তামিম ইকবাল
‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ’: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অশ্রুসিক্ত অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
গত রাতে এক বিস্ময়কর পদক্ষেপে ডাকা আজকের (বৃহস্পতিবার) ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম।
নিজ শহর চট্টগ্রামের একটি হোটেলে তামিম ঘোষণা দেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমি যে ম্যাচটি খেলেছি তা আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।’
তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এই সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করছি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিম ইকবালের
ক্রিকেটের এই তারকা বলেন, ‘যুব দল থেকে শুরু করে জাতীয় দল, কোচ, বিসিবি কর্মকর্তা, আমার পরিবারের সদস্য এবং যারা আমার দীর্ঘ যাত্রায় সঙ্গে ছিলেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে।’
তামিম বলেন, ‘আমার বেশি কিছু বলার নেই। আমি সবসময় আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি সবসময় আমার ১০০ শতাংশই দিয়েছি। আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য ক্রিকেট খেলা শুরু করি। জানি না কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার দীর্ঘ যাত্রায় সমর্থনের জন্য তিনি ভক্তদের ধন্যবাদ জানান।
১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে রান (৮৩১৩ রান) ও সেঞ্চুরি (১৪টি) করেছেন তামিম ইকবাল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অনুসারে, টেস্টে তামিম ৩৮ দশমিক ৮৯ গড় স্কোরে ৫ হাজার ১৩৪ রান করেন। যার মধ্যে ৭০ ম্যাচে ১০টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
এর আগে গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা অব্যাহত রেখেছিলেন তামিম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচই কঠিন: তামিম ইকবাল
৩য় ওয়ানডে: হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছে বাংলাদেশ। চলমান ওয়ানডে সিরিজে টস জিতে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছে স্বাগতিকরা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ায় আজ টাইগারদের চোখ রাঙাচ্ছে হোয়াইটওয়াশ।
প্রথম ম্যাচে ৩০৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ। দু’ম্যাচেই স্বাগতিকরা পাঁচ উইকেট জয় তুলে নেয়। উভয় ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা দুর্দান্ত শতক হাঁকান।
লিটন দাস ইনজুরিতে পড়ায় নিজেদের সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের ৪০০তম ওয়ানডে। যুগান্তকারী এই অর্জনে জয় পেতে মরিয়া তামিম ইকবাল বাহিনী।
বাংলাদেশ একাদশে আজ দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের জায়গায় এবাদত হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান একাদশে সুযোগ পেয়েছেন।
সিকান্দার রাজা আজ জিম্বাবুযয়ে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাদিওয়ানাশে মারুমানি, তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভেরে, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেট রক্ষক), টনি মুনয়োঙ্গা, লুক জংওয়ে, ব্র্যাড ইভান্স, ভিক্টর নিয়াউচি, রিচার্ড এনগারাভা
পড়ুন: ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের
৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রবিবার হারারেতে জিম্বাবুয়েকে ঐতিহাসিক সিরিজ উপহার দিলেন সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছিল ২০১৩ সালে। দীর্ঘ নয় বছর অপেক্ষার পর, তারা আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে সিরিজ জিতল এক ম্যাচ হাতে রেখেই।
রবিবারের ম্যাচে দ্বিতীয়বার টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৮০ রানে ৯ উইকেটে ২৯০ রান তোলে তারা।
সফরকারীরা ভালো শুরু করলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তাদের ইনিংসের শুরুটা ভালো করেও ধরে রাখতে পারেনি।
বাংলাদেশের ২৯০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়েছে। তাদের প্রথম তিন উইকেটের মধ্যে দুটি নিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ যিনি এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলছিলেন।
চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ে যোগ করে ২২ রান। চতুর্থ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ খেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
দর্শকদের জোড়া শতক উপহার দিয়েছে রাজা ও চাকাভা। রাজা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন যা জিম্বাবুয়েকে ৯ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের পথ সুগম করতে সাহায্য করেছে। এই সেঞ্চুরিই ৩০০ রানের বেশি রান তাড়া করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম জয় ছিনিয়ে আনে।
স্বাগতিকরা ম্যাচটি শেষ করে পাঁচ উইকেটে ২৯১ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট।
