শিক্ষার্থী
ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন, ভেঙে দিয়েছে হাত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মুকুল আহমেদ। তিনি ইংরেজি বিভাগের দশম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বেদম মারধর করে তার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
ইংরেজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিন এই নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা মুকুলকে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করেন।
মুকুল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে তিনি হলে ফেরার পথে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কারাগারে
এত রাতে ক্যাম্পাসে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তারা মুকুলকে বলেন, দশম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) বড় ভাইয়েরা বঙ্গবন্ধু হলে ডেকেছেন। এই কথা শোনার পর মুকুল হলে ফিরে দশম ব্যাচের মেসেঞ্জার গ্রুপে এই খবর জানান।
সেই বার্তায় মুকুল উল্লেখ করেন, আমাদের ব্যাচের নামে ছোট ভাইদের ডাকা হয়েছে, অথচ আমরা জানি না। আগেও এভাবে ডেকে র্যাগিং করা হয়েছে অনেককে। তখন বিভাগের শিক্ষকদের কাছে আমাদের কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। এখন আবার ডাকা হয়েছে, আমরা জানি না, এটা বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না।
মুকুল আরও বলেন, এই কথা লেখার এক মিনিটের মধ্যে তানজিদ মঞ্জু ফোন করে শেরেবাংলা হলের দিকে যেতে বলেন। রাত ৮টার দিকে মঞ্জু তাকে নিয়ে যায় চতুর্থ তলার ৪০১৮ নম্বর কক্ষে। কক্ষ থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে মেসেঞ্জার গ্রুপে ওই কথা কেন লেখা হয়েছে তা জানতে চান মঞ্জু।
এরপরই মঞ্জু ও তার সহযোগী সিহাব কিলঘুষি, লাথি মারতে শুরু করে। এর একপর্যায়ে জিআই পাইপ ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
তারপর অজ্ঞান হয়ে পড়লে রাত ৩টার দিকে ওই কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে তারা চলে যায়। শুক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুকুল বলেন, ‘আমি কোনো রাজনীতি করি না। আমাকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হলো। এই ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে তানজিদ মঞ্জুকে একাধিকবার কল দেওয়ার পর কাজিন পরিচয়ে এক ব্যক্তি তা রিসিভ করে বলেন, মঞ্জু এলে কল দিতে বলব। তারপর আর কল করেনি। অন্যদিকে সিহাব উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে ‘রং নম্বর’ বলে কেটে দেন। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনিই সিহাব।
শেবাচিম হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক মো. নাহিদ জানান, রোগীর (মুকুল) বাঁ হাতের হাড় ভেঙে যাওয়ায় ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। ২১ দিন পর ব্যান্ডেজ খোলা হবে। এরপরও যদি হাড় জোড়া না লাগে তবে অস্ত্রোপচারের দরকার হবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট আরিফ হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। এই বিষয়ে ববি প্রশাসনের এখতিয়ার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়ায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িতে চাপা পড়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাধবপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রোকনুজ্জামান (১৪) ওই গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে এবং মাধবপুর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ওই গ্রামের আজমাদ আলী গাছের ব্যাপারি রোজদার আলীর কাছে একটি গাছ বিক্রি করেন। রবিবার সকালে গাছটি কেটে আলমসাধু গাড়িতে উঠানোর জন্য রোজদার আলী কয়েকজন গ্রামবাসীকে ডেকে নেয়। গ্রামবাসীর সঙ্গে রোকনুজ্জামানও গাছের গুঁড়ি উঠাতে যায়। গাড়িতে উঠানোর সময় গাছের গুঁড়িটি স্লিপ করে পড়ে যায়। গাছের গুঁড়ির নিচে চাপা পড়ে রোকনুজ্জামান। গ্রামবাসী গুঁড়ির নিচ থেকে রোকনুজ্জামানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানের নর্দায় বাসের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, গাছের গুঁড়িটি গাড়িতে তোলার সময় অসাবধানতায় কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
রোকনুজ্জামানের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশের ময়নাতদন্ত না করে দাফনের জন্য আবেদন করেছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৫
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফানের মৃত্যুর তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ হাইকমিশনের চিঠি পাঠানোর পর তদন্ত করার কথা জানিয়েছে সারাওয়াক প্রদেশের পুলিশ।
মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের কুচিং শহরে অবস্থিত সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা বিভাগের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইরফান সাদিক ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইরফানের পরিবার এর আগে ময়নাতদন্ত এবং তদন্ত না করার লিখিত অনুরোধ করে। এজন্য হাসপাতালের মৃত্যুর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়ার পুলিশ।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুনরায় তদন্তের কথা বলা হলে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ হাইকমিশন মৃত্যুর ঘটনাটি পুনরায় তদন্ত করার জন্য মালয়েশিয়ার সরকারকে লিখিত অনুরোধ জানায়।
এরপর তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় সারাওয়াক রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে হাইকমিশনের জরুরি নোটিশ
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ভিসা নীতি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফি-এর ওপর নির্ভরশীল।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিলেট নগরীতে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সংস্থার ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্বের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীরাও ভিসা নীতির মুখোমুখি হতে পারে: হাস
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পরবর্তী নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে না, কারণ এতে সরকারের ওপর কোনো চাপ নেই।
দীপু মনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের প্রথম দিনে সবার হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলায়মান খান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার পর যারা হলে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুর রব হলে অভিযান চালিয়ে ৮টি ধারালো অস্ত্র ও ১৭টি পাইপ জব্দ করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, আব্দুর রব হল থেকে কিছু লোহার রড, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পড়াশোনা শেষ করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে অবস্থানকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে রবিবারের জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বহিষ্কৃতদেরও একই সময়ের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের পর হলে এ ধরনের কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
ভারী বর্ষণ: ঢাবি ছাত্রাবাসে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
একদিনের বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুটি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে হলে এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
হল দুটি হলো- নিউমার্কেট এলাকার আজিমপুর কবরস্থানের কাছে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল।
এদিকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ওই হলের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
এই দুই হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- শুক্রবার ভোর থেকে হলগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের নিচতলার কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে। এদিকে এ ঘটনায় নিচতলার শিক্ষার্থীদের উপরের তলায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কুয়েত মৈত্রী হলের একটি দোকানে ফ্রিজ বিস্ফোরিত হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্র লাবন্ন তাসফি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়ব কখনো কল্পনাও করিনি। গত ১২ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই, খাওয়ার পানি নেই, শৌচাগারেও পানি নেই।
তিনি আরও বলেন, আজ আবার বৃষ্টি হলে কী অবস্থা হবে জানি না। তবে বৃষ্টি থামার পর থেকে পানির স্তর একই রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা থেকে পানির গাড়ি ভাড়া করে এবং ক্যান্টিনে খাবার রান্না করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত, জহুরুল হক হল প্রাঙ্গণ, সলিমুল্লাহ হল প্রাঙ্গণ ও সীমান্ত সড়ক, শামসুন্নাহার হলের কিছু অংশসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুন নাহার বলেন, আমরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যেহেতু আমাদের নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকছে না তাই আমরা পানীয় জল পাম্প করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে আমাদের কাছে যে পানীয় জল রয়েছে তা শিগগিরই শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা ওয়াসার সঙ্গে কথা বলেছি- তারা আমাদের পানি সরবরাহ করবেন।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ওই এলাকা থেকে পানি সরাতে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের তিনটি দল।
তিনি আরও বলেন, সাময়িকভাবে আমরা ওয়াসা থেকে পানির ব্যবস্থাপনা করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৪ শিক্ষার্থীকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তর থেকে শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া ৪ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের ছাত্র। তবে তাদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল হাসান লিমন বলেন, বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হলের সামনের একটি মেসে (ছাত্রাবাস) অভিযান চালিয়ে তাদেরকে মাদক সেবনের প্রস্তুতির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের সাবেক ৫ নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পরে বৃহস্পতিবার শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওই ৪ জনকে ৩ সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অভিভাবকদের জরুরি তলব এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রবিষয়ক পরিচালক বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা সন্তোষজনক জবাব দিলে শাস্তি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। ৪ জনের মধ্যে তিনজন নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ও একজন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
ঢাবি ও অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ১১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ
ফের চালু হল চবি’র শাটল ট্রেন
অবশেষে চালু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চবি প্রশাসনের বৈঠকের পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শাটল ট্রেন চালু হয়েছে।
শহরের বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ছয় দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর থেকে ট্রেন চালু হয়েছে।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, রেল স্টাফরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও দুপুরে চালু করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনের ধাক্কা লাগলে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের লোকমাস্টারদের (এলএম) লাঞ্ছিত করে। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি ভাঙচুর করে।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হলে আমাদের দুই লোকমাস্টারকে লাঞ্ছিত করা হয়। ফলে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ধাক্কায় নিহত নানী-নাতি
চবির শাটল ট্রেন বন্ধ, দুর্ভোগে হাজারো শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলন্ত শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে রানিং স্টাফরা।
নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ট্রেন না চালানোর কথা জানিয়েছেন তারা।
এর ফলে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর আমাদের ২ লোকমাস্টারকে (এলএম) লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যেহেতু তাদের নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে তাই আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
তিনি বলেন, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। তারা যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে শাটল টেন বন্ধ থাকার কারণে চবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য বটতলী রেলস্টেশন থেকে ৩টি এবং ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে ৫টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে ভিন্ন যানবাহনে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেন।
চবি শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ হবে আমরা কেউ জানি না। সকালে বটতলী রেলস্টেশন এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই রেলওয়ে শ্রমিকরা নাকি ধর্মঘট ডেকেছে।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, শাটল ট্রেন চালু করতে আমরা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে। আশা করি বিষয়টির সমাধান এবং দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এ সময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য উপাচার্যের নির্দেশে কয়েকটি বাস দিয়েছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরীহাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের বেশ কয়েকটি ছোট-বড় গাড়ি।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
নীলক্ষেত অবরোধ করে ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করার দাবিতে এবং প্রতীকী ‘গণ আত্মহত্যা’ কর্মসূচি পালন করে ঢাবি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যের প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রবিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত মিছিল বের করেন।
সাত কলেজ আন্দোলনের সমন্বয়ক তসলিম চৌধুরী বলেন, আমরা গত ১৬ আগস্ট ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ম্যামের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা এই প্রক্রিয়ার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। এ কারণে আমরা আবারও আমাদের দাবি আদায়ে এখানে এসেছি। আমাদের কথা না শোনা পর্যন্ত আমরা বাড়ি ফিরব না।
তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে একে বর্ষ থেকে আরেক বর্সে উত্তীর্ণ হতে ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান। এ ছাড়া সিজিপিএ শিথীল করে তিনটি বিষয়ে মান উন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান।
বিক্ষোভ করতে গিয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে নীলক্ষেত মোড় শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড় হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সড়কসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবরার হত্যা মামলার আসামি ক্লাসে যোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