চিকিৎসক
চট্টগ্রামে রাবার ড্যামে ডুবে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভূজপুর রাবার ড্যামে ডুবে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২২) নামের নগরীর এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার ভূজপুর হালদা খালের রাবার ড্যামে এ ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহিম চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ি রাবেয়া রহমান গলির মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম এম ই.এস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সফিবাদ গ্রামে।
আরও পড়ুনঃ ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদের দিন পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যুজানা গেছে, কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ভুজপুর রাবার ড্যামে ঘুরতে যায় ইব্রাহিমরা। অসাবধানতায় পা পিছলে নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ সুনামগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস পানিতে ডুবে নিহত ১
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক নেতা মহসীন কাজী জানান, ‘ইব্রাহিম বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে বেড়াতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হলো।‘
শেরপুরে চিকিৎসক-নার্স সংকট, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
শেরপুরে চিকিৎসক, নার্স, লোকবলের সংকটে ধুকছে জেলার সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। পাঁচ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালগুলোর অবস্থাও একই। এই অবস্থায় অবিলম্বে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও লোকবল সংকট নিরসন করে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চীনের ২০ হাজার ৮শ ডোজ টিকা পেল শেরপুর
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও আর্থিক অনুমোদন না মেলায় ১০০ শয্যার বরাদ্দ দিয়েই চালাতে হচ্ছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৯ জন। অথচ ১০০ শয্যার জন্যই চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ সংখ্যা ৩৬ জন। গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগের তিন চিকিৎসকের সবগুলো পদ খালি, চার মেডিকেল অফিসারের দুই পদই শূন্য। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১০টি পদও শূন্য রয়েছে। নার্সের ৮৯টি পদের মধ্যে শূন্য পদের সংখ্যা ১৭টি। এছাড়া আয়া, ওয়ার্ড বয়, পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সংকট রয়েছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই চিকিৎসক আট নার্সসহ ১৭ জন স্টাফ আইসোলেশনে রয়েছেন। তাছাড়া অন্য চার উপজেলার কোন হাসপাতালেই পাঁচ থেকে ছয় জনের বেশি চিকিৎসক নেই। যেখানে অনুমোদিত চিকিৎসকের পদ সংখ্যা ১৪ জন করে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৪২
হাসাপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন জানান, শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নেয় এবং ইনডোরে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী ভর্তি থাকে। তার মধ্যে বতর্মানে ১০০ বেডের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। ১০০ শয্যার বরাদ্দ দিয়ে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল চালাতে গিয়ে ভর্তি রোগীদের ওষুধ ও খাবারের যোগান দিতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির আহবায়ক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিকিৎসক-নার্স ও লোকবলের অভাবে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীরা। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এতে অনেক সময় তাদের আচরণও রুক্ষ হয়ে ওঠছে। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। এখন জেলার হাসপাতালগুলো যেন রেফার্ড হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে একদিনে ১৪ মৃত্যু
হাসপাতাল সূত্রগুলো জানায়, করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অক্সিজেনের সংকট না থাকলেও আইসিইউ না থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের নিবিড় পরিচর্যা করা যায় না। সেক্ষেত্রে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নেওয়ার পথেই কয়েকজন রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। তিনটি ভেন্টিলেটর এবং চারটি হাইফ্লো নজেল ক্যানুলা থাকলেও লোকবলের অভাবে সেগুলো ঠিকমতো চালু করা যাচ্ছে না।
চিকিৎসকরা জানান, এমনিতেই চিকিৎসক এবং লোকবলের সংকট রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন কিংবা হাইফ্লো নজেল ক্যানুলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হলে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা সংকট আরও বাড়বে। এজন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় মুহূর্ত ছাড়া সেগুলো ব্যবহার করা যায় না।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
চিকিৎসক, নার্স ও লোকবল সংকটের কারণে হাসপাতালে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে না পারার কথা কথা স্বীকার করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বারবার অবহিত করা হলেও শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। চিকিৎসক ও লোকবল পেলে হাসপাতালের সেবার মান আরও বাড়বে এবং কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে সংকটের মধ্যেও করোনা রোগী এবং সাধারণ রোগীদের যথাসম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
খুলনায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
খুলনায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় আবু সুফিয়ান নামে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শিশু মো. আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়খালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায়’ শিশু মৃত্যু: চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবিতে নাটোরে মানববন্ধন
শনিবার সকালে পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ক্লিনিকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা ও জরিমানা করেন।
নিহত শিশুর বাবা আবদুস সালাম বলেন, ‘ছেলের পেটব্যথা। তাকে নিয়ে এসেছিলাম এখানে। ডাক্তার বলেন, অ্যাপেন্ডিসাইটিস হইসে। অপারেশন করতে হবে। ছেলেকে অপারেশন করার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টায় ভর্তি করাইসি। বিকেল ৫টার দিকে ডা. ফারুক আমার ছেলের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে ছেলের হুশ ফেরে নাই। ভোর রাতেও না ফেরায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।'
আরও পড়ুন: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে ৩ শিশু নিখোঁজ
আব্দুস সালাম বলেন, পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তারা তাড়াহুড়া করে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তৎক্ষণিক ছেলেটি মারা যায়। তবু তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য মৃত শিশুকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে পাইকগাছা বাজারের লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে ইউএনও এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ভুল চিকিৎসায় তাদের কোনও অভিযোগ নেই মর্মে থানায় লিখিত দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লিনিকটিকে সিলগালা ও জরিমানা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.বি.এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্লিনিকে একটি শিশু মারা গেছে, এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির পরিবারকে বলেছি কোনো অভিযোগ থাকলে জানাতে। কিন্তু তার পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই, এমনটা লিখিত দিয়েছে।’
ইউএনও জানান, ক্লিনিকের নেই কোনো লাইসেন্স, যে রোগী মারা গেছে, তার অপারেশন কে করেছে, সেই তথ্য নেই। ওটি নোট ও নেই। এ কারণে ক্লিনিকটিকে সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।
লিভার রোগ নিয়ন্ত্রণে শরীর চর্চার বিকল্প নেই: বিশেষজ্ঞ
কুমিল্লা লিভার ক্লাবের উদ্যোগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ন্যাশ(নন-এ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস) দিবস পালন করা হয়। এই বছরের প্রতিপাদ্য ছিল "ফ্যাটি লিভারের ভয়াবহতা, প্রতিকার ও করণীয়"। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লিভার রোগ নিয়ন্ত্রণে শরীর চর্চার বিকল্প নেই।
শুক্রবার অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ছাড়ালো
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও কুমিল্লা লিভার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মোহাম্মদ ইজাজুল হক। মূল বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ও কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফরহাদ আবেদীন।
অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই রোগের ভয়াবহতাও এই লিভার রোগটির সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য নিয়মিত খাদ্যাভাস ও জীবন ধারা পরিবর্তনের উপর জোর দেন। বিশেষ করে কাচা লবণ, চিনি, ভাত, গরু, খাসির মাংস বেশী পরিমাণে না খেতে কিংবা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হলে না খেতে উপদেশ দেন। তাছাড়া নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে ক্যালরি বার্ন করে শরীরকে সুস্থ রাখারও পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ফাইজারের ১ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিএমএ ও স্বাচিপের সভাপতি ডা. আব্দুল বাকী আনিস, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ, লাইন ডিরেক্টের(নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকার অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীন, বিএমএ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আতাউর রহমান জসিম, সমাজসেবা অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লা আল ফারুক, কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সহ-সভাপতি লুতফুল বারী চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সের সাথে করা চুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, জাতীয় পুষ্টিসেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা ও কুমিল্লা লিভার ক্লাবের প্রচার সম্পাদক ডা. গাজী আহমদ হাসান তুহিন।
অনুষ্ঠানটির স্পন্সরিং পার্টনার বেক্সিমকোর পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মো. নূরে আলম ও আবুল খায়ের মো. মাহবুব।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা লিভার ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর গত ৩ বছরে ৪ হাজার মানুষের ফ্রি হেপাটাইটিস বি স্ক্রিনিং করাসহ ২০০ হেপাটাইটিস রোগীরকে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। স্বল্পমূল্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন মানুষকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা প্রদান সহ ফ্রি কন্সাল্টেন্সি দিয়ে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে পাগলু, নছিমন মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৬
ঠাকুরগাঁওয়ে পাগলু ও নসিমনের মুখোমুখি সংর্ঘষে ২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৬ জন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
পুলিশ ও প্রত্যক্ষর্দশীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী থেকে যাত্রী নিয়ে একটি থ্রি-হুইলার (পাগলু) জেলা শহরের দিকে আসার পথে সদর উপজেলার পল্লীবিদ্যুত এলাকায় পৌঁছালে অপরদিক থেকে আসা একটি নসিমনের সাথে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে ১ জন মারা যায়। আহত হয় থ্রি-হুইলারের ৭ যাত্রী। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল আলম জানান, আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
তাৎক্ষনিকভাবে ১ জন নিহত ব্যক্তি বগুড়া জেলার ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। বাকিদের নাম ঠিকানা এখনও পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে শিশুর জন্ম, নবজাতককে রেখে মা চলে গেলেন!
চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে মোহাম্মদ নামে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। ১৫ দিন বয়সী এই নবজাতকের এমন বিরল প্রজাতির টিউমার দেখে তার মা তাসলিমা আক্তার ওই নবজাতককে রেখে বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
এদিকে এই নিষ্পাপ অবুঝ শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার অসহায় চাচা ও ফুফুরা।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ও শহরতলীর দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গর্ভ থেকে এই মোহাম্মদ নামের শিশু জন্মগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
শিশুর বড় চাচা সুমন গাজী জানান, তার দিনমজুর ছোট ভাই মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গত ১৩ মে চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর পরই চিকিৎসকরা ওই শিশুর পেটের সাথে সংযুক্ত এই বিকলাঙ্গ, বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখতে পান। সবাই অবাক ও বিস্মিত হয়ে যান! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, শিশুটির এমন বিকলাঙ্গ বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখে গর্ভধারিনী মা তাসলিমা আক্তার এক ফাঁকে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখেই তার বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে শিশুর স্বজনরা শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টায় এখান থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:প্রসবের পর নবজাতককে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেলেন মা
সুমন গাজী আরও জানান, শিশু হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জানিয়েছেন, শিশুটির পেটের সাথে সংযুক্ত বিরল প্রজাতির বিকৃত আকারের যে অংশটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে ক্যাস্ট্রোলা টিউমার। ভালো এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার অপারেশন করালে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে ওই হাসপাতলে শিশুটিকে তিন মাস রেখে চিকিৎসা করানোর পর তার অপারেশন করানো যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের আথির্ক সামর্থ্য না থাকায় তারা শিশুটিকে সেখান থেকে পুনরায় চাঁদপুরে নিয়ে আসেন। এখানে তারা শিশুটিকে নিয়ে কখনো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কখনো বিভিন্ন চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই বিরল প্রজাতির টিউমার নিয়ে জন্মানো শিশুটির পরিবারের আবেদন, কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি শিশুটির চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতার হাত দয়া করে বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেন, তাহলে হয়তো সঠিক চিকিৎসা সেবা ও অপারেশনের মাধ্যমে এই নিষ্পাপ শিশুটি কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
আর্থিক সহযোগিতার জন্য ০১৮২৫১৭৫৪১১ এই বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানো এবং যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।
যোগাযোগ করলে, স্থানীয় চাঁদপুর পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
চিকিৎসকদের ছয় মাস বিনামূল্যে ৩৩ জিবি করে ডাটা দেবে রবি
করোনা মহামারী মোকাবিলার অগ্রণী সৈনিক চিকিৎসকদের সম্মানে স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নিবন্ধিত চিকিৎসকদের জন্য আকর্ষণীয় ডাটা অফার দিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি।
রবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, অফারটির আওতায় রবি ও এয়ারটেলের নেটওয়ার্কে আগামী ছয় মাসের জন্য প্রতি মাসে বিনামূল্যে ৩৩ জিবি ডাটা উপভোগ করতে পারবেন চিকিৎসকরা।
রবি-এয়ারটেল সংযোগ ব্যবহারকারী চিকিৎসকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অফারটি উপভোগ করবেন। অন্য অপারেটরের সংযোগ ব্যবহার করা চিকিৎসকরা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবার মাধ্যমে অথবা নতুন রবি বা এয়ারটেল সংযোগ কিনে অফারটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: জুনের পর অবৈধ ও নকল মোবাইল সেট বন্ধ: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ইউএসএসডি কোড *২১২*৯০০০# ডায়াল করে অফারটি চালু করতে নির্ধারিত চিকিৎসকদের এসএমএস দিয়ে জানানো হবে। যেসব চিকিৎসকরা নতুন রবি-এয়ারটেল সংযোগ অথবা এমএনপি সেবা পেতে চান তারা প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য ০১৮১৯৪০০৪০০ নম্বরে ডায়াল করতে পারবেন। চিকিৎসকদের সুবিধাজনক স্থানে সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত রবি’র প্রতিনিধিরা।
এছাড়া জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে #থ্যাঙ্কইউলাইফসেভারস নামে একটি ক্যাম্পেইন চালু করেছে রবি। এই হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে যে কেউ চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার গল্পগুলো শেয়ার করতে পারেন। এই গল্পগুলো কোভিড-১৯ এর সাথে লড়াইয়ে তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মীরেরডাঙ্গা সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতাল নিজেই এখন অসুস্থ!
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র মীরেরডাঙ্গার সংক্রমক ব্যাধি (আইডি) হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবত নানা সমস্যায় জর্জরিত।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ মাসুদ পারভেজ মারা গেছেন
বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা. মাসুদ পারভেজ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর মেহেদীবাগস্থ বাসায় নামাজ পড়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.এখলাছ উদ্দিনের বড় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর জামাতা দিলশাদ মারা গেছেন
শুক্রবার সকাল ১০টায় মেডিকেল কলেজ মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা, বেলা ১১ টায় সীতাকুণ্ড সরকারি স্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাজা ও বাদ জুমা বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের বহরমপুর নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ডা. মাসুদ পারভেজের এ আকষ্মিক মৃত্যুতে তার কর্মস্থল চমেক হাসাপাতালের সকল সহকর্মী চিকিৎসক-শিক্ষার্থী, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকাভিভুত হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন কবরী
এদিকে ডা.মাসুদ পারভেজের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরীসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতারাও গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
করোনা পরিস্থিতে চলমান 'লকডাউনে' এক ডাক্তারের আইডি কার্ড দেখতে চাওয়া নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, ওই ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি। তাদের এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা ও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন। এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও এক চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত।আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়া সমীচীন হয়নি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আনফরচুনেটলি ওই ঘটনা ঘটেছে। তখন আদালত উভয়পক্ষের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখতে বলেন।
এর আগে, রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়, যা এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বিতন্ডায় রূপ নেয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয় এবং দিনভর এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। দুই পেশার নেতারা নিজেদের সহকর্মীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ‘নিগ্রহ’ ও ‘হয়রানির’ শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন- বিএমএ। পাশাপাশি ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে পুলিশের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। একই সাথে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে ডা. জেনির আচরণে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, ওই চিকিৎসক গোটা পুলিশ বাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন।