চিকিৎসক
চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ওই ঘটনা নজরে আনেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, রবিবার একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
তখন আদালত বলে, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তারা আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আদালতের কাছে উপস্থাপন করি।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আসতে হবে।
রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
সেসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেন? আমরা প্রশাসনের লোক। ১০০ বার আপনার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইতে পারি।’
এরপর চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।’
তখন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমিও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি?’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমি শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বলেই তোমরা পুলিশ হয়েছ।’
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করেননি।’
চিকিৎসক জেনি গাড়িতে উঠতে উঠতে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তখন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘কোনো ডাক্তার হয়রানি হচ্ছে না।’
এরপর গাড়ি রাস্তার একপাশে নিয়ে তিনি (চিকিৎসক জেনি) কেন খারাপ ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই-তুকারি করতে পারেন না। জীবন আমরাও দিচ্ছি। আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা কি ভাইসা আসছি?’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’
তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রোন আছে। তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে তুই পুলিশ
চিকিৎসক জেনি দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশকে সরি বলতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সরি বলেছে কি না, তা জানা যায়নি।
চিকিৎসক-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে চলমান ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
‘ফোন করলেই ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি’
‘এই নম্বরে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে।
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাট সদর হাসপাতাল চত্বরে এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক।
আয়োজকরা জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যতিক্রমী এই স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অধীনে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মিরাজুল করিম চারটি মেডিকেল টিম পরিচালনা করবেন। কোনো রোগী যদি হাসপাতালে আসতে ভয় পান তাহলে ০১৭৩০-৩২৪৭৯৩ এই নম্বরে ফোন করলে চিকিৎসক টিম রোগীর বাড়িতে যাবে। রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ ও ওষুধ প্রদান করা করবেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করল আইওএম
বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের উদ্যোগে করোনা সংক্রমণের প্রথম ধাপে `ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার‘ এই স্লোগান নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা সেবা চালু করেছিলাম। করোনা সংক্রমণের এই দ্বিতীয় ঢেউয়েও মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত ও সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগীদের হাসপাতালে আগমন নিরুৎসাহিত করতে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় আপাতত বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার মানুস বাড়িতে বসে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল উপজেলায় এই সেবা চালু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে যানচলাচল সীমিত করা হয়েছে। যার ফলে অনেক রোগী হাসপাতালে আসতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে ওই রোগী একদিকে বাড়িতে বসে চিকিৎসা পাবেন। তিনি যদি সংক্রমিত হয়েও থাকেন, তার মাধ্যমে আর কারও মাঝে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে না। এই উদ্যোগের ফলে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ সঠিক চিকিৎসা পাবেন এবং করোনা সংক্রমণ রোধেও ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: দেশে সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে শেখ হাসিনা সংকল্পবদ্ধ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক বলেন, এই নম্বরে ফোন করি, ডাক্তার যাবে রোগীর বাড়ি। এর মানে হচ্ছে ওই নম্বরে ফোন করা হলে ডাক্তার রোগীর বাড়ি গিয়ে সেবা দিয়ে আসবেন। এটা বাগেরহাটবাসীর জন্য একটি বড় অর্জন।
এসময় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক দেব প্রসাদ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার রিজাউল করিম, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীব বকসি, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মিরাজুল করিমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরে আইসিইউতে চিকিৎসক ও যন্ত্রাংশের অভাবে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসক সংকট আর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে করোনা রোগীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, যতোটুকু সামর্থ রয়েছে তার সবটুকু দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালটিতে ১৬ বেডের আইসিইউ ইউনিটের জন্য চিকিৎসক থাকার কথা দুই সিফটে ২৪ জন। বর্তমানে সেখানে রয়েছে ৯ জন। অন্যদিকে আইসিইউ বেডের ১৬টির মধ্যে মনিটর স্বচল রয়েছে ১০টির, এছাড়াও ভেন্টিলেটর স্বচল ৮টির। এই ওয়ার্ডে গুরুতর করোনা রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এই স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক আর প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে জরুরি চিকিৎসা পেতে আসা রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি: আইসিইউ বেড ও বিশেষজ্ঞের সঙ্কট
ফরিদপুর জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এ জেলা ছাড়াও বৃহত্তর ফরিদপুরের অনেক মানুষের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল ৫১৭ বেডের এই হাসপাতালটি।
