ছুরিকাঘাত
বগুড়ায় ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতলের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা হয়।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের সামনে রংপুর -ঢাকা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত ফাহিম রহমান (২৮) শজিমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন ২৫তম ব্যাচের চিকিৎসক এবং ঢাকার সবুজবাগের নুর মোহাম্মাদের ছেলে। তিনি বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পরে ঘটনাস্থলে এসে বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত কয়েক মাসে আরও দুই থেকে তিনবার শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দ্বারা উত্যক্ত হয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলেও বিচার পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাসের আশপাশের সড়ক,ডরমেটরি,বাসকেট বল খেলার গ্রাউন্ড ও খেলার মাঠ সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। সেখানে বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারসহ নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন।
এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শজিমেক হাসপাতালের আশপাশে খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান।
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে জানান, শজিমেক হাসপাতালের আশেপাশের সড়কে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ ও অন্ধকার স্থানগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরণের ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ দালালদের দৌরত্ব বন্ধের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্বতা জানান বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। এই ক্যাম্পাস চিকিৎসক,শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য । এই ক্যাম্পাসে বহিরাগত থাকবে না। ইতোমধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরও একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিক দল কাজ করছে।
বগুড়া শজিমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.রেজাউল আলম জুয়েল শিক্ষার্থীদের বলেন, আহতের জীবন এখনও শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটে ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় এক ভ্রাম্যমাণ ঝাল-মুড়িওয়ালা দোকানী বাবা ও ছেলে বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় ঝাল-মুড়িওয়ালা ফরিদ ব্যাপারীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে তার ছেলে শাকিল হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: চবির মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ফটকে তালা লাগিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে ববি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জকিগঞ্জে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই খুন!
সিলেটের জকিগঞ্জে আপন চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনসুর আহমদ (১৪) সুলতানপুর ইউপির মাজবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মৃত তেরা মিয়ার ছেলে আশিকুর রহমানের সঙ্গে মনসুরের বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে রবিবার সন্ধ্যার পরে মাজবন্দ মসজিদের পাশে আশিক ও মনসুরের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে আশিক উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মনসুরকে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় ‘ডাকাতি’, বৃদ্ধ খুন
এসময় মনসুরের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য শামিম আহমদ স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত আশিককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
ইউপি সদস্য শামিম আহমদ জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তিনি অভিযুক্ত আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে আসামি নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সহকারি অফিসার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, মনসুরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরির বেশ কয়েকটি আঘাত রয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বাড়ির পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ওইসন্ধ্যার পর মনসুরকে চাচাতো ভাই আশিকুর রহমান ছুরিকাঘাত করে। এতে মনসুরের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আশিকুরকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ময়মনসিংহে চাচার হাতে ভাতিজা খুনের অভিযোগ
কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
কক্সবাজার শহরের চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ ইউসূফ(২২) নামের এক যু্বক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় একই এলাকার সোহেল (২৫) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের চন্দ্রিমা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউসূফ ওই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি পেশায় সৈকতের ফটোগ্রাফার ছিলেন।
অভিযুক্ত সোহেল একই এলাকার বাবুলের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফেসবুক পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে যুবক খুন
নিহত ইউসুফের ভাই সৈয়দ আহমদ জানান, কিছুদিন আগে একটি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার ভাই ইউসুফের সঙ্গে একই এলাকার সোহেলের তর্কবিতর্ক হয়। ওই ঘটনার জের ধরে রবিবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয় এবং দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ছেলের হাতে বাবা খুন
বগুড়ায় ‘বিলিয়ার্ড’ খেলতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
বগুড়া জেলা শহরের নামাজগড় মোড়ে বিলিয়ার্ড খেলার জের ধরে শুক্রবার রাতে ছুরিকাঘাতে ২১ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত হাবিবুর রহমান বিপুল ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) শরাফত ইসলাম জানান, ওই এলাকায় অবস্থিত ‘ব্রেক অ্যান্ড রান’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিপুলসহ ছয় থেকে সাত জন বিলিয়ার্ড খেলছিল।।
একপর্যায়ে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিপুলের অন্য খেলার সাথীদের সঙ্গে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
পরে তাদের দলে থাকা শাকিল বিপুলকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বলে এসপি জানান।
তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরাফত বলেন, ‘পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
নারায়ণগঞ্জের বন্দর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় ছুরিকাঘাতে অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ দুইজন আহত হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৯ নভেম্বের) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডে উপজেলার সোনাচোরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপপরিদর্শক হাবিব ও কনস্টেবল শরীফ হোসেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম। এ সময় সোনাচোরা পুদলীপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট হুমায়ূনসহ তার সহযোগী কবির, কালু, মনসুর বাবুকে মাদকসহ আটক করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন ও তার সহযোগীরা এস আই হাবিব এবং সিপাহী শরীফকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযানের সময় স্থানীয়রা দুই মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের কারো নাম জানা যায়নি।
ছুরিকাঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সাদিক বলেন, আহত দুইজনের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ঢাকা মেডিকেলে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, বুধবার সোনাচোরা এলাকায় অভিযান চালানোর সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই সিপাহীকে ছুরিকাঘাত করে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহতদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে ফোন করে আমাকে একজন জানিয়েছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেন নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মো. মামুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক কিশোর নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের উত্তর গোদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রবিউল ইসলাম রবিন (১৭) ওই এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে। সে স্থানয়ি একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বগুড়া সদর থানার উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুজন মিঞা জানান, গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রবিউলের উরুতে চাকু মারে দুর্বৃত্তরা। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রবিনের মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল যুবকের
পাবনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কাশিনাথপুর রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে সামনে এ ঘটনা ঘটে ।
নিহত হাসিব হোসেন (২৩) সদর উপজেলার ছোট মনোহরপুর গ্রামের এজাহার প্রামাণিকের ছেলে।
হাসিবের বন্ধু শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় হাসিব, সাজ্জুল, আমিসহ চারজন কাশিনাথপুর রেললাইনের পাশে স্বাধীন সরদারের চায়ের দোকানে ক্যারাম খেলছিলাম। এ সময় ক্যারাম খেলা নিয়ে প্রথমে তর্ক-বির্তক হয়। দোকানদার স্বাধীন আমাকে গালিগালাজ করে। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে।এ সময় আমার বন্ধু হাসিব প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাধীন ও তার চাচা রাজা সরদার তাকে লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। এরই একপর্যায়ে স্বাধীন তার দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে এসে হাসিবের পিঠে কাঘাত করে। আশপাশের লোকজন মিলে হাসিবকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্যারাম খেলা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সূত্র ধরে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
বাসে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় মঙ্গলবার সকালে বাসে কয়েকজন নারী যাত্রীকে ধাক্কা দেয়ার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত মো. রাব্বি হোসেন (২২) লালবাগের শহীদ নগর এলাকার বাসিন্দা।
শেরেবাংলা নগর পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে রাব্বিসহ কয়েকজন দুটি বাস ভাড়া নিয়ে আজিমপুর থেকে ধামরাইয়ের একটি পার্কে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় বাসের নারী যাত্রীদের উত্যক্ত করায় ফারুক ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে রাব্বির কথা কাটাকাটি হয়। ‘একপর্যায়ে ফারুক একজনকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। বাসটি আসাদ গেটে পৌঁছালে তিন থেকে চারজন লোক বাসে উঠে নির্বিচারে রাব্বি এবং শাওন নামের আরেক ব্যক্তি গুরুতর আঘাত করে পালিয়ে যায়।’
উৎপল আরও জানান, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে বুধবার বেলা ১টার দিকে রাব্বির মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, বাসটিতে গাউসিয়া মার্কেটের কয়েকজন দোকানের শ্রমিক ও নিউমার্কেট এলাকার কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল।
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিভিন্ন পণ্যের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে ভ্যানচালকের ছুরিকাঘাতে আহত মাসুদ (২৯) নামে শ্রমিক মারা গেছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরই একটি মামলা হয়েছে। এটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। খাতুনগঞ্জে এখন অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় তর্ক-বিতর্কের জেরে খাতুনগঞ্জের চাঁনমিয়া লেইনে পিকআপ ভ্যানের চালকের ছুরিকাঘাতে ট্রাকে মালামাল তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক শ্রমিক মাসুদ গুরুত্বর আহত হয়। এ ঘটনার পরপরই শত শত শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ি থেকে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে ঠেলাগাড়ি দিয়ে পথরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আহত মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর আজ সকালে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
নোয়াখালী পৌরসভায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার চন্দ্রপুর মহল্লার শাহাজাহানের বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। পরে একই রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করে পুলিশ।
নিহত কামরুল হোসেন জোবায়ের (১৮) বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাদিন নগরের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনরে ছেলে এবং সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিক্যালের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
আটকরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বোরহান উদ্দিন রাকিব (২২), আশরাফুল ইসলাম পিয়াস (১৯), আরিফুল ইসলাম (১৬) ও আলম রিমন (১৬)।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার সকালে জোবায়েরের সঙ্গে স্থানীয় রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাই আরিফুল ইসলামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পরে জোবায়েরকে তার বন্ধু লাদেন মুঠোফোনে বাসা থেকে ডেকে আনে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের ১০ সদস্য রাকিবের নেতৃত্বে জোবায়েরকে তার বাসার সামনে রাস্তায় বেধড়ক পিটিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে জোবায়ের গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ১০টার দিকে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বিজিবি সদস্য নিহত
তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।