ঢামেক
ঢাকা মেডিকেলে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়াজ মোর্শেদ (৩২) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
নিয়াজ মোর্শেদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ছিলেন। তার বাবার নাম মজিবুর রহমান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.বাচ্চু মিয়া জানান,অসুস্থ বোধ করায় ওই কয়েদিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান,লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেখা মেলেনি কয়েদির, খোকসার উপকারাগারে হাঁস-মুরগির খামার
কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিকের মৃত্যু
রাজধানীতে লিফট মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মেকানিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে নগরীর যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিনুল ইসলাম শাফিন (২০) সায়েদাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি তাঁর চাচার লিফট কোম্পানিতে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
শাফিনের চাচা মো. মহসিন জানান, যাত্রাবাড়ীতে একটি ১০ তলা ভবনের নিচতলায় লিফটের ভিতরে কাজ করার সময় শাফিন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
সেচ পাম্পের সুইচে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঢাকা, আগস্ট ১১ (ইউএনবি)- রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার কুড়িল বিশ্বরোড ও খিলগাঁও এলাকায় এই দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মারাজ (২০) ও গোলাম রাব্বানী (৩০)।
মারাজের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা মারাজকে চাপা দেয়। পথচারীরা উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হলে সেখানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানায় রিপোর্ট করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভার এলাকায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী গোলাম রাব্বানী নিহত হন।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নূর মোহাম্মদ (৩২) সামান্য আহত হয়েছেন।
সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান জানান, গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাব্বানীকে উদ্ধার করে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও এসআই জানান।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে লাশবাহী গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত
রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন: শনাক্ত ২৪ জনের লাশ বুঝে পেল পরিবার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজিব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত ২৪ জনের লাশ বোঝে পেল তাদের পরিবার। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসব লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।এ সময় যেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
সিআইডি জেলা প্রশাসনকে লাশ হস্তন্তরের পর একজন এডিসি ও ম্যাজিস্টেটসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশগুলো তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ডিএনএ পরীক্ষা করে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এসব লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে থাকা ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পরের দুই দিনে ধরাবাহিকভাবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা লাশ হস্তান্তর করা হবে। এখনও চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা সহায়তা
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লাশ দাফন ও সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান হবে।
স্বজনদের সঙ্গে ডিএনএ পরীক্ষার পর লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ নিশ্চিত করেছেন। আগুনে পোড়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। তবে সবগুলো লাশ প্রায় আগুনে পুড়ে যাওয়ায় কারো চেহারা বোঝা যায়নি। পরে পরিচয় শনাক্তে নিহতদের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গত ৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় গত ১০ জুলাই একটি হত্যা মামলা করেন ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে আগুনে ৫২ জনের প্রাণহানিতে ভারতের শোক
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নায়িকা একা গ্রেপ্তার
গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে ঢালিউড অভিনেত্রী একাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । শনিবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নির্যাতিত গৃহকর্মী হাজেরা (৩০) ওই এলাকায় নায়িকা একার অ্যাপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন।
হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম আজম জানান, শনিবার বিকেলে হেল্পলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে নির্যাতনের ঘটনার কথা জানানো হয়। এরপর পুলিশ আহত হাজেরাকে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হাজেরার মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিমণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
হাজেরার স্বামী জানান, একা শনিবার নতুন বাড়িতে উঠার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য হাজেরাকে তার অ্যাপার্টমেন্টে রাত্রি যাপন করতে বলেন। কিন্তু সে রাজী হয়নি। তখন একা রেগে গিয়ে তাকে পরের দিন থেকে আসতে না বলেন। এই সময় হাজেরা তার পাওনা চায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে একা ভারী বস্তু দিয়ে হাজেরাকে আঘাত করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পরিদর্শক আজম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে: পরীমণি
রূপগঞ্জে কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৩
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হন।
পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্র্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে আগুন
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দমকল বাহিনীর ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ২৫ দোকান
