চিকিৎসক
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই চিকিসকরা রোগী দেখতে পারবেন।
তিনি জানান, সরকারি ইন্সটিটিউটের প্র্যাকটিসের কথা বলা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্র্যাকটিস করতে পারে।
এছাড়া কারা কতক্ষণ, কিভাবে প্র্যাকটিস করবে সেটি বাস্তবায়নে একটি টিম গঠন করেছি, তারা আমাদের অবহিত করবেন।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যখাতের কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্চ মাস থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু হবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে ৫০টি উপজেলা ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল এর আওতাভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এতে রোগীরা বেশি চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া পহেলা মার্চ থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে চাচ্ছি।
ফি কি বেশি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে যে ফি তারা নেন, সেক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কম ফি নেবেন বলে আশা করি। বাইরে যা ফি হয় তার চেয়ে কমই হয়ত গ্রহণ হবে। চেম্বারে বসে যে পরামর্শ দেয়া হয় সেগুলো তারা দেবেন। সেটা অফিসের কর্মঘন্টার পর। সেখানে কাজ করার জন্য আমরা অবশ্যই তাদের তাগিদ দেবো। তারা প্রায়য়োরেটি পাবেন।
তিনি আরও বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। যাবতীয় যা কাজ আছে করবে। এর বাইরে যদি সময় পায় তাহলে তারা কাজ করবে। এখানে সময় দিলে সেভাবে বাইরে সময় দিতে পারবে না। এখনও বাইরে প্র্যাকটিস করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব আশা করি। প্রাইভেট প্র্যাকটিস নতুন কনসেপ্ট না। শুরু করতে গাইডলাইন লাগবে, সেখানে সময়, অর্থ সব নিয়ে কাজ শুরু করব।
এছাড়া কাজ করার মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটি সমাধান করব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় আমরা প্রতিনিয়ত কিছু উন্নয়নের চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের কর্ণিয়া ও কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সেখানকার সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কিছুদিন আগে তারা লিভার প্রতিস্থাপনও করেছেন, যেটি একটি মাইলফলক। মানুষ এসব চিকিৎসার জন্যই বিদেশে যায়। মৃত্যুর পর যদি কিডনিটা দিয়ে যেতে পারেন, সেটা যদি মৃত্যুর আগে বলে যান তাহলে সেটি অন্য একজন মানুষের জীবন রক্ষা পেতে পারে। একজন মৃত ব্যক্তি মারা গেলে কয়েক ঘন্টা পর কিডনি অকেজো হয়ে যাবে, তাই সেটি দান করে একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। আমরা চাচ্ছি কিডনি প্রতিস্থাপন আরও জোরদার হবে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করছি। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা আছে কিভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায় এবং মানুষের বিদেশে যেতে না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাগভিত্তিক জায়গাগুলোতে যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। বরিশাল বিভাগে গিয়ে যে সমস্যাগুলো দেখেছি, সেগুলো সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে এসেছি। তবে সঠিক তদারকি হলে ভালো কাজ হবে। আমাদের দুর্বল জায়গা হলো উপজেলা হাসপাতালগুলো। আমরা ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিলেও ঘাটতি কমেনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় মেডিকেল কলেজের ডরমেটরিতে থেকে লাশটি উদ্ধার করেন তার সহকর্মীরা।
মৃত ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ২৪ ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আজাদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, গতকাল রাতে সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠিয়েছি। এ মুহুর্তে ঠিক বলতে পারছি না কি কারণে আত্মহত্যা করেছে। তবে আমরা তদন্ত করছি। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবো। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসুক। তারপর হয়তো এই চিকিৎসকের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা পাবো।
ওসি আরও জানান, ওই কক্ষ থেকে 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়' লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।
এদিকে সহকর্মীরা জানান, নিহত চিকিৎসক ডা. মিনহাজ উল করীম ভূঁইয়া একা থাকতেন। দরকার না হলে কথা বলতেন না কারও সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
দেশের কারাগারগুলোতে শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ পালন না করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এদিকে ২৪ জানুয়ারি সশরীরে হাজির হয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
রিটকারী আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, একাধিকবার সময় নিয়েও কারাগারের শূন্য পদে ৪৮জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়নি।
কারাগারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের দাবিতে আইনজীবী জে আর খান রবিন হাইকোর্টে রিট করেন ২০১৯ সালে। পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুন এক আদেশে হাইকোর্ট সারা দেশের সব কারাগারে বন্দিদের ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
ওই নির্দেশ অনুসারে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে কারামহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন ১০ জন।
ওই প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্ট কারাগারগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের মধ্যে ১১২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন জানান, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪১টি কারা চিকিৎসকের শূন্য পদে চিকিৎসক আছেন মাত্র চারজন। যে কারণে শূন্য পদগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগে আদালতের আগের আদেশ বাস্তবায়নের অবস্থা জানানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি।
এছাড়া ১৫ নভেম্বর আদালত আগের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।
আর এ বিষয়ে কারা মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন দিতে মৌখিকভাবে আদেশ দেন।
ওই আদেশ অনুসারে ১৩ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক একটি প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৬৮টি কারাগার ও একটি ২০০ শয্যার কারা হাসপাতালে বিভিন্ন স্তরের মোট ১৪১ সংখ্যক চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে। কারা হাসপাতালে ১৪১টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে প্রেষণে ও সংযুক্ত মিলিয়ে মোট ৯৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
পরে আদালত বাকি ৩৮টি শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের আদেশ ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের আদেশ দেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন না করায় মঙ্গলবার ডিজিকে তলব করা হয়।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
রিতা দেওয়ানের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাহত এসআই বিপদমুক্ত নয়: চিকিৎসক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) এখনও শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রবিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পুলিশের এসআইয়ের মৃত্যু
তিনি জানান, নিহতের বুকে, বাম হাতের নিচে ও হাতে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাকে জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল এবং তিনি এখনও বিপদমুক্ত নন।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় কর্মরত আহত উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহকে রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় র্যাবের একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রবিবার দুপুরের দিকে বেহাইর গ্রামে সাইদুল ইসলাম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী তার মা-বাবাকে ঘরে বন্দি করে আগুন দিতে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে তাকে আটক করতে গেলে হামলার শিকার হন উপপরিদর্শক আতিকুল্লাহ।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
পিকআপভ্যানের চাপায় ডেমরা থানার এসআই নিহত
রাজশাহীতে মিলছে এক টাকায় এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা
রাজশাহীতে এক টাকায় মিলছে এমবিবিএস চিকিৎসকের সেবা। নগরীর সাহেব বাজারে এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখছেন এক চিকিৎসক।
ডা. সুমাইয়ার বাড়ি রাজশাহীর সাহেব বাজারে। তিনি নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান সরকারি কলেজের প্রভাষক মীর মোজাম্মেল আলীর মেয়ে।
সুমাইয়া ২০২০ সালে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ডা. সুমাইয়ার এই মহান উদ্যোগ নেন বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করে ইন্টার্ন শেষ করে প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে চাকরির পাশাপাশি বিসিএস প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। আর এর পাশাপাশি করছেন জনসেবা।
আরও পড়ুন: উন্নত সেবা দিতে থানাগুলোকে 'সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার' বিবেচনা করুন: আইজিপি
৮ জানুয়ারি থেকে এক টাকায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তিনি। প্রচারের জন্য পোস্টার ছাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে। ডা. সুমাইয়া পোস্টারের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপরেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন জানানো হয় তাকে।
সুমাইয়ার পোস্টারে লেখা, ‘মাত্র এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখা হয়। রোগী দেখবেন ডা. সুমাইয়া বিনতে মোজাম্মেল (এম.বি.বিএস)। রোগী দেখার সময় শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। সেই পোস্টারে রয়েছে মুঠোফোন নম্বরও।’
বিষয়টি সবাইকে জানাতে পোস্টারের ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। এতে বলা হয় ‘আব্বুর জনসেবার ছোট্ট একটা ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা।’ এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
চিকিৎসা নিতে আসা দিসা রানি জানান, লোকমুখে শুনে গিয়েছিলাম চিকিৎসা নিতে। তিনি অনেক ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। সবাই প্রশংসা করছে। এতে করে গরীব মানুষের অনেক উপকার হবে। তিনি আমার কাছে সব কথা শুনলেন। কথাবার্তা ভালো বলেছেন। ভিজিটের এক টাকা একটি মাটির ব্যাংকে রাখতে বললেন।
ডা. সুমাইয়া বলেন, বাবার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি। বাবার ইচ্ছে ফ্রিতে যেনো চিকিৎসা সেবা দিই। বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিতে অনেক রোগীরা ইতস্তত বোধ করবেন তাই এই এক টাকার ভিজিট। আমার অন্য দুই বোন এখন গর্ভবতী। সন্তান প্রসবের পর তারাও এ চেম্বারে বসবেন। আমার মতো অন্য দুই বোনও এক টাকায় সেবা দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তার বাবা মীর মোজাম্মেল আলী বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু তিন মেয়ে চিকিৎসক হয়েছে। এখন আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিন মেয়ে এক টাকা ভিজিটে রোগী দেখতে রাজি হয়েছে। ইতোমধ্যে এক মেয়ে শুরুও করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
হাসপাতালে অস্ত্র ঠেকিয়ে চিকিৎসকের টাকা ও মুঠোফোন ছিনতাই, আটক ১
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের এক উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসকের নাম আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৩ সদস্য আটক
তিনি ছাড়াও রাতে জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন আঁখি বিশ্বাস নামের এক নারী চিকিৎসা কর্মকতা ও এক সহকারী। তবে তাদের কাছ থেকে কিছু নেয়নি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার দুপুরে মো. রনি (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড হাউলিকেউটিল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল গনির ছেলে। তার কাছ থেকে মুঠোফোনটি উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, রবিবার রাত ১১ টার দিকে জরুরি বিভাগের পাশের কক্ষে ডা. আঁখি বিশ্বাস এবং আরেক কক্ষে তিনি বিশ্রামে ছিলেন। সাড়ে ১১ টার দিকে দুই তরুণ আমার কক্ষে প্রবেশ করেন। কারণ জানতে চাইলে তাকে (চিকিৎসক আজাদ) চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার কথা বলেই মাথায় পিস্তল ঠেকায়। তিনি ধাক্কা দিলে পিস্তল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আহত হন। কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে অপরজন ধারালো চাকু বের করে তার মুঠোফোন ও নগদ ছয় হাজার ১৪০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তারা দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এদিকে এর আগেও হাসপাতালে একাধিকবার চুরি ও চিকিৎসকদের কক্ষের তালা ভাঙ্গার ঘটনায় চিকিৎসকসহ সকলের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল ৯টার পর থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত বর্হিবিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রায় বন্ধ থাকে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক রোগী চিকিৎসা বঞ্চিত হন।
দৌলতদিয়া থেকে আসা রাকিবুল ইসলাম নামের এক তরুণ বলেন, সকালে প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোন চিকিৎসক পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানান, এর আগেও হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের তার দুইবার কেটে নেয়া, চিকিৎসকদের কক্ষের তালা ভেঙে প্রবেশ করা এবং আরএমও'র অফিস কক্ষ থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা থাকলেও প্রতিটি ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরার মাদারবোর্ডের পাওয়ার সুইচ প্লাক খোলা ছিল। এর সঙ্গে হাসপাতালের কোন চক্র জড়িত রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, একের পর এক দুর্ঘটনা এবং রবিবার রাতে হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ায় চিকিৎসকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে ওসির উপস্থিতিতে সিসি ক্যামেরার মাদার বোডের পাওয়ার প্লাক খোলা দেখতে পাওয়া যায়। চিকিৎসক জীবনে এমনটি আগে দেখিনি।
এছাড়া সকালে চিকিৎসকদের সঙ্গে করণীয় বিষয়ে বৈঠকে বসলে সাময়িক সময়ের জন্য চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, দ্রুততার সঙ্গে রহস্য উদঘাটনে অভিযান কার্যক্রম শুরু করেছি।
ইতোমধ্যে দুপুরে জড়িত থাকার অভিযোগে হাউলিকেউটিল এলাকা থেকে মো. রনি (২৭) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করি রহস্য উদঘাটন এবং অপরজনকেও আটক করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক ২
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সৌদি প্রবাসী আটক
বুয়েট ছাত্র ফারদিনের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন: ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনি জানান, ফারদিনের দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, তারা ফারদিনের মৃত্যুর পেছনের সূত্র ও সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ফারদিনের বাবা নুরউদ্দিন রানা বলেন, সোমবার ফারদিনের মৃতদেহের কথা জানিয়ে পরিবারের কাছে ফোন আসে।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর সোমবার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ
মনিরুজ্জামান বলেন, ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ফারদিন। ফোনেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
পরে তার বাবা রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সোমবার বিকালে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের ঠিক পেছনে নদীতে লাশটি ভাসতে দেখা যায়।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ বন্ধুর রিমান্ড মঞ্জুর
নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
ফের ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আবারও ৭২ ঘণ্টার (তিন দিনের) কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন।
আরও পড়ুন: রামেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে রাবি প্রশাসন
এছাড়া কর্মবিরতি চলাকালে প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বিএমএর সাধারণ সম্পাদক নওশের আলী, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. খলিলুর রহমান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মামলা রেকর্ড করে তিনদিনের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচী দেয়ার ঘোষণা দেন ডা. ইমরান।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কে জি এম শাহরিয়ার হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে যান। এরপর দ্রুত তাকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান রাবির শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে রাত ১২টার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা সবাই একযোগে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতাল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শেষে শুক্রবার সকাল থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইমরান হোসেন। এ সময় হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
শুক্রবার সকাল থেকে কাজে যোগ দেন ইন্টার্নরা। তবে মামলা রেকর্ড না হওয়া এবং কাউকে গ্রেপ্তার না করায় নতুন করে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়মিত উদ্বেগ মূল্যায়ন করা উচিত: বিশেষজ্ঞ দল
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ৬৫ বছরের কম বয়সী সকল প্রাপ্তবয়স্কদের উদ্বেগ বিষয়ে নিয়মিত মূল্যায়ন করা উচিত বলে একটি প্রভাবশালী স্বাস্থ্য নির্দেশিকা দল মঙ্গলবার প্রস্তাব করেছে।
প্রথমবারের মতো ইউনাইটেড স্টেটস প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স উপসর্গ ছাড়াই প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাথমিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে উদ্বেগ মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবটি ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যদিও দলটি খসড়া নির্দেশিকা নিশ্চিত করেছে।
টাস্ক ফোর্স সদস্য ও সহ-লেখক লরি পিবার্ট জানান, কোভিড-১৯ মহামারিরও পূর্বে শুরু হওয়া একটি পর্যালোচনার ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়। উক্ত গবেষণা পর্যালোচনাটিতে উদ্বেগ মূল্যায়নের সম্ভাব্য উপকারী ও ঝুঁকির দিক দেখা যায়। যেখানে মহামারির কারণে বিচ্ছিন্নতা ও চাপের সাথে যুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বৃদ্ধির কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: মশা কেন আপনাকেই কামড়ায়?
এই নির্দেশিকাকে লরি সময়োপযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লরি ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান মেডিকেল স্কুলের একজন মনোবিজ্ঞানী ও গবেষক।
লরি উল্লেখ করেন, উদ্বেগজনিত ব্যাধিগুলো সবচেয়ে সাধারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অভিযোগগুলোর মধ্যে একটি, যা প্রায় ৪০ শতাংশ মার্কিন মহিলাকে তাদের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এবং চারজনের মধ্যে একজনের বেশি পুরুষকে প্রভাবিত করে।
উদ্বেগজনিত সমস্যার সাধারণত যারা বেশি সম্মুখীন হয়-দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে এমন নিগ্রো, যারা তাদের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছে এবং যাদের অন্যান্য মানসিক সমস্যা রয়েছে। এই ব্যক্তিগুলোর ক্ষেত্রে আতঙ্ক আক্রমণ, নানা ধরনের ভীতি অথবা অনুভূতিতে নিম্নগামীর মতো লক্ষণ দেখা যায়। এছাড়াও ১০ জনে একজন গর্ভবতী ও প্রসবোত্তর মহিলা উদ্বেগ অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক-এর অপপ্রয়োগ: কেন অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করছে না?
প্রতিদিনকার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় এমন ভয় ও চিন্তার মতো লক্ষণ মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালাসহ মূল্যায়ন টুল ব্যবহার করা হয়। টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা বা যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে এই টুল সহজেই দেয়া সম্ভব। তবে জানানো হয়নি ঠিক কতদিন পর পর মূল্যায়ন করতে হবে।
টাস্ক ফোর্স বলেছে যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে উদ্বেগ মূল্যায়নের জন্য বা এর বিরুদ্ধে সুপারিশ করার জন্য বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে যথেষ্ট কঠিন গবেষণা নেই।
দলটি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিষণ্নতা মূল্যায়ন করার জন্য সুপারিশ দিয়ে চলেছে। তবে চিন্তা বা উদ্বেগ দেখায় না এমন প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যা মূল্যায়নের কোনো সুবিধা বা ঝুঁকির দিক আছে কি না তা সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত ৯২ শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিল কাতার চ্যারিটি
চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যরা খুলনা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শিশুটির অবস্থা প্রথমদিকে খারাপ দেখে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসা করতে চায়নি। পরে পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তি হওয়ার দুই ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
শিশু হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আল আমিন রকিব বলেন, সাড়ে ৫ টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তার শারীরিক অবস্থা এত খারপ ছিল যে লাইফ সার্পোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাদের এখানে সেই ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু ওই শিশুটির পরিবার জোর করে এখানে ভর্তি করে শিশুটির চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে।
এখানে তার সেবা সঠিকভাবে চলছিল বলেও তিনি জানান।
পরিবারের সদস্যরা নার্সদের ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা.কামরুজ্জামানের কাছে আপত্তি জানিয়েছেন।
পরিচালক তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।
যদি তারা দোষী হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায়’ শিশু মৃত্যু: চিকিৎসককে গ্রেপ্তারের দাবিতে নাটোরে মানববন্ধন
ফুটবল খেলতে গিয়ে সিরাজগঞ্জে শিশুর মৃত্যু