বিজিবি
কক্সবাজারে এক কেজির বেশি ক্রিস্টাল মেথ জব্দ
কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে এক কেজি এক গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ ও ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। শনিবার ভোরে টেকনাফ উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে এই ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ, আটক ১
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল মিয়ানমার থেকে নাফ নদীতে নৌকাযোগে দুই পাচারকারীকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে তারা বিপদ টের পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
পরে নৌকা থেকে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ইয়াবা ও এক কেজি এক গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা।
নিজ অস্ত্র বুকে ঠেকিয়ে বিজিবি সদস্যের আত্মহত্যা
নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে দায়িত্বরত এক বিজিবি সদস্য নিজের কাছে থাকার রাইফেল বুকে ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্ত এলাকার সুন্দরইল বিজিবি ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তানভীর (২৬) নড়াইল জেলার শেখ আরজুনুর এর ছেলে ওই ক্যাম্পে সিপাহী পদে ছিলেন।
নওগাঁর সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছি।
আরও পড়ুন: বুকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশ সদস্যের!
সাপাহার থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার জানান, তানভীর নামের ওই বিজিবি সদস্য তার কাছে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করে নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে সাপাহার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সুরতহার রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য বিজিবির তত্ত্বাবধানে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কীটনাশক খেয়ে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা!
নওগাঁ ১৬ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান জানান, পারিবারিকভাবে কোন ক্ষোভ থেকে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে মেজর সাকিল আহমেদের যোগদান
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে যোগদান করেছেন মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
বুধবার (২ মার্চ) বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিকালে ঢাকায় বিজিবির পিলখানা সদর দপ্তরে বিজিবির বিদায়ী মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলামের কাছ থেকে মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বিজিবির নতুন প্রধান মেজর জেনারেল সাকিল
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এ যোগদানের পূর্বে তিনি সেনা সদর দপ্তর-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ২৪ জুন ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ১৮তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সাথে পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি কমান্ড, স্টাফ এবং প্রশিক্ষক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশন, কমান্ডার ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং অধিনায়ক ১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের পরিচালক, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, একটি পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার গ্রেড-১ এবং একটি পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ইমিগ্রেশন এন্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন তিনি।
মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ওয়ার স্টাডিজে স্নাতকোত্তর, স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অসংখ্য পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স, সেমিনার এবং সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
‘অদৃশ্য শক্তি’র সাহায্যে বাংলাদেশকে পরাধীন দেশে পরিণত করেছে আ’লীগ: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশকে ‘অন্যের ওপর নির্ভরশীল’ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ সরকার একটি বড় ‘অদৃশ্য শক্তি’ নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এটা প্রকাশ পেয়েছে যে একটি বড় অদৃশ্য শক্তি সবসময় বাংলাদেশকে দুর্বল করে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কৌশলে পরাস্ত করার চেষ্টা করছে।’
শুক্রবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপির আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এখন আমাদের যে সরকার আছে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য ওই অদৃশ্য শক্তির সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্র,নিরাপত্তা,নির্বাচন ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তের একটি সংক্ষিপ্ত ও আংশিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে তদন্তের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়নি। এর পেছনের কারণ কী এবং কার স্বার্থ ছিল? আমরা ১৩ বছর ধরে এটি জানতে পারিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েক’শ সদস্য। তাদের হাতে পিলখানা সদরদপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনাকর্মর্তাসহ ৭৪ জন।পরে সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের আলোচনা শেষে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড জমাদানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি হয়।
ঘটনার জেরে আধা সামরিক বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।
আরও পড়ুন: টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি বাস্তবতা প্রকাশ করে: বিএনপি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
পিলখানার শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
রাজধানীর পিলখানা বিডিআর (বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৩তম বার্ষিকী শুক্রবার পালিত হচ্ছে।
২০০৯ সালের এই দিনে গণহত্যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোরআন তেলওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, তিন বাহিনীর প্রধান-সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং বিজিবির মহাপরিচালক মো. মেজর জেনারেল মো. শাফিনুল ইসলামও নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যও আত্মীয়রা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সকল স্থাপনায় বিজিবির পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং সকল বিজিবি সদস্য কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ ও পিলখানার বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
আরও পড়ুন: বিজিবির নতুন প্রধান মেজর জেনারেল সাকিল
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সপ্তাহ চলাকালে ২৫ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। তাদের হাতে পিলখানা সদরদপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনাকর্মর্তাসহ ৭৪ জন।
পরে সরকারের সাথে বিদ্রোহীদের আলোচনা শেষে পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র, গুলি ও গ্রেনেড জমাদানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি হয়।
ঘটনার জেরে আধা সামরিক বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।
হত্যা, লুটপাট ও বিদ্রোহের এ ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে হত্যার এক মামলায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৭ জনকে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জনকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর করে কারাদণ্ড এবং বিএনপির প্রয়াত নেতা নাসিরুদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীনহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে বিদ্রোহের জন্য দায়ের করা ৫৭ মামলায় বিডিআরের মোট পাঁচ হাজার ৯২৬ জন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে (চার মাস থেকে সাত বছর) কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। রায় প্রদানকারী তিন বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার এ রায়টি প্রকাশ করা হয়।
রায়ের দৈর্ঘ্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যার দিক থেকে এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ রায়।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
সাংবাদিক কাজলের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ
ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: ফটো সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আদালতের অভিযোগ গঠন
এর আগে, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সাংবাদিক কাজল ২০২০ সালের ১০ মার্চ নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ওই বছরের ৩ মে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাকে বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আটক করে। একই দিনে তাকে যশোরের একটি আদালত ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এরই মধ্যে কাজলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওসমান আরা বেলী এবং সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২০ সালের ৯, ১০ ও ১১ মার্চ ৩টি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলো করা হয় যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়।
পরে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হন কাজল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত
গত বছরের ৮ নভেম্বর ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এই চার্জ গঠন করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৪ মার্চ ও ৪ এপ্রিল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা তিনটির অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৫৩ কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর থেকে ৫২ কেজি ৮৭০ গ্রাম ওজনের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার করেছে বিজিবি। সোমবার রাতে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিজস্ব গোয়েন্দা ও সিভিল সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবর ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী এর নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি বিশেষ টহল দল ঠাকুরগাঁও নিশ্চিন্তপুর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করেছে। যার সিজার মূল্য আনুমানিক ৫২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
৫০ বিজিবর অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা মূর্তি ফেলে পালিয়ে গেছে। তাই কাউকে আটক বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় কোটি টাকা মূল্যের কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
বিজিবির নতুন প্রধান মেজর জেনারেল সাকিল
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, বিজিবির বর্তমান ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসে ২১১ কোটি টাকার মাদক ও চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি
বিজিবির অভিযানে ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকার মাদক জব্দ
চেইন অব কমান্ড মেনে চলুন, বিজিবি সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী
প্রেমের টানে সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী
প্রেমের টানে কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন খুসনামা (১৭) নামের ভারতীয় এক তরুণী। তার বাড়ি ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার হরিয়ানি গ্রামে। সে ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের মহানন্দা নদী পেরিয়ে ইদগাহ বস্তি এলাকায় প্রবেশ করে সে। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ দুপুরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভারতীয় ওই তরুণী জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতনদিঘী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল লতিফ রকিব (২১) এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভারতের কেরালা প্রদেশের এক হোটেলে তার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করত রকিব। তখনি তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা বিয়ে করে।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় ভালোবাসা দিবসে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা’
তবে পুলিশের কাছে সে কোন প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি।
বিষয়টি পুলিশ, বিজিবি ও বিএসএফ এবং দু দেশের আইনী জটিলতা নিরসনের পর সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ওই তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে পুলিশের ধারণা। অবশ্য তরুণী আটকের খবর পেয়ে তার প্রেমিক আব্দুল লতিফও থানায় আসে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া ভারতীয় এক তরুণীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা। তাই আমরা মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম ফজলে রাব্বি জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএসএফ সিদ্ধান্ত না জানালে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
উখিয়ায় ৬ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ
কক্সবাজারের উখিয়া থেকে দুই লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার রাজাপালং ইউপির জলিলের গোদা আমবাগান থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়। বুধবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এসব ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আটক ৩, দুই লাখ ২১ হাজার ইয়াবা জব্দ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবি'র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপির একটি টহলদল মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউপির জলিলের গোদা আমবাগানে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে ইয়াবা বহনকারীরা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশেরসময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তারা টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে বিজিবি টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে। পরে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, নারীসহ আটক ২
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারিরা তাদের সাথে থাকা ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ী জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া ব্যাগ তল্লাশি করে দুই লাখ পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করে।