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা (২৮)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আহতদের একজন আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে লাফিয়ে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ে গেছে কয়েকটি ঘর, গোডাউন
কারখানার ভিতরে সাত থেকে আট হাজার শ্রমিক কাজ করায় আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে সেজান জুসের কারখানায় আগুন লেগেছে। তবেআসলে কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে।’
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে পড়ে সবজি ব্যবসায়ী নিহত
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত ভ্যান উল্টে পড়ে আব্দুল আজিজ (৩৫) নামে এক সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে কলাবাগান থানাধীন কাঁঠাল বাগান ঢালে এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক সবজি ব্যাবসায়ী সাইফুল (৩০) ও ভ্যানচালক আলম।
আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরী বিভাগে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নিহত ৫
এই দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এ এস আই) মো. আব্দুল খাঁন বলেন, ঢামেকে চিকিৎসারত অবস্থায় আব্দুল আজিজকে রাত পৌনে একটার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর ব্যাবসায়ী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সামান্য আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আজিজের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ভ্যান চালক জানিয়েছেন, নিহতের গ্রামের বাড়ি যশোর। নিকট আত্মীয় না আসায় তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।ভ্যান চালক আলম জানান, কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য শ্যামবাজারের দুই কাঁচামাল ব্যাবসায়ীকে নিয়ে কাওরানবাজার যাচ্ছিলেন । যাওয়া পথে কাঁঠাল বাগানের ঢালে পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের রাস্তায় দৌড়ে যাওয়ার সময়ে একটি বিড়াল দ্রুতগামী ভ্যানটির নিচে পড়ে যায়। এতে ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। তখন ভ্যানে বসে থাকা দু'জনই ছিটকে পরে যান। পরে পথচারীদের সহযোগিতায় তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকআপের চাপায় পথচারী নিহত
মগবাজার বিস্ফোরণ: মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১
মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোহাম্মদ নুর নবী (৩০) ও মো. রাসেল (২১) নামে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
আরও পড়ুন: মগবাজার বিস্ফোরণ তদন্তে দ্রুত ইতি টানতে নারাজ আইজিপি
নিহত মোহাম্মদ নুর নবী (৩০) পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন।
গত রবিবার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ নুর নবীর শরীরের ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: দুই দিন পর নিরাপত্তারক্ষীর লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদ নুর নবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া দুইটায় আইসিইউতে মো. রাসেল (২১) মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুলিশের মামলা
এদিকে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের দুই দিন পর ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীর লাশ পাওয়া যায়। এদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হারুন-উর-রশিদ (৬৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগের দিন মগবাজারে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: পুলিশের তদন্ত কমিটি
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, উপপরিদর্শক রেজাউল করিম রমনা থানায় এই মামলা করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে আড়ংয়ের পাশে একটি ভবনেশক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহতে এবং ৬৬ জনেরও বেশি আহত হয়।
পরের দিন সোমবার পুলিশ প্রধানের নির্দেশে বিস্ফোরণ তদন্তের জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
মানিকগঞ্জে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে হত্যা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের রত্নাদিয়া গ্রামে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল হোসেন (২০)রত্নাদিয়া গ্রামের মুনছের আলীর ছেলে। কয়েকজন যুবকের হামলায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিলে সেখানে তিনি মঙ্গলবার মধ্যরাতে মারা যান।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তি খুন
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মনির হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পানি আসার পর রত্নাদিয়া খালে গোসল করে রুবেলের প্রতিবেশী কিশোরীরা। সেখানে গোসলের অজুহাতে ওই কিশোরীদের ইভটিজিং করে শিপন ও তার বন্ধুরা। এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেলকে তারা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মনির হোসেন জানান, স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই রুবেল মারা যান।
আরও পড়ুন: ইভটিজিংয়ের অপরাধে মানিকগঞ্জে যুবকের কারাদণ্ড
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরমানিটোলায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪, আহত ৩৫
পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় একটি ভবনে শুক্রবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন নিহত ও অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম সুমাইয়া আক্তার এবং এছাড়া ভবনের একজন নিরাপত্তারক্ষীসহ তিন জনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই ২০ বিঘা জমির পান বরজ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আব্দুল খালেক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাসহ আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ঝুটের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড
তিনি বলেন, ছয়তলা ভবনের নিচতলায় ভোর ৩টা ১৭মিনিটের দিকে আগুন লাগে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
খালেক জানান, প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করার পর দমকল কর্মীরা ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (মিডিয়া) রায়হান জানান, প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর টেক্সটাইল কারখানায় আগুন
তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।’