কুড়িগ্রাম
তিস্তার বাঁধ ভেঙে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
ভারতের উত্তর সিকিমে অতি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভারী ঢলে তিস্তার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (CWC) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তা ছাড়া রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তিস্তার বাম ও ডান তীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে যমুনায় বাড়ছে পানি, বন্যার আশঙ্কা
এতে মৌসুমি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রটি ।
লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দেওয়াসহ বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন ও আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারোয়ার জানান, নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে মানুষকে সচেতন করতে বলা হয়েছে। তিস্তাপাড়ের সার্বিক খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা
কুড়িগ্রামে কবি রাধাপদের ওপর হামলা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্বভাবকবি খ্যাত রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হয়ে তিনি নাগেশ্বরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে কবির নিজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল
এই ঘটনায় কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে রবিবার (১ অক্টোবর) রাতে নাগেশ্বরী থানায় মামলা করেন।
মামলায় কদু রহমান (৪৫) ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামকে (৩৮) আসামি করা হয়। তারা একই ইউনিয়নের কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। হামলার করার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি রাধাপদ রায় বলেন, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে আমার বাড়ির পশ্চিমে ডুবুরির ব্রিজের পাশে রফিকুল নামে এক যুবক আমার ওপর হঠাৎ হামলা করে। হামলায় আমার পিঠে ও ঘাড়ে অনেক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
হামলার প্রসঙ্গে স্বভাবকবি বলেন, আমি জানি না কেন সে আমার ওপর হামলা করেছে। তার সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। তবে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে ছয় মাস আগে আমার তর্কাতর্কি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা এখনও পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত কলেজছাত্রের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ সেনা আহত
কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরে ২৪ বছর পর গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইচ ঘিরে জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে ধরলার দুই তীর। নৌকা খেলাকে ঘিরে বসেছে হরেক রকমের স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান। দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। দর্শকদের এই উপচে পড়া ভীড়ে ধরলার দুই তীর হয়ে উঠে জনসমুদ্র।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ধরলা নদীতে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৫ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি মহিষ ও দ্বিতীয় পুরস্কার একটি গরু ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে একটি ফ্রিজ উপহার দেন আয়োজকরা।
ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলার ছোট বড় মিলে ২২টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারির ঝাড় এলাকার ৭১ এর সৈনিক এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার উড়ালচণ্ডী নামে নৌকাটি।
১১ দিনব্যাপী এ খেলায় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সাত ভাই এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, উড়ালচণ্ডী, ফুলবাড়ি উপজেলার বাংলা বাজার এন্টারপ্রাইজ, দশ বন্ধু, মামা ভাগ্নে, হলোখানা ইউনিয়নের দশের দোয়া ও একতা,গাজী সৈনিক, রৌমারী ও জামালপুর, গাইবান্দার তুফান তরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৭১ এর সৈনিকসহ অন্যান্য নৌকা।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে বিদেশি মদ জব্দ, আটক ২
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ১০ বোতল বিদেশি মদসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার ইজলামারী গ্রামের নুরুল আমিন (৩৪) ও গুচ্ছগ্রামের শিপন মিয়া (২৬)।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
পুলিশ জানায়, রাজিবপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজিবপুর বটতলা মোড়ে রৌমারী থেকে ঢাকাগামী বাস তল্লাশি করে। এ সময় ১০ বোতল বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি নুরুল আমিন ও শিপন মিয়াকে আটক করা হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ২০০ বোতল বিদেশি মদ ও প্রাইভেটকার জব্দ
ব্রাজিলের পতাকাবাহী অটোরিকশায় ৫৭ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ২
চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চিলমারী উপজেলার রমনা ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সঙ্গে চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার এ ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদবিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে।
চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরে আরও একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে: খালিদ মাহমুদ
এই ফেরি রুটের নাব্য বজায় রাখার জন্য দুইটি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের নতুন মাত্রা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অবদান তা কেড়ে নেওয়া যাবে না।
১৫ বছর ধরে ফখরুলরা বলছেন- সরকারকে ফেলে দিচ্ছেন; কিন্তু তারা সেটা পারেননি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখে যান। সুস্থ থাকুন।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে নিয়ে যারা দুর্ভিক্ষের চিত্রধারণ করেছে; তারা তাদের ফায়দা নিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান শাহীন, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম লেছু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন, প্রকল্প পরিচালক সাজিদুর রহমান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন শেষে তিনি ফেরিযোগে রৌমারীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। তিনি রৌমারীতে ফেরিঘাট উদ্বোধন করেন।
চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এর কআর্যক্রম শেষ হবে।
চিলমারী বন্দরে সুধি সমাবেশে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া লাগবে না। এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
কুড়িগ্রামে ধরলা ব্রিজ পাড়ে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতু পাড়ে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ খেলা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে নানান বয়সী ও বিভিন্ন পেশার মানুষজন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
খেলার আয়োজক কমিটি জানান, এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২২টি নৌকা অংশ নেয়। তিনদিনব্যাপী এ খেলায় প্রথম পুরস্কার একটি মহিষ, দ্বিতীয় পুরস্কার গরু এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে একটি ফ্রিজ।
নৌকাবাইচ দেখতে আসা মো. ফেরদৌস মিয়া বলেন, দীর্ঘ সাত বছর পর নৌকা খেলা দেখতে পেলাম। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে এ খেলা দেখার মজাই আলাদা। আমি চাই প্রতি বছর এই নৌকা খেলা চালু হোক। গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য আবার ফিরে আসুক।
আরও পড়ুন: তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামের তিস্তার চরে গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামের তিস্তার চরাঞ্চলের গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জেলার উলিপুর উপজেলার তিস্তার চর গোড়াইপিয়ারে দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন মহিদেব যুবকল্যাণ সমাজ সমিতি (এমজেএসকেএস)।
এ সময় উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. মরিয়ম বিনতে হাসান ৪৪ জন গর্ভবতী মায়ের ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা দেন। তিনি সন্তানের অবস্থান ও শারীরিক সমস্যার পরামর্শ দেন।
আয়োজকরা জানান, এমফোরসি’র সহযোগিতায় এই চরে প্রথমবারের মতো কোনো এমবিএস ডাক্তার এসে স্বাস্থ্যসেবা দিলেন। এতে চরবাসী খুব খুশি। এমনিভাবে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরের মায়েদের এমন সেবা দেওয়া সম্ভব হলে চরবাসী উপকৃত হবে।
আরও পড়ুন: মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উন্নয়নে দেশের ১৭ জেলায় ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গর্ভবতী মা ইসমত আরা (৩২) বলেন, এবারে আমার দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নিবে। প্রথমবার বাচ্চা হওয়ার সময় খুব কষ্ট হয়েছিল। পরীক্ষা করার জন্য নদী পাড় হয়ে উলিপুর যাওয়া লাগতো। এখানে ডাক্তার আপা দেখলো পরামর্শ দিলো। খুব ভালো হলো। আশা করি সুস্থ্য সন্তান জন্ম নিবে আমার।
চর গয়ারপিয়ারের কুলসুম বেগম (২১) বলেন, এবার প্রথম বাচ্চা নিছি। এখন সাত মাস চলছে। ডাক্তার দেখাইতে কুড়িগ্রাম না হয় উলিপুর যাওয়া লাগে। আমরা গরীব মানুষ। ওতো দূর যাওয়াটাও খুব কষ্টের। এমন চরে নিয়মিত ডাক্তার আসলে আমাদের জন্য খুব উপকার হয়।
স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের সমন্বয়ক এমজেএসকেএস-এর কর্মকর্তা জয়ন্ত রায় জানান, চরের প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার এ উদ্যোগ আমাদের চলমান রয়েছে। সরকারের এমফোরসি প্রকল্পের সহযোগিতায় আমরা তা বাস্তবায়ন করছি। আশা করছি কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলেও এমন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যক্যাম্পে সহযোগিতা করেন কমিউনিটি প্যারামেডিক মিজানুর রহমান ও দাইমা স্বপ্না বেগম।
আয়োজনটি পরিচালনা করেন এমজেএসকেএস কর্মকর্তা জয়ন্ত রায়।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে এভারকেয়ার হসপিটালের স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি সই
কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
গত এক মাস ধরে সরবরাহে তীব্র ঘাটতির কারণে স্বল্পমেয়াদী তরল প্রতিস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ডেক্সট্রোজ এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড (ডিএনএস) স্যালাইন পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল।
