আগুন
মানিকগঞ্জে শিক্ষা সফরের বাসে আগুন
মানিকগঞ্জ শিক্ষা সফরের একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউ হতাহত না হলেও পুরো বাসটি পুড়ে গেছে। পরে দমকল কর্মীরা আগুন নেভায়।
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলার বাসস্ট্যান্ডের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলেন, মানিকগঞ্জ সরকারি মহাদেবপুর ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে কুষ্টিয়ার রবীন্দ্র কুঠি বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টায় মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে সেলফি পরিবহনের বাসটিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী উঠেন। বাসের চালক বাসটি স্টার্ট দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসের পেছনের অংশে আগুন দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় আগুনে নিহত ৪, আহত ৭
এসময় বাসের ভেতর থেকে হুড়োহুড়ি করে সবাই নেমে পড়ে। আর দ্রুত আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে পুরো বাসটি পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাসের পেছন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। মুহুর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়েই আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেছনের অংশে থাকা সাউন্ড বক্স থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। কেউ হতাহত না হলেও পুরো বাসটি পুড়ে গেছে।
মহাদেবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আমিনুর রহমান অঞ্জন বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য কুষ্টিয়া রবিঠাকুরের কুঠিবাড়িসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়েছিল। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বাড়ি এদিকে হওয়াতে বাসটি পৌর সুপার মার্কেটের সামনে রাখা হয়। আগুনে আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়া হয়েছে: তদন্ত কমিটি
২২ ঘণ্টা পর সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার সকাল ৮টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন পুরোপুরি নেভাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শিক্ষাসফরের বাসে আগুন, আহত ১০
আগুন নেভানো হলে সেনাবাহিনী ঘটনা সম্পর্কে ব্রিফ করবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক বদিউল আলমকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুদামের ভেতরে ২৭০০ টন তুলা থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট কুমিরা এলাকায় ইউনিটেক্স গ্রুপের তুলার গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে দুটি স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভায় এবং রাত ১২টার দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিন্তু আগুন আবার জ্বলে উঠলে, এলাকায় অবিরাম জল সরবরাহ না থাকায় দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খায়। শনিবার রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয়।
এছাড়া আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৪ মার্চ উপজেলার সীমা অক্সিজেন প্লান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন দগ্ধ এবং প্রায় ৩৩ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি তুলার গোডাউনে শনিবার সকালে লাগা আগুন দীর্ঘ ৯ ঘন্টা চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস জানায় যে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলেও বড় ধরণের আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা হিঙ্গুরী পাড়া এলাকায় ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ‘ইউনিটেক্স’-এর মালিকানাধীন তুলার গোডাউনে আগুন লাগে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ জানান, ‘এখনও কুমিরা, সীতাকুণ্ড ও নগরীর আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন স্টেশনের ৯টি ইউনিট আগুন নির্বাপণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গুদামটিতে তুলার বড় বড় গাইড থাকায় আগুন সহজে নির্বাপণ করা যাচ্ছে না। এরমধ্যে আশেপাশের যত পুকুর ছিল সবগুলোর পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় আমরা পানি সংকটে পড়েছি। আশেপাশের গ্রাম থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
এর আগে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পরে আবার ভেতর থেকে আগুন জ্বলে ওঠে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিক জানান, গোডাউন সংস্কারে টিনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল।
ধারণা করা হচ্ছে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পরে আগুনের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা চান। এরপর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, তুলার গুদামের পাশের নেমসন ডিপোকে আগুন থেকে রক্ষায়ও সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পানি সংকটের কারণে কাজে বেগ পেতে হচ্ছিল। তবে দুপুরের পর নেমসন কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করলেও বিকাল থেকে আবার পানি সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লোকমানের মালিকানাধীন গুদামটি ইউনিটেক্স লিমিটেড ভাড়া নেয়। তাদের নিজস্ব সুতা তৈরির কারখানার জন্য সেখানে অনেক তুলা মজুত করা হয়।
রাতে এই রির্পোট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের টিম ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
চট্টগ্রামের ফিশারি ঘাটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরায় একটি কন্টেইনার ডিপোর সামনে তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছোট কুমিরার ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর পাশে ওই তুলার গুদামে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দুপুর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি।
এর আগে, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: সীমা অক্সিজেন প্লান্টের ৩ মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গাজীপুরে শিক্ষাসফরের বাসে আগুন, আহত ১০
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি শিক্ষাসফরের বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বাস থেকে নামার সময় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় বাসে থাকা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাস থেকে লাফিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হন। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় আধ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: নাটোরে আগুনে পুড়ে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু, আহত বাবা
গাজীপুর মহানগরের হাড়িনাল এলাকার অক্সফোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াকুব আলী জানান, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ভালুকার ড্রিম হলিডে পার্কে শিক্ষাসফর থেকে ফেরার পথে মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় পৌঁছে উড়াল সেতুতে উঠার সময় হঠাৎ পেছন থেকে ধোঁয়া দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, মুহূর্তেই আগুন বাসে ছড়িয়ে পরে। এ সময় বাস থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। বাসটিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৭২ জন ছিলেন।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, বাসে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
নাটোরে আগুনে পুড়ে ২ সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু, আহত বাবা
নাটোরের বড়াইগ্রামে ঘরে আগুন লেগে দুই সন্তানসহ এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন সন্তানদের বাবাও। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার খোকসা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মা সোমা আক্তার এবং দুই শিশু সন্তান ১০ বছর বয়সী মেয়ে ওমিয়া এবং পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ওমর। আহত অলি বখশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার খোকসা গ্রামের বাস চালক ওলি বখশ তার স্ত্রী সোমা আক্তার,১০ বছর বয়সী মেয়ে ওমিয়া এবং ৫ বছর বয়সী ছেলে ওমরকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের টিনশেড ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আকস্মিকভাবে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়। এতে ঘরের ভেতরেই পুড়ে ওই ৩ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অলিকে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে এমনটি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। রবিবার বিকাল তিনটার দিকে প্রথমে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পার্শ্ববর্তী ১০ ও ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের কক্সবাজার স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন ৩ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে।
তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
তবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
তিনি জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষত-ক্ষতি নির্ধারণে কাজ চলছে। তা বলতে সময় লাগবে।
রবিবার বিকাল ৩ টার দিকে বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন মূহুর্তের মধ্যে ৯, ১০, ১২ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের ১০ টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এপর্যন্ত ২ হাজারের কাছাকাছি ঘর পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হলেও তা নিশ্চিত করে বলতে সময় লাগবে। এ পর্যন্ত কোন হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১১ নম্বর বালুখালী ক্যাম্পের বি ও ই ব্লকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ১১ নম্বর ক্যাম্পের একটি বাড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৬ আরসা সদস্য আটক
নাটোরে বসতবাড়িতে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
নাটোর সদরে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত হয়েছে আটটি বসত ঘর। এসময় ঘরের ভেতর আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাইকেরদোল পূর্বপাড়া এলাকার এ ঘটানা ঘটে।
মৃত দুধজান বেওয়া (৯০) ওই এলাকার আফসার উদ্দিনের মা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
নাটোর ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি একেএম মোর্শেদ জানান, দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার পাইকেরদোল পূর্বপাড়া এলাকার কৃষক আফসার উদ্দিনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বাড়ির লোকজন বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক পাশাপাশি থাকা আটটি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘরের ভেতরে শুয়ে থাকা আফসারের ৯০ বছর বয়সী মা দুধজান বেওয়া বের হতে না পেরে সেখানেই পুড়ে মারা যান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধার মৃত্যু
যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে দেশের মানুষ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের জন্য কাজ করে। এছাড়া স্মার্ট দেশ গড়তে জনগণ শেখ হাসিনাকেই আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত করবে।
আরও পড়ুন: কৃষিকে বাদ দিয়ে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার(২ মার্চ ) দুপুরে পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ১ নং নিতপুর উনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছেনি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা। আর সে আহ্বানে কৃষক ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এছাড়া পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করে তিনি দেখিয়েছেন বাঙালিরা পারে। শেখ হাসিনা পারে। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে।
নাগরিকগণ ডিজিটাল সেবা ঘরে বসেই পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
নিতপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরাতন বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী