একনেক
একনেকে ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাঁচ হাজার ৮২৬ কোটি টাকার মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তিনটি সংশোধিত প্রকল্পসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছি।’ প্রকল্পগুলোর সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় পাঁচ হাজার ৮২৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা (সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয়সহ)।
মোট ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯৬৩ দশমিক ৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হবে সরকারের তহবিল থেকে, এক হাজার ২২০ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তহবিল থেকে এবং বাকি ৬৪১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তিনটি প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অন্য দুটি; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি করে প্রকল্প দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
ব্যয়ের নিরিখে তিনটি বৃহত্তম নতুন প্রকল্প হল- শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরাণগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; যার ব্যয় এক হাজার ৮৪২ কোটি টাকা; এক হাজার ১১৫ কোটি টাকায় শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি); এবং বিআরইবি (ফেজ-১) প্রকল্পে বিদ্যমান ৩৩/১১কেভি কাঠের খুঁটি মাউন্টেড সাবস্টেশনগুলোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণ; যার আনুমানিক ব্যয় ৬৮০ কোটি টাকা।
অন্য পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ২৪১ কোটি টাকায় নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন; ১৯৯ কোটি টাকায় শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ; ৩৪২ কোটি টাকায় মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার।
৬৫ কোটি টাকায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণ (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) প্রকল্প; এবং দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প এবং দিনাজপুরের বাজার এলাকায় রাস্তার জন্য পাকা ফুটপাত ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ৪৬৪ কোটি টাকা।
তিনটি সংশোধিত প্রকল্প হল- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, যার অতিরিক্ত ব্যয় ৫৫৬ কোটি টাকা (দ্বিতীয় সংশোধনে ছয় হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ কোটি টাকা); লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (লজিক) (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ১৩৭ কোটি টাকা (মূল বিন্যাসে ১৬৭ কোটি টাকা থেকে ব্যয় বেড়ে ৩০৪ কোটি টাকা হয়েছে) এবং ১৮৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে একশটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প (প্রথম সংশোধনে দুই হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা থেকে খরচ বেড়ে দুই হাজার ৫২০ কোটি টাকা হয়েছে)।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
দেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অস্থায়ী হিসাব অনুযায়ী দেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার থেকে দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন।
মান্নান বলেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই হাজার ৮২৪ বা দুই লাখ ৪১ হাজার ৪৭০ টাকায় পৌঁছেছে, যা গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ছিল দুই হাজার ৫৯১।’
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে জিডিপি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে: এডিবি
২০২১-২২ সালের চলতি অর্থবছরের ৬-৭ মাসের তথ্য ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জিডিপির এ অস্থায়ী অনুমান করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অনুমান অনুযায়ী ২০২১-২২ বিদায়ী অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার সাত দশমিক ২৫ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ।
দেশের জিডিপি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৫,৩০,২০০ কোটি টাকা) থেকে বেড়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৯,৭৬,৫০০ কোটি টাকা) হয়েছে।
তিনটি প্রধান খাতের মধ্যে কৃষি খাতে দুই দশমিক ২০ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং সেবা খাতে ছয় দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
নারীদের আইটি দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ কোটি টাকার একনেক প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় চার হাজার ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যুক্ত ছিলেন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলির মধ্যে, নারীদের স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে উদ্যোক্তা হিসাবে টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে একটি নতুন প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
আইসিটি বিভাগ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি বিভাগের অধীনে ৪৪ টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, সভায় ছয়টি নতুন প্রকল্প এবং পাঁচটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ১১ প্রকল্পের সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয় চার হাজার ৫৪১ কোটি ৮১ লাখ টাকা (শুধুমাত্র সংশোধিত প্রকল্পগুলোর অতিরিক্ত ব্যয়)।
এর মধ্যে চারটি প্রকল্প এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তিনটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে, দুটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে, একটি আইসিটি বিভাগ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে।
সরকারের অর্থায়নে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
১২ হাজার ১৭ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক
গাজীপুর ও কুমিল্লা শহরের পাশাপাশি কক্সবাজার পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিন হাজার ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পসহ ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যোগ দেন। নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে ১২ হাজার ১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার সামগ্রিক আনুমানিক ব্যয়সহ মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র সংশোধিত প্রকল্পগুলোর অতিরিক্ত ব্যয়)।
আরও পড়ুন: একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
তিনি জানান, ব্যয়ের মধ্যে সাত হাজার ৯৯০ কোটি ১৪ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে এবং ৫৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি তিন হাজার ৪৩২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসাবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান,এর মধ্যে ১০টি নতুন প্রকল্প এবং বাকি দুটি সংশোধিত প্রকল্প।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্ন্যান্স (ইউডিসিজি)’ প্রকল্পটি গাজীপুর ও কুমিল্লা শহর এবং কক্সবাজার পৌরসভায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: একনেক সভায় অনুমোদন পেলো দক্ষিণ সিটির ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপন প্রকল্প
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তিন হাজার ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) প্রকল্পে ঋণ হিসেবে দুই হাজার ২১৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা দিবে। বাকি এক হাজার ১৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে আসবে।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সেতু নির্মাণ, দুটি ওভারপাস, একটি ফ্লাইওভার, ৩২টি বক্স কালভার্ট, ৪৩টি পাইপ কালভার্ট, পাঁচ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, ৩৭.৬ কিলোমিটার পানির ড্রেন, সাতটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট (ল্যান্ডফিলিং স্টেশন সহ), নয়টি গভীর নলকূপ এবং জল সরবরাহ ব্যবস্থা, দুই দশমিক ২০ কিমি ওয়াকওয়ে, পাঁচ হাজার বর্গ কি.মি খেলার মাঠ এবং তিনটি বাস টার্মিনালের পাশাপাশি ১৩০ কি.মি রাস্তার আলো স্থাপন।
শ্রীলঙ্কার ছাঁচে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করবেন না: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার ছাঁচে ফেলে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করা ভুল। বাংলাদেশ কোনো অবস্থাতেই অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে না।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
একনেক চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে মোট ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মান্নান বলেন, একনেকে এক হাজার ২০১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ৭,৯৯০.১৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৩,০০০.৩৯ কোটি টাকা এবং নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন ৫৯৪.৪৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো ক্ষমতাসীন জোট
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করবেন না। কিছু লোক এটা করার চেষ্টা করছে। এটা ঠিক নয়।’
শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশেও অনুৎপাদনশীল প্রকল্প নেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অপ্রয়োজনীয় কাজ করি না। দেশের মানুষের জন্য যা ভালো তা করি। শ্রীলঙ্কা আর আমাদের প্রেক্ষাপট এক নয়। শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।’
‘আমরা গবেষণা করছি, দেখছি এবং শুনছি। আমি আবারও বলছি, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আর বাংলাদেশের অর্থনীতি এক নয়,’ যোগ করেন মান্নান।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় নতুন ৪ মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ
গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও গ্যাস থেকে ধীরে ধীরে ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ভর্তুকি একটি গুরুতর বিষয়। আমাদের অবশ্যই এই সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আলোচনাকালে ভর্তুকি নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন একটি বিশাল ভর্তুকি দেয়া হয়। আমাদের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভর্তুকি শুধু একটা জিনিস নয়... কিছু লোক এটি (ভর্তুকি) পাচ্ছেন এবং কেউ কেউ এর জন্য অর্থ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুন: অমর একুশের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভর্তুকি ব্যবস্থা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বৈঠকে কৃষি ভর্তুকি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, কৃষি ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। কারণ এটি উত্পাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুত এবং গ্যাস ভর্তুকি সম্পর্কে কথা বলেছেন। কারণ এগুলো কেবল দরিদ্ররা নয়, শিল্পও ব্যবহার করে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এয়ার কন্ডিশনার চালান, যা ব্যয়বহুল।
তিনি আরও বলেন, আন্তরিকতার অভাবে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।
বিদ্যুতের বিলাসবহুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমানোর কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, নিম্ন আয়, কৃষক এবং দরিদ্রদের মতো সঠিক জায়গায় ভর্তুকি দেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রথম সংশোধনীতে এর ব্যয় ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেড়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন করেছে।
একনেক সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে যার সামগ্রিক প্রাক্কলন ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা (শুধুমাত্র চারটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সাতটি নতুন ও চারটি সংশোধিত— মোট এগারটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং মোট আনুমানিক ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ব্যয়ের মধ্যে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে, আর ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে এবং বাকি এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসাবে বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, ৪র্থ এইচপিএনএসপি -এর খরচ মূল লেআউট থেকে ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প, যা মাদারীপুরের শিবচরে বাস্তবায়িত হবে।
আইসিটি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম সীমান্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধান প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, আইওটি, বিগ ডেটা বা ডেটা সায়েন্স, ফরেনসিক বা সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেইন এবং চিপ ডিজাইন, সাত হাজার ৭৪২-বর্গ মিটার নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশাসনিক ভবন, ৪৩ হাজার ২৮৭-বর্গ মিটার গবেষণা উন্নয়ন ভবন এবং এছাড়াও বিজনেস সেন্টার এবং ৯ হাজার ৭৬০-বর্গ মিটার ডরমিটরি এবং আট হাজার ৮০০-বর্গ মিটার গ্যালারিসহ ফুটবল মাঠ।
অন্য ছয়টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে -মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট)-এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প, বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প, ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন প্রকল্প; ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল বা ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প।
সভায় অনুমোদিত অন্য তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা।
ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম,পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২০২০-২১ অর্থবছরে ৬.৯৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬.৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
দেশটির জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার বেড়েছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
এসময় একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে বৈঠকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অন্যান্য মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ছয় দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা অস্থায়ী অনুমানের পাঁচ দশমিক ৪৩ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, জিডিপির আকার শেষ পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছিল ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্থায়ী অনুমানের চেয়েও বেশি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত অনুমানে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার যা অস্থায়ী অনুমানে ছিল দুই হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
২০১৯-২০ অর্থবছরে, জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৩.৪৫ শতাংশ, যেখানে জিডিপির আকার ছিল ৩৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩.১৭ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০.২৯ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৫.৭৩ শতাংশ, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে ৩.৪২ শতাংশ, ৩.৬১ শতাংশ এবং ৩.৯৩ শতাংশ।
বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় ১৮০৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জে বন্যা ও নদীভাঙনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এক হাজার ৮০৩ কোটি টাকার একটিসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ার শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সভায় যোগ দেন এবং মন্ত্রী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যোগ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আজকের সভায় পাঁচটি সংশোধিতসহ মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় চার হাজার ৬২১ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৫৫ দশমিক ২১ কোটি টাকা ও বাকি এক হাজার ৫৬৬ দশমিক ১৩ কোটি টাকা আসবে বিদেশি উৎস থেকে।’
আরও পড়ুন: চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
এক হাজার ৮০৩ দশমিক ০৬ কোটি টাকার বন্যা ও নদীভাঙন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিনিয়োগ কর্মসূচি (প্রকল্প-২) সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প তথ্যপত্র অনুযায়ী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ হিসেবে এক হাজার ৩২৯ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ১৫১ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা আসবে। এছাড়া বাকি অর্থ আসবে সরকারি তহবিল থেকে।
পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বেড়া, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দৌলতপুর, হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে যমুনা ও পদ্মা নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষজনের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন; কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বন্যা ও নদী তীর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন; প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নদীভাঙন হ্রাস করা।
প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩০ কিলোমিটার নদী তীর সুরক্ষা, সাত দশমিক ৯ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ৪০ কিলোমিটার অভিযোজন কাজ, ছয় কিলোমিটার জরুরি কাজ ও তিন কিলোমিটার বাঁধ ব্যবস্থাপনা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অর্থনীতি গড়তে একনেকে ২৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
সিলেটের চার লেন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
চসিকের উন্নয়নে একনেকে ২৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) যানজট নিরসন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া এ সভায় আরও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে যোগ দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আজকের সভায় সাতটি সংশোধিতসহ ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১১ হাজার ২১১ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: সিলেটের চার লেন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
এত প্রকল্প সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু বাস্তবিক সমস্যা রয়েছে যা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে বিলম্ব করছে।
সমস্যার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রকল্প সংশোধনের পেছনের কোভিড-১৯ মহামারি, প্রকল্প সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি, জমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও বিদেশি তহবিল ছাড়ে বিলম্ব, এসব কারণ রয়েছে।