তামিম ইকবাল
দেশের হয়ে ৬ মাস টি-টোয়েন্টি খেলবেন না তামিম
বাংলাদেশের হয়ে আগামী ছয় মাস আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন না বলে জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। তবে তিনি ক্রিকেটের এ সংস্করণ থেকে অবসর নিচ্ছেন না বলেও জানান।
তিনি বলেন, ‘আশা করি আগামী ছয় মাস দলের আমাকে প্রয়োজন হবে না। তারা টি-টোয়েন্টিতে এত ভালো খেলছে যে আমাকে প্রয়োজন হবে না। তবে যদি দলের প্রয়োজন হয় তাহলে ক্রিকেটীয় দিক থেকে আমি চিন্তা করব। তবে বিতর্কের কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিসিবি সভাপতি ও অন্যান্য বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ওয়ানডে ও টেস্টে বেশি গুরুত্ব দেব।’
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তামিম। চলমান বাংলাদেশ প্রিয়িয়ার লিগে (বিপিএল) মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার হয়ে খেলতে বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আছেন।
আরও পড়ুন: বিপিএল ২০২২: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ২য় জয়
এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, তামিম আর টি-টোয়েন্টি খেলতে আগ্রহী না।
চলমান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে দুই অর্ধশতক করেছেন তামিম। তবে পরের দুই ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারেননি বাঁহাতি এ ব্যাটার।
বাঁহাতি এ ওপেনার ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এক শতক ও সাত অর্ধশতকে ভর করে এক হাজার ৭৫৮ রান করেছেন। তার স্ট্রাইক রেট ১১৭ দশমিক ২।
৩২ বছর বয়সী তামিম ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। তিনি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ঐতিহাসিক সিরিজও খেলেননি। এছাড়া বিশ্বকাপেও দলের বাইরে ছিলেন তামিম।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাকিবের ৪০০ উইকেট
বিপিএলে একজন পেস-বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজে মাহমুদউল্লাহ
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালীন সময়ে তিনি জাতীয় দলের জন্য একজন পেস-বোলিং অলরাউন্ডার এবং একজন রিস্ট স্পিনার খুঁজবেন।
শুক্রবার থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া বিপিএলে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার নেতৃত্ব দেবেন মাহমুদুল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি ঢাকা দলে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই তামিমের খেলার কথা থাকলেও প্রথম দুই ম্যাচে অনিশ্চিত মাশরাফির উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২ সালের কথা উল্লেখ করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা এই বছর আরেকটি বিশ্বকাপ খেলব। আমাদের আরও পেস-বোলিং অলরাউন্ডার এবং রিস্ট স্পিনার প্রয়োজন হতে পারে। বিপিএলে আমরা এটা মাথায় রাখব।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো পারফর্মেন্স দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আগামী বিশ্বকাপে টাইগারদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেন, গত বিশ্বকাপে আমরা ভালো করার আশা করেছিলাম। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজ জয়ের পর আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমাদের সামনের বিশ্বকাপে ভালো করার ভালো সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বর্ষসেরা একাদশে মোস্তাফিজ
বিপিএল-২০২২: একই দলে তামিম-মাশরাফি-রিয়াদ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল, সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে নিয়েছে ঢাকা। তিনটি ভ্যেনুতে-ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট-এবারের আসর ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে।
এবারের বিপিএলের আসরে ছয়টি দল খেলবে। এদের মধ্যে পাঁচটি দলকে স্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং আরেকটি দলকে, ঢাকা, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে প্লেয়ার ড্রাফটের শুরুতে বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ঢাকা দল আপাতত বিসিবির মালিকানাধীন।
বিপিএলের এই মৌসুমে অন্য দলগুলো হচ্ছে- ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্স ও সিলেট সানরাইজার্স।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে ফিরছেন জেমি সিডন্স
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ: ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবেন না তামিম
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। চলতি মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাঠে এ সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে টাইগারদের। বাঁহাতি এ ব্যাটার সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মধ্য দিয়ে দলে ফিরবেন।
ইনজুরি ও পর্যাপ্ত ম্যাচ না খেলার কারণে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অংশ নেননি তামিম। তিনি নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিলেও আঙুলে নতুন করে চোটের কারণে সেটিও সম্পূর্ণ করতে পারেননি।
তবে এই তারকা ব্যাটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে চট্টগ্রামের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘আমি ৭ নভেম্বর থেকে ব্যাটিং শুরু করবো। আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা এক সপ্তাহ পর থেকে ব্যাটিং করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমি জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ড থেকে অংশ নেয়ার চিন্তা করছি।’
তামিম চলতি বছরের জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। এছাড়া একই দলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।
আরও পড়ুন:তামিমকে টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ফিরিয়ে আনার দাবি
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে রাচিন রবীন্দ্র ও কোল ম্যাকনির।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই সিরিজেও নেই। বাঁহাতি ওপেনার কিছুদিন ধরে হাঁটুর ইনজুরিতে রয়েছেন। তবে মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস সিরিজে ফিরেছেন।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দশটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। সবগুলোই তারা হেরেছে। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে।
আরও পড়ুন: টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
চিকিৎসক আমাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন: পাপন
এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নেই। আগামী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা কোনো খেলোয়াড়কে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ সফরে অন্তর্ভুক্ত করেনি।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান
নিউজিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, টম ব্লান্ডাল, উইল ইয়াং, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হেনরি নিকোলস, কোল ম্যাকনি, ডগ ব্রাসওয়েল, আজাজ প্যাটেল, ব্লেয়ার টিকনার এবং জ্যাকব ডাফি
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে উপসাগরীয় দেশ ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
গত কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলেও ক্রিকেটের এই শর্ট ফরম্যাট থেকে এখনই অবসর নিচ্ছেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তামিম।
চোটের কারণে গত ১৫-১৬টি-টোয়েন্টিতে খেলতে না পারায় বুধবার ফেসবুক পেজে এক ভিডিওতে বাঁহাতি ওপেনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি ভিডিওতে বলেন, ‘আমি বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনের সাথে কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি যে আমার মনে হয় না যে আমার বিশ্বকাপ দলে থাকা উচিত।’
‘এই সিদ্ধান্তের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল প্রস্তুতি। আমি গত ১৫-১৬টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছিলাম না। যারা এই ম্যাচগুলো খেলেছে তারা সত্যিই ভালো করছে। তাই আমি হঠাৎ এসে তাদের জায়গা নেয়া ঠিক হবে না। তাই আপনারা আমাকে বিশ্বকাপে দেখতে পাবেন না,’ বলেন তামিম
হাঁটুর চোটের কারণে বাংলাদেশি ওপেনার অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মিস করেছেন। এর আগে তিনি জিম্বাবুয়ে সিরিজও মিস করেছেন। তামিম ২০২০ সালের মার্চে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টি -টোয়েন্টি খেলেছেন।
টি -টোয়েন্টিতে কম স্ট্রাইক রেটের কারণে তামিম দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনার মুখে রয়েছেন। এরপরও টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার জায়গা এক প্রকার নিশ্চিতই ছিল।
তামিম বলেন, ‘আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছি না, আমি আপাতত বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি মনে করি এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত এবং তরুণ খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্য কারণ তারা আমার চেয়ে বেশি প্রস্তুত।’
তামিমের অনুপস্থিতিতে লিটন দাস, সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ নাঈম বাংলাদেশ দলে ওপেন করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কেমন হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের সম্মিলিত একাদশ!
চিকিৎসক আমাকে ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে বলেছেন: পাপন
ঢাকায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে নেই লিটন
মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবালের পর লিটন দাসও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের বাইরে থাকছেন। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি আগামী ৩ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লিটন উরুতে আঘাত পেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজের কোয়ারেন্টাইন নীতির কারণে মুশফিকুর রহিম খেলতে পারছেন না। চোটের কারণে আগে থেকেই তামিম ইকবালও এ সিরিজে থাকছেন না।
পড়ুন: শূন্য গ্যালারিতেই পর্দা উঠলো টোকিও অলিম্পিকের
মুস্তাফিজুর রহমানও অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে অনিশ্চিত। জিম্বাবুয়ে সফরে তিনি ওয়ানডে সিরিজের আগে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সিরিজে বাংলাদেশ তরুণদের উপর অনেক বেশি নির্ভর করবে।
পড়ুন: বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া
সাকিব নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ জুলাই বাংলাদেশ দল দেশে ফেরার ফ্লাইট ধরবেন।
মুশফিকের সেঞ্চুরিতে টাইগারদের সংগ্রহ ২৪৬
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
এই ফরম্যাটে এটি মুশফিকের অষ্টম সেঞ্চুরি। তামিম ইকবাল (১৩) ও সাকিব আল হাসান (৯) এর পরে ওয়ানডেতে টাইগারদের হয়ে তিনি এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দেশের দুই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।
আরও পড়ুন: প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে জিতল টাইগাররা
এরপর ৩৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার। মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে ১০ রান করে আউট মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
দলীয় ৭৪ রানে চার ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর হাল ধরেন মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
পঞ্চম উইকেটে তারা ৮৭ রান যোগ করেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলে আফিফ হোসেন (১০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০) সুবিধা করতে পারেন নি।
শেষ পর্যন্ত মুশফিকের ১২৫ (১২৬) রানের ইনিংসে ভর করে ৪৮.১ ওভারে সব উইকেটে হারিয়ে ২৪৬ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে লঙ্কানরা।
প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে জিতল টাইগাররা
সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রবিবার মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে জিতল টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে ১০ উইকেটে ২২৪ রান সংগ্রহ করে।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে শুরু থেকে বিপর্যয় দেখা দিলেও শেষ দিকে হাসারঙ্গা ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে তুলেন। শেষ পর্যন্ত সাইফ উদ্দিনের বলে ৬০ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৭৪ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশে পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ৩০ রানে চার ও মোস্তাফিজুর ৩৪ রানে তিন উইকেট শিকার নেন।
এর আগে তামিম-মুশফিক ও রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় ১০০ রানের আগেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
স্বাগতিকদের পক্ষে মুশফিুর রহীম সর্বোচ্চ ৮৭ বলে ৮৪ রান করেন। এছাড়া তামিম ইকবাল ৫২ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৪ রান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে করোনার থাবা
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর ও মাহমুদুল্লাহ ১২২ বলে ১০৯ রান যোগ করেন। এটি ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল চার উইকেটে ১৯৩ রান। কিন্তু মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর আউট হওয়ার পর স্বাগতিকরা শেষ ১০ ওভারে স্কোর বোর্ডে তেমন রান তুলতে পারেনি।
ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশ যথাক্রমে ২২ এবং ২৭ রান যোগ করে।
আফিফ হোসেন ২২ বলে ২৭ রান এবং এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ বলে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন শূন্য রানে আউট হন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৪৫ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা দল: কুশল পেরেরা (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ধানুশকা গুনাথিলকা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা, আশেন বান্দারা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, লক্ষ্মণ সন্দাকান ও দুশমন্থ চামিরা।
বাংলাদশের সর্বকালের সেরা টেস্ট একাদশ!
ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো এবং ধ্রুপদী ধরন হল টেস্ট ক্রিকেট। গত দুই দশকে বাংলাদেশের হয়ে অনেক খ্যাতিমান টাইগাররা ব্যাট এবং বল হাতে খেলেছেন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ৯৮ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটের টেস্ট সংস্করণে অংশ নিয়েছেন।
তাই সহজেই সেরা ১১ জন খেলোয়াড়ের নাম নেয়াটা অতটা সহজ নয়। তবে ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটর সেরা ১১ তারকার নাম উল্লেখ করা যেতেই পারে। চলুন দেখে নেই বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটর সর্বকালের সেরা ১১ টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা।
১) তামিম ইকবাল
৬৪টি টেস্ট খেলা তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৬৪ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন। সর্বোচ্চ ২০৬ রান এবং ৯টি শতকের অধিকারী তিনি। বাংলাদেশের সর্বকালে সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবেও তাকে গণ্য করা হয়।
২) ইমরুল কায়েস
টেস্টে ৩৯টি ম্যাচ খেলা এবং ১ হাজার ৭৯৭ রানের মালিক ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। মাত্র তিনটি শতকের দেখা পাওয়া এই ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান ১৫০। বাংলাদেশের হয়ে তামিমের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩১২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এই ক্রিকেটার।
৩) মুমিনুল হক
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের বর্তমান দলপতি মুমিনুল এই অবস্থানে আছেন ৪৪টি ম্যাচ এবং ৩ হাজার ২৪৭ রানের সুবাদে। তার সর্বোচ্চ রান ১৮১ এবং মোট শতকের সংখ্যা ১১টি।
৪) মুশফিকুর রহিম
মিডল অর্ডারে সবচেয়ে ভরসার জায়গায় আছেন মুশফিকুর রহিম। তার ঝুলিতে আছে ৭৪ ম্যাচ, ৪ হাজার ৬৪৫ রান এবং ৭টি শতক। তার সর্বোচ্চ রান ২১৯ (অপরাজিত)।
৫) মোহম্মাদ আশরাফুল
বিতর্কিত ও সমালোচিত এই প্লেয়ারকে নিয়ে অনেক কথা হতে পারে, কিন্তু টেস্টে তার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ৬১ ম্যাচ খেলা আশরাফুলের মোট রান ২ হাজার ৭৩৭ এবং সর্বোচ্চ রান ১৯০। অপরদিকে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট শতকের রেকর্ডটি’ও তার দখলে।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবি
৬) সাকিব আল হাসান
বাংলাদেশ সেরা টেস্ট একাদশে ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ৫৭ ম্যাচে ৩ হাজার ৯৩০ রান, সর্বোচ্চ ২১৭ রান এবং ৫টি টেস্ট শতক আছে তার ঝুলিতে। এছাড়াও টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২১০ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ডও আছে তার ঝুলিতে।
৭) মোহম্মদ রফিক
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই স্পিনার বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হন। ৩৩ ম্যাচ খেলে ১ হজার ৫৯ রান এবং সর্বোচ্চ ১১১ রান করা এই ক্রিকেটার মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসাদায়ক খেলোয়াড় ছিলেন।
৮) মেহেদি হাসান মিরাজ
২৬ টেস্ট খেলা ৮৫৫ রানের অধিকারী মিরাজকে এই তালিকায় একজন অলরাউন্ডার হিসেবেই যুক্ত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০৩ রান এবং এ পর্যন্ত ১০৩ উইকেট শিকার করেছে এই তরুণ ক্রিকেটার।
৯) মাশরাফি বিন মর্তুজা
টেস্টে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের জন্য প্রথম নামটি ই হবে মাশরাফির। দেশের প্রকৃত এই পেইসার ১৪০ কি.মি ঘণ্টায় বল ছুড়তে পারেন। ৩৬ টেস্টে এ পর্যন্ত ৭৮ উইকেট নিয়েছেন সাবেক টাইগার দলপতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ: টাইগারদের টেস্ট স্কোয়াড বিশ্লেষণ
১০) তাইজুল ইসলাম
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সফল বোলার হল তাইজুল ইসলাম। ৩৩ ম্যাচ খেলা এই স্পিনার ১৩০ উইকেট নিয়েছেন। অপরদিকে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে ৩৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট শিকারের রেকর্ডটিও আছে তার দখলে।
১১) শাহাদাৎ হোসেন
৩৮ ম্যাচ খেলে ৭২ উইকেট নেয়া শাহাদাতকে মাশরাফির পরই সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয়।
যদিও অনেক বড় তারকা খেলোয়াড়রা এই তালিকায় নেই। তবে নিজেদের ব্যক্তিগত রেকর্ডের কারণে এই তালিকায় অবস্থান জমিয়ে নিয়েছেন সেরা টেস্ট টাইগাররা।