বিএনপি
ইসি গঠন নিয়ে সংলাপ ‘অর্থহীন’: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে ‘অর্থহীন’ বলেছেন। কারণ তিনি মনে করেন, এটি জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে না।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সংলাপের জন্য ডাক দিয়েছেন। এই সংলাপ অর্থহীন। এই সংলাপ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না।
এ সময় সরকারের পদত্যাগসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সরকারের। নির্বাচনকালীন সরকারটা কে থাকবে? সেটা কি নিরপেক্ষ সরকার থাকবে, না হাসিনার সরকার থাকবে। যদি হাসিনার সরকার থাকে তাহলে ভোটও নিরপেক্ষ হবে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
তিনি বলেন, এ ধরনের সংলাপ আগেও হয়েছিল এবং সরকার ২০১৪ সালে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, যখন ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের ভোটের আগের রাতে ভোট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
বিএনপি নেতা বলেন, অবৈধ সরকার জনগণ দেখে ভয় পায়। সরকারি বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম করে দিয়েছে। তাদের আজও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জনগণবিহীন এই সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখনও তিনি হাসপাতালের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সারা দেশের মানুষের দাবি বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর। কিন্তু এসব দাবি সরকারের কানে যায় না। যদি খালেদা জিয়ার কোন কিছু ঘটে তবে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার দেশের সকল সুন্দর জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্র বিচার বিভাগসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা অপহরণ এই সমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ দেশের বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার ১০ টাকা কেজি করে চাল দেয়ার কথা বলে ক্ষমতায় এসেছে। এখন দেশে চালের দাম ৭০ টাকা । ঘরে ঘরে চাকুরির কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন চাকুরির জন্য লাখ লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর। তাকে বিদেশে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছেন না। সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবীর জিন্নাহ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে মতামত দিয়েছেন। সেটা নিয়ে এখন আইনগত আরও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তাকে বিদেশে পাঠাতে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তাদের পর্যালোচনা শেষ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন: ৩৯০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী
রবিবার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মোট ৩৯৬ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ৩৯০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ৮৩৮টি ইউপিতে নির্বাচন হলেও সোমবার পর্যন্ত ৭৯৬টির ফলাফল পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ৩৯৬টিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, যার মধ্যে অন্তত ৪৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ৫৮ জেলার ১১৮টি উপজেলায় মোট ৩৯০ জন স্বতন্ত্র্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে এর মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: সোনাগাজীতে মা ও শিশুসহ গুলিবিদ্ধ ১১, আটক ৭২
ইসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অন্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির ছয়জন, ইসলামী আন্দোলনের দুজন এবং জাকের পার্টির একজন রয়েছে।
দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাদের ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করা থেকে বিরত রয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করতে পারেন।
গত ১০ নভেম্বর দেশব্যাপী চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩
নিজেদের অপকর্মের ভারে আ ’লীগ সরকার এখন পতনের পথে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার বলেছেন, নিজেদের অপকর্মের ভারে আওয়ামী লীগ সরকার এখন পতনের পথে।
বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) 'হিউম্যান রাইটস ইস্যুস অ্যান্ড দ্য ইমেজ অব বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন,বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এতদিন ক্ষমতায় থাকার পর, এই সরকার এখন তার নিজের অপকর্মের ভারে পতনের দ্বারপ্রান্তে। তারা আন্তর্জাতিকভাবেও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। এখন আমাদের জনগণের সঙ্গে একযোগে এটিকে এগিয়ে নেয়ার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
এসময় গণআন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপকে কেন্দ্র করে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, আপনারা নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সংঘর্ষ দেখেছেন, যার ফলে প্রাণহানি হয়েছে।
তিনি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার অভিযোগ করে বলেন,এটা স্পষ্ট যে এই সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা ফিরে আসবে না।
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে ক্ষমতার পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ছিল একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। কিন্তু এখন গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে। এই শাসন ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে যেমনটা তারা অতীতেও করে এসেছে।
মোশাররফ বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে মানবাধিকার অনুপস্থিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং র্যাবের সাত বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য রাষ্ট্রের একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা খুবই লজ্জার বিষয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতা বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে মানবাধিকারহীন দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিএনপির চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে বিএনপিই দায়ী থাকবে।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হওয়ার কথা। কিন্তু বেগম খালেদা অনেকটা মুক্তভাবে থাকছেন। বিএনপির চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কোনো অবনতি ঘটলে দায় তাদেরই নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা জানান।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবার দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আমরা দেখছি বেশিরভাগ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এরপরের অবস্থানের আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা। এরপরে আছেন বিএনপি। তারা দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্রভাবে তাদের প্রার্থী ছিল। তাদের হাতে গোনা কয়েক জন জয় পেয়েছে।
ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ প্রহসন ছাড়া কিছুই না: বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে চলমান সংলাপকে বিএনপি প্রহসন বলে অভিহিত করেছে। কারণ তারা মনে করে এটি দেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে না।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই সংলাপ মোটেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে নয়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘একজন পাগলও বিশ্বাস করে না, যে সরকার- তার প্রতিপক্ষকে নির্বাচনে যেতে দেয় না এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয় না- সেই সরকার একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু তারা প্রহসনের জন্য সংলাপ করছে। এই সংলাপ প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়,এটা জাতির সঙ্গেও তামাশা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সরকার সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি পুনর্গঠন করছে, দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এমনটা দেখানোর জন্য সরকার এই সংলাপের আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রিজভী বলেন, আলোচনার উদ্দেশ্য হলো আওয়ামী লীগপন্থী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যা নুরুল হুদা ও রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সরকারের মতো সরকারের অধীনে থাকবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনসান আলম আক্কাসের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী রিজভীকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথম আলোচনার মাধ্যমে নতুন ইসি গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন।
বিএনপির নেতারা ইসি নিয়ে সংলাপের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করলেও গত ২২ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের দল এখনো সংলাপে যোগদান বা বয়কটের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
আরও পড়ুন: উস্কানি মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
তিনি বলেন, বঙ্গভবন থেকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণপত্র পেলেই দলের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
আলোচনার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন তাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের উদ্দেশে ফখরুল
সংবিধান কোন এক ব্যক্তি বা কোন দলকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নয় মন্তব্য করে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, সংবিধান আপনাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে রাষ্ট্রের জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের যারা আছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যারা আছেন তারা কখনও সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না। সংবিধান আপনাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে রাষ্ট্রের জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার। কোন একটা ব্যক্তি বা কোন দলকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নয়।’
শুক্রবার বিকালে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গাজীপুর মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বা কোন ব্যক্তি এদেশের প্রভু নয়, মালিক নয়। এই দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। এই দেশের মালিক আপনারা। আপনাদের ট্যাক্সের টাকায় প্রশাসনের সবাই চলে।
খালেদার মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। জনগণ তার সুচিকিৎসা চায়। তিনি এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করেছেন, পথে-ঘাটে প্রান্তরে প্রান্তরে। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। এখনও তিনি সংগ্রাম করছেন। এখনও এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের রোষানল থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য বন্দী হয়ে আছেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
বিএনপি নেতা বলেন, সবাই দোয়া করবেন খালেদা জিয়া যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মধ্যে ফিরে আসতে পারেন। আমরা যেন তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারি, মুক্তির ব্যবস্থা করতে পারি এই হোক আমাদের আজকের শপথ।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার লক্ষ্য এখনো বাস্তবায়িত হয়নি: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, একটা উত্তাল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই দানবীয় সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি, এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।’
গাজীপুর জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক এ কে এম মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ইশরাক হোসেন, হাসান উদ্দিন সরকার, হুমায়ুন কবির খানসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে সকাল থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিএনপির গাজীপুরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা জড়ো হন সমাবেশে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য `অপ্রত্যাশিত’: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করার জন্য সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি করছে, তাদের এটি পরিহার করার অনুরোধ জানাই।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সারাদেশে যেখানেই সমাবেশ করে সেখানেই নিজেরা মারামারি করে। হবিগঞ্জের আগে সিলেটে তাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে ডাকা সমাবেশে চেয়ার বসা নিয়ে তারা যেভাবে মারামারি করেছে, সেই ভয়ে আশপাশে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ তাদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে জনগণ আতঙ্কিত। একই ঘটনা হবিগঞ্জেও। সেখানেও তাদের বিশৃঙ্খলা ও মারামারি ঠেকাতে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল, এছাড়া অন্য কিছু নয়।'
আরও পড়ুন: বিরোধিতা করলেও বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব তো নিজেদের মারামারির বিষয় নিয়ে কোনো কিছুই বলছেন না' উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন,‘বিএনপির সভায় বিভিন্ন সময়ে যে হট্টগোল হয় তা ঠেকানোর জন্য মির্জা ফখরুল সাহেবকে চিৎকার করতে হয়। একটি বড় রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের সামনে যেভাবে বিশৃঙ্খলা হয়, সেটা তাদের জন্য লজ্জাকর। আমি মির্জা সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারের ওপর দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করুন।'
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসময় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এর তদন্ত করবে এবং যদি এই ঘটনায় কেউ দোষী হয় অব্যশই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: আয়নায় নিজের দিকে তাকান: ফখরুলকে তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি নেতা বরকতুল্লাহ বুলু করোনায় আক্রান্ত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেন এবং তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমি কাশি ও হাঁচিতে ভুগছি। এখন বাসায় আইসোলেশনে থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছি।
তিনি তার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বুলু জানান, নোয়াখালীতে তাদের দলের সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের কারণে তিনি এখন সেখানে যেতে পারছেন না। অনুষ্ঠান সফল করতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ফোনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি।
আরও পড়ুন: সমাবেশে হামলা: হবিগঞ্জের এসপি ও দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
সমাবেশে হামলা: হবিগঞ্জের এসপি ও দুই ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির
দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা এবং ‘অবৈধভাবে’ নেতাকর্মীদের ওপর ‘এক হাজার ২০০ বুলেট’ ছোড়ার অভিযোগে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এবং দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান। এসময় তিনি বুধবার হবিগঞ্জের জনসভায় পুলিশের তৎপরতার প্রতিবাদে শুক্রবার ও শনিবার সিলেট বিভাগে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জের এসপি এসএম মুরাদ আলী এবং দুই ওসি মাসুক আলী ও নাজমুল আহসানের নির্দেশে পুলিশ সমাবেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং বিনা উসকানিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছোড়ে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
হামলায় তাদের দল ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।
এর মধ্যে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং একজন নেতার চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, পুলিশের হামলা ও গুলি চালানো সম্পূর্ণ অযাচিত। হামলায় প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বেআইনি। সারা বিশ্বে শটগানের বুলেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তার পরেও এমন গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এসপি মুরাদ আলাই, ওসি নাজমুল আহসান ও মাসুক আলীর অপসারণের দাবি জানিয়েছি।
নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তিনজনকে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনৈতিক অবস্থানকে চরমভাবে চাপে রাখছে। আমাদের সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে কোথাও শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে না। কিন্তু তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে একই দিনে ছয় জেলায় আরও ছয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ বিএনপির কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে তাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ ধরনের দমন-পীড়ন, হত্যা ও গুম করে সরকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কখনই দমন করতে পারবে না ।
প্রতিবাদ কর্মসূচি
ফখরুল বলেন, হবিগঞ্জে তাদের সমাবেশে ‘বর্বরোচিত’ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার সিলেট বিভাগের সব উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করবে।
এছাড়া শনিবার বিভাগের অধীন সব জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