সহিংসতা
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
আসন্ন দূর্গাপূজা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াত যেন কোনো ধরনের সংকট ও সহিংসতা তৈরি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন যেমন চালানোর চেষ্টা করে, তেমনই তারা দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে তারা। এই অপশক্তিকে রুখতে আমাদের সবারই দাঁড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর শহেরর বাবুরহাট এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চাঁদপুর জেলার সমাবেশ শেষে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সচেতন ও সজাগ অংশ। তারা যেন সব সময় চোখ কান খোলা রাখে। কারণ এই বাংলাদেশ তাদের, তারা এই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং তারা যেন এই অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রয়েছে তাদেরকে রুখে দিতে পারে।
দীপু মনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেন কোনোভাবেই দেশকে অস্থীতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমি মনে করি আমাদের তরুণরা সবচাইতে সজাগ ও সচেতন শ্রেণি। তারা যেন এই বিষয়ে অনেক বেশি সজাগ থাকে এবং যেকোনো মূল্যে যেন আমরা এই অপশক্তিকে সবাই মিলে প্রতিহত করতে পারি।
আরও পড়ুন: দেশে পাবলিক হেলথ বিশ্ববিদ্যালয় চান শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ বিচরণের পরিবেশ আগের মতো নেই: শিক্ষামন্ত্রী
রোহিঙ্গা গণহত্যার ৬ বছর: সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি দাবি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর গণহত্যার ৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ বিশ্ব নেতাদের উদাসীনতার অবসান ঘটাতে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই সহিংসতার মূলে থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেনেভা থেকে জারি হওয়া এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহির সমর্থনে নীতিগত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ ছাড়া আমরা আর একটি বছরও পার হতে দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের অপরিসীম দুর্ভোগের জন্য দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দায়ি। গণহত্যা অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া মিন অং হ্লাইং এখন একটি অবৈধ সামরিক জান্তার প্রধান। এই সামরিক জান্তা মিয়ানমারজুড়ে বেসামরিক জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে। তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তার অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করতে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে সৈন্যরা বেসামরিক রোহিঙ্গা নাগরিকদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করে এবং ওই অঞ্চলে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়।
৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। যদিও সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তাদের 'ক্লিয়ারেন্স অপারেশন' রোহিঙ্গা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদের নৃশংস ও নিরবচ্ছিন্ন আক্রমণের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু ছিল রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকরা।
৬ বছর আগে রোহিঙ্গাদের উপর হামলা মানবতার বিরুদ্ধে ও গণহত্যার এমন অপরাধ যা বিশ্ববিবেককে হতবাক করেছে এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি রাখে।
যে সহিংসতা তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করেছে, পরিবারগুলোকে ছত্রভঙ্গ করেছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে এবং আরও অনেককে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, তার জন্য রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্য।
২০১২ ও ২০১৬ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ব্যাপক ও নৃশংস হামলাসহ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে বাংলাদেশের বিশাল শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। রাখাইন রাজ্যে আনুমানিক ৬ লাখ মানুষ এখনও রয়ে গেছেন। যেখানে তারা অধিকারবিষয়ক কঠোর বিধিনিষেধ এবং আরও সহিংসতার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায় সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হলেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
৬ বছর পরেও নিরাপত্তা পরিষদ নৃশংস অপরাধের অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমারের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠায়নি।
জেনেভার জারি করা বিবৃতি অনুসারে, রোহিঙ্গাদের আক্রমণ ও হত্যা করা দেশটির সামরিক বাহিনীর কাছে কিছু দেশ অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে এবং তারা এখন সারা দেশে বেসামরিক জনগণের উপর বন্দুক চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ৬ বছর: প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ, একীভূতকরণে চাপ দিচ্ছে কিছু দেশ
যেসব দেশ মানবাধিকারকে সমর্থন করে, তারা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তাদের হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, অস্ত্র ও বৈধতা থেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও রোহিঙ্গাদের তাদের প্রয়োজনের সময়ে পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আর্থিক অনুদান কমে যাওয়ায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে রেশন কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার আগে বাংলাদেশ থেকে তাদের প্রত্যাবাসনের একটি অদূরদর্শী পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে কিছু সরকার।
প্রতিশ্রুতিহীনতায় ক্লান্ত রোহিঙ্গারা। তাদের সন্তানরা তো আর রাজনৈতিক বাগাড়ম্বরপূর্ণ উক্তি বা জাতিসংঘের রেজুলেশন খেতে পায় না।
বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার বলেন, উদাসীনতার মারাত্মক অসাড়তার অবসান ঘটানোর জন্য বৈশ্বিক সমর্থন তাদের প্রয়োজন এবং যা তাদের প্রাপ্য। গণহত্যার জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে এবং মিয়ানমারের সীমানার অভ্যন্তরে ও তার বাইরে থাকা রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে এবং দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের পরীক্ষামূলক প্রত্যাবাসনে বাধা দেওয়া উচিত নয়: শাহরিয়ার
বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনো জনগণকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা ও গুলি ছাড়া কিছুই বোঝে না।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নিসংযোগসহ তারা মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মধ্যে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে। তারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার মতো অপকর্ম করে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ১৫,০০০ লোককে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা-অগ্নিসংযোগ
ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় মাতুয়াইল, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
শনিবার ৫ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশপথে জড়ো হলে ধোলাইখাল, উত্তরা, মাতুয়াইল, রায়েরবাগ ও গাবতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে জড়ো হয়।বেলা ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ধোলাইখালে বিএনপির কয়েক’ নেতা-কর্মী সড়কের একপাশে জড়ো হন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের পর গয়েশ্বর ও আমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে পুলিশ
তারেক রহমানের আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ বলে দাবি অধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু নেতাদের
অর্থ পাচার ও শেখ হাসিনার উপর ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন থেকে ‘দেশের ভাগ্য ফয়সালা হবে রাজপথে’ আহ্বানের সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা।
তারা বলেছেন, এটি ‘নতুন করে সহিংসতা শুরু করার জন্য একটি প্ররোচনা।’
এ ছাড়া তারা তারেকের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার’ তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তারা বলেন, ‘পলাতক অবস্থায় এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ।’
তারেকের ছবিসহ বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘দেশের ভাগ্য ফয়সালা হবে রাজপথে।’
তারেক রহমানের ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর বিশিষ্ট আইন, শিক্ষাবিদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘একজন পলাতক ব্যক্তির কী সাহস! এটা বিরাট একটা উসকানি!’
তিনি বলেন, ‘বিচার এড়াতে তারেক বছরের পর বছর ধরে লন্ডনে পলাতক জীবন কাটাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
অধ্যাপক রহমান আরও বলেন, ‘একটি বন্ধুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের মাটিকে এ ধরনের বেআইনি কাজ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।’
তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘লন্ডনে আমাদের মিশনের অবিলম্বে ব্রিটিশ সরকারের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানানো উচিত। বাকস্বাধীনতার ছদ্মবেশে এটাকে অনুমোদন করা যাবে না।’
আইনজীবী, অধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা রানা দাশগুপ্ত একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অতীতে বিএনপি কর্তৃক সংগঠিত সহিংস হামলার কথা বিবেচনা করে তিনি বলেন, ‘তারেকের এই বর্তমান হুমকি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য গভীর উদ্বেগজনক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দাশগুপ্ত বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দল, যারা গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি মেনে চলে; তাদের প্রকাশ্যে এই ধরনের হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল।’
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজপথে সহিংসতা এবং সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপর টার্গেটেড হামলা এখনও ভুক্তভোগীদের পীড়া দেয়।
আরও পড়ুন: তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
দাশগুপ্ত আরও বলেন, ‘২০১৩-২০১৫ সালের মধ্যে শতাধিক পরিবারকে আক্রমণ করা হয়েছিল, সম্পত্তি লুট করা হয়েছিল এবং উপাসনালয়গুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে অসংখ্য মৃত্যু এবং সম্পত্তি ও জীবিকা ধ্বংস হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘যখন তারেক ও তার মা দেশ শাসন করত সেসমযের বিএনপি-জামায়াতের দ্বারা সংঘটিত সংখ্যালঘুদের উপর হামলাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত।’
২০০১ ও ২০০৬ সালের মধ্যে তারেক বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর অপরাধ এবং উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছিল। যার ফলে এফবিআই এজেন্ট দ্বারা সাক্ষ্য দেওয়া এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাসহ অর্থপাচার ও বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ‘শোষক সরকার ও সহিংস রাজনীতির’ প্রতীক আখ্যা দিয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এমনকি সে সময় তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
মার্কিন দূতাবাসের একটি ফাঁস হওয়া মার্কিন দূতাবাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দূতাবাস বিশ্বাস করে যে তারেক ‘গুরুতর রাজনৈতিক দুর্নীতির জন্য দায়ী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।’ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা ও মার্কিন বৈদেশিক সহায়তার উদ্দেশ্যগুলোতে প্রবাব ফেলে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিব না। তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ,উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়।’
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লড়াই করে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২৭ তারিখের সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা নেই: কাদের
বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে: কাদের
সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সবার মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতার যেকোনো প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে এবং সহিংসতায় যুক্ত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হবার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটল তা অনাকাঙ্ক্ষিত, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
তিনি আরও বলেন, ‘যারা মারামারি করল, তারা আর যাই হোক নৌকার শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
তিনি দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে বনানীতে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে ‘লাঞ্ছিত’ করা হয়।
বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় হিরো আলমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা: ফখরুল
হিরো আলমের ওপর হামলাকারীরা ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল: আ.লীগ প্রার্থী আরাফাত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে চলমান পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় শনিবার কমপক্ষে ৯জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, নিহতরা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের পাঁচজন সদস্য, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন কর্মী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক।
৮ জুন রাজ্যটিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে রাজ্যজুড়ে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
সহিংসতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দায়ী করছে।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শনিবার চলমান ভোটের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতার নিন্দা করেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে নির্বাচন, হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যা ঘটছে, তা দেশের গণতন্ত্রের ওপর একটি কালো দাগ। সাধারণ মানুষ ভয় ছাড়া তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে তারপরও আমি জনগণকে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে তাদের অধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আধা-সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের বিশাল দল মোতায়েন করেছে।
এক ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং ১১ জুলাই ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা
তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
ফ্রান্সে সহিংসতার পঞ্চম দিনে ৭১৯ জন গ্রেপ্তার: মন্ত্রণালয়
ফ্রান্সে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত অন্তত ৭১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানয়ি সময় রবিবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে এক কিশোর নিহত হওয়ার পর দেশব্যাপী সহিংসতার পঞ্চম রাতে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত অন্তত ৭১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৪৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সশস্ত্র পুলিশ আহত হয়েছেন এবং ৫৭৭টি গাড়ি ও ৭৪টি ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন বলেছেন, শুক্রবার রাতের চেয়ে শনিবার রাত 'শান্ত' ছিল, যখন ১ হাজার ৩১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৫০ টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দারমানিন তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, শনিবার রাতে দাঙ্গা ও লুটপাট মোকাবিলায় দেশজুড়ে প্রায় ৪৫ হাজার ফরাসি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিস এবং এর শহরতলিতে প্রায় ৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে প্যারিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীর হে-লেস-রোজেস শহরের মেয়রের বাড়িতেও দাঙ্গাকারীরা হামলা চালায়, এতে মেয়রের স্ত্রী ও তার এক সন্তান আহত হন।
রবিবার বিকালে ফরাসি নিউজ চ্যানেল বিএফএমটিভির সঙ্গে কথা বলার সময় প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট নুনেজ বলেছেন, দাঙ্গাকারীরা একজন মেয়রের বাড়িতে আক্রমণ করে ‘সীমা লঙ্গন করেছে’ এবং অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশ অবশ্যই তদন্ত করবে।
নুনেজ আশ্বস্ত করেছেন যে শহরে হওয়া সহিংসতার ব্যাপারে পুলিশ ‘খুব মনোযোগী ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রয়েছে এবং রবিবার রাতে বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলে আবার ৭ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হবে।
স্থানীয় সময় রবিবার ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন এবং বিচারমন্ত্রী এরিক ডুপন্ড-মোরেত্তির সঙ্গে একটি ব্রিফিং করবেন।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার একজন ফরাসি পুলিশ অফিসারের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী কিশোর নিহত হয়।
যে পুলিশ অফিসার তার বন্দুক থেকে গুলি চালিয়েছিলেন তিনি পরে তদন্তকারীদের বলেছিলেন যে গাড়িটি একটি মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে এই ভয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন।
গত মঙ্গলবারের গুলির ঘটনার পর ফ্রান্সজুড়ে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ও দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটে, যার ফলে পুলিশ ফ্রান্সের প্রধান শহরগুলোতে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে নিহত ২৫
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯.০৯ কোটি ছাড়িয়েছে
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় ৯৮ জন নিহত
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে গত মাসে অন্তত ৯৮ জন নিহত এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। শুক্রবার একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও, ৪ হাজারেরও বেশি অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে; যাতে লাখ লাখ রুপির সম্পত্তি পুড়ে গেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় নিজেদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত লোকেরা ত্রাণ শিবিরে বসবাস অব্যাহত রেখেছে।
রাজ্য সরকারের সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার একটি আপিল করার পরে গত ২৪ ঘন্টায় স্থানীয়রা পুলিশের কাছে ১৪০ টিরও বেশি অস্ত্র সমর্পণ করেছে।
মৈতৈ সম্প্রদায়ের উপজাতির মর্যাদা দাবির প্রতিবাদে রাজ্যের ১০টি জেলায় ৩ মে স্থানীয়রা একটি ‘উপজাতি সংহতি মার্চ’ সংগঠিত করার পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রধানত মৈতৈ ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, মৈতৈ সম্প্রদায়ের লোকেরা মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং বেশিরভাগ ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে। নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এবং রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলোতে বসবাস করে।
আরও জানা যায়, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক আসাম রাইফেলসের ১০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মীকে রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে চার দিন কাটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার তার সফর শেষ করে শাহ ঘোষণা করেছেন যে সংঘর্ষের বিচার বিভাগীয় তদন্ত শিগগিরই শুরু করা হবে।
রাজ্যে সহিংসতা শান্ত করার জন্য মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসূয়া উইকির অধীনে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শান্তি কমিটিও গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু
ভারতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের ৬ জনকে গুলি করে হত্যা