ম্যাচের পর চাকাভা বলেন, ‘সিরিজ জয় একটি বিশাল অর্জন। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। সিরিজ জিতে সত্যিই ভালো লাগছে। আমরা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করছি। কোচ আমাকে এটাকে গভীরভাবে নিতে বলেছেন এবং আমি ইতিবাচক ব্যাটিং করেছি। আমাদের আবার ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, শেষ ম্যাচেও আমরা জিততে চাই।’
এর আগে, ভালো সূচনা হলেও বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৯০ রানে শেষ করে। টাইগাররা তাদের ইনিংসের ভালো সূচনা নিশ্চিত করার পর মাঝের ওভারে কয়েকজন ব্যাটসম্যান আউট না হলে আরও কিছু রান করতে পারত।
তামিম ইকবাল ও এনামুল হক ১০.৬ ওভারে ৭১ রান করে দ্রুত শুরু করেন। তামিম ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন।
পরের তিন ব্যাটসম্যান এনামুল (২০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮) ও মুশফিকুর রহিম (২৫)- ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন।
পড়ুন: ২য় ওয়ানডে: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
২য় ওয়ানডে: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছে বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩০৩ রান তাড়া করে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। আজ জিতলে সিরিজও নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিকদের। ওয়ানডে সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তারা।
বাংলাদেশের একাদশে আজ তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে নাজমুল হোসেন শান্ত, হাসান মাহমুদ এবং তাইজুল ইসলাম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে তাদের একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন এনেছে।
সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচে বাংলাদেশকে জিততেই হবে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক (উইকেট রক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ
জিম্বাবুয়ে একাদশ: তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধভেরে, সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাভা (উইকেট রক্ষক/অধিনায়ক), টনি মুনিওঙ্গা, লুক জংওয়ে, ব্র্যাড ইভান্স, ভিক্টর নিয়াউচি, তানাকা চিভাঙ্গা
পড়ুন: প্রথম ওয়ানডে: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল জিম্বাবুয়ে
প্রথম ওয়ানডে: বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারাল জিম্বাবুয়ে
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শুক্রবার বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের দেয়া ৩০৪ রানের লক্ষ্য পাঁচ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এর মধ্য দিয়ে ৯ বছর বা ১৯ ম্যাচ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেল জিম্বাবুয়ে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা। এছাড়া এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে ওয়ানডে জিতল জিম্বাবুয়ে।
চাপের মুখে সিকান্দার রাজা তার চতুর্থ ওয়ানডে শতরান করেন। ১০৯ বলে আটটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। রাজার সাথে ইনোসেন্ট কাইয়াও তার প্রথম শতক তুলে নেন।
বাংলাদেশের ৩০৩ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে শুরুতেই দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে রানের চাকা সচল রাখেন স্বাগতিকদের ব্যাটাররা। তৃতীয় উইকেটে ওয়েসলি মাধভেরে এবং ইনোসেন্ট ৬০ রান যোগ করেন।
শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হয় জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রাজা ও ইনোসেন্ট স্কোর বোর্ডে ১৯২ রান যোগ করেন। এক দিনের ম্যাচে এটি জিম্বাবুয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ওয়ানডে জুটি।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদি হাসান একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬২), লিটন দাস (৮১), দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ফেরা এনামুল হক (৭৩) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছুটিতে থাকা মুশফিকুর রহিমের (৫২) অর্ধশতকে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
তামিম ও লিটন ওপেনিং জুটিতে ১১৯ রান যোগ করেন। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরোয়া ফর্ম ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করা এনামুল ফিফটি করেছেন। তিনি ৬৩ বলে ৬ চার ও তিন ছক্কায় ৭৩ রান করেন।
ব্যক্তিগত ৮১ রানের সময় সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা অনুভব করেন লিটন। পরে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার। এরপর মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘদিন পর তিনিও ওয়ানডেতে অর্ধশতক করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫২ করে অপরাজিত ছিলেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। অপরদিকে মাহমুদউল্লাহও ১২ বলে ২০ করে অপরাজিত ছিলেন।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণে ছিলেন-তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ১৯টি ওয়ানডের সব ক’টিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া টাইগাররা দেশে ও বিদেশে তাদের শেষ সাতটি ওয়ানডে সিরিজের ছয়টি জিতেছে।
তবে এই পরিসংখ্যান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভালো শুরু করতে পারেনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডে না জেতার খরা অবশেষে ভাঙল স্বাগতিকরা।
হারের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘আমি মনে করি না স্কোর বোর্ডে আমাদের যথেষ্ট রান ছিল। ‘আমরা আরও কিছু রান করতে পারতাম, বোর্ডে ১৫-২০ রান কম করেছি। আমরা জানতাম প্রথম ১০-১৫ ওভারে টেস্ট ম্যাচের মতো ব্যাট করতে হবে।’
হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশের ওপেনার লিটনকে। ৮১ রানে তিনি মাঠ না ছাড়লে বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে আরও কিছু রান পেতে পারতো।
ম্যাচের পর অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ব্যাটার সিরিজের বাকি ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। একই ভেন্যুতে ৭ ও ১০ আগস্ট শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রেজিস চাকাভা ব্যাট হাতে অসামান্য অবদানের জন্য রাজা এবং ইনোসেন্টের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শুরুতে উইকেট হারানোর পর তারা যেভাবে খেলেছে, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। কোনো উইকেট না পাওয়া সত্ত্বেও আমরা প্রথম ২০ ওভারে খুশি ছিলাম, আমাদের ধারণা ছিল যে তারা ২০-৩০ কম করেছে।’
আরও পড়ুন: চার অর্ধশতকে জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চার অর্ধশতকে জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে জিম্বাবুয়েকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬২), লিটন দাস (৮১), দুই বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা এনামুল হক (৭৩) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছুটিতে থাকা মুশফিকুর রহিমের (৫২) অর্ধশতকে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। তামিম ও লিটন ওপেনিং জুটিতে ১১৯ রান যোগ করেন। এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরোয়া ফর্ম ফিরে পাওয়ার জন্য লড়াই করা এনামুল ফিফটি করেছেন। তিনি ৬৩ বলে ৬ চার ও তিন ছক্কায় ৭৩ রান করেন।
ব্যক্তিগত ৮১ রানের সময় সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে ব্যথা অনুভব করেন লিটন। পরে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার। এরপর মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘদিন পর তিনিও ওয়ানডেতে অর্ধশতক করেন। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৫২ করে অপরাজিত ছিলেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। অপরদিকে মাহমুদউল্লাহও ১২ বলে ২০ করে অপরাজিত ছিলেন।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের রয়েছে-তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ১৯টি ওয়ানডের সব ক’টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। এছাড়া টাইগাররা দেশে ও বিদেশে তাদের শেষ সাতটি ওয়ানডে সিরিজের ছয়টি জিতেছে।
তবে এই ওয়ানডে সিরিজের আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে।ওয়ানডেতে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল হলেও দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, নিজেদের ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে তাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।
পড়ুন: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা তামিমের
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শনিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কয়েক মিনিট পরই নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেন তিনি।
পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজকে থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচনা করুন। ধন্যবাদ সবাইকে।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই সংস্করণ থেকে ছয় মাসের বিরতি নিয়েছিলেন তামিম। এরপর থেকেই এই সংস্করণে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা চলছিল। বিরতি নেয়ার সময় তামিম বলেছেন, তিনি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছেন না।
২০২০ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ব্যাটসম্যান। পরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে নেন।
বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সময় তামিম বলেছেন, তরুণ খেলোয়াড়েরা অনেক দিন ধরে ভালো খেলায় তারা এই সংস্করণে আরও সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।
বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাবেন। যদিও তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তামিম ইকবাল টাইগারদের হয়ে ৭৮টি ম্যাচে একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতকসহ ১৭৫৮ রান করেছেন। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতে ওমানের বিপক্ষে তামিম অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, যা এই সংস্করণে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের একমাত্র শতক।
পড়ুন: উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
দলে ফিরতে এনামুলকে আরও অপেক্ষা করতে হবে: ডমিঙ্গো
উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে তৃতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ছয় উইকেট ও নয় উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। ফলে স্বাগতিকদের ঘরের মাঠে ধবলধোলাই করল তামিম ইকবাল বাহিনী।
দুই বছরের বেশি সময় পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের পাঁচ উইকেটের কল্যাণে সফরকারীদের ১৭৮ রানে আটকে রাখেন টাইগার বোলাররা।
তাইজুলের ২৮ রানে পাঁচ উইকেট বাংলাদেশি স্পিনারের মধ্যে ওয়ানডেতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। আগের সেরা আব্দুর রাজ্জাক ২০০৯ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৯ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংসে ১৭৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের স্পিনাররা স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের খুব স্বাচ্ছন্দে খেলতে দেননি। নাসুম ও মুস্তাফিজ নেন দুটি করে উইকেট। মোসাদ্দেক এক উইকেট পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ২৩ রান দেন।
জবাবে ১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের অর্ধশত, তামিম ইকবালের ৩৪ এবং নুরুল হাসানের ৩২ রানের ওপর ভর করে ৪৮.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার গুদাকেশ মতি ১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন।
এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ।
পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ‘এ’ দলে সাব্বির-সৌম্য
ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর অবশেষে প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেল বাংলাদেশ। রবিবার রাতে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হয় পৌনে ১২টায়। ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৪১ ওভার।
বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শাই হোপকে কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শরীফুল ৩৪ রানে চার এবং মেহেদী হাসান ৩৬ রানে তিন উইকেট শিকার করেন। নাসুম ও তাসকিন উইকেট না পেলেও স্বাগতিক ব্যাটারদের যথেষ্ট ভুগিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪১ ওভারে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে লিটন দাসকে হারালেও তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং জয়ের পথ দেখায় বাংলাদেশকে। তামিম ২৫ বলে ৩৩ এবং নাজমুল ৪৬ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ নুরুল হাসানকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। মাঝে আফিফ হোসেন ১৭ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। রিয়াদ ৪১ রান এবং সোহান ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এ সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।
আগামী ১৩ এবং ১৬ জুলাই দু’দলের মধ্যে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে।
পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
টেস্টে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম ইনিংসে শুক্রবার আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
টসে জিতে স্বাগতিকরা প্রথমে বোলিং করে ২৩৪ রানে টাইগারদের গুটিয়ে দেয়। জবাবে দুই টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬৭ রান করেছে ক্যারিবীয়রা।
প্রথম উইকেট জচুটিতে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় ৪১ রান করেন।তবে ৩১ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন জয়।অন্যদিকে ভালো সূচনা সত্ত্বেও ৬৭ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ছিটকে গেলেন সাইফুদ্দিন
দলের পক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত যোগ করেন মাত্র ২৬ রান। এদিকে দীর্ঘ ৮ বছর পর টেস্টে ফিরে মাত্র ২৩ রানে আউট হন এনামুল হক বিজয়।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান ৫৩ করেছেন লিটন দাস। কিন্তু সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান এবং মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে ভালো করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
শেষদিকে এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামের যথাক্রমে ২১ ও ২৬ রান, দলীয় স্কোর ২০০ পেরোতে বেশ অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভালো করতে আগ্রহী তাসকিন