চিকিৎসক
খুলনায় চিকিৎসকসহ করোনায় ৭ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক চিকিৎসকসহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৩৮ জন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. জসিম উদ্দিন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট ফকিরহাটের ডা.আমিয় কুমার বিশ্বাস (৫৯) মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৭
এর আগে রবিবার বিভাগে করোনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে যশোরে তিনজন, খুলনায় একজন, কুষ্টিয়ায় দুইজন ও নড়াইলে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ফরিদপুরে আরও ২ মৃত্যু
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট এক লাখ ১০ হাজার ৮৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ৮৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬ জন।
করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৭৫১ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৩ জন, ঝিনাইদহে ২৬৪, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯, মেহেরপুরে ১৮০, বাগেরহাটে ১৪২, নড়াইলে ১১৭, মাগুরায় ৯০ ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২২ কোটি ৪৬ লাখ ছাড়াল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে নতুন করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী কুষ্টিয়ায় ৩৭ জন। এ ছাড়া খুলনায় ২৫ জন, বাগেরহাটে সাত জন, সাতক্ষীরায় ১০ জন, যশোরে ১৪ জন, নড়াইলে আট জন, মাগুরায় দুই জন, ঝিনাইদহে ২০ জন, চুয়াডাঙ্গায় এক জন ও মেহেরপুরে ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে চার হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার পিএসসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের মধ্যে সব মিলিয়ে সহকারী সার্জন পদে চার হাজার প্রার্থীর সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী নন-ক্যাডার হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পদ স্বল্পতার কারণে তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.bpsc.gov.bd. এছাড়া পিএসসি ৪২ রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ এ পাঠিয়েে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে।
করোনা সংকটের মধ্যে সহকারী সার্জনের দুই হাজার শূন্য পদ পূরণের জন্য পিএসসি ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। পরে পিএসসি আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সহকারী সার্জনের আরও দুই হাজার পদ যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
পুকুরে গোসল করতে নেমে বৃদ্ধের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পুকুরে নাতির সাথে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতাগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইসলাম উদ্দিন (৭০) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ী পুনাতন পাড়ার মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ইসলাম উদ্দিনের ছেলে নান্টু বলেন, আমার ছেলেদের সাথে মওলার পুকুরে গোসল করতে যায় আমার বাবা। এ সময় বাবা পানিতে ডুবে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাবাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, ইসলাম উদ্দিনকে হাসপাতালে আনলে আমরা তাকে পরীক্ষা করে বুঝতে পারি হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবীনগরে নৌকাডুবে স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু, সন্তান নিখোঁজ
পানিতে ডুবে যাওয়ার পর তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, পানিতে ডুবে গেলে অনেক সময় হৃদপিন্ড ফেটে যাওয়ার কারণে এমন হতে পারে। মারা যাওয়ার পর আমরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেখেছি। কোথাও আঘাতের কোন চিহ্ন নেই।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, সাতগাড়ী গ্রামে ইসলাম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা গেছে শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের বিলঝলমল গ্রামে সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ সুমি খাতুন (২৫) মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের বিলঝলমল গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৩
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের বিলঝলমল গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সুমি খাতুন (২৫) নিজ ঘরে গতরাতে বিদ্যুতের সুইচ দিতে গিয়ে ঘুমের ঘোরে অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে মহম্মদপুর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই বোনের মৃত্যু
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান ওসি নাসির হোসেন।
ট্রাক চাপায় বিমান বাহিনীর ১ সদস্যের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক চাপায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন সদস্যের (ফায়ার ফাইটার) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত ৮ টার দিকে ঠাকুরগাঁও রোড বাঁধন কাকন ফিলিং স্টেশনের সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সেনা সদস্য নিহত
নিহত শরিফুল ইসলাম (৪৮) বিমান বাহিনীর একজন অফিস স্টাফ ছিলেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী গ্রামের মহির উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মদীনা এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক ঐ সময় বালিয়াডাঙ্গী থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের দিকে আসছিল। শরিফুল ইসলাম মোটর সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী। একটি ভ্যান গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে ট্রাকের নীচে চাপা পড়েন তিনি। গুরুতর আহত শরিফুলকে সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ সড়ক দুর্ঘটনায় দুই চীনা নাগরিকসহ নিহত ৩
যশোরে চিকিৎসকের ‘আত্মহত্যা’
যশোরে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
নিহত ডা. আব্দুস সালাম সেলিম (৫৫) যশোর শহরতলীর নওদাগা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক শামস একই বিভাগের ডাক্তার শাহিনুর রহমান সোহানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সকাল ৯ টায় ডাক্তার সেলিমের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে এক দম্পতির ‘আত্মহত্যা’
শনিবার সকাল ৮ টায় যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিমান অফিসপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে বলে তার স্ত্রী মনিরা বেগম জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সকালে তিনি রান্না করছিলেন। ওইসময় চিকিৎসক সেলিম ঘরের কার্নিশে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিন মাস যাবত ডাক্তার আব্দুস সালাম সেলিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে বগুড়ায় বদলি করা হয়। তিনি সেখানে যেতে চাননি। এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে করছেন স্ত্রী মনিরা।
আরও পড়ুনঃ ফুলবাড়ীতে চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার উপহার দিলেন আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার উপহার দিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইনমন্ত্রীর পক্ষে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল উপহারের অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্ল্যার হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুনঃ বেনাপোল দিয়ে আরও ২০০ টন অক্সিজেন আমদানি
এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুর রহমান, আবাসিক চিকিৎসক শ্যামল কুমার ভৌমিক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মমিন বাবুল, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দিন খাদেম লিটন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাবলু প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ ফোন দিলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী একজন মানবিক মানুষ। করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকেই তিনি নিজ সংসদীয় এলাকা কসবা-আখাউড়ার মানুষের যথাসাধ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নিজস্ব অর্থে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো ক্রয় করে আখাউড়ার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের জনগণকে উপহার দিয়েছেন। তিনি আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার দিবেন বলেন আশ্বাস দিয়েছেন।‘
আরও পড়ুনঃ সিলেটে কল দিলেই মিলছে অক্সিজেন সেবা
সিভিল সার্জন এ জন্য মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই মুহুর্তে মানুষের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন অক্সিজেন সিলিন্ডার। মন্ত্রীর এ উপহার বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।
কুমিল্লায় চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করায় চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় রোগীর স্বজন তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, নগরীর নোয়াগাঁও এলাকার মোজাম্মেল হোসাইন অয়ন, আবদুল্লাহ আল মামুন অনন্ত ও আবদুল কাদের অনিক।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃত্যু, হোমিও ডাক্তার আটক
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার জানান, নগরীর নোয়াপাড়া এলাকার মনিপাল এএফসি হসপিটাল (সাবেক ফরটিস হাসপাতাল) নামের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তানভীর আকবরের ওপর হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো অভিযোগে সোমবার সকালে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। ওই চিকিৎসক নিজেই তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনাকালে অনলাইনে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ ‘সহজ হেলথে’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হোসাইন নামের এক রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা ঢাকার যেকোন হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনরা রোববার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। এরপরও রোগীর স্বজনরা ভর্তির জন্য জোর করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ৫ থেকে ৬ জন মিলে চিকিৎসক তানভীরকে কিল ঘুষি দিতে থাকে। পরবর্তীতে লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করা হয়।
হামলার শিকার ডা. তানভীর আকবর জানান, ‘জরুরি বিভাগে রোগীটি আসার পর চেকআপ করি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সঙ্গে আসা স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাই-ফ্লু ন্যাসাল ক্যানুলা ও আইসিইউ সমৃদ্ধ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তারা হসপিটালে ভর্তির জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে তারা।’
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮৩৬ শনাক্ত, মৃত্যু ১০
তানভীর আকবর আরও বলেন, ‘হামলার সময় আমাকে বাঁচাতে আসলে হাসপাতালের আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের সম্পদের ক্ষতি সাধন করে ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সটকে পড়েন তারা। এ ঘটনায় আমি কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, গ্রেপ্তার তিনজনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, হামলার সময় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া একটি ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন কুমিল্লা সিভিল সার্জনসহ জেলায় কর্মরত চিকিৎসরা।
শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন ৪ হাজার চিকিৎসক আমরা নিচ্ছি, নার্সও ৪ হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
পড়ুন: মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামে ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে একটা অনীহা আছে, তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকা দয়োর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরাই আছেন ৭০ শতাংশ, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
‘ভ্যাকসিনেট কার্যক্রম এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও জেলা-উপজেলা লেভেলে বেশি জোর দিব। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায়না। তাদের টেস্ট করার বিষয়েও জোর দিব,’ বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের ৯০ শতাংশ আসনে রোগী ভর্তি। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টারে আমরা অচিরেই উদ্বোধন করছি। এরপর কোনো ভবনও নেই যে আমরা কিছু করব, হাসপাতাল স্থাপন করব।
পড়ুন: ২১ কোটি টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, লকডাউন দিয়ে যদি মানাতে না পারি, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে তো ভয়াবহ পরিণতি। হাসপাতালে জায়গা হবে না। ইকোনোমিতে অ্যাফেক্ট পড়বে। প্রোডাকশনে অ্যাফেক্ট করে যাবে।
‘লকডাউনের ৩-৪ দিন চলছে, রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ বের হচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়া চলছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। কারণ তাতে লকডাউন ব্রেক হচ্ছে। তারা নিজেদের ক্ষতি করছে,’ বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জরিমানা করা হচ্ছে, জেলেও পাঠানো হচ্ছে তারপরেও এটা মানছে না। কিন্তু এটা মানাতে হবে। এটা ছাড়া দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।’
তিনি বলেন, লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন মানানোর জন্য যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।
চট্টগ্রামে গৃহকমী নির্যাতন, নারী চিকিৎসক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার রেনু নামে এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কিশোরী গৃহকর্মীকে অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি মাথার চুল কেটে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে কলেজ শিক্ষিকা গ্রেপ্তার
ভিকটিম কিশোরীর পুরো শরীরেই নিযাতনের চিহ্ন রয়েছে। চোখ মুখ থেকে শুরু করে গলা, হাত-পিঠ শরীরের কোনও অংশেই বাদ যায়নি নির্যাতন থেকে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পেটানো হতো তাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসক নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীসহ শাবির শিক্ষক গ্রেপ্তার
নির্যাতিতার এক আত্মীয় বলেন, কাজল দেওয়ায় চোখে মেরেছে আর গলায়ও আঘাত করেছে। গলায় দাগও রয়েছে।
নাহিদা আকতার রেনু নামের ওই নারী চিকিৎসকের শিশু সন্তান গৃহপরিচারিকা কিশোরীর মাথায় হাত লাগিয়ে সেই হাত পুনরায় মুখে দেয় বলে জোরপূর্বক তার চুলও কেটে দেওয়া হয়। সবশেষ কাজল দেওয়ার অপরাধে আঘাত করা হয় ওই কিশোরীর চোখে। পরে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গৃহপরিচারিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি নারী চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীতে দম্পতি আটক
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ শোনা মাত্র আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে অভিযুক্ত ডাক্তার নাহিদা আকতারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।’
নির্যাতনে অসুস্থ কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রাতে গৃহকর্মী তাসলিমার বাবা আব্দুল গণি একটি মামলা দায়ের করেন।