলুন না কেন তা কংগ্রেস দল এবং দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতারা বলছেন যে বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধীর কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে এবং তিনি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
কংগ্রেস নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ চাপের মধ্যে রয়েছে।
দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এই মামলায় বিচারক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
অন্যদিকে, রায়ের কয়েক ঘন্টা পরেই ভিনীত জিন্দাল নামক সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, লোকসভার স্পিকারের কাছে কারাদণ্ডের জন্য রাহুল গান্ধীকে হাউস থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার অভিযোগ করেন।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছেন সুরাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণাটকের কোলারে একটি লোকসভা নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’
গত সপ্তাহে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি শুনানি শেষ করেন এবং চার বছরের পুরনো এই মানহানির মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী কেতন রেশমওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে আইপিসির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী গত বছরের জুনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই মামলায় দলের প্রাক্তন প্রধান সোনিয়া গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির একটি আদালত মামলায় এই দুই নেতাকে জামিন দিয়েছিলেন।
রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহী ইন্দিরা গান্ধীও আদালতের প্রতিকূল রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ছয় বছরের জন্য কোনো নির্বাচিত পদে থাকা থেকে বিরত ছিলেন।
এই রায়ের ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীকে নির্বাচনী অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার সময়, বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা তাকে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেন এবং তার ওপর যে কোনও নির্বাচিত পদে থাকার ব্যাপারে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার অবৈধ গ্রেপ্তার যোগী সরকারের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ: রাহুল গান্ধী
চট্টগ্রামে আদালত চলাকালে আইনজীবীর মৃত্যু
আদালত চলাকালে পুলিশকে জেরা করার সময় হঠাৎ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জোবাইরুল হক নামে চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবী।
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
মৃত আইনজীবী জোবাইরুলের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
চট্টগ্রাম দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে আদালত চলাকালে ইয়াবা জব্দ করার একটি মামলায় বাদী পুলিশ কর্মকর্তাকে জেরা করছিলেন আইনজীবী জোবাইরুল।
এসময় হঠাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে আগুনে আরও একজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
মাদারীপুরে রাজিব হত্যা: ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও একটি মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
রবিবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার হাজিরা দেন।
মামলার আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সি এম ইউছুফ হোসাইন ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে: আইনমন্ত্রী
এছাড়া অপর আসামি সেলিম ভূঁইয়ার আইনজীবী মো. জাকারিয়া হায়দার আদালতে সময়ের আবেদন করলে আদালত সময়ের আবেদন না-মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনে দুদক।
মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন এসেছে
আবেদন পেলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: আইনমন্ত্রী
উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বাগেরহাট বিএনপির ১৫ নেতা
বাগেরহাটে নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এমডি সেলিম এবং বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা শাহেদ আলী রবি, সোহেল তরফদার, শহিদুল ইসলাম, এমডি সাইদ শেখ, রফিকুল নকিব, মো. আবুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, মো. ফিরোজ বিশ্বাস, শেখ সিরাজুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন, আমিরুল শেখ ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
বিএনপি নেতাদের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, নিম্ন আদালতে নেতাকর্মীদের জামিন না হওয়ায়। আমরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করি। বিচারপতি এমডি সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের দ্বৈত বেঞ্চ আমাদের ১৫ নেতাকর্মীকে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
এর আগে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাসভবন এবং পুরাতন বাজারসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে নাশকতার মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেই থেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে আটক নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের ৪ মামলায় বিএনপির ১০২ নেতাকর্মীর আগাম জামিন লাভ
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ আদালতের
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ৬ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
গত বছর ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় দেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা এই টাকা (২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা) রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সেই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে গত ৬ মার্চ পৌঁছায়। এখন সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার চালান কপি আদালতে দাখিল করা হবে বলে সোমবার (১৩ মার্চ) জানান তার অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ হান্নান ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে আদালতের নিরাপত্তায় ১১ দফা নির্দেশনা প্রধান বিচারপতির
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ পাঁচটি মামলা দায়ের করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।
পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নেন।
এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন।
শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দা থেকে দ্রুত বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
খুলনায় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, আদালতে অভিযুক্তের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে
খুলনায় আদালতের এজলাসে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীকে বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান বিয়ের আদেশ দিলে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০২০ সালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে রাজু শেখের পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভুক্তভোগীর আগের ঘরের ছেলেসহ তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
এসময় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করায় ভুক্তভোগী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত রাজু তাকে সন্তান নষ্ট করতে বলে এবং এরপর থেকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারে ২০২১ সালের ১৬ জুন রাজু অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। ভুক্তভোগী রাজুকে ফোন দিলে রিসিভ করতো না। একবার শুধু ফোন রিসিভ করে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলে।
এরপর ২০২১ সালের ২০ জুন ভুক্তভোগী লবণচরা থানায় মামলা করে।
সেই মামলায় আজ বিচারক ভুক্তভোগীর সঙ্গে রাজুর বিয়ের আদেশ দেন এবং কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
খুলনায় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. শহীদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামালার এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম এ আদেশ দেন।
আদালতে অভিযোগকারী নারী ২০২১ সাল থেকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহম্মেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসের পঞ্চম তলায় আবাসিকভাবে থাকতেন সাবেক উপাচার্য।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্টার ওই নারীকে খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। ওই নারী প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে তাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন ভিসি।
এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় খাবার দিতে গেলে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে রেজিস্টারের সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রেজিস্টার ওই নারীকে বলেন, ‘আজকের ঘটনা তুমি কাউকে বলবে না, তাহলে তোমার চাকরি থাকবে না, আর স্যারকে বলে স্যারের সঙ্গে তোমার বিবাহ করিয়ে দিব। তুমি তোমার স্বামীকে তালাক দিয়ে দাও।’
পরে ওই নারী চাকরির কথা বিবেচনা করে ও সামাজিক অবস্থান লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ স্বামীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভিসির মেয়াদ শেষ হলে খুলনা বদলি হয়ে যান এবং নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক ভিসি খুলনাতে আসলে ওই নারী তার সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বিবাহ করার আকুতি জানান। তবে ভিসি তাতে রাজি হননি।
পরে ওই নারী স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এসি ল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ
ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনামিয়া।
আসামীপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চার বক্সের মধ্যে তিন বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদি হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে হাড়ভাঙা রোগীর কিডনি অপসারণের অভিযোগ
সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাড়ভাঙার চিকিৎসা নিতে যাওয়া এক রোগীর কিডনি অপসারণ করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিডনি চুরির অভিযোগে গত বুধবার (১ মার্চ) সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ভুক্তভোগী মামলা করেন।
ভুক্তভোগী খসরু মিয়া (৫৫) সিলেটের কানাইঘাট থানার ফতেহগঞ্জের মৃত মজম্মিল আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিনুল হক খান বলেন, ‘অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা এফআইয়ার ক্রমে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত লাশ
তবে আদালত থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাননি জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, নির্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গাছ থেকে পড়ে বাঁ-হাতের কনুইয়ের হাড় ভেঙে গেলে গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন দিনমজুর খছরু মিয়া। এর মধ্যে ১৭ নভেম্বর সকালে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে তার বাঁ হাতের অস্ত্রোপচার শেষে বাঁ দিকের কিডনি বের করে নেন। অস্ত্রোপচার শেষে খছরু মিয়ার জ্ঞান ফিরলে তিনি বাঁ হাতের পাশাপাশি বাঁ দিকের কিডনির পাশে অস্ত্রোপচারের চিহ্ন দেখতে পান। এ সময় খছরু মিয়ার স্বজনেরা বিষয়টি জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা কোনো সদুত্তর দেননি।
ভুক্তভোগী দাবি করেন, কিডনি থেকে একটি শিরা নিয়ে বাঁ হাতে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে তাকে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। তড়িঘড়ি করে অস্ত্রোপচারের এক দিন পর হাসপাতাল থেকে তার ছাড়পত্র দেয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার পর খছরু মিয়ার প্রস্রাব ও মলত্যাগে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করে খসরু মিয়া জানতে পারেন, তার বাঁ দিকের কিডনি নেই।
ওসমানী মেডিকেলের চিকিৎসকেরা তার কিডনি অপসারণ করে নিয়েছে বলে খছরু মিয়ার অভিযোগ।
মামলায় বিবাদী হিসেবে কারও নাম উল্লেখ না করলেও গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা সহকারী রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯নম্বর পুরুষ ওয়ার্ডের অর্থপেডিক্স বিভাগ ইউনিট-১ এর রেজিস্ট্রার ডা. হাসানুল হক প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মামলার বিষয়টি জানা নেই। তাছাড়া ওই বিভাগের আমরা কিডনির চিকিৎসক নই। আমরা তো অর্থপেডিক্সের চিকিৎসক। ওই বিভাগে যারা ভর্তি হয় তারা অর্থপেডিক্সের, হাড় ভাঙা রিলেটেড রোগী ভর্তি হয়। অনেক সময় দেখা যায় যেসব রোগীর হার ভাঙার পর ২১ দিন চলে গেলে অপারেশন করার ক্ষেত্রে কোমরের সামনের দিক থেকে হাড় নিতে হয়। সেক্ষেত্রে হয়তো হাড় নেয়া হয়েছে। এটা রোগীকেও আগে জানানো হয়। যেটাকে অটোগ্রাফ্ট বলেন।’
ওসমানী হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন বেশি দিন হয়নি। আদালতের এমন কোনো নির্দেশনা বা অভিযোগের ব্যাপারে তিনি অবগত নন।’
বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ওসমানী হাসপাতালে হবে বধিরদের জন্য কক্লিয়ার প্রতিস্থাপন
ওসমানী হাসপাতালে নতুন যোগ দেয়া ৫ নার্সের করোনা শনাক্ত