সহিংসতা
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই; আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা চাই না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষিত ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
এই ঘোষণার মাধ্যমে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে যেসব দল সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা সতর্ক থাকবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চাই না। আমি আশা করি এই কাজগুলো কমবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তারা কোনো বাড়তি চাপের মধ্যে নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চমৎকার।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কাতার সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উপস্থিতির চিহ্ন বহন করে: মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান এবং এই নীতি তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
আওয়ামী লীগ সব সময় ভোটারদের বিশ্বাস করে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর কাছ থেকে আসা বিষয়টিকে তারা খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
চিঠিটি উদ্ধৃত করে মোমেন বলেন, এই নীতি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার প্রতিশ্রুতি সমর্থন করে।
তিনি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন, যা ভোটারদের পাশাপাশি পোলিং কর্মকর্তা এবং এজেন্টদের মধ্যে আস্থা স্থাপনের আদর্শ তৈরি করেছে।
মোমেন আরও বলেন, একটি শক্তিশালী জাতীয় নির্বাচন কমিশন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খুব অদ্ভুত, কোনো রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়নি’: আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে দাবি করা প্রতিবেদন সম্পর্কে মোমেন
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা একটা কথাই বারবার বলছেন অগ্নিসংযোগ হবে, বিএনপি আবার আগুন নিয়ে খেলবে। তবে এটি একটি পরিকল্পিত বিবৃতি এবং তারা নিজেরাই এই ধরনের কার্যক্রম চালাতে চলেছে।’
আরও পড়ুন: 'আপনার সময় শেষ': সরকারের প্রতি ফখরুল
সোমবার দুপুরে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তৃতাকালে এই বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দল ইতোমধ্যে সহিংসতার কথা বলে কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে, কারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের জন্য সংঘাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করছে।
ফখরুল বলেন, সরকার সহিংসতা ছড়ানোর অংশ হিসেবে খুলনা, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা ও পটুয়াখালীতে বিএনপির সাম্প্রতিক শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। ‘তারা (আ.লীগ) এটা করছে কারণ তারা মনে করে সহিংসতাই প্রতিবাদ থামানোর একমাত্র উপায়। তারা সহিংসতা সৃষ্টি করে জনগণের দাবি চাপা দিতে চায়।’
বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে এ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’-শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, তাদের দল বর্তমান সরকারকে হটিয়ে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ‘অনেক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছে... যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।’
আরও পড়ুন: আসন্ন সিটি নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
তিনি সকল পেশাজীবীদের নিজেদের মধ্যে মতভেদ ও ভুল বোঝাবুঝি ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আরও পাঁচ বছর ‘লুণ্ঠন’ চালিয়ে যেতে আবারও ভোট চাওয়া শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদেরও তাদের অধীনে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়াই আহ্বান জানাচ্ছে। তারা (সরকার) ইতোমধ্যেই আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর খেলা শুরু করেছে।
ফখরুল হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আর কোনো ‘সাজানো’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এবং তারা এই ফাঁদে পা দেবে না।
তিনি বলেন, তাদের দল সহিংসতা ও সংঘর্ষে জড়াতে চায় না, কারণ তাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায় করা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্দলীয় (নির্বাচনকালীন) সরকারের জন্য আমাদের দাবি মেনে নিন এবং তারপরে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ: মির্জা ফখরুল
ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
দুর্নীতির একাধিক মামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার আদালত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে রাজনৈতিক উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সারা দেশে তার ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দ্বারা সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা ইমরান খানের গ্রেপ্তার পাকিস্তানকে বিপর্যস্ত করার সর্বশেষ সংঘাতের প্রতিনিধিত্ব করে, যেখানে বছরের পর বছর ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ রয়েছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছেন, সেখানে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে অনুরূপ সহিংসতায় প্রায় ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
সহিংসতার মধ্যে পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রকরা টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজধানী ইসলামাবাদ ও অন্যান্য শহরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার কিছু বেসরকারি স্কুলের ক্লাস বাতিল করা হয়।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফাওয়াদ চৌধুরী জানান যে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর নিরাপত্তা এজেন্টরা ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে একটি সাঁজোয়া গাড়িতে নিয়ে যায়।
৭১ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকার গ্রেপ্তারকে 'অপহরণ' বলে আখ্যায়িত করেছেন ফাওয়াদ চৌধুরী। পাকিস্তানের স্বাধীন জিও টিভি খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সম্প্রচার করেছে।
আদালতের বাইরে খানের সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষে খানের কয়েকজন আইনজীবী ও সমর্থক আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খানকে ইসলামাবাদের নিকটবর্তী রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার নিয়মিত মেডিকেল চেকআপও হওয়ার কথা ছিল।
দুর্নীতি মামলায় অভিযোগের মুখোমুখি হতে নিকটবর্তী লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এসেছিলেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার বিএনপিকে সহিংসতায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজ(শনিবার) ৫৫০টি থানা ও উপজেলায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল এবং প্রায় সর্বত্র পুলিশ বাধা দেয়। ঢাকা মহানগরীতে, প্রায় সব নির্ধারিত স্থানে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি।’
এক ইফতার পার্টিতে বক্তব্যে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতার উস্কানিনিতে সাড়া না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোট ও অন্যান্য অধিকারের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার সহিংসতা চালাচ্ছে। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ আমাদের উস্কানি দিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে চায়।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার লেডিস ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ (শনিবার) সারাদেশের সব উপজেলা ও থানায় ১০ দফা দাবি আদায়ে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ‘সর্বব্যাপী দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে দলের প্রতিবাদ করার জন্য এই কর্মসূচি পালন করে দলটি।
ফখরুল দাবি করেন, কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাদের দলের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলে আমাদের কর্মসূচিতে হামলা করছে। এটা একটা কাপুরুষোচিত শাসন যা মানুষকে ভয় পায়। তাই তারা জনগণকে কোনো সমাবেশ করতে দেয় না। তারা জনগণের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমে কয়েক হাজারকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পেছনে আ.লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্দেহ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, সময় এসেছে পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীদের জনগণ ও তাদের অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেউ এখন বলছে না বাংলাদেশ খুব ভালো, বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) সংসদে বিদায়ী ভাষণে তাদের (আ.লীগ) নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কিছু সত্য কথা বলেছেন। তিনি প্রথম কথাটি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন কখনোই সর্বজনীন হতে পারে না। এটা আমরা বারবার বলে আসছি।’
রাজনীতিতে ভদ্রতা ও সহনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রশংসাও করেন ফখরুল। ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি)ও (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সংঘাত ভুলে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু যে দল থেকে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেই দল গণতন্ত্র ছাড়াই উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও জনমতের প্রতি সহনশীলতার অভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশৃঙ্খলা এড়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগে দাবি মেনে নিন: ফখরুল
১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি কেন সহিংসতা করছে তা আমরা জানি: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর দলীয় সমাবেশের আগে বিএনপি সহিংসতা করছে এবং এর পেছনের কারণ কি, তারা তা জানেন।
বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজার আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, তার আসল কারণটা আমরা জানি। যাতে তারা পার্টি অফিসে আশ্রয় নিতে পারে, অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে এবং সেখান থেকে অগ্নিসংযোগ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি আজ নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
তবে বিএনপি বলেছে, বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘বর্বর’ পুলিশি হামলা ও দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সব শহর ও জেলা শহরে বিক্ষোভ করবে।
উল্লেখ্য, ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম সমাবেশের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু করে দলটি।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে মানুষ ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের
স্মার্ট বাংলাদেশ: আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান প্রকাশ করলেন কাদের
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোন্টা ক্লাবের ১৬ দিনের প্রচারণা শুরু
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত পরিষেবা সংস্থা জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তার ‘১৬ দিনের প্রচারণা’ কর্মসূচি শুরু করেছে।
২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রচারাভিযানটি ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত চলবে। সমাজে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল এবং নারীর অধিকারের অগ্রগতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি আয়োজন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ছয়টি জোন্টা ক্লাব শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে প্রচারণা কর্মসূচির সূচনা করার জন্য একটি র্যালির আয়োজন করে, যেখানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের ঐক্য উদযাপনের জন্য বিশিষ্ট জোন্টায়ানরা যোগ দিয়েছিলেন।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় অজুহাতের জায়গা নেই: ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরা
ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধের প্রচারে যোগ দিয়েছেন। তারা এক্ষেত্রে অজুহাতের কোনো জায়গা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ক্ষেত্রে অজুহাতের কোনো জায়গা নেই এবং প্রত্যেকেরই এর বিরুদ্ধে কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, 'পুরুষ ও ছেলে, ছেলে ও বাবা; আসুন আমরা এক হয়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করি।'
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাকে 'না' বলে বিশ্বজুড়ে সবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।ইউরোপীয় কমিশন অনুযায়ী, নারীর প্রতি সহিংসতাকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের একটি রূপ হিসাবে বোঝানো হয়। লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা যেসব ক্ষেত্রে সংঘটিত হতে পারে- শারীরিক ক্ষতি, যৌন ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি, নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষতি বা ভোগান্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ইরানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারের আলোচনা