জেলাটিতে স্যালাইনের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সরকারি হাসপাতালসহ বাইরের ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন। কিছু ফার্মেসিতে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মূল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ইন্টার্ন ও স্বজনদের সংঘর্ষে আহত ১০
২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে ২০০ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই।
সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে থাকেএসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি আমার ছেলে গত দু’দিন ধরে পেট ব্যথা ও জ্বরে ভুগছে। সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে। আমি শহরের অনেক ফার্মেসি খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০টাকা দামে কিনলাম। স্যালাইনের এমন সংকট কোনো দিন শুনি নাই।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমদের চাহিদা অনুযায়ী খুবই কম পরিমাণ সরবরাহ দেওয়া হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।
গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নাই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করবো।
যে দুই থেকে চারটা স্যালাইন দেয় তা একঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর-এ-মুর্শেদ বলেন, স্যালাইন সংকট চলছে। তবে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য আমরা কিছু স্যালাইন রেখেছি। বিভিন্ন মাধ্যম ও কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি যে, প্রায় অনেক জেলাতে এই সংকট চলছে। সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কুড়িগ্রামে হাসপাতাল-দোকান কোথাও মিলছে না ডিএনএস স্যালাইন
বেশ কিছুদিন ধরে কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালেও মিলছে না এ স্যালাইন। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় বাইরের ওষুধের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না। দু একটি দোকানে পাওয়া গেলেও ১০০ টাকা মূল্যের ডিএনএস স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। ফলে রোগীসহ স্বজনরাও পড়ছে চরম বিপাকে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন শিশু বাদে হাসপাতালে দুই শতাধিক নতুন রোগী ভর্তি হন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। এসব রোগীর জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের কমপক্ষে ২০০ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এসব স্যালাইনের সরবরাহ নেই। এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সরকারি হাসপাতালে এসব স্যালাইন সরবরাহ করে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে চাহিদা অনুযায়ী তারা স্যালাইন দিচ্ছেন না। ফলে হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র সংকটে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: স্যালাইন সংকটের আশঙ্কায় রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
কুড়িগ্রাম সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি ও আমার ছেলে গত ২ দিন ধরে পেট ব্যাথা ও জ্বরে ভুগছি। ছেলেকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালের ডিএনএস স্যালাইন না থাকায় বাইরে থেকে আনতে বলে। আমি শহরের অনেক ফার্মেসি খুঁজে ১০০ টাকা স্যালাইন ২০০ টাকা দামে কিনলাম। স্যালাইনের এমন সংকট কোনো দিন শুনিনি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি তারা বলেন, হাসপাতালে স্যালাইনের সংকট চলছে। রোগীরা বাইরে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। অথচ কোনো দুর্ঘটনা, পেটব্যথা, রক্তক্ষরণ কিংবা অপারেশনের রোগীর জন্য স্যালাইন অত্যাবশ্যক।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, স্যালাইনের সংকট চলছে। আমরা হিমশিম খাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠাই। কিন্তু খুবই নগণ্য পরিমাণ সরবরাহ করা হয়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে যাবে।
গাড়িয়াল পাড়া মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক বলেন, ডিএনএস স্যালাইনের সাপ্লাই নেই। কোম্পানি স্যালাইন না দিলে আমরা কী করব। যে দু-চারটা স্যালাইন দেয় তা এক ঘণ্টাও দোকানে থাকে না। দিনভর রোগীর স্বজনরা দোকানে এসে ফেরত যান।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ১২টার দিকে আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার ১০৬২-২এস এর কাছে শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নিহত মানিক মিয়া জেলার রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মানিক মিয়াসহ ২০-২৫ জন বেহুলারচর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর ১০৬২-২এস-এর কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মানিক মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে সঙ্গীরা তার লাশ অন্যত্র সরিয়ে গোপনে দাফনের চেষ্টা করে।
দুপুরের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকা থেকে মানিকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জামালপুর বিজিবির ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাশরুকীর জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে বন্দরের ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর এলাকার মোতালেবের বাড়ি থেকে বেহুলারচর এলাকার মানিক মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত