হাসপাতাল
সিলেটে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ কর্মী খুন
সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ কর্মী খুন হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত আব্দুল বাছিত (২৫) উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে। তিনি বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের কর্মী।বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাড়ির পাশে একটি কাঁচা রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল তাদের। ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্থানীয়ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দিবাগত রাতে সুমন নামে একজন পিকআপে করে লাকড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে আসলে বাছিত তাকে নিষেধ করে গাড়ি নিয়ে না আসার জন্য। এনিয়ে তর্কাতর্কি শুরু হয় দুজনের মধ্যে। এক পর্যায়ে সুমন বাছিতকে ছুরিকাঘাত করে।আহত অবস্থায় বাছিতকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় সে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
বগুড়ায় ধর্ষণচেষ্টার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার ২
বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণচেষ্টার শিকারের ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এক তরুণী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত লিপি খাতুন (১৮) ধুনট উপজেলার কাইগাতি গ্রামের বাসিন্দা ও জালশুকা হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর জিপিএ৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, একই গ্রামের বাবুল মিয়া গত দুই বছর ধরে লিপিকে উত্যক্ত করতো। লিপির বাবা গ্রামের মাতাব্বরদের কাছে বিষয়টি জানালেও তারা কোনো সমাধান পাননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পর বাবুল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
১২ এপ্রিল সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বাবুল তার সঙ্গী রফিককে নিয়ে লিপির বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বাবুল ও রফিক পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী বিষপান করে।
তাকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সেখান থেকে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ১৩ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। প্রধান আসামি বাবুলসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কীটনাশক পানে তরুণীর আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধু খাদে পড়ে চালক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালক নিহত এবং আরেক যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের জাফরপুর জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমসাধু চালক নাজমুল (৩৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত ভুট্টা ব্যবসায়ী রিপন আলী (৩৫) একই গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নাজমুলের মৃত্যু হয়। আহত রিপনের বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ডিঙ্গেদহ বাজারে ভুট্টা বিক্রয় শেষে আলমসাধুয় করে ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায় আলমসাধুটি। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নাজমুল নিহত হয়।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু
ব্রুনাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত
ঝিনাইদহে টোল আদায় নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভায় টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহতরা হলেন- আক্তার হোসেন (২২) ও জীবন মিয়া (২১)।
কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাইমেনুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে টোল আদায় নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে শ্রমিক লীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই জীবন মিয়া মারা যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
এছাড়া আক্তার হোসেন, সোহাগ ও সাব্বির গুরুতর আহত হয়। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আখতারের মৃত্যু হয়। বর্তমানে বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে টোল আদায় নিয়ন্ত্রণ করতেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র গ্রুপের আশরাফুল, আমিরুল, সোহাগ ও জাতীয় পরিবহন শ্রমিক লীগের মিঠু। সম্প্রতি এই কাজে আরেকটি গ্রুপ নিয়োগ করা হয়েছে। এটা নিয়ে ঘটনার দিন মেয়র গ্রুপের ডন ও হাসানের সমর্থকরা টোল আদায়ের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
সিলেটে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে অজ্ঞাত এক তরুণের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের সাকেরপেকেরখাল গ্রামের খাল থেকে অনুমানিক ২০/২১ বছর বয়সী এ তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সাকেরপেকেরখাল গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওর থেকে অজ্ঞাত ওই তরুণের লাশ ভেসে গ্রামের খালের দিকে আসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।’
তিনি আরও বলেন, লাশের গলায় কাটা দাগ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে একদিনে ৩ লাশ উদ্ধার
সিলেটে বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
লালমনিরহাটে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ হেফাজতে এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত রবিউল ইসলাম খান (২৫) সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজিচওড়া গ্রামের দুলাল খানের ছেলে।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রবিউল ইসলাম বলেন, জুয়া খেলার খবর পেয়ে পুলিশ সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাংলা বাজার এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করে। থানায় আসার পথে রবিউল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রংপুর হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মৃত্যুতে আটক, পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যু
তবে রবিউলের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, রবিউল জুয়া খেলেননি, তাই পুলিশ ভ্যানে উঠতে রাজি হচ্ছিল না। এ জন্য পুলিশ তাকে মারধর করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। রবিউল কীভাবে মারা গেছেন চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। তাই তাদের কাছে খোঁজ-খবর নিন। আমি এ বিষয় বলতে চাচ্ছি না।’
এদিকে রবিউলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মধ্যরাতেই মহেন্দ্রনগর বাজারে লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে অভিযুক্ত সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) হালিমের শাস্তি দাবি করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশ ভ্যানে হামলা ও ভাঙচুর করেন অবরোধকারীরা।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু: সাতক্ষীরায় দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গায় কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, আহত ৭
চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
নিহত মোমেনা খাতুন (৪৭) দামুড়হুদা উপজেলার কুরুলগাছি গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।
আহতরা হলেন- নিহত মোমেনা খাতুনের স্বামী আমিনুল ইসলাম (৪৮), একই উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৪০), ইউসুফ আলী (৩৮),আবু বক্কর (৪০), আক্কাস (৩৩),নাঈম (১৫) এবং সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের মওলা কবীরের স্ত্রী ফুলসিরাতুল খাতুন (৪২)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসনাত পারভেজ শুভ জানান, ঘাড়ে গুরুতর চোট নিয়ে আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্যদের প্রাথমিক ওষুধ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান,ঘটনার সময় নিহত মোমেনা ও তার স্বামী বাড়ির বারান্দায় বসে ছিলো। এসময় ঘরের পাশের একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে টিনের চালে পড়লে ঘটনাস্থলেই আমেনার মৃত্যু হয় এবং আমিনুল আহত হয়।
এদিকে ঝড়ের সময় রুদ্রনগর গ্রামের স্কুল পাড়া এলাকায় কয়েকজন দোকানে আশ্রয় নিয়েছিল। এসময় দোকানের দেয়াল ধসে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান ওসি।
ওসি জানান, ঝড়ের সময় বাড়ির ছাদে কাজ করার সময় গাছের ডাল মাথায় পড়ে ফুলসিরাতুল খাতুন আহত হন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, সন্ধার পর প্রায় আধাঘণ্টা বৃষ্টি সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এসময় বাতাসের বেগ ছিল ৬৪ কিলিমিটার এবং ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ডায়রিয়া: শয্যা সংকট, মানিকগঞ্জে মেঝেতে চলছে চিকিৎসা
মানিকগঞ্জে জেলা হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগী বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিমে খাচ্ছেন তারা। আবার জায়গা না পেয়ে অনেক রোগী অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বাড়তি চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী সরানোর পরিকল্পনার কথা বলছেন হাসপাতাল তত্ত্বাবাধয়ক।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. একেএম রাসেল জানান, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের আলাদা ডায়রিয়া ইউনিটে বিছানা রয়েছে ১০ টি। কিন্তু প্রতিদিন ডায়রিয়া রোগীর ভর্তি থাকছে ২৫ থেকে ৩০জন। এতে ডায়রিয়ার ইউনিট ছাপিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে সাধারন ওয়ার্ডের মেঝেতে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পরিবেশও নোংরা হয়ে পড়ছে। একটি মাত্র টয়লেট ব্যবহার করতে হয় এতগুলো রোগীকে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, ডায়রিয়া ইউনিটে নোংরা ও অস্বাস্থ্য পরিবেশ। তাছাড়া পুরো ইউনিটে রয়েছে মাত্র একটি টয়লেট। তাও নোংরা, অপরিচ্ছন্ন। এতে করে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সকল ঔষধও মিলছে না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ঔষধ কিনতে হচ্ছে।
তবে ডায়রিয়া ইউনিটে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকরা জানায়, তারা সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীদের জন্য খাবার স্যালাইন, প্যারাসিটামল ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে কলেরা স্যালাইনসহ সিপ্রোসিন জাতের ঔষধের সাপ্লাই না থাকায় রোগীদের সেগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ জানালেন, গত শনিবার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন কমিটির সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ৫০ শয্যার আলাদা ডায়রিয়া ওয়ার্ড স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। আগামী অর্থবছরে সেটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে। তবে এখন জায়গা স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত রোগীদের মেঝেতে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে রোগীর চাপ সামলাতে অন্য ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার রোগী স্থানান্তর করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে দু’শোর ওপরে ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশুরোগ ও ডায়রিয়া বেড়েছে
ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত ২
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই গ্রামের কামরুল মাতুব্বর (৩২) ও ছলেমান শরীফ (৩৫)। এ সময় আমিনুল নামের আরও একজন আহত হয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, রাতে স্থানীয় পোদ্দার বাজার থেকে আমিনুলের মোটসাইকেলে করে কামরুল ও ছলেমান বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ১৫ জনের একটি দল তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এবং তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই ছলেমান মারা যান।
গুরুতর আহত কামরুল মাতুব্বরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
এছাড়া মোটরসাইকেল চালক আমিনুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কামরুল ও ছলেমানকে হত্যা করা হতে পারে।
স্থানীয়রা জানায়, কামরুল মাতুব্বর ও জামাল শেখের নেতৃত্বাধীন দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, ‘রাতে ঘটনার পরই আমি তাতক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।’
তিনি জানান, হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা!
যশোরে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে দুই ভাই নিহত ও এক যুবক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার চৌগাছা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের টেঙ্গরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আয়ুব হোসেন (৬৫) ও ইউনুচ আলী (৫০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রনি (২২) নামে এক যুবক। তিনি নিহত আয়ুব হোসেনের ছেলে।
সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী আয়ুব হোসেনের বাড়িতে হামলা করে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার ভাই ইউনুচ আলী ও ছেলে রনি বাধা দিতে এলে হামলাকারীরা তাদেরও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই আয়ুব হোসেনর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন আহত ইউনুচ আলী ও রনিকে নিয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই ইউনুচ আলীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সেচ প্রকল্পের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
আহত রনিকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা