শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে: রাষ্ট্রপতি
শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মমুখী শিক্ষা বাড়াতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।
সোমবার জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বঙ্গভবনে তার সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, উদ্ভাবন যেন দেশের জন্য টেকসই হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের অর্থের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
এসময় ভিসি সৌমিত্র শেখর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
যশোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এমবিবিএস ডাক্তার গ্রেপ্তার
যশোরে বিয়ের আশ্বাসে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে শহরের জেল রোড থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ (২৯) শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোডের তৈয়েবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক ও আরোহী নিহত, আটক ১
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে সুদীপ্ত হাসান দ্বীপের পরিচয় হয়। এরই সূত্র ধরে বন্ধুত্ব ও প্রেম। একপর্যায়ে সুদীপ্ত তাকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপর দ্বীপ তাকে বিয়ে না করে পালিয়ে বেড়ানো শুরু করে। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। মামলা তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে আটক ৮ জনসহ ২০০ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বরগুনায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ১০
পদ্মায় গোসলে নেমে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে রাজশাহী নগরীর কাজলার ফুলতলা পদ্মা নদী থেকে মাহিম রহমানের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাহিম রাজশাহী নগরীর কাজল সুইটের মোড় এলাকার মুশফিকুর রহমানের ছেলে। সে রাজশাহীর বিনোদপুর এলাকার কমেলা হক ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: গোসলে নেমে করতোয়া নদীতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার লতিফুর বারি জানান, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মাহিম, সিথিল, আবিরসহ কয়েকজন বন্ধু নগরীর ফুলতলা এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে মাহিম সাঁতার জানতেন না।
তিনি আরও বলেন যে গোসলের এক পর্যায়ে মাহিম পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় তার বন্ধুরা চেষ্টা করেও তাকে পানি থেকে তুলতে পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাহিমের লাশ উদ্ধার করে।
নগরীর মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাহিমের লাশ উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মায় ২ সন্তানসহ গোসলে নেমে মায়ের মৃত্যু, বাবা নিখোঁজ
রাজধানীতে ইডব্লিউইউ শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির (ইডব্লিউইউ) এক শিক্ষার্থীর ওপর রবিবার (২ এপ্রিল) হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আনন্দনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকেরা হলেন- ফরিদপুর জেলার আইয়ুব আলীর ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী (২৩) ও শরীয়তপুর জেলার হাবিবের ছেলে শাহজাহান (২৮)।
উল্লেখ্য, ইমরানের বিরুদ্ধে সাতটি এবং শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
আররও পড়ুন: রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির গ্রেপ্তার
গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার আহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার তয়াছির জাহান বাবুর নেতৃত্বে বাড্ডা থানা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে আনন্দনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি ধারালো অস্ত্র, একটি রক্তমাখা শার্ট ও একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকেরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে প্ল্যাটিনাম জিম থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইম্পেরিয়াল কলেজের সামনে ইডব্লিউইউ'র ছাত্রী অর্পনা আক্তারের ওপর হামলা চালায় দুই ছিনতাইকারী।
পরে তারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করে এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
আররও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
যৌন হয়রানি: ঢাবির ক্রিমিনোলজির শিক্ষার্থী সাময়িক বরখাস্ত
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্ত সাকিন তানভীর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে কেন তাকে বহিষ্কার করা হবে না সাতদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্তের সময়, তিনি বিভাগের জুনিয়র ছাত্রীদের যৌন হয়রানির জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ঢাবি জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আটক
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড, অসদাচরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সাকিব ফেরদৌস। দু’জনই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত 'প্রলয়' গ্যাংয়ের ঢাবির সদস্য।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
গত ২৫ মার্চ কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত জোবায়েরের মা সাদিয়া আফরোজ খান ২৬ মার্চ শাহাবাগ থানায় ২৪ শিক্ষার্থীকে (প্রলয় গ্যাং সদস্য) আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ডাকাতদলের সদস্যরা জোবায়েরকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কয়েকটি বিভাগের ৩০জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
শাস্তির আওতায় একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার, ১৬ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একজনকে একবছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে এবং সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন চন্দ্র সেনকে সিএসই বিভাগে আনিত সকল অপরাধের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও র্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের ১৬ শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কারের পাশাপাশি সকল হলেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামীম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনিক দাশ, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। এদের মধ্যে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিস্কারও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৬ শিক্ষার্থীর কেউ যেকোনো শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত হলে কঠোর শাস্তি প্রদানে মর্মে নোটিশ প্রদান করা হবে।
এদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তাসফিকুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন বিভাগের ১২ শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
শিক্ষার্থীদের চোখে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে আদর্শ স্কুলের চিত্র
বিদ্যালয়ে সহায়ক পরিবেশ এবং সমান সুযোগ ও সহায়তা পেলে জেন্ডার নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু বিকশিত হতে পারে নিজ নিজ সম্ভাবনায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরিতে, জীবনের লক্ষ্য বেছে নিতে এবং সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি প্রতিটি বিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিদ্যালয়।
ঢাকায় আয়োজিত মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে এ কথাই বলেন অংশগ্রহণকারীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তত্ত্বাবধানে সুরভি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্প ও মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে যৌথ আয়োজনে রাজধানীর ঢাকার মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ নামে একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন মাউশির পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী এই মেলায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
মেলায় বিভিন্ন স্টল সাজিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত অতিথিদের সামনে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য তুলে ধরে এবং কিভাবে বিদ্যালয় তাদের এই ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে তা জানায়।
তারা আরও জানায় কীভাবে স্কুল থেকে শিখছে জেন্ডার সমতা সম্পর্কে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে জনাব প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক স্তরে দুইটি শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমরা মেয়ে শিশুসহ সকল শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ উন্নয়ন সহযোগিদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরির নেতৃত্ব দেন সেই স্কুলের প্রধান। তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এটা কোন একক প্রচেষ্টা নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এছাড়া আদর্শ স্কুলে যোগ্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরির সুযোগ পাবে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর লিড-এসআরএইচআর ফেরদৌসি বেগম বলেন, মাউশি’র তত্ত্বাবধানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহায়তায় অল্প সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেন্ডার ইক্যুইটি মুভমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এই কার্যক্রমটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। যাতে করে সমাজে জেন্ডার সমতা এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
মাউশি’র উপ-পরিচালক (বিশেষ) সৈয়দ মইনুল হাসান বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং দেশকে সমৃদ্বির দিকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নাই। আর এজন্য দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
যেখানে মেয়েশিশু সহ সকল শিশু নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে নিজেকে তৈরী করে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
মাউশি’র সহকারি পরিচালক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, সকল স্কুল তখনই আদর্শ স্কুল হিসেবে গড়ে উঠবে যখন তারা জেন্ডার সমতা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে, শিক্ষকরা প্রশিক্ষিত হবেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মজিদ শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
সমাপনী বক্তব্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সেন্ট্রাল এন্ড নর্দার্ন রিজিওন হেড আশিক বিল্লাহ বলেন, বাল্যবিয়ে রোধ করা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপ্তিকরণ ও বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া রোধ করা এবং বিদ্যালয় পরিচালনা প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আজকের এই বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচি আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখবে, পেশাভিত্তিক জেন্ডার পক্ষপাতিত্ব দূর হবে যাতে শিক্ষার্থীরা উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বিদ্যালয়ের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের বেড়ে ওঠায় মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে যাতে শিশুরা জেন্ডার সমতার পরিবেশ নিয়ে বড় হতে পারে।
মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরভির নির্বাহী পরিচালক জনাব মো. আবু তাহের ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ কর্মসূচিটি সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই ধরনের কর্মসূচি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়নে শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মানিকনগর মডেল হাই স্কুল ও ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’- প্রকল্পের যৌথ আয়োজনে মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্টলে তাদের জীবনের লক্ষ্য ও স্বপ্নগুলো উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষকগণ তাদের বিদ্যালয়টি একটি মডেল স্কুল হিসেবে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও সহায়তা করে থাকে তা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সর্বশেষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে দেশাত্ববোধক গান, নৃত্য ও ডিসপ্লে প্রদর্শন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের বুড়াবুড়ি মান্দুলপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এসময় আহত হন তার চাচা ফজলুল হক ও মিমের ছোট ভাই মুস্তাকিম।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সুমাইয়া আকতার মিম (১০) একই এলাকার মনসুর আলীর মেয়ে এবং বুড়াবুড়ি কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে মিম তার চাচা ফজলুল হকের মোটরসাইকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে বুড়াবুড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মিম সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থী মিমের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঘাতক ভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা