সংঘর্ষ
বগুড়ায় পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২
বগুড়ায় পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৩
নিহতেরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোকলেসুর রহমান ও একই উপজেলার সচিয়ানী পশ্চিম পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রংপুরগামী পিকআপের সঙ্গে বগুড়াগামী অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত
চাঁদপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার, আহত ৩
সাতক্ষীরায় ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২০
সাতক্ষীরায় একটি ডাম্পার ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ত্রিশ মাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস এবং বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ডাম্পার ট্রাক ত্রিশ মাইলে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় যাত্রীবাহী বাস ও ডাম্পার ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে ডাম্পার ট্রাক চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় দম্পতি নিহত
সাতক্ষীরায় ট্রাকচাপায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিহত
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
নৌকার প্রচারের মধ্যে বেজে উঠল হিন্দি গান, সংঘর্ষে আহত ৭
পটুয়াখালী-৪ আসনের কলাপাড়ায় সাউন্ড বক্সে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী মহিববুর রহমান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
সংঘর্ষের ঘটনায় নৌকার কর্মী মহিপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সোয়াইব খানসহ দুপক্ষের সাত কর্মী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বরকতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম–১৫ আসন সাতকানিয়ায় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেবের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলাল চরতি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে এমপি নদভীর সমর্থকরা পশ্চিম ঢেমশা ইছামতী আলিনগর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস, গাড়ি ভাঙচুর এবং তার সমর্থকের বাড়িতে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের নির্দেশে সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরপর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে চরতির কাটাখালী এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচারণা চলছিল। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে এসে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী , সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদৌস রুবেল, যুবলীগ নেতা কচির আহমদ কায়সার (৪৫), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, মিনহাজ উদ্দীন, জিহানুর রহমান চৌধুরী, কায়সার হামিদ অভি, রফিজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
আহতদেরকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সকাল থেকে চরতির বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়েছি। রাত ৮টার দিকে কাঠাখালী ব্রিজ এলাকায় প্রচারণাকালে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আমি প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেনি এবং অস্ত্রধারীদেরকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে তারা এখন নির্বাচনে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনকে বলবো ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করুন। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। মূলত ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে এসব ঘটছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্থানীয় লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বালির মহাল দখলসহ বিভিন্ন কারণে রিজিয়া রেজা ও চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর স্থানীয় লোকজন অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে প্রচারণা চলাকালে রিজিয়া রেজা চৌধুরীর সঙ্গে থাকা লোকজন চরতি এলাকার দুই ছেলেকে মারধর করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। এটা নির্বাচনী বিষয় নয়। আমরা সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে যে কোনো ধরনের ঝামেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এটাও বলে দিয়েছি যে, কেউ কোনো ঘটনা করলে এটার দায় প্রার্থী নেবেন না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার মধ্যরাতে নদভীর অনুসারী রিয়াজউদ্দিন রিয়াদসহ ২০ থেকে ৩০ জনের এক দল বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে পোস্টার ও চেয়ার ছুড়ে ফেলে। এ সময় সন্ত্রাসীরা শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এলাকার লোকজনকে ধাওয়া করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি ছোট ট্রাক, ১টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ও পুলিশ বহনকারী অপর একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে সন্ত্রাসীরা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ানুল হক সুমনের বাড়িতে হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে।
এসব ঘটনার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
গোপালগঞ্জে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত ১
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রাতইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, সকাল ৯টার দিকে পিরোজপুর থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে খুলনাগামী একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও তিনজন আহত হন।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ায় গাড়িতে আগুন লেগে যায়।
আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং অন্যদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
নওগাঁয় পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
নওগাঁর নিয়ামতপুরে পিকআপ-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ধানসুরা-নাচোল আঞ্চলিক সড়কের টগরইল নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
নিহতেরা হলেন- নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের টগরইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পারভেজ (১৯) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আনারুল ইসলামের ছেলে হাবীব (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলার ধানসুরা-নাচোল সড়কে টগরইল নামক স্থানে মুরগী বহনকারী পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী হাবীব ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মোটরসাইকেলে থাকা আরেক আরোহী পারভেজকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে তিনিও মারা যায়। এ ঘটনায় পুলিশ পিকআপসহ চালককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
নিয়ামতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাওছার আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপসহ চালককে আটক হয়।
তিনি আরও জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
ময়মনসিংহে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচনের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে রফিকুল ইসলাম (৫২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মর্জিনা খাতুন নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় জেরার সদর উপজেলার চরভবানীপুর কোনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
নিহত রফিকুল ওই এলাকার নূর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকার কয়েকজন মিলে কোনাপাড়া গ্রামের হোতারবাড়ি মোড় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের ট্রাক প্রতীকের পক্ষের একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্পটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে রফিকের ছোট ভাই ফারুক হোসেন ও অপর ভাই ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন রাজু ও আরিফুল ইসলাম সাজু।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রফিকুল ওই ক্যাম্পে গেলে তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলে ফারুক। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হলে রফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বলেন, আমার চাচাদের সঙ্গে বাবার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। আগেও বাবাকে চাচা ফারুক মারধর করেছে। মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী ক্যাম্পে গেলে কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: অভিমানে বাড়ি ছেড়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে পূর্বশত্রুতা ছিল। একই প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পের দখল নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, মামলার চার নম্বর আসামি রাজু ও সাজুর মা মর্জিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা
অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ওসিসহ ৫ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় ২টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় ৩৭ বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রায়পুর ইউনিয়নের মো. ইমতিয়াজ, চাতরী ইউনিয়নের মো. রুবেল, আবুল মঞ্জুর, বৈরাগ ইউনিয়নের মো. মারুফ হোসেন ও মো. জীবন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
তিনি বলেন, স্থানীয় চাতরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাশেদ নেওয়াজ চৌধুরী ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি ও যুবদলের কর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অবরোধকারীদের পাথরের আঘাতে আনোয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ চোখে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়া আরও ৫ পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশের পিকআপসহ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও দুই ওসিকে বদলি
চট্টগ্রামে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ওসি আহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
এ সময় পুলিশ আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আ. লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২
ইটের আঘাতে ওসির ডান চোখ মারাত্মক জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চোখের ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী এলাকার শশী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যুবদলের নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এসময় অবরোধকারীরা সিএনজিসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।
পুলিশ জানায়, অবরোধের নামে বিএনপি যুবদল কর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করছে খবর পেয়ে ওসির নেতৃত্বে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ওসির ডান চোখে আঘাত লাগে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় আট রাউন্ড গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, শশী কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ব্যানারে কিছু লোক রাস্তা অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশের দায়িত্বরত গাড়িতে লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায়। এতে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারা থানার ওসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। উনার প্রাথমিক চিকিৎসার পর শহরের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ২
হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘরর্ঘে দুই সাংবাদিকসহ যুবদল ও ছাত্রদলের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ শহরে শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এসময় গাড়িসহ দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শহরের শায়েস্তানগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এতে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপির নেতা-কর্মীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। এসময় মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজা, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম এবং যুবদল নেতা শেখ রাসেল গুলিবিদ্ধ হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সেলিম জানান, মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালালে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
তিনি আরও বলেন, মানববন্ধনে বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক, সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার শিপা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি শেখ সুজাতসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে তিনি এবং ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
হবিগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত