ঢামেক
ঘুড়ি ধরতে গিয়ে পা ফসকে সুত্রাপুরে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর সুত্রাপুরে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে পা ফসকে সাত তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু সালভি জিহাদ (১১) কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শাহ আলমের ছেলে। জিহাদ একরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহতের খালু মাসুদ জানান, সুত্রাপুর আরএম দাস লেনে তাদের বাসা। জিহাদ অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে পাশের বাড়ির সাত তলা ভবনের ছাদে খেলা করতে উঠে। সে সময়ে একটি ঘুড়ির সুতা ছিড়ে উড়ে যাচ্ছিল। তখন ওই ঘুড়িটি ধরতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পা ফসকে দুই ভবনের ফাঁকা দিয়ে নিচে পড়ে যায় জিহাদ। সংবাদ শুনে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাটারায় আগুনে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
দোলনার রশিতে ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু
ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আখতারুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ-ছয় জন শিক্ষার্থী আখতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আখতারের বাবা কয়েকদিন আগে হার্ট স্ট্রোক করেছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। যখন তাকে গেস্টরুমে ডাকা হয়েছিল, তখন অসুস্থতার জন্য তিনি গেস্টরুমে আসতে পারেননি।
তিনি বলেন, পরে তাকে ডেকে এনে গেস্টরুমে ১০ মিনিট লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকার সাজা দেন। এসময় আখতার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইসিজি পরীক্ষা করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে বলেন, অভিযুক্তরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বশির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আজকের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য আবু ইউনুস বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এ ধরনের কোনো অমানবিক কাজ সমর্থন করে না। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
রমনায় শাহ সিমেন্টের ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত
রাজধানীর রমনার অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় শাহ সিমেন্টের মিকচার মেশিন যুক্ত একটি ট্রাকের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক ভ্যান চালক। সোমবার ভোর ছয়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ভ্যান চালক হলেন নূর আলম (৪০) এবং আহত ব্যক্তি হলেন তুহিন (৩৬) ।
আহত তুহিনের ভাই মো. শামিম জানান, নূর আলম ও তুহিন দু'জন দুটি ভ্যানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার করে ডিম নিয়ে কারওয়ান বাজার থেকে জিনজিরা যাচ্ছিল। পথে রমনা অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনের রাস্তায় পেছন থেকে শাহ সিমেন্টের (মিকচার মেশিন যুক্ত) একটি ট্রাক তাদেরকে চাপা দেয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢামেক ) নিয়ে গেলে চিকিৎসক নূরকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। আহত তুহিন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের লাশ ময়নাতদন্তে কুষ্টিয়ার চিকিৎসকদের অপারগতা,পাঠানো হচ্ছে ঢামেকে
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা অপারগতা প্রকাশ করায় সেলিম হোসেনের লাশ ঢাকা মেডিকেলের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে চিকিৎসকদের অপারগতার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
দাফনের ১৪ দিন পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের সময় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগেই জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে দেন। মেডিকেল বোর্ডের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুমন রহমান ও ডা. মাহাফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েটের ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে (সিভিল সার্জনকে) এই অপারগতার বিষয়টি জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সর্ব সম্মতিক্রমে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, উক্ত লাশের সঠিক ময়নাতদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বরাবর পাঠানো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জনকে অনুরোধ জানানো হয়।’
এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিভিল সার্জন জানান, ময়নাতদন্ত করতে অপারগতার বিষয়টি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তার জানা নেই।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই শিক্ষকের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি সম্পন্নের পর সন্ধ্যায় লাশ ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে অপারগতা প্রকাশের বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্যের কেউই গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিষয়টি স্পর্শকাতর বিবেচনা করেই হয়তো স্থানীয় চিকিৎসকরা ময়নাতদন্তে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত, খুলনা খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস এবং কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। লাশ উত্তোলনের সময় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। লাশ উত্তোলনের পর পরই ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ প্রহরায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।
এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় শিক্ষক সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলীসহ স্বজনরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, সেলিমকে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যার সঠিক বিচার চান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশগ্রাম কবরস্থানে শত শত উৎসুক নারী পুরুষ উপস্থিত হন। থানা পুলিশ ও একজন মেডিকেল অফিসার সেলিমের কবরস্থানের কাছে আসেন। এ সময় তার বাবা শুকুর আলী, তার দুই মেয়ে শিউলী ও শ্যামলীসহ নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও লাশ উত্তোলনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি।
পরবর্তীতে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহান লাবিব উপস্থিত সবাইকে জানান, সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে লাশ আজ (মঙ্গলবার) কবর থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। বুধবার সকাল ৮টায় ড. সেলিম হোসেনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী অধ্যাপক সেলিমের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ওই শিক্ষক বাসায় ফিরে মারা যান।
অভিযোগ উঠেছে, সেজানসহ ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক সেলিমকে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর বুধবার অধ্যাপক সেলিমকে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে তার লাশ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তার লাশ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক তদন্ত শাহরিয়ার হাসান অধ্যাপকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৫ ডিসেম্বর দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানান। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠি পাঠান।
ওই চিঠিতে বলা হয়, কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিছুর রহমানের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ সোলায়মানের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ একজন মারা গেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মো. সোলায়মান (৪২) মারা যান বলে আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব জানিয়েছেন।
এর আগে আড়াইহাজার উপজেলার কুমার পাড়া গ্রামে সোমবার ভোররাতে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ডে সোলায়মানসহ তার পরিবারের চার জন দগ্ধ হন।
দগ্ধ অন্যরা হলেন তার স্ত্রী রীমা আক্তার (৩১), ছেলে মাহিদ (১৩), ছেলে আরশ (৩)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের দগ্ধ ৪
সোলায়মানের চাচাতো ভাই ইউনুস জানান, ভোররাতে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে লিকেজ হয়ে একতলা বাসায় জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, নারীসহ দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার কুমার পাড়া গ্রামে সোমবার ভোররাতে একটি বাসায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চার জন দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন, ব্যবসায়ী সোলায়মান (৪২), তার স্ত্রী রীমা আক্তার (৩১), ছেলে মাহিদ (১৩), ছেলে আরশ (৩)।
সোলায়মানের চাচাতো ভাই ইউনুস জানান, ভোররাতে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে লিকেজ হয়ে একতলা বাসায় জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, নারীসহ দগ্ধ ৪
রাজধানীর রায়েরবাগে কয়েল কারখানায় আগুন
নরসিংদীতে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তির ঢামেকে মৃত্যু
নরসিংদীর রায়পুরায় নির্বাচনী সহিংসতায় ফরিদ মিয়া (৩০) নামের আহত ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার উত্তর বাহার নগর এলাকার প্রাইমারী স্কুলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের শ্যালক শাহ আলম জানান, রায়পুরা উত্তর বাহার নগর এলাকায় দুই মেম্বারের মধ্যে প্রাইমারী স্কুলের ভিতর গোলাগুলি শুরু হলে ফরিদ মিয়া গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ফরিদ মিয়া একজন রিকশাচালক। তিনি জেলার রায়পুরা থানার উত্তর বাহার নগর মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নরসিংদীর রায়পুরা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে ঢামেকে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকহা মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষীপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
ইউপি নির্বাচন: ভোট শুরুর আগেই সহিংসতায় নিহত ২
কেরানীগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় একই পরিবারের ২ জন নিহত
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় পুত্রবধূ ও শাশুড়ি নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকার পোস্তগোলা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনায় এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- শাশুড়ী রুপবানু (৬৫) ও পুত্রবধূ মৌসুমী (২৭)। এছাড়া গুরুতর আহত হন মৌসুমীর মেয়ে মোহনা (৮)।
নিহত মৌসুমীর স্বজন সোহেল জানান, মৌসুমী তার শাশুড়ি ও কন্যাকে নিয়ে সকালে মিটফোর্ড হাসপাতালে করোনা টিকা দিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা এলাকার নোয়ার্দা গ্রামের বাসায় ফেরার পথে হাসনাবাদ এলাকার রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাশুড়ি মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুত্রবধূ মৌসুমী ও শিশু কন্যা মোহনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক মৌসুমীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালে শিশু মোহনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তাকে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় আদ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনায় দুই নারী নিহত ও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। তবে ঘাতক পিকআপটি জব্দ করা যায়নি। এ ঘটনায় রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
যাত্রাবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত ব্যক্তি হলেন শফিকুল ইসলাম (৫০)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, শফিকুল ইসলাম ৮৮ শতাংশ পুড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং গত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদবাদ এলাকার একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে ছয়জন আহত হন। পরবর্তীতে তাদের সবাইকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে বিশ্বনাথ দত্ত (৪৮) রবিবার এবং রিপন ও আবুল কালাম মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া কবির হোসেন (৩৫) নামে আরেক ভুক্তভোগীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আগুনে তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় মামা-ভাগনে নিহত
অপহরণ ও ধর্ষণ: যাত্রাবাড়ী থানার ওসিসহ ১১ জনের নামে মামলা
রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ নিহত, স্বামী পলাতক
রাজধানীর শনির আখড়ায় শনিবার ভোররাতে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে এ ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
নিহত গৃহবধূ রূপা (৩০) আব্দুল জাহেরের স্ত্রী। শনির আখড়ার গোবিন্দপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে তিনি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান বলেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে স্বামী আব্দুল জাহের তার স্ত্রী রূপার বুকের বাম পাশে আঘাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছুরিকাঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
ঘটনার পর আব্দুল জাহের পালিয়ে যান বলেও জানান এসআই মাহমুদা।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে শনিবার বিকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই রুবেল মিয়া বলেন, তার দুলাভাই নিয়মিত তার বোনকে মারধর করতো এবং কয়েক মাস আগে এ ধরনের ঘটনার পর তিনি রুবেলের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে তাকে বুঝিয়ে তার স্বামীর ভাড়া বাসায় পাঠানো হয়।
রুবেল বলেন, তার বোন লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন কিন্তু তার স্বামী তা চাইতো না। রূপা দেড় মাস আগে পোশাক কারখানার চাকরিটি ছেড়ে দেন এবং এর জেরে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো।
তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে ভাগিনা আমাকে কল দিয়ে বলে সে সকালে ঘুমাচ্ছিলো। ছুরিকাঘাতের ফলে হঠাৎ তার মায়ের চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে উঠে।’
এ খবর শোনার পর তিনি তার বোনের বাড়িতে যান এবং তাকে মৃত দেখতে পান বলেও জানান রুবেল।
আরও পড়ুন: খুলনার একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ছুরিকাঘাত
সীতাকুণ্ডে ‘চোরে’র ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত, ছেলে আহত
স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা