হাসপাতাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
হাসপাতালে স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলছে, বেডের অভাব ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৬।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
সারি সারি চট-চাদর বিছিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আব্দুল্লাহ নামে এক শিশুর মা বলেন, গত দুদিন থেকে ছেলের পাতলা পায়খানা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু শীতের দিনে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি। হাসপাতাল থেকে কলেরা স্যালাইন দিচ্ছে না।
মানিক মিয়া নামে আরও এক শিশুর বাবা বলেন, শুক্রবার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কিন্তু বেড না থাকায় মেঝেতে কম্বল বিছিয়ে শুয়ে আছে আমার ছেলে ও স্ত্রী।
চেষ্টা করেও শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
শহরের পৈরতলার এলাকার জহিরের ছেলে ভর্তি আছে হাসপাতালে। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে ভর্তি করেছি ছেলেকে। কিন্তু বেড নাই।
বারান্দাতেও কম্বল বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। এতে শিশুদের ডায়রিয়া ভালো করতে এসে ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুদের জন্য ২০টি বেড মজুদ আছে। কিন্তু এবছর বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে যে বেড রয়েছে, তা মোট ২০-২৫ জনকে দেওয়া সম্ভব। তাই রোগীদের মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। তবে এবার বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা যাদের বয়স মাত্র ৬ মাস থেকে এক বছর। আগামী দু'একদিনের মধ্যে কলেরা স্যালাইন রোগীদের দিতে পারব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ৯৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু শুক্রবার ৪১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ রোগীই শিশু।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, শীতে প্রতি বছর শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, এবারও বেড়েছে। তবে এবার শিশুর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ আছে। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতাল ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রতিটি ডায়াবেটিস হাসপাতালকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, শুরুতে দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের যৌথ সহযোগিতা ছাড়া সাইবার স্পেস সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়: পলক
পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরের স্বাস্থ্যকে জনগণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেটকে সুলভ এবং সহজলভ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক এর ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের পুরস্কৃত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার: পলক
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের আমন্ত্রণে বেলজিয়াম গেলেন পলক
চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শৌচাগার থেকে এক মেয়ে নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকের মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় কাগজের বাক্সে নবজাতকের লাশ!
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী রেশমা খাতুন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে এক রোগী শৌচাগারের যান। সেখানে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে আমাদের জানান। আমি গিয়ে দেখি শৌচাগারের (কমোডের) মধ্যে নবজাতকের মাথা ও বাইরে দেহ ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শৌচাগারে বাচ্চাটি ভূমিষ্ট হয়েছে। তবে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, বাচ্চার মাকে পাওয়া যায়নি।
আরএমও ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, গভীর রাতে শৌচাগার থেকে পাওয়া নবজাতকটি উদ্ধার করে কর্মরত নার্স ও স্বেচ্ছাসেরীরা। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখার কাছে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ বাচ্চাটির পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নানির কোল থেকে নবজাতক চুরি
চমেক হাসপাতাল থেকে ৫ ‘দালাল’ গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ ‘দালাল’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল ইফতেখার শাওন, সীতাকুণ্ড উপজেলার আলী আহমেদের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে মাসুদ, ভোলার লালমোহন থানার মিল্লাত হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদার, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. শামীম ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মুজাফফর আহমেদের ছেলে ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা করতে বাধ্য করা এবং নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল থেকে তারা ওয়ার্ডের চারপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্ভট প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীদের নানাভাবে হয়রানি করতেন তারা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ১২৩ কারখানায় ভাঙচুর, ২২ মামলায় ৮৮ জন গ্রেপ্তার
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৯৫
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪২৫ জনে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৮৯৫ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭৯৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫০১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ হাজার ৫৫৫ জন রোগী। এর মধ্যে ১ হাজার ৭২২ জন ঢাকায় এবং ৪ হাজার ৮৩৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৯৩ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ২ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৫৭
ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬৩৮
বিমানে করে গাজার হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জর্ডান
জর্ডানের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের একটি বিমান সোমবার (৬ নভেম্বর) গাজা উপত্যকায় জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ করেছে।
জর্ডানের রাষ্ট্র পরিচালিত পেট্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালটিতে সরবরাহ শেষের পথে ছিল। গাজার জনগণকে সহায়তা করতে জর্ডানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ এটি।
সোমবার ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তার এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘আমাদের নির্ভীক বিমানবাহিনীর কর্মীরা মধ্যরাতে গাজার জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব ধরনের চ্যালেঞ্জ ও অসুবিধা সত্ত্বেও জর্ডানের ফিল্ড হাসপাতাল গাজা থেকে আহতদের চিকিৎসা করছে এবং ফিলিস্তিনের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মানবিক ভূমিকা পালন করছে।
আরও পড়ুন: রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল সহায়তা বহনকারী তৃতীয় চালান, ২ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি হামাসের
মানবিক সহায়তা নিয়ে ট্রাক রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৪৩১
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৭ জনে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৩১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৩২
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬৫ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৬৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ১ হাজার ৯২৯ জন ঢাকায় এবং ৪ হাজার ৮৬৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮০২
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯১৭
রাষ্ট্রপতি বুধবার হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরবেন
বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল থেকে বুধবার (১৫ অক্টোবর) হোটেলে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন জানান, রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শে হালকা শরীরচর্চা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
এদিকে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন সৌদি সরকার ও জনগণ।
সৌদি সরকার ও জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার উন্নতি
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতির সফল অস্ত্রোপচার
সিঙ্গাপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অস্ত্রোপচার বুধবার, দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা
ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৮৯
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৬ জনে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৮৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩৫০
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১২ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ হাজার ১১৪ জন রোগী। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৪১ জন ঢাকায় এবং ৫ হাজার ৭৭৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৫৮
ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে ভারত বায়োটেক: কর্তৃপক্ষ
সাভারে ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে হাসপাতালে মারামারি, আহত ৪
সাভারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের চারজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চতুর্থ তলায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন, তার স্ত্রী রূপালী বেগম ও ছেলে শিবলী আহম্মেদ। এ ছাড়াও আহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন ব্যাংক কলোনি এলাকার আঁখি নামে এক নারী। তিনি সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পরে এসে আগে সিরিয়াল চাওয়ায় বাধা দেন কয়েক রোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রোগীকে মারধর শুরু করেন আঁখি।
আঁখি রোগীকে মারধর করলে বাধা দেন মাদরাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঁখি ছাত্রলীগ নেতা আতিককে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আসেন আতিকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জামানসহ ১০-১৫ জন।
আরও পড়ুন: সাভারে ১৬ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরে মোশাররফ হোসেন নিজেকে মাদরাসার শিক্ষক ও ব্যাংক কলোনি মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহর আপন ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে সবাইকে শান্ত হতে বলেন।
এ সময় মোশারফকে মারধর ও হুমকি দিয়ে একজন বলেন, ‘তুই জানিস না, আঁখি আপা আতিক ভাইয়ের কী হয়?’
এই কথা শুনে শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের ছেলে শিবলী আহম্মেদ এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। তাকে ধাক্কা দিয়ে কিল ঘুষি মারেন নজরুল। এসময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এলোপাথাড়ি শিবলীকে পেটানো শুরু করেন।
চোখের সামনে ছেলেকে মারতে দেখে শিবলীর মা রূপালী বেগম এগিয়ে আসার পর তাকেও সজরে ধাক্কা দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজার আবদুল খালেক এসে শিবলী আহমেদকে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এদিকে এর আগে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ হামলায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আঁখি ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভারের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীকে পেটানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সরকারি খাদ্যগুদামে দুই প্রহরীর মারামারি, নিহত ১
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু