হাসপাতাল
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুহুল আমিন হাসপাতালে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরাগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি সিসিইউতে চিকিসাধীন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবেক এমপি রুহুল আমিনের ভাতিজা রানা পারভেজ।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টিকে ভোট দিন: জিএম কাদের
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতাল আনা হলে প্রথম তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইসিজি রিপোর্টে তার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন সাবেক এমপি রুহুল আমিন। এই আসন থেকে ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ৫ দিন বয়সী এক নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুটি চমেকের এনআইসিইউ’র ৩১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন ছিল। তার মায়ের নাম আসমা বেগম ও বাবার নাম আবু মো. নোমান। তারা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চমেকে দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মারামারি, ১ জনের মৃত্যু
নবজাতকের মা আসমা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চাটি রয়েল হাসপাতালে ডেলিভারি হয়েছিল। আমরা চমেক হাসপাতালে এসেছি গত পরশু। হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুদের কাছে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। সকালে আমার মা বাচ্চার দেখাশোনা করেন এবং এরপর নাস্তা করতে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ২টার পর ফিরে এসে আমার মা আমার মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। তখন তিনি কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে আমার মেয়ের সম্পর্কে জানতে চান। খোঁজাখুঁজি করার পরে আমার মেয়েকে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।’
বাবা আবু নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাচ্চা চুরি হয়ে গেছে। ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে বিক্রি করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘আমরা তাদের অভিযোগ অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছি। এই সময়ে বাচ্চা বের হওয়ার মতো কিছু দেখা যায়নি। তার পরেও আমরা বড় স্ক্রিনে আবার দেখতেছি। এর পরের ফুটেজও দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিছুটা কনফিউশনে আছি। এর আগেও একবার চমেক থেকে একটি বাচ্চা চুরির অভিযোগ পেয়েছি, পরে ওই বাচ্চাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পাওয়া যায়। এনআইসিইউ একটি নিরাপদ ইউনিট এবং বাইরের কাউকে এখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বিকাল ৫টার দিকে আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তদন্ত শুরু করি।’
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে আমি চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে যাই, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে আরও এক নারী দালাল গ্রেপ্তার
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৬২
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫২ জনে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬৬
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৪ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৪১২ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৬১১ জন এবং ১ হাজার ৮০১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭৭৩ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৭০৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫১
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩৭
মিরসরাইয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়ি ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৫৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ফিরোজা বেগম মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রাম এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ২৯
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজা বেগম দুপুরে বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া গাড়িটি এখন জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশে হেফাজতে রয়েছে।
নিহতের ছেলে মহিউদ্দিন জানান, ডাক্তার দেখাতে আমার মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। ঠাকুরদিঘী এলাকায় মহাসড়কে একটি গাড়ির ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে জেলের জালে ধরা পড়ল ৮৫ কেজির বাঘাইড় মাছ!
ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬৬
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৪১ জনে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৪২
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৮ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৬১৪ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৬৮৮ জন এবং এক হাজার ৯২৬ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৬৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪২
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৬৮
গাইবান্ধায় ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে ১৬ শিশু হাসপাতালে
গাইবান্ধা শহরের হাফিজিয়া মাদরাসার রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই বোনের মৃত্যুর অভিযোগ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ শিক্ষার্থী হলেন-মিনহাজ, মোজাহিদ, মোজাহিদ ২, মেহেদী, রাসেল, মারুফ, শফিকুল, তারেক, রশিদ, মিজান, হাসান, মাজুক, হোসাইন, মোহিনুল, সামিউল, নিরব ও জোবায়ের।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সকালে গাইবান্ধার ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ১৬ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই শিক্ষাথীরা সোমবার রাতের ভাত খেয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ শিশুদের গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
তিনি আরও বলেন, অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে (বিভাগে) তাদের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ২ বোনের মৃত্যু!
দিনাজপুরে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ শিশুর মৃত্যু
রমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিন বিকল, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে। এতে বিকল হয়ে পড়েছে কয়েকটি মেশিন। ফলে ওই ইউনিটে জট বেধেছে রোগীদের।
সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, বিষন্ন মনে বসে আছেন অনেক রোগী। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে ইউনিটের একটি অংশ। বিছানাগুলো খালি পড়ে আছে।
নামমাত্র টাকায় সরকারের এই সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন রোগীরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে পুড়ে গেছে সাতটি মেশিন ও আটটি এয়ারকন্ডিশনার (এসি)। এতে ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম।
নীলফামারীর রানা মাহমুদ কিডনি রোগে আক্রান্ত তার মাকে নিয়ে সোমবার ডায়ালাইসিসের জন্য সকাল থেকে হাসপাতালে অপেক্ষা করলেও কোনো চিকিৎসা নিতে পারেননি।
রানা মাহমুদ সাড়ে তিন বছর ধরে তার মায়ের ডায়ালাইসিস করাচ্ছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হয়েছেন সর্বশান্ত। তার পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করা সম্ভব না।
দিনাজপুরের পারবর্তীপুর থেকে আসা জহুরুল ইসলাম বলেন, আড়াই বছর ধরে তার স্ত্রী কিডনি রোগে ভুগছেন। মৃত্যু পথযাত্রী তার স্ত্রীকে নিয়ে ভোরে এসেছেন হাসপাতালে। কিন্তু ডায়ালাইসিস না হওয়ায় অন্যদের মতো তিনিও বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: রমেকের অক্সিজেন ‘পাচারকারী চক্রের’ ৬ সদস্য আটক
আক্ষেপ করে জহুরুল বলেন, অস্থিরতার বাজারে হাসপাতালের ৪০০ টাকা জোগাড় করা তার জন্য কঠিন। হাসপাতালে চিকিৎসা না হলে তার স্ত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগের ইনচার্জ সাজেদা খাতুন জানান, কয়েকধাপে এই বিভাগে ৩৯টি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করা হলেও শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক সমস্যায় নষ্ট হয়েছে ২০টি মেশিন। বর্তমানে ১৯টি মেশিন সচল থাকলেও সেগুলো চলছে জোড়াতালি দিয়ে।
সাজেদা আরও জানান, গড়ে প্রতিদিন ৭০ জন রোগী আসেন ডায়ালাইসিস করতে। শুধুমাত্র দায়িত্বশীল মানুষের জন্য বিকল হচ্ছে এসব যন্ত্র। ডায়ালাইসিস করতে না পারায় রোগীর স্বজনদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
বার বার হাসপাতালে শটসার্কিটের কারণ জানতে চাইলে রংপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রাজিয়া সুলতানা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান, তার বদলি হয়েছে অন্যত্র। শটসার্কিটের খবর পেয়ে তিনি পরিদর্শনে এসেছেন।
হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম মোবাশ্বের আলম বলেন, চিকিৎসাসেবায় তাদের কোনো আন্তরিকতার অভাব নেই। নষ্ট যন্ত্রপাতির কারণে এই ইউনিটের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তাদের দুর্নামের ভাগ নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী জানান, মেশিনগুলো জরুরিভাবে মেরামতের জন্য তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। আর বিদ্যুৎ শটসার্কিট বন্ধে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করেছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত রমেক মেডিকেলে ডায়ালাইসিস করেছেন ১৪ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতালে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ডায়ালাইসিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
রমেক পরিচালকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
হাসপাতালে স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরও এক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী।
চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই।
বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু'একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতি বছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শৌচাগার থেকে এক মেয়ে নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকের মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় কাগজের বাক্সে নবজাতকের লাশ!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী রেশমা খাতুন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে এক রোগী শৌচাগারের যান। সেখানে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে আমাদের জানান। আমি গিয়ে দেখি শৌচাগারের (কমোডের) মধ্যে নবজাতকের মাথা ও বাইরে দেহ ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শৌচাগারে বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হয়েছে। তবে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, বাচ্চার মাকে পাওয়া যায়নি।
আরএমও ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, গভীর রাতে শৌচাগার থেকে পাওয়া নবজাতকটি উদ্ধার করে কর্মরত নার্স ও স্বেচ্ছাসেরীরা। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখার কাছে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ বাচ্চাটির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি