চিকিৎসক
চিকিৎসা গবেষণায় আরও সময় দিন: চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার মানসিকতাকে কবর দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় আরও সময় দিতে দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি সেক্টরে পিছিয়ে আছি। আর সেটি হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা। চিকিৎসকরা প্র্যাকটিস করে অর্থ উপার্জনে নিয়োজিত থাকেন এবং তারা গবেষণার কাজে আগ্রহী না।’
'বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ', 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ' এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ গবেষণার অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার(১১ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
শেখ হাসিনা শ্রোতাদের মধ্যে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিষয়ে জানতে চান।
তিনি বলেন, ‘এটি ঠিক যে, এখানে চিকিৎসকরাও আছেন, আমি সরাসরি তাদের জিজ্ঞাসা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এখন থেকেই গবেষণা কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করার জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ দেশের মানুষকে সুস্থ, সবল ও মেধাবী হতে হবে। তাদের মেধা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য গবেষণা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় যারা সম্পৃক্ত হবেন তাদের সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে।
তিনি বলেন, 'আমি আবারও অনুরোধ করবো সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণা কাজে আরও বেশি সময় দিন।’
তিনি বলেন, গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে যা যা করা দরকার সরকার তাই করবে।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে গবেষণার ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণা উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করে। আমাদের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গবেষণার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো ধরনের গবেষণায় সব ধরনের বাধা দূর করতে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার জন্য বিনিয়োগের অর্থ দেশের গণমানুষের পকেট থেকে আসছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভার সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের এই অর্থ অবশ্যই জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে।’
দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরও একটি নির্মাণের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের মাটি খুবই নরম। আমরা প্রতিটি দ্বীপে মাটি পরীক্ষা করেছি, কিন্তু সেখানে এ ধরনের প্লান্ট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হলে সরকার রূপপুরে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
তিনি বলেন, 'আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীকে প্রথমটি শেষ করার পরপরই দ্বিতীয়টি শুরু করতে বলেছি এবং এখন থেকেই আমাদের তার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আলী হোসাইন এতে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে বাবার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি করা রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, `আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মানসম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব-আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় কম নয়। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী চিকিৎসক বের হচ্ছে। তারা বেশিরভাগই উন্নত বিশ্বের ডাক্তারদের সমান দক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সুযোগ দিলে তারা তাদের যোগ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা থাকলে তা উপরের কর্মকর্তাকে জানাতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে তাদের অসুবিধার কথাগুলো বলতে হবে। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের পিওন থেকে উপর পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুরেছি। কোথাও না পেলে আমি একেবারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চলে যেতাম। কিন্তু আমার কাজের জন্য যা প্রয়োজন তা আমি চাইতাম ও আদায় করতাম। এক দরজা থেকে অন্য দরজা ঘুরতে ঘুরতেই মাত্র পাঁচটি বার্ন বেড থেকে পাঁচশ বেডের বার্ন হাসপাতাল করেছি। আপনাদেরও নিজের কাজের জন্য এভাবে আন্তরিক হতে হবে, মনে দরদ দিয়ে রোগীর সেবা করতে হবে।’
চিকিৎসক শিক্ষকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসক সংখ্যায় কম বের হলেও সমস্যা নেই। আপনারা কোয়ান্টিটি দেখবেন না, দেখবেন কোয়ালিটির দিকে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভাগে বিভাগে আমরা ছুটে চলে যাচ্ছি কারণ বিভাগীয় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো জেনে সেখানেই যাতে সমাধান করা যায়। আপনাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো জানাতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সব দাবি যাতে কম-বেশি পূরণ করতে পারি।
সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এনায়েত হোসেন জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য পিডি নিয়োগ দেওয়াসহ কিছু লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন আছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসে যান এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী সকাল ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।পরে সিলেটের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শিশির রঞ্জনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ বিএমএ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদক, স্বাচিপ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী চিকিৎসক নেতা ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসক নিহত
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এ জেড এম সাখাওয়াত হোসেন (৬৭) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভাটবাউর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. এস এম মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ট্রাক ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
নিহত চিকিৎসক এ জেড এম সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলায়। পরিবারে এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
গত ৭ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে তিনি মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সার্জারি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মনিরুজ্জামান জানান, ডা. সাখাওয়াত রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার নিয়ে কর্মস্থলে আসছিলেন। সদর উপজেলার ভাটবাউর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকারটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
তিনি আরও জানান, এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় আনা হয়। মাথা, কান ও নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকার এভার কেয়ার হসপিটালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় অটোরিকশাচালক নিহত, আহত ভাই-ভাতিজা
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তারের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার সরেজমিন খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হয়ে লতাকে দেখতে যান তিনি।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা লতা আক্তারের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডা. লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এদিকে পুরো ঘটনা শুনে এবং ঘটনার তীব্রতা অনুভব করে ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না, শুধু নিজেদেরই ক্ষতি হয়। পেট্রোলে পুড়ে যাওয়া আমাদের এই চিকিৎসক রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সুস্থ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে, রোগীকে সুস্থ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের চেষ্টাই আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আমাদের সাধ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে চাই এই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
চিকিৎসাধীন রোগীকে দেখার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক রায়হানা আউয়ালসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ওষুধের মূল্য কমানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওষুধের মূল্য কমানোর ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ওষুধ কোম্পানি মালিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নির্দেশনা দেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধের মুল্য নিয়ে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি হচ্ছে। হঠাৎ করে এমনি এমনি তো ওষুধের মুল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটুকু বাড়ছে, তার যৌক্তিকতা কতটা সে ব্যাপারে আমাদেরকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতিতে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের
দুর্বল শরীর ও অসুস্থতার নানা উপসর্গ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে (বিএসএইচ) চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছেন।
শনিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিয়েছেন এবং তার গুলশানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ ছিলেন। তার প্রায় ৬ কেজি ওজন কমেছে এবং তার শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’
ডা. জাহিদ বলেন, মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গেলে অধ্যাপক শামসুল আরেফিন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছে। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলবে: জেল থেকে বেরিয়ে ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে বন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বুধবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল ও খসরুকে জামিন দেন ঢাকার একটি আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল, খসরুসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ।
সমাবেশে সহিংসতার ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর ফখরুল ও ৩ নভেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খসরুকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: দখলদারিত্বের নতুন নজির স্থাপন করেছে আ.লীগ সরকার: বিএনপি
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক গোলাম কাজেম নিহত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো. গোলাম কাজেম আলীকে (স্কিন স্পেশালিস্ট) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুরের চেম্বার থেকে রোগী দেখে উপশহরের বাসায় যাওয়ার সময় বর্ণালীর মোড়ে রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে ছুরিকাহত করা হয়।
রামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুকুল হোসেন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তাকে দুর্বৃত্তরা বুক মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, তিনি এমবিবিএস ৪২তম ব্যাচের চিকিৎসক ছিলেন। তিনি রাজশাহীর নামকরা কযেকজন চিকিৎসকদের অন্যতম ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস ওই চিকিৎসকের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
চিকিৎসকের স্বজনদেন দাবি করে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। কারণ দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেলেও তার মোবাইল, টাকা, দামি হাতঘড়ি কিছুই নিয়ে যায়নি।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি জানান, নগরীর বর্ণালীর মোড়ে অজ্ঞাত নামা মাইক্রোবাস থেকে নেমে দুর্বৃত্তরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে বুকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে তবে কি কারণে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসছেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের অনুমতি পাওয়ায় এই তিন চিকিৎসক বুধবার ঢাকায় আসবেন।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য সরকার বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার অনুমতি দিয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভিসা প্রদানে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রায় ৯ ঘণ্টা রাখার পর মঙ্গলবার বিকালে আবারও করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। চিকিৎসকরা বারবার বলছেন যে তিনি খুব অসুস্থ। গতকাল রাতে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেবিনে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, সকালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারা (চিকিৎসকরা) বলেছেন, ম্যাডাম এখন খুবই উদ্বেগজনক অবস্থায় আছেন।
৯ আগস্ট থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর সিসিইউ থেকে কেবিনে ফিরেছেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না: খুরশীদ আলম
কুমিল্লায় চেম্বারে ঢুকে চিকিৎসক ও স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক ও তার স্ত্রী ফারহানা আফরিন হিমিকে চেম্বারে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ।
ডা. জহিরের স্ত্রী হিমির বড় ভাই কাজী শরিফ জানান, রেইসকোর্সে শাপলা টাওয়ারের পরিচালানা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে একদল লোক এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় জহির মারাত্মক আহত হন। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। বোন হিমিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। সেও চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে কথা-কাটাকাটি, ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত
ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিন মোর্শেদ পাপ্পু নামে একজনকে আটক করা হয়। বাকি অভিযুক্তদেরও আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কুমিল্লার সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিস, সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসীম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল ফিজিক্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিএ) সভাপতি ডা. একেএম আবদুস সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌফিকুন্নবী খান লিটন।
আরও পড়ুন: যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চিকিৎসকের
জামালপুরের সদর উপজেলায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. হাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জামালপুর-ময়মনসিংহ সড়কের উপজেলার জয়রামপুর এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হাফিজুর রহমান নান্দিনা সরকারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের মেষ্টা গ্রামে। তিনি ওই এলাকার কৃষক দুলাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক হাফিজুর রহমান মোটরসাইকেলে করে জামালপুর শহর থেকে নান্দিনা সরকারি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে জামালপুর-নান্দিনা মহাসড়কের জয়রামপুর এলাকায় পৌঁছালে বালু বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ডা. হাফিজ ৪০তম বিসিএসে নিয়োগ পেয়ে ১১ মাস আগে চাকরিতে যোগ দেন। দেড় বছর আগে তিনি সদর উপজেলার হাসিল গ্রামের বিথিকে বিয়ে করেন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তবে ট্রাকচালক পলাতক।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছের গুঁড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহত
মাগুরায় ট্রাকচাপায় স্কুলছাত্র নিহত