বাংলাদেশ-ইইউ ‘অংশীদারি সহযোগিতা’ চুক্তি সই করতে আগ্রহী
ব্রুনাই থেকে বছরে ১.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি পাবে বাংলাদেশ
আন্দোলনের নামে সহিংসতা করবেন না: বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে তার সরকার বিএনপিকে ছাড় দেবে না।
তিনি বলেন,‘আমি তাদের (বিএনপি) বলেছি তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করলে আমরা কিছুই বলব না। কিন্তু তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউনে যাচ্ছে। তারা যদি কাউকে আক্রমণ করে তবে আমরা তাদের রেহাই দেব না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিরোধী দল সঙ্কটের মধ্যে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
হামলার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই অগ্নিসংযোগ। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তারা সারা বাংলাদেশে কি পরিমাণ হামলা করেছিল। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দোসর।
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে বিএনপি কীভাবে স্বপ্ন দেখে যে জনগণ তাদের ভোট দেবে? কারণ দলটি যে কোনও দুঃসময়ে জনগণকে নামমাত্রও সাহায্য করেনি।
বিএনপি সীমা অতিক্রম করলে কারাগারে ফিরবেন খালেদা জিয়া
প্রধানমন্ত্রী বলেন,জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালেদার বোন,ভাই ও বোনের স্ত্রী তার (প্রধানমন্ত্রী) কাছে আসেন এবং তাকে মুক্তি দেয়ার আবেদন করেন।
তিনি বলেন,‘মানবিক কারণে আমরা তাকে (খালেদা) তার বাড়িতে থাকার সুযোগ দিয়েছি,তার সাজা স্থগিত করেছি। বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে তাকে আবার জেলে পাঠাব।’
আরও পড়ুন: রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি বসছে বুধবার, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম,অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মোন্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, এমপি ও তার সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে স্মরণ করতে দিবসটি পালিত হয়। যারা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নিহত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার মাত্র তিন মাস পর এই গণহত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের)বলেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।’
নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসমা আশরাফের ওপর হামলার নিন্দা ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের
শুক্রবার জিএম কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই আসমা আশরাফের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে সরকার সমর্থকরা।
সরকারপন্থী এসব লোকের কর্মকাণ্ড নির্বাচনের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে বলেও মন্তব্য করেন বিরোধীদলীয় উপনেতা কাদের।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুও জাতীয় পার্টির নেত্রী আসমার ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
নির্বাচনের আগে প্রগতিবিরোধী দলের শাসন অশনি সংকেত: জিএম কাদের
সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে রাজপথে সহিংসতা না করে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, ঝড় এলে কেউ লাভবান হবে না। আমি স্বীকার করছি, অবশ্যই অনিশ্চয়তা আছে। এটা লুকানোর বিষয় নয়। সহিংসতার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। আপনাদের অবশ্যই আলোচনার টেবিলে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে ‘বাংলাদেশ: কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম-চেঞ্জ অব ফেব্রিক’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের সহিংসতা শেষ হয়েছে, তবে দুর্বলতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা নয়, হাওরাঞ্চলে ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডান্ডান চেন বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ নোরা দিহেল এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ পরামর্শদাতা জাহিদ হোসেন এই বিষয়ে দুটি পৃথক উপস্থাপনা করেন।
সানেম-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান, সোনিয়া বশির কবির, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস এবং এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন।
অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার বাস্তবায়ন না হওয়া বড় ব্যর্থতা।
এর পিছনে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার অবশ্যই ঘটবে, তবে তা তীব্রভাবে নাও হতে পারে।
কারেন্সি অদলবদল এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যের জন্য চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারেন্সি অদলবদল একটি বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের সংবিধান মানলে বিএনপি'র অবশ্যই নির্বাচনে আসা উচিত: পরিকল্পনামন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য কাঠামোগত উন্নতি, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন এবং গ্রামীণ শহরগুলির সঙ্গে শহরের সংযোগ স্থাপনের জন্য যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নতির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে তিনটি প্রধান ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলোর ওপর নজর দিতে হবে।
‘এগুলি হল রপ্তানির বৈচিত্র্য, আর্থিক খাতে সংস্কার এবং শহুরে মানব সম্পদের দক্ষতার উন্নতি,’ তিনি যোগ করেন।
তিনি জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি এই ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে।
নোরা দিহেল বলেন, বৃহত্তর ঢাকা দেশের জিডিপির এক-পঞ্চমাংশ এবং আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের প্রায় অর্ধেক তৈরি করে।
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিবাসীদের থাকার জন্য ইতোমধ্যেই পুঁজি প্রস্তুত করা দরকার।
সেলিম রায়হান বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক খাতের উন্নয়নে কম মনোযোগ দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু আমাদের মানবসম্পদ গড়ে না উঠলে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে যে সুযোগগুলো তৈরি করা হচ্ছে তার পুরো সদ্ব্যবহার করতে পারব না।
সোনিয়া বশির বলেন, দেশের মোট নন-পারফর্মিং লোনের (এনএলপি) শতাংশ নারী ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে পাঁচের কম হলেও তারা ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: সামাজিক স্থিতিশীলতা এখন অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ: পরিকল্পনামন্ত্রী