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গত ৭ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৭ জন, মারা গেছে ১৭ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৩৭ জন। বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৬৮ জন। এর মধ্যে শুধু সদর উপজেলাতেই রয়েছে ৫ হাজার ৭৬১ জন আর মারা গেছেন ৯২ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর মৃত্যু
এতো সমস্যার পরেও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবাকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ডের নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আইসিইউ ওয়ার্ডের সেবিকা জুথিকা বিশ্বাস বলেন, ‘করোনার সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের সেবা দেয়া হয় এই ওয়ার্ডে, আমরা সকলেই সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। স্বল্প সংখ্যক জনবল আর যতোটুকু চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ ডা. আনন্ত কুমার বিশ্বাস হাসপাতালের নানান সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আইসিইউ ওয়ার্ডের করোনা রোগীর চাপ অনেক বেশি, সেই তুলনায় চিকিৎসক নেই। যেখানে প্রয়োজন ২৪ জন চিকিৎসক সেখানে মাত্র ৯ জন চিকিৎসক রয়েছে। করোনা ওয়ার্ড ছাড়াও অন্য ওয়ার্ডগুলোর একই অবস্থা।’
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে চিকিৎসক, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানেলা, মনিটর ও ভেন্টিলেটর পেলে আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতাল শুধু ফরিদপুর নয়, পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোরও করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে রোগী বাড়ছে। প্রতিদিনই রোগীদের আইসিইউ বেডের চাহিদা রয়েছে কিন্তু আসন না থাকায় বাধ্য হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মহামারি এই করোনার সময়ে বিপুল সংখ্যক রোগীদের জন্য আরও চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
করোনার এই দূর্যোগের সময়ে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরণব্যাধী করোনা রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, শুধু ফরিদপুর নয়, দেশের দক্ষিণবঙ্গে অনেক রোগী এই হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসে। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে এখানে আইসিইউ আসন বৃদ্ধি ও সেবাকাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে হবে।
খুলনায় চিকিৎসকের ওপর হামলা: সেবা বন্ধের আল্টিমেটাম
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ডা. সুমিত পালের ওপর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টাকারী গ্রেপ্তার না হলে জেলার সকল চিকিৎসা কার্যক্রম (ইনডোর, আউটডোর ও প্রয়োজনবোধে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা) বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)।
বুধবার দুপুরে চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবিতে খুলনা বিএমএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসক নেতারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা আটক
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় খুলনা বিএমএ ভবনের কাজী আজহারুল হক মিলনায়তনে কার্যনির্বাহী সভায়ও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগঠনটি। সভা থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসামি গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবিতে তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খুলনা করোনা হাসপাতালে এক বছরেরও অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হয়নি
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে খুলনা জেলার সকল চিকিৎসা কার্যক্রম (ইনডোর, আউটডোর ও প্রয়োজনবোধে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসা) বন্ধ ঘোষণা করা হবে। পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া পর্যন্ত সকল চিকিৎসক কালো ব্যাচ ধারণ করবেন।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৭টার পর খুলনায় বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে রোগীর মৃত্যুতে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমিত পালকে রোগীর স্বজন দ্বারা প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।
পঞ্চগড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের ধারাল ছুরির আঘাতে বড় ভাই রবিউল আলম (৪২) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের লালগছ গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, আটক ১
রবিউল আলম ওই এলাকার সারাফত আলীর ছেলে। ঘটনার পর ছোট ভাই ফিরোজ হোসেন (৩২) পালাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রবিউল আলম পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি যায়। রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে এক পর্যাযে ফিরোজ ধারাল ছুরি বের করে রবিউলকে এলোপাতাড়ি জখম করে। রবিউল রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। রবিউলের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ফিরোজ পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাই খুন
পুলিশ আরও জানায়, পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা দ্রুত রবিউলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাউসার আহমেদ রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি আবু ছায়েম মিয়া বলেন, ফিরোজ তার ভাইকে মেরে পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহীতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে চিকিৎসকের মৃত্যু
রাজশাহীতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে সোমবার এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে, দুই সপ্তাহে ৩ শিশুর মৃত্যু
খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে জ্বর, ঠান্ডা ও সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা গেছে ৩ শিশু।
ময়মনসিংহে চিকিৎসকদের ধর্মঘট
জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ডাকে ময়মনসিংহে চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছে।
করোনাভাইরাসে চমেক চিকিৎসকের মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত, চিকিৎসকের কার্যালয়ে তল্লাশি
ডিয়েগো ম্যারাডোনার এক চিকিৎসকের বাসা ও কার্যালয়ে রবিবার তল্লাশি চালিয়েছে আর্জেন্টিনার পুলিশ।