রোগী
রোগীতে পূর্ণ মুগদা হাসপাতাল, নতুন রোগী না যাওয়ার পরামর্শ
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীতে পা ফেলার জায়গা নেই রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই অবস্থায় হাসপাতালটিতে নতুন কোন ডেঙ্গু রোগীকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংস্থাটি বলছে, ডেঙ্গু রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মুগদা হাসপাতাল। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে আপাতত আর রোগী ভর্তি করা সম্ভব নয়।
বুধবার (২৬ জুলাই) ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, মুগদা হাসপাতালে ম্যাক্সিমাম লিমিটও ক্রস হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় রোগীরা যেন মুগদা হাসপাতাল মুক্তি না হয়, ওখানে ডেঙ্গু রোগীর জন্য কোন শয্যা নেই। সবাই যদি এক জায়গাতেই যেতে থাকে, তাহলে তারা কিভাবে চিকিৎসা দিবে?
আহমেদুল কবির বলেন, আমরা আজকে ডিএনসিসি হাসপাতালে ঘুরেছি, রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদেরকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আরও ২৫০০টি শয্যা প্রস্তুত করে রাখা আছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১২০০ মতো রোগী ভর্তি হচ্ছে, সেইসঙ্গে ছুটিও হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ মতো। তার মানে স্থিতিশীল থাকছে দুইশ’ থেকে তিনশ’ শয্যা।
তিনি আরও বলেন, সবগুলো হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গতকাল কথা বলেছেন, সবাইকে তিনি বলেছেন রোগীদের জন্য নতুন করে আরও ২০০ থেকে ৩০০ শয্যা বৃদ্ধি করতে হবে। মুগদা হাসপাতালকে আমরা নতুন করে সজ্জা বৃদ্ধির জন্য বলিনি, কারণে ওইখানে ৬ শতাধিক রোগী ভর্তি আছে। এছাড়া ডিএনসিসিকে বলেছি ৮০০টির মতো সজ্জা ওখানে প্রস্তুত করা যাবে।
কুর্মিটোলা হাসপাতালে আমরা আরও ১০০ বেড প্রস্তুত করার জন্য বলেছি, হাসপাতালটিতে ৬০টি ব্যাড এখনো ফাঁকা আছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আরও ১৫০টি শয্যা বাড়ানোর জন্য বলেছি। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আরও ১০০টি শয্যা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।
ডেঙ্গু সংক্রমণের এমন ঊর্ধ্বগতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, রোগী যদি অতিমাত্রায় এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে সেটি সামাল দেওয়া কষ্টকর হবে। আমার চিকিৎসকরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। এখানে একজন চিকিৎসকের ১০ জন রোগী ম্যানেজ করার কথা, তাদেরকে ২০ থেকে ৩০ জন রোগী ম্যানেজ করতে হচ্ছে। ডাক্তার তো এখন চাইলেই রাতারাতি বৃদ্ধি করা যাবে না। আমাদের সবচেয়ে জরুরি হলো, যেকোনো মূল্যে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমানো।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশেই বর্তমানে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। এখন ঢাকা সিটির পাশাপাশি ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা বেশি। এডিস মশা যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু যতটা মেডিকেল প্রবলেম, তার থেকে বেশি ইউনিভার্নমেন্টাল প্রবলেম। যে জায়গায় পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং বেশি জরুরি। প্রাইমারি হেলথ এবং পাবলিক হেলথ এক নয়। পাবলিক হেলথ হচ্ছে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা।
এগুলো যদি আমরা বৃদ্ধি করতে না পারি, ডেঙ্গু রোগী যদি এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, আমাদের জন্য ডিফিকালট হয়ে যাবে। জরুরি ভিত্তিতে মশা নিয়ন্ত্রণে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম, যারা এই সমস্ত কাজ (মশা নিয়ন্ত্রণ) করছেন, তারা যদি এই কাজগুলো আরও বেশি বৃদ্ধি করেন, যেভাবে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা কমানো যাবে এবং ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাও যথাযথভাবে দেওয়া যাবে বলেও অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান।
ঢাকায় ১১ এলাকায় ডেঙ্গু রোগী বেশি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটির পাঁচটি এলাকা থেকে হাসপাতালে এসে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
একইসঙ্গে ঢাকা মহানগরীর এই ১১টি এলাকায় মশা নিধনে আরও বেশি তৎপরতা বাড়াতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো) মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব জায়গা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী আসছে এর মধ্যে আছে- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জায়গাগুলোর মধ্যে আছে- উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৫ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ১৮ হাজার ৮৮৫ এবং ঢাকার বাইরে ১১ হাজার ৮০০ জন। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২ হাজার ২৪২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই সময়ে মারা গেছেন ১১ জন। তার মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৯জন, চট্টগ্রামে এক এবং ফরিদপুরে একজন মারা গেছেন।
এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৬৭ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই পরিচালক আরও বলেন, চলতি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ২২ হাজার ৭০৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
রোগীদেরকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের প্রক্রিয়া অমানবিক: ক্যাব
সারাদেশে চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ করে রোগীদের দুর্ভোগে ফেলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
একই সঙ্গে রোগীদেরকে জিম্মি করে দাবি আদায়ে প্রক্রিয়া অমানবিক, অনৈতিক চরম বর্বরতার সামিল, সাংবিধানিক অধিকার খর্বের শামিল বলেও মনে করে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির নেতারা বলেন, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় দুই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে চিকিৎসকদের সব ধরণের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ রেখেছে।
কিন্তু দুইজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের কারণে অবস্ট্রেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনেকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এ ধরণের অমানবিক ও অন্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
আরও পড়ুন: যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
চিকিৎসক হোক আর যা-ই হোক সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনীভাবে মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে হীন ষড়যন্ত্রে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া জনগণের চিকিৎসা সেবার মতো মৌলিক অধিকার খর্ব করার শামিল।
যা শুধুমাত্র নিন্দনীয় নয় এটা চরম বর্বরতার শামিল এবং আদিমযুগে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ সে শ্লোগানে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান।
এটা অনেকটা লাশের রাজনীতির মতো।
ক্যাব নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে লাখ লাখ রোগীকে জিম্মি করে এ ধরনের অনৈতিক, অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমানবিক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সকল চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা বাতিল করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতের কাছে প্রতিকার চাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অবৈধ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি করেন।
একই সঙ্গে গুটি কয়েক অসাধু লোকের কারণে প্রাইভেট চেম্বার-অপারেশন ও সকল চিকিৎসকের একযোগে অঘোষিত ধর্মঘট চিকিৎসকদের মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং চিকিৎসকরা আইনে ঊর্ধ্বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত প্রকাশ করে এ ধরনের আত্মঘাতি কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।
নেতারা আরও বলেন, চিকিৎসা পেশা একটি মহান সেবাধর্মী পেশা হলেও বর্তমানে সনদবিহীন, ভুঁয়া, অসাধু চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকরা এ মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে কোটিপতি হবার বাসনায় লিপ্ত।
সেকারণে রোগীর সেবা, মানবতার সেবার চেয়ে অর্থই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও সুযোগ সুবিধা থাকলেও রোগীরা সেখানে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।
নেতৃবন্দ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেক্টরে এ ধরণের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বেসরকারী ক্লিনিক, প্যাথলজিকাল ল্যাবসহ স্বাস্থ্য বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠানে কঠোর নজরদারির দাবি জানান।
স্বাস্থ্য সেক্টরে কমিশন প্রথা, উপহার প্রথা বাতিলসহ ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় কঠোর আইনী প্রতিকার এবং সিবিএ সংগঠনের মতো বিএমএর অযাচিত হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতা নেতারা হলেন- ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: একাধিক ফাইবার অপটিক ক্যাবল বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নেটওয়ার্ক সমস্যা হচ্ছে: জিপি
ঢাকায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১.০৮ শতাংশ, শহুরে দরিদ্রদের সমস্যাও প্রকট: ক্যাব
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮০
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যুর সংখ্যা দুই।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮০ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৫২৮ জন ঢাকায় এবং ১২২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩ হাজার ৩৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৫৬২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৮২৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ হাজার ৭১৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ১২ জন ঢাকার ও বাকি ৭০২ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৯
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৬
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির হারে একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৯৬ রোগী
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১৪১ জন
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪১৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫২ জন ঢাকায় এবং ৬১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২ হাজার ৫৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮৭০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৭০৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ হাজার ১৪৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫০৪ জন ঢাকার ও বাকি ৬৩৯ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ১০১
দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩, আক্রান্ত ৯৭
গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গুরোগী পাঁচগুণ বেশি।
তিনি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত মোট এক হাজার ৭০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) সচিবালয়ে করোনা টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে এবং আশপাশের দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত এক হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুরোগী পেয়েছি। এসময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি গত বছরের তুলনা করি, এ বছর রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচগুণ। অর্থাৎ অনেক রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গু রোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে ডিজির (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) বৈঠক হয়েছে, হাসপাতালে যেন প্রস্তুতি থাকে।
এছাড়া আমাদের ডাক্তার-নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ডেঙ্গু সার্ভে, সেটি চলমান। রিপোর্ট দুই সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যেহেতু রোগী বাড়ছে, সেহেতু এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড এবং আলাদা কর্নার তৈরি করা হয়েছে। বছরখানেকের মধ্যে আমরা দুই হাজার ৫০০ ডাক্তার এবং নার্সকে ট্রেনিং দিয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য আমরা বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আছেন, ছাত্র-ছাত্রী আছেন, তাদের মাধ্যমে এটা প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও যুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা জনগণকে সতর্ক করতে পারে কীভাবে ডেঙ্গুরোগ থেকে বাঁচা যায়, মশার কামড় থেকে বাঁচা যায় এবং ডেঙ্গু হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে।
এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণার জন্য পোস্টার, ব্যানার ও টিভিতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মিটিং আহ্বান করেছিল। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি গেছে। জরুরি কোনো ব্যবস্থা যদি নিতে হয়, সেজন্য প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা জনগণকে অবহিত করতে চাই যে, আপনারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন। মানে বাসার আশপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, নিজের ঘর স্প্রে করুন, আশপাশে যদি জঙ্গল থাকে সেখানে স্প্রে করুন এবং পানি বা যদি অন্যকিছু জমে থাকে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন।
তিনি আরও বলেন, এ কাজগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে এসে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেবেন। সময়মতোত চিকিৎসা নিলে প্রায় সবাই ভালো হয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভিসিভি ভ্যাকসিনের ৩য় ও ৪র্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে এ সপ্তাহেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোগীর পেট থেকে বের করা হলো ১৫টি কলম!
সিরাজগঞ্জে আব্দুল মোতালেব নামে এক মানসিক রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করলেন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৭ মে) বিকালে কোনোরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করে আনা হয়।
সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান এক এক করে ১৫টি কলম বের করে আনেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১১ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
মানসিক রোগী আব্দুল মোতালেব বেলকুচি উপজেলার খুকনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন এবং কলম কুড়িয়ে আস্ত গিলে ফেলতেন।
ওই হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব সম্ভবত পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর সময় কলম কুড়িয়ে তা গিলে ফেলতেন।
এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অনেকগুলো কলম দেখতে পেয়ে তা বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোনোপ্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পেট থেকে কলম বের করা এটিই বাংলাদেশে প্রথম ঘটনা বলে দাবি করেছেন ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেই এখন অত্যাধুনিক এন্ডোস্কোপি মেশিনের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার না করেই পিত্তথলি ও কিডনির পাথর অহরহ বের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ সব রোগের চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে এখন আর বিদেশে যেতে হবে না।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৫২ জন
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৪৬ জন
আক্রান্তদের ৪১ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ১৪৮ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৩০ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ মে ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৬২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৪২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪২৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৮৮৪ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৫৪৫ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩৫ জন
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৪০ রোগী হাসপাতালে
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৫২ জন
আক্রান্তদের ৩৬ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চারজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ১২২ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ মে ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৪৮৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৩২৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৭৯৮ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৫২৮ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবারতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের তিন জনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩১ জন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ১০৬ জন ঢাকার মধ্যে এবং ২১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ মে ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৩৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৮২১ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৪১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ২২৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৭০৬ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৫১৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ২৯ জন
ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩৮ জন